এই_ভালো_এই_খারাপ #পর্ব_২৯ #প্রিমা_ফারনাজ_চৌধুরী

0
437

#এই_ভালো_এই_খারাপ #পর্ব_২৯
#প্রিমা_ফারনাজ_চৌধুরী

“বউ কি বললো?” আম্বিয়া বেগম একপ্রকার ছুটে এসে প্রশ্ন ছুঁড়লেন। আজলান সিঁড়ি বেয়ে নামতে নামতে বলল,” কি বলবে? বিয়ের ঝামেলা শেষ হলে চলে যাবে, এই বলছে।”

আম্বিয়া বেগম বললেন,”যাক বাবা একটু ঠান্ডা হলেই হলো। তোর ফুপু তো আবার ঢং শুরু করছে চলে যাওয়ার জন্য। তোর বাপ দরজা বন্ধ করে রাখছে।”

আয়জাকে নিয়ে যুবতীরা ছাদে চলে গেল। অনুষ্ঠান যথারীতি শুরু হয়েছে আবারও। তিথি ঘরে শাড়িটাড়ি খুলে ছুঁড়ে মেরেছে সেলোয়ার-কামিজ পড়ে বসে আছে। তাকে কি পেয়েছেটা কি? অমন শক্ত করে ধরে চুমু দিলেই সে সব ভুলে যাবে? বিয়েটা চুকে যাক এই আজলান শেখকে যদি সে কাঁদিয়ে না ছাড়ে তার নাম তিথি নয়।

ডোডো ঘুমিয়ে পড়েছে। তিথি তার দিকে ঝুঁকে গালে চুমু দিল। দোষ করবে বাপে, মাইর খায় ছেলে। ডোডোর গালে ঠোঁট চেপে তিথি বলল,

“ডোডো তোর বাপকে আমি ছাড়বো না। সুদে আসলে শোধ তুলব। তুই দেখিস।”

মালেকা বেগম এসে উঁকি দিয়ে বললেন,”হ্যা রে তোর আব্বা বলছে চলে যাওয়ার জন্য। আমরা যাই তাহলে।”

তিথি লাফ দিয়ে উঠে বলল,”কেন চলে যাবে কেন?”

“তুষার থাকতে চাচ্ছে না।”

“কোথাও যাবে না। গেলে আর আসবে না। আমার মাথা আর খারাপ করো না আম্মা। যাও।”

মালেকা বেগম বললেন,”তোর ফুপুশ্বাশুড়িকে দরজা বন্ধ করে আটকে রাখতে হয়ছে।”

তিথি বলল,”ওসব কথা বাদ দাও। তোমার শরীর খারাপ লাগলে ডোডোর পাশে শুয়ে থাকো। আব্বা আমার শ্বশুরের ঘরে থাকবে। তুষারের ব্যবস্থা আমি করব।”

মালেকা বেগম সংকোচের সাথে জানতে চাইলেন,”জামাই আসবে না?”

“না না আসবে না। ও এই ঘরে আসবে না আর।”

মালেকা বেগম বিছানা উঠে বসলেন। ডোডোকে বুকে টেনে জড়িয়ে ধরে শুয়ে পড়ে বলল,

“তোর বড় ফুপু, ছোট ফুপুশ্বাশুড়ি ভালো মানুষ। মাঝখান থেকে এটা বেশি কুচুটেগিরি করছে। কেন করছে সেটাও বুঝতে পারছি আমি।”

তিথি বলল,”করুক গে। ওসব কানে তুলিনা আমি। ওর মেয়ে সংসার করতে পারেনি এটা ওর কপালের দোষ। আমার নাকি। তোমার জামাইয়েরও না। ওর মেয়েই তার ভাইপোকে ছেড়ে চলে গেছে। কেউ ওকে তাড়ায়নি।”

মালেকা বেগম বলল,”তারপরও সাবধানে থাকিস।”

তিথি বলল,”সাবধানে না থাকলে ডোডোর আব্বাকে নিয়ে যাবে বলছো?”

