#গোধূলীর_রঙিন_ছোঁয়া
#লেখায়_ফারহানা_ছবি
#পর্ব_৩১
.
.
🦋
স্মরণ ডোন্ট কেয়ার হয়ে প্রাণোকে কোলে নিয়েই বেড়িয়ে গেল বিয়ে বাড়ি থেকে সাথে পেছন পেছন প্রিয়া সাগর স্মিতা নিলয় সাফা আকাশ ঐশী চলে গেল৷
এদিকে প্রাণোর বাবার চোখে মুখে রাগ উপচে পড়ছে তো জীবন মাহমুদ এর চোখে মুখে চিন্তার ছাপ ……
____________
নানা রকমের ফুল দিয়ে সাজানো বিছানায় বসে আছে প্রাণো৷ পুরো রুমটায় প্রাণো চোখ বুলিয়ে নিলো৷ স্মরণের রুমটা বেশ বড় ৷ দেওয়ালের এক সাইডে স্মরণের হাস্যজ্জ্বল সুন্দর একটা ছবি৷ স্মরণের ডান গালের টোলটার জন্য স্মরণকে আরো আকর্ষণীয় লাগছে৷ প্রাণো চারিদিকে চোখ বুলিয়ে দেখছে৷ ছোট ছোট মরিচ বাতি সাথে রঙিন ফুল দিয়ে সাজানো৷ রুমে কোন লাইট জ্বলছে না চারিদিকের মোমবাতির আলোয় সব কিছু যেন আরো মহোনীয় লাগছে৷ হঠাৎ কারোর পায়ের আওয়াজ শুনতে প্রাণো চুপ হয়ে দরজার দিকে তাকিয়ে আছে স্মরণের অপেক্ষায়৷
স্মরণ তার রুমের দিকে যেতেই সাগর নিলয় আকাশ স্মিতা ঐশী সাফা সাথে প্রিয়া স্মরণের পথ আটকে দাড়িয়ে আছে৷ এভাবে ওদের দাড়িয়ে থাকতে দেখে স্মরণ ভ্রুযুগল কুচকে সবার দিকে তাকিয়ে বলে,” কি ব্যাপার তোরা এভাবে আমার পথ আটকে দাড়িয়ে আছিস কেন?”
” টাকা দে তাহলে তোর পথ ছেড়ে দাড়াবো আমরা কি গাইজ তাই তো?”(সাগর)
” একদম” সবাই একসাথে বলে উঠলো ..
” টাকা কিসের টাকা? কোন টাকা হবে না৷”
” উহু তা বললে তো হবে না চান্দু ৷ এতো কষ্ট করে তোর বাসর সাজিয়েছি তার দাম তো তোকে দিতেই হবে দোস্ত৷”
স্মরণ দাঁতে দাঁত চেপে বলে উঠলো ,” কতো টাকা চাই তোদের?”
” বেশি না মাত্র পঞ্চাশ হাজার “(নিলয়)
নিলয়ের কথা শুনে সবাই নিলয়ের দিকে তাকিয়ে ড্যাপ ড্যাপ করে তাকিয়ে রইল৷ নিলয় সবার মুখের রিয়েকশন দেখে বলতে লাগলো,” এভাবে তাকিয়ে আছিস কেন? টাকার এম্যাউন্ট কি কম বলে ফেলেছি নাকি?”
” না ভাইয়া আপনি কম বলেন নি বরং অনেক কম বলে ফেলেছেন ৷ আমি তো ভেবেছি এক লাখ টাকা চাইবো৷”(প্রিয়া)
প্রিয়ার কথা শুনে সাফা নিলয় আকাশ স্মিতা ঐশী সাগর সবাই প্রিয়ার দিকে ভয়ার্ত চোখে তাকিয়ে থেকে বলতে লাগলো,” বইন তুমি কি আমাদের খুন করতে চাও? “(আকাশ)
“তাই হবে আকাশ নাহলে এতো বড় এমাউন্টের কথা এভাবে অনায়াসে বলতে পারতো না প্রিয়া৷”(স্মিতা)
সবার ভাবনার মাঝে ভারি রাগি কন্ঠস্বরে বলে উঠলো ,” তোদের টাকা চাই না সাগর নিলয় আকাশ?”
