এই_ভালো_এই_খারাপ #পর্ব_৩০ #প্রিমা_ফারনাজ_চৌধুরী

0
391

#এই_ভালো_এই_খারাপ #পর্ব_৩০
#প্রিমা_ফারনাজ_চৌধুরী

আয়জা গায়ে হলুদের শাড়ি পড়েই ঘুমিয়ে পড়েছিল। তিথি তার ঘরে এসে দেখলো সে ঘুম। শুধু চুলগুলো খুলেছে। মুখের সাজগোছ এখনো রয়ে গেছে। সে আয়জার গায়ে হাত দিয়ে ধীরেধীরে ডাকলো। ডোডোও মায়ের দেখাদেখি ফুপীর গায়ে হাত রেখে ঝাঁকালো। তিথি আয়জার গায়ের উপর তাকে শুইয়ে দিয়ে বলল,

“তুই ডেকে দে ডোডো। আমার অনেক কাজ পড়ে আছে।”

ডোডো আয়জার গাল কামড়ে ধরলো। চুল টেনে ধরলো। আয়জা আর্তস্বরে বলল,

“অ্যাহ সকাল সকাল কি শুরু করেছ আব্বা?”

ডোডো তার চুল শক্ত করে ধরলো। আয়জা বলল,”আমি চলে যাব আজ। তবুও মারে।”

ডোডো আবোলতাবোল কি যেন বকতে লাগলো। আম্বিয়া বেগম এসে দেখলো ফুপু ভাইপোর আদর মহব্বত দেয়া-নেয়া চলছে। তিনি বললেন,

“উঠে পড়। আর কতক্ষণ ঘুমাবি?আজ কি ঘুমানোর সময়? আশ্চর্য! আমার ভাই কি করছে?”

ডোডো আম্বিয়া বেগমকে দেখে হামাগুড়ি দিয়ে ছুটে এল। আম্বিয়া বেগম তাকে কোমরে তুলে নিয়ে বেরিয়ে গেলেন।

তিথি রমলা চাচীর সাথে রান্নাঘর পরিষ্কারের কাজ শুরু করেছে। শাড়ির আঁচল কোমরে গুঁজে, এক হাতে স্কাবার ধরে, সিঙ্কের তলা পরিষ্কার করছে। রমলা চাচী রান্নাঘরের মেঝে ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার করতে করতে বলল,

“তোমার মেঝ ফুপু শ্বাশুড়ি কাল অনেক রাত অব্দি রুমের মধ্যে প্যানপ্যান প্যানপ্যান করছিলো।”

তিথি রান্নাঘরের কাউন্টার টপ ও অন্যান্য প্রান্তগুলো মুছতে মুছতে বলল,”ধুর পাগলে কি না বলে, ছাগলে কি না খায়। বাদ দাও।”

রমলা চাচী বলল,”তোমার জামাই কিছু বলেনাই কেন? ওইরকম বেডিগুলারে কিছু বলা লাগে। নইলে এরা শোধরায় না। নিজের মেয়ের ঘর বাঁচাইতে পারেনাই আসছে পরের মেয়ের দোষ ধরতে। নির্লজ্জ বেডি মানুষ।”

তিথি চুলা পরিষ্কার করছে সে-সময় আজলান রান্নাঘরের দরজার সামনে এসে দাঁড়ালো। তার গায়ের খুশবু শুঁকে তিথি বুঝে ফেলেছে সে এসেছে। আজলানের কোলে ডোডো। সে আম্মা আম্মা ডাকছে মৃদুস্বরে। তিথি দরজার সামনে এসে দাঁড়িয়ে বলল,

“কি চায় বাপ ছেলে?”

ডোডো বাবার কোলে বসে ন্যাংটো মাড়ি দেখিয়ে হাসলো। ডাকলো, “আম্মামমা।”

তিথি তাকে জিভ দেখিয়ে দিল। ডোডো আরও খুশি। জিভ বের করে দেখালো। তিথি চোখ উল্টোতেই ডোডোও চোখ উল্টালো। আজলান বলল,

“আমাদের খেতে দাও। সকাল থেকে সবাইকে ডেকে ডেকে খেতে দিচ্ছ, আমাদের খাবার কোথায়? ও খিদেয় দেখলাম মায়ের শাড়ির আঁচল চিবোচ্ছে। এত কিসের কাজ এখানে?”

