#কৃষ্ণগোলাপ
লেখিকা-জান্নাতুল ফারিয়া প্রত্যাশা
৪১.(অন্তিম পর্ব)
কাঁদতে কাঁদতে চোখ মুখ ফুলিয়ে ফেলেছে ঐচ্ছি। নাক মুখ ভয়ানক লাল হয়ে আছে তার। তবে কান্না তার এখনো থামেনি। জানলায় মাথা ঠেকিয়ে নিরবে কেঁদে যাচ্ছে সে। তার পাশে বসা রাফসান বিষন্ন চোখে তার দিকে তাকিয়ে আছে। ঐচ্ছিকে অনেক বুঝিয়েও তার কান্না থামানো গেল না। সে কাঁদবেই, কাঁদতে কাঁদতে আজ সব ভাসিয়ে ফেলবে, তাও কান্না থামাবে না। কষ্ট হচ্ছে যে তার, মা বাবাকে ছেড়ে আসার পর কষ্ট। এই কষ্টের কোন শেষ হয়না। ঐচ্ছি বুঝে তার বুকটা ভীষণ ভার হয়ে আছে। মনে হচ্ছে এক্ষুণি আবার ছুটে চলে যেতে বাবা মার কাছে। হুমড়ি খেয়ে পড়তে তাদের বুকে। চোখের স্বচ্ছ পানিগুলো নির্নিমেষ গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে। আর একটু পর পর নাক টানার শব্দ শোনা যাচ্ছে।
রাফসান আলতো হাতে ঐচ্ছির চোখের পানিটা মুছে দিয়ে ঐচ্ছির মাথাটা তার কাঁধে রাখল। ঐচ্ছি রাফসানের কাঁধে মাথা রেখে চোখ বুজে ফেলল। এই তীক্ষ্ণ বুকে ব্যাথার মাঝেও এখন এক অদ্ভুত শান্তি পাচ্ছে সে।
.
গাড়িটা থেমে গেল। রাফসান আস্তে করে ঐচ্ছিকে ডাকতে লাগল। বেচারি কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়ে পড়েছে। রাফসানের ডাকে পিটপিট করে চোখ মেলে তাকায় সে। তাকিয়েই প্রথমে বুঝে উঠতে পারে না সে ঠিক কোথায়? পরে পাশে রাফসানকে দেখে ক্ষীণ সুরে জিগ্যেস করে,
‘আমরা কোথায়?’
রাফসান মৃদু হেসে জবাব দেয়,
‘আমরা এসে পড়েছি ঐচ্ছি। ঐ যে সামনে আমাদের বাড়ি।’
ঐচ্ছি ভালোভাবে চোখ মেলে তাকাল। গাড়ির সামনের গ্লাস দিয়ে এক বিশাল বাংলো চোখে পড়ল তার। রাফসান ততক্ষণে গাড়ি থেকে নেমে ঐচ্ছিকে উদ্দেশ্য করে বললো,
‘নামুন ঐচ্ছি।’
ডান হাতটা এগিয়ে দিল ঐচ্ছির দিকে। শুকনো হেসে রাফসানের হাত ধরে গাড়ি থেকে নামল সে। তখন তার চোখের সামনে সেই বাংলোটা আরো স্পষ্টতর হলো। ডুপ্লেক্সের একটা বিল্ডিং এটা। দেখতে অনেকটাই পুরোনো বাংলোগুলোর মতো। বাইরের রঙটা একদম সাদা। মাঝে জানলার উপর দিকটা হালকা গোলাপী রঙ দেওয়া। দুতালার সামনেই বিশাল এক বেলকনি। নিচ থেকে দাঁড়িয়েই দেখা