মালেকা বেগম বলল,”ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করতে পারিস না? ছেলেদের মাথা ঘুরতে বেশি সময় লাগেনা। তোর জামাই যেমন ফুপুভক্ত। কিছু বললো না দেখলিই তো। ছাড় দিবিনা একদম।”

তিথি চুপ করে রইলো। মালেকা বেগমের পাশে শুয়ে জড়িয়ে ধরে বলল,”তোমাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমাই আম্মা।”

মালেকা বেগম বললেন,”এখানে যা অবস্থা দেখছি। জামাই তোর হয়ে কথা না বললে তো সমস্যা।”

মা মেয়ের কথার ফাঁকে হঠাৎ নিজস্ব গতিতে হেঁটে ঘরে ঢুকে পড়ে আজলান। মালেকা বেগমকে দেখে কপালের একপাশ চুলকে বলল,

“ওহ আপনি থাকুন। আমি ছাদে যাচ্ছি।”

মালেকা বেগম দ্রুত উঠে পড়লেন। বললেন,

“না না আমি চলে যাচ্ছি। যেওনা। তোমার শরীর খারাপ।”

আজলান তিথির দিকে একটুখানি তাকিয়ে বলল,”না আমি আছি। আপনি থাকুন।”

সে বেরিয়ে গেল। তিথি মৃদু হেসে বলল,”শ্বাশুড়িকে আজ ডরাইছে আম্মা। তুমি ফাটিয়ে দিয়েছ।”

“ফাইজলামি করিস না তিথি। আমি যাচ্ছি। যা ডেকে নিয়ে আয়।”

তিথি বলল “মাথা খারাপ হয়নি আমার। ও ওর বোনের গায়ে হলুদে নেচে আসুক। আমি আর বাচ্চা ঘুমাই। এই ডোডো তুই ভুসভুস করে ঘুমাচ্ছিস কেন বেয়াদব। ওঠ।”

মালেকা বেগম বলল,”আহা ডাকিস না। ঘুমাক।”

তিথি ডোডোর গালে গাল চেপে ধরে বলল,”কত জোরে মারছি আম্মা। বড় হয়ে জানতে পারলে আমাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসবে।”

মালেকা বেগম বললেন,”ফালতু কথা সবসময় তোর মুখে। সর, আমি যাই।”

মালেকা বেগম চলে গেলেন। তিথি উনার পিছু পিছু ছাদে চলে এল। আয়জার বান্ধবী আর কাজিনরা মিলে নাচানাচি করছে। তিথিকে দেখামাত্র সবাই হৈচৈ করে উঠে বলল,

“তিথি ভাবি চলে এসেছে। ভাবি চলে এসো। আমাদের একটাই ভাবি।”

তিথি বলল,”আমার বাচ্চা ঘুমোচ্ছে।”

ওর কথা না শুনে সবাই তাকে টেনে নিয়ে গেল। লুঙ্গি ডান্স গানে নাচানাচি চলছে। তিথি তাদের মাঝখানে পড়ে ফেঁসে গেল। সবার ফাঁকে সেও নেচে নিয়েছে। এত নাচানাচির ভীড়ে না নেচে থাকা যায় নাকি? ঘাম ছুটে গেল নাচানাচি করতে গিয়ে। টিস্যু দিয়ে ঘাম মুছে আম্বিয়া বেগমের পাশে বসতে যাবে তখুনি দেখলো বুকে হাত ভাঁজ করে আজলান শেখ দাঁড়িয়ে আছে। এতক্ষণ নাচানাচি দেখছিলো। তিথির দিকে শান্ত দৃষ্টিতে চেয়ে আছে। তিথির হঠাৎ করে লজ্জা লাগলো। হুহ, তাকানো দেখে মনে হচ্ছে এই প্রথম বউকে দেখছে। যত্তসব ঢং। আয়জা আর তার বান্ধবীরা কালা চশমা গানে নাচছে। আয়জা তিথিকে কালো চশমা পড়িয়ে দিয়ে টেনে নিয়ে গেল।