তিথি বলল,”কিসের কাজ দেখতে পাচ্ছেনা! চাচী তোমার বাবু কি খাবে জেনে নাও।”

রমলা চাচী বলল,”বিরিয়ানি আছে। দিবো বাবু?”

আজলান নাকতুলে বলল,”বাসি খাবার খেতে হবে কেন? সকাল থেকে সবাইকে বাসি খাবার দিচ্ছ নাকি মেহবুব?”

তিথি বলল,”আশ্চর্য! বিরিয়ানিগুলো কি ফেলে দেব নাকি? সবাইকে মজা করে খেয়েছে। তোমার ইচ্ছে না করলো তুমি খাবেনা, ব্যস। বিয়েবাড়িতে এত ঢং দেখার সময় নেই।”

আজলান বলল,”ডোডোকে এসব বাসি খাবার দেবেনা খবরদার।”

তিথি ডোডোকে মিষ্টি খাইয়ে দিল। ডোডো মাথা নেড়ে নেড়ে খাচ্ছে। তিথি তার গালে চুমু খেয়ে বলল,

“তোর খিদে লাগলে তোর বাপকেও খেয়ে ফেলবি। কাউকে ভয় পাবি না। বুঝছিস?”

ডোডো বড়বড় চোখ করে চাইলো। তিথি গালে চুমু দিতে দিতে বলল,”আমার বাচ্চা আমার সব কথা বুঝে ফেলে।”

আজলান কড়া গলায় বলল,”ওকে বাসি মিষ্টি দেবেনা মেহবুব। বারবার বলব না এককথা।”

তিথি আর খাওয়ালো না। আজলান দাঁড়িয়ে থেকে ডিমের অমলেট আর ব্রেড সেঁকে নিল। তারপর চামচ ধুয়ে ডোডোকে কোলে নিয়ে চলে গেল। তিথি বলল,”বেডামানুষের এত ঢঙ।”

আয়জা শাড়ি পাল্টে এসে বলল,”ভাবি আমার চুলে জট পেকে গেছে? একটু ছাড়িয়ে দিবে?”

তিথি বলল,”তেল দাও আগে। আমি আসছি কাজ সেড়ে। জট ছাড়িয়ে শ্যাম্পু করে ফেলবে।”

তারমধ্যে আম্বিয়া বেগম এসে বললেন,”এই আয়জা তোর মেঝ ফুপু নাকি সকাল থেকে কিচ্ছু খায়নি। যা কিছু দিয়ে আয়।”

আয়জা রেগে বলল,”আশ্চর্য! বিয়ের দিনও আমি কাজ করব?”

রমলা চাচী বলল,”আইচ্ছা আমি নিয়া যাইতেছি।”

রমলা চাচী বিরিয়ানি নিয়ে ফেরত এসে বলল,”উনি নাকি বিরিয়ানি খাবেন না।”

তিথি বলল,”নাশতা দিয়ে চা দাও।”

রমলা চাচী বলল,”উনি নাকি গরম ভাত খাবেন।”

তিথি বলল,”ভাত বসিয়ে দাও তাহলে।”

আম্বিয়া বেগম বললেন,”ততক্ষণ বসে থাকতে পারবে কিনা জিজ্ঞেস করে আয়। নইলে আবার শুরু করবে।”

বিয়ে বাড়িতে যেমন মানুষের ভীড় তেমন খাওয়াদাওয়া। তিথি একটু ফাঁক পেয়ে আয়জার চুল ছাড়াতে চলে এল। তেল দিয়ে চুল আঁচড়ে দিতে দিতে হাসাহাসি করছিলো তারা গতরাতের ভিডিওগুলো দেখে। তন্মধ্যে আজলান এসে বলল,

“ওখানে আবার কি হয়েছে?”

আয়জা চমকে উঠলো। তিথি কৌতূহলী হয়ে জিজ্ঞেস করলো,”কি হয়েছে?”