যাচ্ছে সেটা। ঐচ্ছি সতর্ক দৃষ্টিতে আশে পাশে তাকাল। নিরব নিস্তব্ধ পুরো জায়গা। যেদিকে তাকাও সেদিকেই শুধু গাছগাছালি। এই এত এত ঝোপঝাড়ের মাঝে এই বাড়িটা দেখতে কেমন ভূতরে ভূতরে লাগছে। অবশ্য এখানে থাকেও তো জ্বীনেরাই, ধরতে গেলে ভূতই তো। এই প্রথম ঐচ্ছির মনে ভয় জাগে। জ্বীন ভূতের ভয়। ঐচ্ছি ছোট্ট একটা ঢোক গিলে ভয়ার্ত দৃষ্টিতে রাফসানের দিকে তাকাল। রাফসান তখন সাদমানের সাথে গাড়ি থেকে ব্যাগ পত্র নামাতে ব্যস্ত। ঐচ্ছির এবার রাফসানকেও ভয় লাগছে। এই পুরো জায়গাটা কেমন যেন থমথমে। কোথাও কোন সাড়াশব্দ নেই। গায়ে কাটা দেওয়ার মতো অবস্থা। ভয়ে বেচারির অবস্থা খারাপ। এত এত জ্বীনের মাঝখানে সে একা একটা মানুষ। কি জানি এই জ্বীনগুলো তার সাথে কি করে না করে। ঐচ্ছি অপ্রস্তুত ভঙিতে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে রইল। তখনই হুট করে কোথ থেকে একটা মেয়ে ভাওও করে চেচিয়ে উঠে ঐচ্ছির সামনে উদয় হলো। বেচারি হচ্ছি ভয়ে তো এমনিতেই মরমর অবস্থা এখন আবার ঐ মেয়েকে দেখে সে রীতিমতো ভয়ে চিৎকার দিয়ে উঠল। রাফসান ছুটে আসে ঐচ্ছির কাছে। ঐচ্ছি চোখ মুখ খিঁচে বন্ধ করে চেচিয়ে যাচ্ছে। রাফসান তার দু বাহু ধরে তাকে বলে,
‘ঐচ্ছি, ভয় পাওয়ার কিছু নেই। ও আমাদের বোন। চোখ খুলুন ঐচ্ছি। তাকান ওর দিকে।’
ভয়ে হৃৎস্পন্দন বেড়ে গিয়েছে তার। বুকে থু থু দিয়ে আস্তে করে তার পাশে থাকা মেয়েটার দিকে তাকায় সে। ফর্সা দেখতে একটা মেয়ে তার সামনে দাঁড়ান। মুখে তার দুষ্টু হাসি। চোখগুলো বাদামি। মেয়েটা হেসে ঐচ্ছিকে বললো,
‘আল্লাহ, ভাবি তুমি এত ভয় পেয়েছো যে তোমার চোখে পানি চলে এসেছে।’
ঐচ্ছি হাত দিয়ে তার চোখের কোণটা মুছে হাসল। বললো,
‘না আসলে হঠাৎ করে সামনে এসে পড়েছো তো তাই আরকি একটু ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।’
রাফসান ঐচ্ছিকে আশ্বস্ত করে বললো,
‘এত ভয় পাওয়ার কিছু নেই ঐচ্ছি। ও হলো আমাদের বোন, হেমা। সম্পর্কে আপনার ননদ।’
ঐচ্ছি প্রশ্নসূচক দৃষ্টিতে রাফসানের দিকে তাকাল। রাফসান হয়তো বুঝলো ঐচ্ছি কি বলতে চাইছে। তাই সে মৃদু হেসে বললো,
