#গোধূলীর_রঙিন_ছোঁয়া
#লেখায়_ফারহানা_ছবি
#পর্ব_২৬
.
.
🦋
প্রাণো ফোনের উপর থেকে চোখ সরিয়ে তার মায়ের দিকে তাকিয়ে শাড়ির আচঁল টা ঠিক করে নিয়ে তার মায়ের সাথে যেতে লাগলো৷ প্রাণোকে নিয়ে নিশিতা বেগম নিচে নেমে এসে বলে,” এই যে ভাই সাহেব আপনাদের হবু বউমা ৷”
নিশিতা বেগম এর কথা শুনে প্রাণো সামনে তাকিয়ে শক্টড হয়ে যায় ৷ নিজের চোখে বিশ্বাস করতে পারছে না সামনে থাকা মানুষ গুলোকে দেখে , নিশিতা বেগম প্রাণোকে নিয়ে তাদের সামনে যেতে প্রাণো আগুন চোখে সামনে বসে থাকা মানুষটার দিকে তাকিয়ে আছে৷ প্রাণোর বাবা জুনাইদ কবির তখন বলে উঠলো , ” এই যে কমিশনার সাহেব এই হলো আমার বড় মেয়ে প্রাণো ৷ ”
” মাশাআল্লাহ মেয়ে কে আমাদের পছন্দ হয়েছে কি শান এর মা ঠিক বলছি তো?”(আব্বাস আলী)
” ঠিক বলেছো মেয়ে তো মাশাআল্লাহ পরীর মতো সুন্দর ৷ চোখ দুটো একদম ইউনিক নীল চোখ৷” (শিরিন বেগম)
প্রাণো ভিতরে ভিতরে প্রচন্ড রেগে যাচ্ছে৷ নীল চোখ জোড়া লাল বর্ণ ধারণ করছে৷ সাদমান প্রাণোর দিকে খেয়াল করতে চমকে ওঠে ৷ কারণ প্রাণোকে এতোটা রাগতে কখনো দেখেনি সাদমান৷ এই প্রথমবার প্রাণোকে এতোটা রাগতে দেখলো৷ প্রাণোর হঠাৎ সোফায় একটা ছেলে বসা ,ছেলেটা এক দৃষ্টিতে প্রাণোর দিকে তাকিয়ে আছে৷ ছেলেটির ঠোঁটের কোনে বাঁকা হাসি৷ এই হাসিটা প্রাণোর একদমি ভালো লাগলো না ৷ ছেলেটাকে অদ্ভুত লাগছে প্রাণোর কাছে, প্রাণোর ভাবনার মাঝে কমিশনার বলে উঠলো , ” প্রাণো মা এই হচ্ছে আমার একমাত্র ছেলে শান ৷ একজন সফল বিজনেসম্যান৷ ”
প্রাণো ছেলেটির দিক থেকে চোখ সরিয়ে কমিশনার এর দিকে তাকাতে কমিশনার চুপ হয়ে যায়৷ প্রাণোর এমন রাঙ্গানিত মুখটা দেখে কমিশনার আর কিছু বলার সাহস করলো না৷ তখনি শান বলে উঠলো ,” মম ড্যাড আমি প্রাণোর সাথে আলাদা করে কিছু কথা বলতে চাই৷”
” প্রাণো মামুনি শানকে নিয়ে ছাঁদ থেকে ঘুড়ে এসো৷” (জুনাইদ কবির)
প্রাণো চুপ চাপ সিঁড়ির দিকে যেতে লাগলো শান প্রাণোর পেছনে হাটছে৷ প্রাণো ছাঁদে এসে শাড়ির আচঁল টা ছেড়ে দিয়ে কানির্শে দাড়িয়ে থমথমে মুখ নিয়ে অন্য দিকে তাকিয়ে আছে৷ শান প্রাণোর পাশে দাড়িয়ে গলা খাকাড়ি দিয়ে বলে উঠলো ,” তোমাকে ভিষণ সুন্দর লাগছে প্রাণো৷”
প্রাণো শান এর কথায় কান না দিয়ে অন্য দিকে তাকিয়ে শান কে বলে উঠলো ,” আমি আপনাকে বিয়ে করতে পারবো না মিস্টার শান ৷ বিয়েটা আপনি ভাঙবেন নাহলে আমি ভাঙবো কোনটা?”