আজলান বলল,”ফুপু নাকি ভাত চেয়েছে।”

তিথি অবজ্ঞার সুরে বলল,”হ্যা তো?”

আজলান রাগত স্বরে”না দিয়ে এখানে হাসাহাসি করছো কেন?”

তিথি বিছানায় চিরুনি ছুঁড়ে মেরে বেরিয়ে গেল হনহনিয়ে। রান্নাঘরে গিয়ে রমলা চাচীকে বলল,

“ভাত দাওনাই?”

রমলা চাচী বলল, “এখন দিয়া আসছি। বাপরে বাপ যে চিক্কুর দিছে। যেন তারে কেউ ভাত দিবোনা বলছে।”

আজলান বেরিয়ে গেল চুপচাপ।

আম্বিয়া বেগম এসে তিথিকে দেখে বললেন,”তোর আবার কি হয়ছে? মুখটা এমন করে রেখেছিস কেন?”

তিথি ফুঁসে উঠে বলল, “তোমার ছেলে জিজ্ঞেস করতেছে ওর মেঝ ফুপুকে ভাত দিয়েছি কিনা? কেন? আমি ভাত দেয়ার কে?যেন আমি ভাতের পাতিলের তালা মেরে রাখছি।”

আম্বিয়া বেগম সান্ত্বনা দিয়ে বললেন,”আচ্ছা রাগ করিসনা।”

আম্বিয়া বেগম ঘরে এসে আজলানকে বললেন,”তোকে বলছিনা তোর ফুপুর হয়ে কোনো কথা না বলতে বৌমাকে?”

আজলান অবাকস্বরে বলল,”আশ্চর্য! কি বলেছি আমি? ফুপু আমাকে দেখামাত্র বললো তোর বউ ভাত দিবে বলে কোথায় চলে গেছে। আমি বাড়িতে এতক্ষণ না খেয়ে থাকিনা। তাই মেহবুবকে জিজ্ঞেস করেছি।”

আম্বিয়া বেগম বিরক্তিসূচক শব্দ করে বলল,”ওকে কাল যা তা বলছে। ও ভাত দিবে কেন? ওকে ভাত দেয়ার লোক আর নাই বাড়িতে?”

আজলান বলল,”উফফ অসহ্য। মনে হচ্ছে ছোট বাচ্চাদের ঝগড়া লেগেছে তাই কথা বলবেনা একে অপরের সাথে। তোমরা মেয়েরা কি চাও আমি বুঝিনা। মাথা খারাপ করে ফেলো।”

সে বেরিয়ে গেল গটগট পায়ে হেঁটে বিড়বিড় করতে করতে। প্রত্যেকটি পদক্ষেপে রাগ প্রকাশ পাচ্ছে।

আয়জাকে বউ সাজানো হয়েছে অত্যন্ত যত্ন করে। পরনে খয়েরী হাফসিল্ক জামদানী শাড়ি। শাড়িটা আজলানের পছন্দ হয়েছে শুনে আয়জা ভীষণ খুশি।

তার চুলে পড়ানো হয়েছে গোলাপ ফুলের মালা। গলায় ভারী সোনার হার, হাতে চুড়ি ও বালা,
সিঁথির মাঝখানে টিকলি। মুখে সূক্ষ্মভাবে দেওয়া হয়েছে লাল লিপস্টিক।

ডোডোকে কোলে নিয়ে বসে আছে সে। ডোডো মুখ তুলে খানিকটা হা করে তাকিয়ে আছে। আয়জা তার ঠোঁট আলতোভাবে ডোডোর গালে, নাকে, ঠোঁট ছুঁয়ে আদর করতে করতে বলল,”আব্বার মন পুড়বে ফুপীর জন্য?”