‘হেমা আমাদের চাচাতো বোন। ঐ যে শেহরিনের কথা বলেছিলাম না উনার ছোট বোন।’
ঐচ্ছি ঠোঁটের আকৃতি গোল করে বললো,
‘ওহ আচ্ছা।’
হেমা তখন লাফিয়ে উঠে বললো,
‘হ্যাঁ হ্যাঁ, এবার বাসার ভেতরে চলো। সবাই তোমার জন্য অপেক্ষা করছে। ভাইজান(রাফসানের দিকে তাকিয়ে) আমি ভাবিকে নিয়ে গেলাম।’
রাফসান হেসে বললো,
‘ঠিক আছে, যাও।’
হেমা ঐচ্ছিকে নিয়ে বাসার ভেতর প্রবেশ করলো। মেইট ফটক পার হয়ে ভেতরে ঢুকতেই প্রথমে পড়ে বসার রুম। অনেকটা বড় জায়গা নিয়ে এই রুমটার স্থায়িত্ব। কিছু কাঠের সোফা রুমের এক কোণে রাখা। অন্য একটা জায়গায় একটা ছোট্ট টেবিল তার উপর প্রয়োজনীয় কিছু জিনিসপত্র। তার উল্টো পাশে একটা কর্ণার তার বিভিন্ন তাকে বিভিন্ন ফুল। ঐচ্ছি বেশ অবাক হয়ে সবকিছু দেখতে থাকে। জ্বীনেরাও যে এতটা সৌখিন হয় তা এদের না দেখলে ঐচ্ছি কখনো বুঝতোই না।
রাফসানের মা এগিয়ে এল ঐচ্ছির দিকে। তাকে নিয়ে সোফায় বসাল। রাফসানের বাবা তখন ঐচ্ছির পাশে বসলেন। লাল সুতি কাপড়ে মোড়ানো কিছু একটা ঐচ্ছির হাতে দিয়ে বললেন,
‘এটা সবসময় আপনার কাছে রাখবেন আম্মাজান। বিশেষ করে আপনি যখন এই বাড়ি থেকে বের হবেন, তখন অবশ্যই এটাকে আপনার সাথে রাখবেন, কেমন?’
ঐচ্ছি মাথা নাড়াল। তবে বুঝে উঠতে পারলো না এর মধ্যে কি আছে? আর কেনই বা তার শ্বশুরমশাই এটাকে তার সাথে রাখতে বলছে। ঐচ্ছির মনে অনেক প্রশ্ন আসলেও ভদ্রতার খাতিরে সে তার শ্বশুরকে কোন প্রশ্ন করতে পারছে না। হাতের জিনিসটা মুঠ করে গম্ভীর হয়ে বসে রইল সে।
.
রাতে খাবারের পাঠ চুকতেই হেমা ঐচ্ছিকে নিয়ে রাফসানের রুমে ঢুকল। রাফসানের রুম দেখে ঐচ্ছি স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। আজ না তাদের বাসর রাত অথচ এই রুমে একটা ফুল তো দূরে থাক ফুলের পাপড়িও নেই। ঐচ্ছির মন খারাপ হয়ে গেল। যেখানে বাসর ঘর ফুলে ফুলে সাজানো থাকে সেখানে তার বাসর ঘরে একটা ফুলও নেই। এটা কেমন কথা? তারা রুমটা একটু সাজাতে পারলো না। স্পেশাল কিছুই নেই রুমে। ঐচ্ছির তো মন খারাপের সাথে রাগও হচ্ছে। আসার সময় দেখে এসেছিল সাইভিদের রুমটা কি সুন্দর ফুল দিয়ে সাজানো হচ্ছে অথচ তার রুম একেবারে ফাঁকা?