শান হতবম্ব কারণ প্রাণো তার করা প্রশংসার প্রত্যুত্তরে এমন কথা বলবে তার বিন্দু মাত্র ধারণা ছিলো না ৷ শান এর পুরো কথাটা বুঝতে একমিনিট লেগে গেল৷ কথাটা বুঝতেই রেগে বলে উঠলো ,” বিয়েটা হবে আর আমরা কেউ বিয়েটা ভাঙছি না ইজ দ্যাট ক্লিয়ার?”
” মিস্টার শান আমার বিয়ে অলরেডি হয়ে গেছে ৷ একজন বিবাহিত মেয়ে কি করে দ্বিতীয় বিয়ে করে বলতে পারেন?”
” লিসেন প্রাণো তুমি একটা কেন দশ টা বিয়ে করলেও আমি তোমাকে বিয়ে করবো ৷ এই শান কখনো হারতে শেখেনি আর না কখনো হারবে৷ তোমাকে যখন বিয়ে করবো বলেছি তারমানে আমি তোমাকে বিয়ে করবো এন্ড ইট’স ফাইনাল ৷ ” শান কথা গুলো বলে ছাঁদ থেকে নিচে যেতে যেতে পিছু ফিরে প্রাণোর উদ্দেশ্য বলে,” বিয়ে ভাঙা বা পালানোর চেষ্টা করেও কোন লাভ হবে না প্রাণো কারণ আজ থেকে এই বাড়ির চারিদিকে আমার লোক পাহাড়া দিবে ৷ সো বি কেয়ার ফুল আর বিয়ের জন্য নিজেকে তৈরি করো৷ ”
প্রাণ কিছু বললো না রাগ টা কন্ট্রোল করে নিচে এসে দেখে সবাই মিষ্টি মুখ করছে৷ তখনি নিশিতা বেগম প্রাণোর কাছে গিয়ে বলে, ” দু’দিন পর তোর বিয়ে ঠিক হয়েছে প্রাণো ৷ আর মাত্র দুদিন পর তোর বিয়ে শান এর সাথে…”
প্রাণো চোখ মেলে শান এর দিকে তাকাতে দেখে শান তার দিকে তাকিয়ে আছে ৷ আর ঠোঁটের কোনে বাঁকা হাসি৷ প্রাণো বুঝতে পারছে না শান কেন তাকে বিয়ে করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে৷ আর কিসের হার জিতের কথা বলছে শান? সবটা প্রাণোর কাছে অস্পষ্ট ৷ প্রাণো নিজের মাথা ঠান্ডা করে নিজের রুমে চলে গেল৷ নিশিতা বেগম প্রাণোকে এভাবে চলে যেতে দেখে সবাইকে বললো লজ্জা পেয়েছে৷
প্রাণো রুমে এসে বেডের উপর চুপচাপ বসে আছে৷ প্রচন্ড রাগ হচ্ছে প্রাণোর, কমিশনার তাকে না জানিয়ে এভাবে তার ছেলের জন্য বিয়ের প্রপোজাল পাঠালো আর তার পারমিশন না নিয়ে বিয়ে ঠিক করে ফেললো তার পরিবার! প্রাণোর ইচ্ছে করছে সব কিছু ধ্বংস করে দিতে৷
হঠাৎ কাধে কারো হাতের স্পর্শ পেয়ে প্রাণো ঘাড় ঘুড়িয়ে দেখে সাদমান দাড়িয়ে৷
” প্রাণো আমি জানি তোর মন মেজাজ প্রচন্ড খারাপ কিন্তু এখন রাগ বা মেজাজ খারাপ করে থাকার সময় না৷”