ডোডো মাথা ঝাঁকায়। আয়জা জিজ্ঞেস করে,”কলিজা পুড়বে?”
ডোডো আবার মাথা দোলায়। পার্লারের মেয়েগুলো হেসে বলে,”কি চালাক বাবু।”

ডোডো একটা আঙুল তুলে আয়জার নাকের নথটা ধরতে চায়। আয়জা হাসতে হাসতে বলে,”পাগল ছেলে।”

তিথি এসে ডোডোকে কোলে নিয়ে বলে,”ডোডো চল চল আমরা মা ছেলে বসে আগে পেটপুরে খেয়ে নিই।”

সে ডোডোকে নিয়ে ঘরে চলে এল। আজলান তাদের জন্য গরম গরম বিয়ের ভাত নিয়ে এসেছে। সাবধান করে বলল,”এখানে বসে চুপচাপ খাও। ডোডোকেও খাইয়ে দাও। সবার সামনে ওকে খাওয়াবে না বেকুব।”

তিথি মুরগীর পিস তুলে ডোডোর সামনে দিল। ডোডো দু’হাতে তা ধরছিলো। আজলান তিথির হাত ধরে ফেললো। আজলান হাত ধুয়ে ছোট ছোট করে মাংস ছিঁড়ে ডোডোকে খাইয়ে দিতে লাগলো।বলল,

“ও হাতে নিয়ে খাওয়া শিখেছে এখনো? তাছাড়া এগুলো গরম। এইভাবে খাওয়াবে।”

তিথি বলল,”না,খাওয়াবো না এভাবে।”

আজলান কপাল ভাঁজ করে তাকালো। তিথি বলল,”সুন্দর করে বলো।”

আজলানের কপালে দ্বিগুণ ভাঁজ পড়লো। তিথি বলল,”বলো, মেহবুব এভাবে এভাবে খাইয়ে দিতে হয়। বলো।”

আজলান চোখ সরিয়ে নিল বেশ ভঙ্গিমা করে, যেন সে তিথির কথা গায়ে মাখেনি।

ডোডোকে খাইয়ে দিতে দিতে তিথিকে দেখিয়ে মাংসের গায়ে কামড় দিল সে। তিথি তক্ষুণি রাক্ষুসে থাবায় মাংসটা কেড়ে নিয়ে কামড় বসিয়ে খেতে খেতে বলল,

“বুঝেছি এবার। তুমি পাম্প দিয়ে দিয়ে খেতে বসে গেছ। নো বাছাধন। তোমাকে ভাগ দেয়া যাবে না। ডোডো বল, এই স্বাদের ভাগ হবে না। তুমি আমার যত পেয়ারি বাপ হও না কেন।”

ডোডো মাথা দুলিয়ে বলল,”নানানানা।”

তিথি অট্টহাসিতে ফেটে পড়লো। আজলান হতাশ চোখে চেয়ে রইলো।

ডোডো থাবা মেরে একমুঠ ভাত নিয়ে আজলানের দিকে বাড়িয়ে দিল তক্ষুণি। আজলান মৃদু হেসে হাত থেকে ভাতগুলো খেল। মাথা দুলিয়ে বলল,”মজা।”

ডোডো আরেক থাবা ভাত তুলে তিথির দিকে বাড়িয়ে দিল। তিথি ভাত খেয়ে নিয়ে বলল,”ওলেবাবা খুব মুজা।”

ডোডো আরেক থাবা ভাত তুলে নিজের গালে দিল। বেশিরভাগই নীচে পড়ে গেল। তিথি গালে চড় মেরে বলল,

“ধুর গাধা। মাংস খা। চিংড়িটা খা। রেজালা খা। ভাত খাচ্ছিস কেন শুধু? পাগল নাকি ব্যাটা? ওই ব্যাটা? নে মুরগীর আন্ডা খা। আমার বাচ্চা হয়ে চালাক হলি না। হলি বাপের মতো। ধুর।”

আজলান চুপ করে মা ছেলের কান্ড চেয়ে রইলো। সে হাসবে নাকি কাঁদবে? এই মহিলা কি কোনোদিন শোধরাবে না? একে নিয়ে এভাবে জীবনটা পার হবে? তিথি তাকে ওভাবে তাকাতে দেখে হঠাৎ ভারী লজ্জা পেয়ে গেল। এই ব্যাটা হঠাৎ হঠাৎ এমনভাবে তাকায় যে অন্তরআত্মা কেঁপে উঠে।

আম্বিয়া বেগম ব্যস্ত পায়ে হেঁটে এসে বলল,

“আজলান ওরা চলে এসেছে আব্বা। চল। কি করছিস এখানে? ও–মা আমার ভাই ভাত খাচ্ছে? মাংস খাচ্ছে?”