হেমা ঐচ্ছিকে দাঁড় করিয়ে দিয়ে বললো,
‘ভাবি আমি যাচ্ছি। তুমি ফ্রেশ হয়ে নাও।’
ঐচ্ছি কিছু বললো না। হেমা চলে গেল। বিরক্ত হয়ে বিছানায় গিয়ে বসলো সে। বেশ কিছুক্ষণ ওভাবেই বসে রইল। কিছুক্ষণ বাদে রাফসান রুমে ঢুকল। পরনে তার সাদা পাঞ্জাবী। ঐচ্ছি এগিয়ে গিয়ে সালাম করলো তাকে। রাফসান মুচকি হেসে দোয়া করলো। তারপর সে ঐচ্ছিকে বললো ওযু করে আসতে, নফল নামাজ পড়বে।
ঐচ্ছি একেবারে ফ্রেশ হয়ে এসে রাফসানের পাশে নামাজে দাঁড়াল। নামাজ শেষ হলো, রাফসান হাত উঠিয়ে মোনাজাত ধরল। তার মোনাজাতের গভীরে ঐচ্ছির অস্তিত্বকে ছড়িয়ে দিল সে। তার ভালোবাসাকে ভালো রাখার দায়িত্ব সৃষ্টিকর্তার হাতে তুলে দিয়ে সে নিশ্চিন্ত মনে তার মোনাজাত শেষ করলো।
জায়নামাজ ভাজ করে ঐচ্ছি আবারও বিছানায় গিয়ে বসলো। রাফসান বড় বেলকনিটায় চলে গেল। ঐচ্ছি বেশ অবাক হলো তাতে তবে কিছু বললো না। সে চুপচাপ বসে সেদিকে চেয়ে রইল। কিছুক্ষণ পর রাফসান আবার রুমে এলো। ঐচ্ছি এবার আরো এক দফা অবাক হলো। শুধু অবাক না, স্তম্ভিত সে। হা করে তাকিয়ে রইল রাফসানের হাতের সেই কৃষ্ণগোলাপ গুলোর দিকে। ছুটে গেল রাফসানের কাছে। উজ্জ্বল কন্ঠে বললো,
‘কোথায় পেলেন এত কালো গোলাপ।’
রাফসান হেসে বললো,
‘পেয়েছি কোথাও।’
এই বলে রাফসান তার সামনে হাটু ভেঙে বসে পড়ে। দুহাতের মুঠে ফুলগুলো ঐচ্ছির দিকে এগিয়ে দিয়ে রাফসান মিহি কন্ঠে বলে উঠে,
‘আপনি কি আমার বাচ্চার মা হবেন, ঐচ্ছি?’
লজ্জায় রীতিমতো লাল হয়ে উঠে ঐচ্ছি। গালগুলো রক্তিম হয়ে উঠে তার। মাথা নিচু করে হাত কচলাতে থাকে সে। রাফসান হেসে ফেলে, বলে,
‘বউ যখন হয়েছেন ভবিষ্যতে তো আমার বাচ্চার মাও হতে হবে। এত লজ্জার পাওয়ার কি আছে?’
ঐচ্ছির লজ্জা আরো বেড়ে যায়। সাড়া শরীর যেন ক্রমশ অবশ হয়ে যাচ্ছে তার। কিছুটা পিছিয়ে দাঁড়িয়ে সে মৃদু সুরে রাফসানকে বলে,
‘ফুলগুলো দিন।’
‘উঁহু, আগে আমার প্রপোস একসেপ্ট করুন তারপর। আপনি নিজেই কিন্তু বলেছিলেন এই কৃষ্ণগোলাপ দিয়ে যেন আমি আপনাকে প্রপোস করি আর আপনিও তখন সাথে সাথে আমার প্রপোস একসেপ্ট করবেন। এখন তাহলে করছেন না কেন শুনি?’