” দাভাই আমার মতামতের কি কোন দাম নেই তোমাদের কাছে? আর তুমি তো জানো আমি এখন স্মরণের স্ত্রী ৷”
” আমি সবটাই জানি কিন্তু এখন চুপ থেকে ঠান্ডা মাথায় ভাবতে হবে ৷”
প্রাণো একটু চুপ থেকে সাদমান কে শান এর বলা সব কথা গুলো জানায় ৷ সবটা শুনে সাদমান রেগে যায়৷
” হাউ ডেয়ার হি ৷ শান এর সাহস কি করে হয় তোর সাথে এভাবে কথা বলার? ওর বিয়ে করার শখ আমি মিটিয়ে দিবো প্রাণো৷”
” (তুমি কি করবে আমি জানি না দাভাই কিন্তু আমি শান কে ছাড়বো না ৷) যা খুশি করো দাভাই কিন্তু বিয়েটা যেন না হয় ৷ স্মরণ যদি জানতে পারে বিয়ের কথা তাহলে কি করবে এক মাত্র আল্লাহ জানে৷”
” ওই ভয়টা তো আমিও পাচ্ছিরে বোন ৷ স্মরণ রেগে গেলে যে কতোটা ভয়ংকর হতে পারে সেটা আমি খুব ভালো করেই জানি৷” মনে মনে কথা গুলো বললো সাদমান….
জুনাইদ কবির এর জুড়াজুড়িতে শান এর বাবা মা রাতে ডিনার করে ফিরে যায়৷ ডিনার টাইমে প্রাণো তার রুম থেকে এক পা বের হয় না৷ নিশিতা বেগম অনেক ডেকেছিলো প্রাণোকে কিন্তু প্রাণো বের হয়নি৷ প্রাণো পুরো টা সময় স্মরণ এর সাথে ফোনে কথা বলেছে৷
_______
” প্রিয়া আমার হলুদ টিশার্ট টা কোথাও পাচ্ছি না কোথায় রেখেছো?” (সাজিত)
” উপরের ডান রাখা আছে৷ আর এই যে শুনুন মাই ডেভিল হাসবেন্ট এখন থেকে নিজের জামা কাপড় নিজে গুছিয়ে রাখবেন৷”(প্রিয়া)
” কেন বউ থাকতে আমি কেন গুছাবো হুম?”
” আমি আপনার বউ বুঝি?”
” কেন কোন সন্ধেহ আছে?”
” একটু তো আছে? তো আপুকে এতো তাড়াতাড়ি ভুলে গেছেন যে আমাকে বউ মানতে কোন অসুবিধা হচ্ছে না? এই আপনার ভালোবাসা?”
প্রাণোর কথা তুলতে সাজিত এর মুখ কালো হয়ে যায়৷ সাজিত সত্যি সত্যি এবার প্রাণোকে ভুলতে চাইছে ৷ যেটা মোহ ভালোলাগা ছিলো সেটাকে ভালোবাসা ভেবে ভুল করেছে৷ শুধু মাত্র হিংসে বিদ্বেষ এর কারণে….
সাজিত আর কথা না বাড়িয়ে টিশার্ট টা নিয়ে ওয়াশরুমে গিয়ে চেন্জ করে এসে বিছানায় শুয়ে পড়তে প্রিয়া বালিশ নিয়ে বিছানা থেকে নামতে গেলে সাজিত প্রিয়ার হাত টেনে ধরে ..
” কি হলো আমার টেনে ধরলেন কেন?”
” বালিশ নিয়ে কোথায় যাচ্ছো?”