ডোডো হাত বাড়িয়ে ডাকলো। আম্বিয়া বেগম বললেন,”আমার অনেক কাজ ভাই। পরে কোলে নেব। তুমি খাও।”

আজলান দাঁড়িয়ে পড়ে বলল,”চলো ওরা খেয়ে নিক।”

“হ্যা, চল।”

আম্বিয়া বেগম হঠাৎ খেয়াল করলেন আজলানের গালে ভাতের দানা লেগে আছে। তিনি ফিক করে হেসে ফেললেন। আজলান, তিথির সাথে সাথে ডোডোও বড় বড় চোখ করে চেয়ে রইলো উনার দিকে। আজলান বিরস গলায় জিজ্ঞেস করলো,

“হাসছো কেন?”

আম্বিয়া বেগম হাসি চাপা দিয়ে বললেন,

“তোর গালে ভাতের দানা লেগে আছে।”

তিথি গুরুতরভাবে বলল,”আমাদের মা ছেলের মাঝখানে এলে এই অবস্থায় হবে।”

আজলান গাল মুছে নিয়ে বলল,”হয়েছে। এবার চলো।”

আম্বিয়া বেগম বললেন, “বউ ওকে খাওয়ানো শেষ হলে তাড়াতাড়ি আয়। তোকে খুঁজবে ওরা।”

তিথি ডোডোকে খাইয়ে নিজেও বাকিগুলো খেয়ে নিল। তারপর পেটে হাত বুলিয়ে বলল,

“বিয়া খাইয়্যা লইছি।”

ডোডোও তার দেখাদেখি পেটে হাত দিল। তিথি হো হো করে হেসে উঠে তাকে কোলে তুলে ঘুরিয়ে সোহাগ করে বলল,

“এক্কেবারে পাকনা বাচ্চা আমার। আজলান শেখের প্রোডাক্ট বহুত পাকনা।”

ডোডো খিকখিক করে হাসলো। আজলান এসে বলল,”মেহবুব চলো। তোমাকে খুঁজছে যারিফের আম্মা।”

তিথি ডোডোকে নিয়ে চলে যাচ্ছিলো দৌড়ে। আজলান খপ করে তার হাত ধরে টিস্যু দিয়ে মা ছেলের মুখ মুছে দিতে দিতে বলল,

“যত্তসব পাগলছাগল নিয়ে আমি আছি মহাবিপদে। ইজ্জত সম্মান রাখবে না আমার।”

ডোডো তার দুঠোঁট নাচিয়ে ডাকলো,”এ্যাহ পাপ্পাহ।”

আজলান তার ঠোঁট, মুখ মুছে দিয়ে চুমু দিতেই ডোডো হেসে উঠলো। আজলান বলল,”এবার চলো।”

তিথি শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো অবুঝ বাচ্চার মতো। অভিমানী স্বরে বলল,”বাচ্চাকে দিছে। বাচ্চার মায়েরটা কোথায়?”

আজলান তার মাথার পেছনে হাত রেখে টেনে এনে ঠোঁটে চুমু খেল তারপর ডোডোর দুগালে চুমু খেয়ে বলল,” আল্লাহর ওয়াস্তে চলো এবার।”

তিথি তার কলার টেনে এনে বলল,”আপিষাঁড় কয় কি। আমরা মা ছেলে কারো কাছে ঋণী থাকতে পছন্দ করিনা। বুঝলে? হিসাব ইকুয়াল ইকুয়াল।”

বলেই টুপ করেই খোঁচা দাঁড়ির মধ্যে দুঠোঁট গেঁথে চুমু দিল।

ডোডো বাবার তার দুহাতে বাবার চুল ধরে টেনে এনে আজলানের গালে কামড়ে দিয়ে দু-হাত উপরে তুলে জয়ধ্বনি দিয়ে বলল,

“ওহ ওহ।”

আজলান তার মেজাজ হারিয়ে বলল, “মা ছেলে দূর হও। আমাকে চুল আঁচড়াতে হবে। কলারে আইরন করাতে হবে। ফালতু।”

চলমান…

🥱🥱

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here