ঐচ্ছি শুকনো ঢোক গিলে জড়সড় হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। রাফসান তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকে পরখ করছে। আজও কালো শাড়ি পরেছে ঐচ্ছি। রাফসান মারাত্মক দূর্বল ঐচ্ছির এই রূপে। কেমন যেন নেশা লেগে যাচ্ছে তার চোখে। ঐচ্ছির কালো শাড়ির আঁচল বেদ করে হালকা দৃশ্যমান হওয়া তার ফর্সা উদরটা তাকে বড্ড টানছে। না চাইতেও রাফসানের দৃষ্টি সেদিকেই যাচ্ছে। রাফসান এবার উঠে দাঁড়াল। ঐচ্ছির খুব কাছে এগিয়ে গিয়ে ফুলগুলো তার হাতে তুলে দিল। ফুল পেয়ে ঐচ্ছি ভীষণ খুশি। সে রাফসানের দিকে তাকিয়ে ফিসফিসিয়ে বলে উঠল,
‘আই লাভ ইউ।’
রাফসান হুট করেই ঐচ্ছির ঠোঁটে ঠোঁট বসিয়ে দিল। ঐচ্ছি শকড। যেন বিশাল কোন ঝটকা খেয়েছে সে। মানে এইভাবে হুট করেই যে রাফসান তার ঠোঁটের উপর আক্রমণ করবে সেটা সে কল্পানাও করেনি। ঐচ্ছি আষাঢ় হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। অন্যদিকে রাফসান পরম যত্নে ঐচ্ছির ঠোঁটে তার ভালোবাসা দিয়েই যাচ্ছে। ঐচ্ছির শরীরে তপ্ত শিহরণ বয়ে চলছে। প্রতিটি শিরা উপশিরার রক্ত যেন ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে রাফসানের সেই ছোঁয়ায়। রাফসান ঐচ্ছির ঠোঁট ছেড়ে এবার তার গলায় মুখ গুঁজলো। রাফসানের প্রতিটি ছোঁয়ায় যেন ঐচ্ছি আরো বেশি সিক্ত হয়ে উঠলো তার ভালোবাসায়।
.
রাত তিনটা। এলোমেলো হয়ে শুয়ে আছে ঐচ্ছি। রাফসান তার বুকের উপর। ঐচ্ছিকে ঝাপ্টে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছে। ঐচ্ছি এক পলক তাকাল রাফসানের ঘুমন্ত মুখটার দিকে। মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে ছোট্ট এক দীর্ঘশ্বাস ফেলে সেও জড়িয়ে ধরলো তাকে।
আজ তাদের ভালোবাসা পূর্ণতা পেল। তাদের এই পূর্ণতায় সাক্ষী রইল ঐ নিকষ কালো আকাশ আর সাক্ষী রইল অযত্নে পড়ে থাকা ঐ কৃষ্ণগোলাপ গুলোও।
‘সমাপ্ত’
(আসসালামু আলাইকুম। অবেশেষে কৃষ্ণগোলাপের সমাপ্তি ঘটল। হয়তো কিছুটা এলোমেলো ভাবেই শেষ হলো সবটা। আসলে সবসময়ই এমন হয়। আমার প্রতিটা গল্পের শেষেই কোন না কোন ঝামেলা লাগে আর যার ফলে আমাকে তাড়াহুড়ো করে গল্পটা শেষ করতে হয়। এবার হলো তাই। কাল বাড়িতে যাবো। ফিরবো বেশ কিছুদিন পর। আর তারপর শুরু ভার্সিটি। গল্প লেখার সময়ই হয়তো আর পাবো না। তাই গল্পটা নিয়ে বসে না থেকে শেষ করে দিলাম। জানি না আপনাদের কতটুকু ভালো লেগেছে? তবে একটা সত্যি কথা বলবো, আমি গল্পটা অনেক আগেই শেষ করে দিতে চেয়েছিলাম। যেহেতু রেসপন্স কম পাচ্ছি তাই। তবে দেখুন শেষ করবো শেষ করবো করেও চল্লিশ পর্ব লিখে ফেললাম। তাও এই প্রথম এত পর্ব লিখলাম। যদি বাড়িতে না যেতাম তাহলে আরো কয়েকটা পর্ব দিতাম। কিন্তু সেটা এখন আর পারছিনা তার জন্য আমি দুঃখিত। সবশেষে এইটুকুই বলবো, চল্লিশ পর্বই আমার মতো ছোট্ট লেখিকার জন্য বিশাল বড় ব্যাপার। আপনারা পাশে ছিলেন বলেই অনেকটা আগ্রহ নিয়ে লিখেছিলাম গল্পটা। তাই আপনাদের প্রতি ভালবাসা রইল। এইভাবেই পাশে থাকবেন, তাহলে আমিও আরো ভালো কিছু আপনাদের উপহার দিতে পারবো। আর ভালো থাকবেন সবাই। খুব তাড়াতাড়িই হয়তো নতুন গল্প নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হবো। আল্লাহ হাফেজ❤)