” ঘুমাতে যাচ্ছি শুনেছেন? এখন হাত ছাড়ুন”
সাজিত প্রিয়ার হাত থেকে বালিশটা নিয়ে প্রিয়ার হাত ধরে জোড়ে টান দিতে প্রিয়া সাজিতের বুকে হুমড়ে পড়ে ৷ সাথে সাথে সাজিত প্রিয়াকে জড়িয়ে ধরে বলে,” এখন থেকে এখানে ঘুমাবে অন্য কোথাও ঘুমানোর চিন্তা করলে হাত পা বেধে বিছানায় ফেলে রাখবো৷”
প্রিয়ার মুখ থেকে চ শব্দ বের হতেই সাজিত প্রিয়ার ঠোঁট জোড়া দখল করে ফেলে , প্রিয়া অবাকে কিংকর্তব্যবিমূঢ় ৷ সাজিত এমন কিছু করতে পারে সেটা কখনো ভাবতে পারেনি প্রিয়া৷ প্রিয়ার হাতের নখ গুলো সাজিতের পিঠে গেথে যাচ্ছে ৷ সেদিকে সাজিতের কোন খেয়াল নেই ৷ অনেকটা সময় পর সাজিত প্রিয়ার ঠোঁট জোড়া ছেড়ে দিয়ে প্রিয়ার কানের লতিতে চুমু দিয়ে ফিস ফিস করে বলে ওঠে ,” এটা দিয়েই শুরু করলাম৷ এবার যদি একচুল নরাচরার চেষ্টা করো তাহলে আমাদের যে ফুলসজ্জা বাকি ছিলো ওটাও সেরে ফেলবো৷ নাও চয়েজ ইট’স ইউরস…”
প্রিয়া যেন নিজের বাক শক্তি হাড়িয়ে ফেলেছে৷ এ যেন এক নতুন সাজিত কে দেখছে প্রিয়া ৷ যেমনটা তাদের সম্পর্ক থাকা কালিন ছিলো৷
প্রিয়া সাজিতের দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে থাকতে দেখে সাজিত বাঁকা হেসে প্রিয়ার নাকে নাক ঘষে বলল,” সুইটহার্ট প্রথমবার যে ভুল করেছি সে ভুল দ্বিতীয় বার করতে চাই না ৷ আমাদের ভাগ্যে ছিলো আমরা দুজন দুজনার জীবন সাথী হবো ৷ সেটাই হয়েছি ৷ আমি জানি আমি অনেক ভুল করেছি বাট ট্রাস্ট মি এই ভুল আর দ্বিতীয়বার রিপিট হবে না৷ আমি আমার দায়িত্ব কর্তব্য সবটাই পালন করবো৷ ”
প্রিয়া আনমনে বলে উঠলো , ” আর ভালোবাসা?”
” এতোটা ভালোবাসবো যে তুমি আর কোন দিন অভিযোগ করার কোন অপশন খুজে পাবে না প্রিয়ু৷”
সাজিতের মুখে প্রিয়ু নামটা শুনে প্রিয়ার বুক ধকধক করে উঠলো৷ কতো দিন কতো মাস কতো পর সাজিতের মুখে প্রিয়ু নাম টা শুনলো৷ প্রিয়ার চোখের কোনে পানি জমেছে হয়তো এখুনি টুপ করে গড়িয়ে পড়বে৷ সাজিত প্রিয়ার চোখের দিকে তাকিয়ে আছে৷ প্রিয়া আহামরি সুন্দরী না হলেও মুখটায় বেশ মায়া আছে ৷ যাকে বলে মায়াবতী ৷ সুন্দরী মেয়েদের যেমন রুপবতী বলা হয় ঠিক তেমনি যে মেয়েরা ধবধবে সুন্দর নয় কিন্তু তাদের মুখে মায়া থাকে যাকে বলে মায়াবতী ৷ প্রিয়া সে মায়াবতীদের একজন ৷ এই মায়াবতীর প্রেমে পরেছিলো সাজিত কিন্তু কিছু সময়ের জন্য সেটা বুঝতে পারেনি৷ কিন্তু আজ সেটা স্বীকার করতে সাজিতের বাধছে না৷ আজ যেন চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করছে সাজিতের যে হ্যাঁ সে এই মেয়েটাকে ভালোবাসে ৷ এই সেই মায়াবতী যাকে সে ভালোবাসে….