তা দেখে আম্বিয়া বেগম আজলানের দিকে কোণাচোখে একপলক তাকালো। এত শান্তভাবে দাঁড়িয়ে আছে দেখে উনি অবাক হয়েছেন। বউ এমন তিড়িংবিড়িং নেচে চলেছে আর সে কিছু বলছেনা।

আফতাব শেখ হাততালি দিয়ে বললেন,”বৌমা তোমার বরকেও নিয়ে যাও। জীবনে মিষ্টি জিনিসটার সাথে একটু সাক্ষাৎ হওয়া দরকার।”

তিথি বলল,” আরে গরে গরে মুখেরেতে কালা কালা চশমা..

আম্বিয়া বেগম ফিক করে হেসে উঠলেন। পাশ থেকে বড়ফুপু বললেন,”আজলানের চেহারাটা দেখেছ?”

আম্বিয়া বেগম বললেন,”বউকে এখন তেল মারছে। চলে যাবে বলায় ভয় পাইছে ”

“ভয়ও পায় আজকাল।”

“ও যেমন বউ। ভয় পাবে না? কে বলবে এই মেয়ে কিছুক্ষণ কেঁদেকেটে একসা করেছে।”

তিথি নাচানাচিতে এতটা ব্যস্ত হয়ে গেল আজলান কে সেটাই ভুলে গেল। তিথির গলা শুকিয়ে এসেছে। সে পানি খেয়ে টিস্যু দিয়ে মুখ মুছতে মুছতে দেখলো আজলানের কোলে ডোডো! গোলগোল করে তাকিয়ে নাচ দেখছে। মাকে দেখে হাত দুটো মাথার উপর তুলে দিয়ে সে উপরে লাফ দিয়ে উঠলো। তিথি এসে বলল,

“ঘুম শেষ?”

ডোডো তার মাথায় তুলে দেয়া সানগ্লাস কেড়ে নিতে হাত বাড়ালো। তিথি তাকে কোলে টেনে নিয়ে দুগালে টাপুসটুপুস চুমু খেয়ে নিয়ে চলে গেল। ডোডো লাফাচ্ছে তার কোলে। আয়জা তাকে দেখে হাসতে লাগলো। গান বন্ধ হওয়ার সাথে সাথে ডোডো চমকে উঠে চারপাশে তাকালো। তিথি বলল,

“শেষ গান শেষ।”

ডোডো গোলগাল চোখে তাকিয়ে থাকলো। আম্বিয়া বেগম এসে বললেন,”হয়েছে এবার ঘরে যা। আজলান ঝিমাচ্ছে।”

তিথি দেখলো ঘুম পাওয়ায় আজলানের চোখদুটো লালচে হয়ে গেছে। বোনের বিয়ে বলেই হয়ত এই প্রথম হাসি তামাশার মাঝে সে এখনো দাঁড়িয়ে আছে। কোনোকালেই তার এসব পছন্দ না। তারউপর বউটাও এরকম। এখন নিজের পছন্দের বাইরেও গিয়েও কাজ করতে হয়। দেখা যাচ্ছে তাতেই সব শান্তি।

সাউন্ডবক্সে আবারও নাচগান বেজে উঠেছে। ডোডো আবার লাফ দিয়ে উঠলো। তিথি হেসে উঠে বলল,”পাজি ছেলে কোথাকার। তোর বাপ দেখ এখনি মনে হয় ঝিমিয়ে পড়ে যাবে। বুইড়া ব্যাটা একা ভয় পাচ্ছে ঘরে। চল ঘুম পাড়িয়ে আসি।”

আজলানের সামনে এসে সে বলল,”আমি অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর ঘুমাবো।”

আজলান কিছু বলল না। তিথি বলল,”কেউ ঝিমিয়ে পড়ে গেলে আমার দোষ নেই।”

আজলান তীর্যকভাবে বলল,”কালা চশমা পড়ে নাচছিলে কোমর দুলিয়ে। ভালোই তো লাগছিলো। কোনো ভদ্র পরিবারের বউ এভাবে নাচে?”