সাজিত প্রিয়ার কপালে ওষ্ঠধর ছুঁইয়ে বুকে জড়িয়ে ধরে চোখ বন্ধ করে ফেলে৷
________
খুব সকালে প্রাণো রেডি হয়ে বেড়িয়ে যায় নিশিতা বেগমে এর চোখে ফাঁকি দিয়ে৷ প্রাণো বাইরে বেড়িয়ে খেয়াল করে কয়েক জন অচেনা লোক বাড়ির বাইরে ঘুড়াঘুড়ি করছে৷ প্রাণোর বুঝতে বাকি নেই এরা কারা! প্রাণো না দেখার ভাণ করে রিকশা উঠে ৷ লোক গুলো ফলো করতে থাকে প্রাণোকে , প্রাণো বুঝতে পেরে রিকশা চালক কে বলে গলি দিয়ে যেতে৷ রিকশা একটা গলি থেকে অন্য গলি এভাবে তিন চারটে গলি পার হওয়ার পর হঠাৎ করে লোক গুলো এসে রিকশার সামনে এসে দাড়িয়ে হতবিহ্বল হয়ে যায় রিকশায় কাউকে না দেখতে পেয়ে৷
” এই বুড়ো তোর রিকশায় যে মেয়েটা উঠে ছিলো সে কোথায়?”
” তিনি তো অনেকক্ষণ আগে ভাড়া দিয়া নাইমা গেছে গা৷”
” শিট! বস কে এখন কি বলবো ? মেয়েটা তো আমাদের চোখে ফাঁকি দিয়ে পালিয়েছে৷”
“তবুও বস কে জানাতে হবে সবটা নাহলে আমাদের কেই মেরে ফেলবে৷”
” তাই করি চল তাহলে….”
লোক গুলো চলে যেতে প্রাণো আড়াল থেকে বেড়িয়ে এসে বলে ,” ধন্যবাদ চাচা আর এই নিন আপনার ভাড়া৷” প্রাণো একশ টাকার নোট রিকশা চালক কে ধরিয়ে দিয়ে দ্রুত মেইন রোডে উঠে দেখে RV গাড়ি নিয়ে দাড়িয়ে আছে৷ প্রাণো প্রথমেই রিকশায় উঠে RV কে কল করে সবটা জানায় আর কোথায় আসতে হবে সেটাও বলে দেয়৷ RV ঘুম থেকে উঠে কোন রকম শার্ট চেন্জ করে গাড়ি নিয়ে বের হয়৷
” থ্যান্কিউ RV ”
” হুস থ্যান্কিউ বলছো কেন ? আচ্ছা লোক গুলো কে আর তোমাকে কেন ফলো করছে?”
” অফিসে চলো তারপর সবটা বলছি৷”
__________
” ওয়াট! ইউজলেস পিপল ৷ একটা কাজ ও ঠিক মতো করতে পারিস না ইডিয়েট৷” (শান)
” স্যরি বস আসলে চিপা গলির ভেতরে গাড়ি নিয়ে তো ঢুকা যায় না তাই ….” বাকিটা বলতে না দিয়ে শান রেগে চিৎকার করে বলে উঠলো ,” যাস্ট স্যাটয়াপ ইডিয়েট ৷ আমার চোখের সামনে থেকে বেড়িয়ে যা নাহলে তোদের কে আমি নিজের হাতে শেষ করবো৷”
লোক গুলো ভয়ে দ্রুত বেড়িয়ে যায় নিজের জান নিয়ে৷ শান রাগে ফুসতে ফুসতে বলতে লাগলো ,” কাজ টা তুমি ঠিক করলে না প্রাণো বেবি ৷ তোমাকে তো খুজে বের করবোই আর বিয়েটা তো পরশু হবেই সেটা যে ভাবে হোক না কেন৷ আমি স্মরণের থেকে তোমাকে আলাদা করবোই৷ সেদিনে চ্যালেন্জ আমি ভুলেনি আর না ভুলবো৷ তোমাকে তো আমার হতেই হবে ৷ বাই হুক ওর বাই ক্রুক৷” কথাটা বলে হাসতে লাগলো শান……..