তিথি বলল,”এটা ভদ্র পরিবার সেটা কে বললো?”

আজলান বলল,”যাও নাচো।”

তিথি বলল,”একশো বার নাচবো। তোমার কি তাতে?”

আজলান চিড়বিড় করে উঠে বলল,

“এসব ভিডিও করছে দেখছো না?”

নিজের রাগ সে সামলাতে পারছেনা শত চেষ্টা স্বত্বেও। বেরিয়েই এল। তিথির হাত খপ করে ধরে বলল,

“চলো। আর কোনো কথা নয়। যথেষ্ট নেচেছ।”

তিথিকে টেনে নিয়ে চলে গেল সে। আম্বিয়া বেগম আফতাব শেখের উদ্দেশ্য বললেন,

“দেখলে তো? তোমাকে বলেছিলাম আমি। ও পছন্দ করে না মানে করে না।”

“ও চুপ করে ছিল বলে মনে করেছি বউকে একটু ছাড় দিয়েছে। কিন্তু খেপে আছে কে জানতো? বউ কাঁদলেও দোষ, নাচলেও দোষ। মেয়েটাকে শান্তি দিল না।”

মফিজ সাহেব এককোণায় বসে ঝিমচ্ছিলেন। তিথিকে টেনে নিয়ে যেতে দেখে চোখদুটো উনার বড়বড় হয়ে গেছে। তিনি বিড়বিড় করে বললেন,

“আমার মেয়েটারে হাসিখুশি দেখলেই গোলামের ফুতের জ্বলে। হারামি। ”

আজলান তিথিকে ঘরে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে দিল। ডোডো উল্টাপাল্টা শব্দ করে ছাদ থেকে কেন তাদের মা ছেলেকে নিয়ে এসেছে তার প্রতিবাদ জানাচ্ছে। আজলান তাকে বিছানায় বসিয়ে দিয়ে তিথিকে টেনে ওয়াশরুমে ঢুকিয়ে দিয়ে নতুন খয়েরী রঙের নাইট ড্রেস ছুঁড়ে মেরে চলে গেল। তিথি সেলোয়ার-কামিজ পাল্টে গা মুছে ধুয়ে ঢিলেঢালা নাইটিটা পড়ে বেরিয়ে এসে বিড়বিড়িয়ে বলল,

“এসব বেয়াদ্দব পোশাক পড়তে বলে আবার নিজেকে ভদ্রলোক দাবি করে? নূন্যতম হায়া শরম।নেই। মানুষ বৌয়ের জন্য এসব পোশাক কিনে?”

তিথি হাতমুখ মুছে মুখে নাইটক্রিম মাখতে যাচ্ছিলো। আজলান চোখের উপর হাত রেখে ঘুমিয়ে পড়েছে। তারপর দৃঢ়বদ্ধ ঠোঁটদুটো দেখেই বোঝা যাচ্ছে মেজাজ সপ্তম আসমানে। তিথি মুখ মোচড়ে লাইট নিভিয়ে এল। ডোডো আজলানের ওপাশে শুয়েছে। মাঝখানে অনেকটা ফাঁকা জায়গা। তিথি শুয়ে পড়লো বেশ সাবধানে। ডোডো আবারও ঘুমিয়ে পড়েছে। ডোডোর বাপও। তিথি বিড়বিড় করে বলল “আমার বাচ্চাটাকে সরিয়ে ফেলেছে।”

সে আজলানের উপর দিয়ে ডোডোর নিজের কাছে নিয়ে আসার জন হাত বাড়ানোমাত্রই আজলান তাকে এমনভাবে ছুঁড়ে মারলো সে পড়ে গিয়ে চেঁচিয়ে উঠামাত্রই আজলান ধড়ফড়িয়ে উঠে বসলো। তিথি বলল,”মরে গেলাম, মরে গেলাম।”

আজলান ফোনের ফ্ল্যাশ জ্বালিয়ে বলল,”কোথায় লেগেছে? উফ মুসিবত। কোথায় লেগেছে বলো।” শেষে ধমকে উঠলো সে। তিথি তার হাত ধরে পিঠের নীচে দিয়ে বলল,

“পিঠে।”

আজলান বলল,”বেশি লেগেছে?”

“খুব।”

আজলান বলল,” দেখাও।”

তিথি লজ্জা পেয়ে গিয়ে বলল,”ধুর দেখাবো কিভাবে? কি এক মরার কাপড় পড়ছি। শুধু উপরে উঠে যাচ্ছে।”

আজলান বিরক্ত হয়ে বলল,”তোমার লাগেনি তাই তো?”

তিথি দুপাশে মাথা নেড়ে বলল,”না।”

আজলানের মুখ শক্ত হয়ে উঠলো। তিথি মাথা দুলিয়ে বলল,”হ্যা হ্যা।”

আজলান বিছানা থেকে নেমে লাইট জ্বালিয়ে দিয়ে ক্যালেন্ডারের ভাঁজ নিয়ে রোল করতে করতে বলল,

“তুমি নিজে ঘুমাবে নাকি, ঘুমাতে দেবে?”

তিথি একলাফে বিছানা থেকে নেমে গিয়ে পালঙ্কের পেছনে লুকিয়ে গিয়ে বলল,

“ও আল্লাহ! তুমি আমাকে মারবে নাকি এখন?”

আজলান ক্যালেন্ডারের রোলটা নিয়ে এগিয়ে এল। তিথির দৌড়ে অন্য জায়গায় সরে দাঁড়ালো। বউ বর দৌড় ছুট খেলতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়লো। আজলান শেষে বিছানায় বসে দু’হাত পেছনে ঠেলে ভার নিয়ন্ত্রণ করে তিথির দিকে তাকিয়ে বলল, “তোমার চোখে ঘুম নেই মেহবুব?”

তিথি ধীরপায়ে এগিয়ে এসে তার দিকে তাকিয়ে বলল, “ওটা ফেলে দাও। ঘুমিয়ে পড়বো এখন।”

আজলান রোলটা ফেলে দিল, আর ঠিক তখনই তিথি তার কোলে এসে চেপে বসে পড়ল। তার কণ্ঠে মিষ্টি অনুরোধ, “চলো ঘুমিয়ে পড়ি।”

আজলানকে ধাক্কা দিতে গিয়ে, নিজেই হঠাৎ শক্ত দু’হাতের মধ্যে বন্দী হয়ে গেল তিথি। মুহূর্তের মধ্যে আজলান তাকে কাছে টেনে নিল, এবং তার ক্রুদ্ধ দৃষ্টির আড়ালে লুকিয়ে থাকা জ্বালাময় আবেগ প্রকাশ পেল গলার ভাঁজে পড়া কঠিন, আগ্রাসী চুম্বনগুলোতে। এই চুম্বনগুলো যেন আজলানের ভেতরে জমে থাকা ক্ষোভ আর ক্রোধের বহিঃপ্রকাশ। আজলানের আগ্রাসী চুম্বন থেকে কিছুটা মুক্তি পেয়ে তিথি শ্বাস নিতে নিতে বলে উঠল, “ওহ আল্লাহ রে! ডোডো দেখলে দুজনকেই ঘাড়ধাক্কা দিয়ে ঘর থেকে বের করে দেবে। কি নির্লজ্জ মা বাপ তার। ছিহ!

চলমান….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here