__________
সবটা শুনে RV কণা দুজনে প্রচন্ড রেগে যায় কমিশনার এর উপর, RV কমিশনার কে ফোন করে অফিসে আসতে বলে ৷ কমিশনার বিষয় টা আন্দাজ করতে পেরে কথা না বাড়িয়ে রেডি হয়ে বেড়িয়ে পড়ে৷
সিমির শরীর আগের থেকে বেশ সুস্থ থাকায় সিমি সকালে নিজের হাতে নাস্তা বানিয়ে রেখে লুকিয়ে বেড়িয়ে পড়ে ৷ কারণ তার ড্যাড যদি জানতে পারে সিমি রেস্ট না করে বাইরে বের হচ্ছে তাহলে কিছুতেই সিমিকে বাইরে বের হতে দিবে না৷ তাই না জানিয়ে বেড়িয়ে পড়ে বেড়িয়ে পরে সিমি৷
” আঙ্কেল আমি আপনাকে সরাসরি কথা টা জানিয়ে দিচ্ছি ৷ আমি আপনার ছেলেকে বিয়ে করতে পারবো না৷ বিয়েটা ভেঙে দিন৷”(প্রাণো)
” কিন্তু মামুনি বিয়েতে তোমার আপত্তি কোথায়? শান ওয়েল এডুকেডেট বিজনেসম্যান তাহলে সমস্যা কোথায়?”
” একজন বিবাহিত মেয়েকে আপনার ছেলের সাথে বিয়ে দিয়ে কিঞ্চিৎ বাধছে না আঙ্কেল?”
” বিবাহিত মানে?”
” জ্বি আঙ্কেল প্রাণো বিবাহিত ৷ ওর বিয়ের বিষয় টা আমরা কয়েকজন জানি এখনো প্রাণোর বাবা মা জানেন না৷”(কণা)
” কিন্তু প্রাণো মা শান যে আমার কোন কথাই শুনবে না ও যে তোমাকেই বিয়ে করবে৷ ”
” কিন্তু কেন আঙ্কেল?”
” তা জানি না কিন্তু আমাকে গতকাল স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে ৷ বলেছে বিয়ে করলে তোমাকেই করবে যদি তোমার দশটা বিয়ে থাকে তবুও তোমাকেই বিয়ে করবে৷”
প্রাণোর মাথায় কিছু ঢুকছে না ৷ কেন এই শান নামক বিরক্তিকর প্রানীটা ওর পেছনে লেগে আছে?
” শান কেন এমন করছে আঙ্কেল ওর সমস্যা টা কি ?” (প্রাণো)
প্রাণোর কথা শেষ হতেই কেভিনে ঢুকতে ঢুকতে কেউ একজন বলে উঠলো , ” আমি জানি শান কেন এমনটা করছে প্রাণো৷”
কণা, প্রাণো ,RV , কমিশনার অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে সামনে দাড়িয়ে থাকা মানুষটার কথা শুনে……
.
.
.
#চলবে…………
[বিঃদ্রঃ ভুল ট্রুটি গুলো সুন্দর ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন৷ আর স্টিকার কমেন্ট না করে লেখায় উৎসাহ বাড়ে তেমন কমেন্ট করুন৷ আপনাদের জন্য লিখি তাহলে গল্পের খারাপ ভালো দুটো দিকই আপনারা আমাকে জানাবেন৷ কিন্তু তা না করে নাইস নেক্সট স্টিকার কমেন্ট কেন করছেন? 😠দু’ঘন্টা সময় ব্যয় করে আপনাদের জন্য লিখি আর আপনারা দুমিনিট সময় ব্যয় করে কমেন্ট করতে পারেন না হুয়াই😤 এরকম চলতে থাকলে এটা শেষ করে নতুন গল্প আর লিখবো না৷ 😒😒]