স্মরণের গলা শুনে সবাই চুপ হয়ে স্মরণের দিকে তাকাতে প্রত্যেকে ভয় পেয়ে গেল৷ কারণ স্মরণ এর হাতে মোটা লাঠি আর সেটা ঘুড়াতে ঘুড়াতে ওদের দিকে এগিয়ে আসছে৷
” কি হলো তোদের মুখের কথা ফুস ৷ টাকা চাই না তোদের?”
স্মরণের কথা শুনে সবাই একসাথে বলে উঠলো , ” হি হি আরে দোস্ত আমরা তো মজা করছিলাম৷ আমাদের কোন টাকা লাগবে না ৷ তুই এখানে না দাড়িয়ে রুমে যা ভাবি তোর জন্য অপেক্ষা করছে৷” ভয়ে অনেক কষ্ট করে মুখে হাসি টেনে কথা গুলো বললো নিলয়…
” তা কি করে হয় দোস্ত? তোরা এতো কষ্ট করলি তার পারিশ্রমিক নিবি না তা কি করে হয়? না না এটা অন্যায় আমি কিছুতেই এই অন্যায় করতে পারবো না৷ চল তোদের টাকা দিয়ে দি৷ ”
স্মরণের কথা শুনে নিলয় আকাশ সাগর সাফা ঐশী স্মিতা প্রিয়া আর এক মুহূর্ত না দাড়িয়ে দৌড়ে পালিয়ে গেল৷ ওদের এভাবে পালিয়ে যেতে দেখে স্মরণ বাঁকা হেসে রুমে চলে গেল৷
দরজার খোলার আওয়াজ হতে প্রাণোর হার্টবিট যেন বেড়ে গেল৷ এর আগেও স্মরণের সাথে একি রুমে থেকেছে কিন্তু এমন টা লাগেনি কখনো, কিন্তু আজ যেন সব কিছু নতুন নতুন লাগছে প্রাণোর কাছে; স্মরণ রুমে ঢুকে চোখ পড়ে ফুলের বিছানায় বসে থাকা একটা ছোট্ট পরীর দিকে, মোমবাতির আলোয় প্রাণোর মুখটা আরো মোহনীয় লাগছে স্মরণের কাছে৷ স্মরণ শেরওয়ানী বোতাম খুলতে খুলতে প্রাণোর পাশে বসে প্রাণোর হাত জোড়া নিজের দু’হাতের মুঠোয় নিয়ে চুমু খেয়ে বলে,” প্রাণ আমার জীবনের সব থেকে প্রিয় এবং ভালোবাসার মানুষটা তুমি ৷ তোমাকে ঘিরে আমার সব অনুভূতি ৷ তোমার ভালোবাসায় আমি বিমোহিত সম্মোহিত ৷ আমি সারাটা জীবন এমন ভাবে তোমার ভালোবাসায় সম্মোহিত হয়ে থাকতে চাই প্রাণ৷ ভালোবাসায় জরিয়ে রাখতে চাই তোমায়, ”
প্রাণো চোখ মেলে স্মরণের দিকে তাকাতে স্মরণ প্রাণোর হাতে আরো দুটো চুমু দিয়ে বলে ,” প্রাণ ফ্রেস হয়ে নেও তারপর দুজনে নামাজ পড়বো৷ ”
প্রাণো মিষ্টি করে হেসে দিয়ে বিছানা থেকে নেমে আয়নার সামনে বসে একে একে গহনা খুলতে থাকে৷ স্মরণ মুচকি হেসে প্রাণোর কাছে গিয়ে গহনা খুলতে সাহায্য করতে লাগলো৷ প্রাণো মাথার টিকলি , কানের দুল, গলার হার, নথ, চুড়ি খুলে দিলো৷ প্রাণো চুল খুলতে নিলে স্মরণ বাধা দেয়৷
” প্রাণ তুমি চুল খুলতে যেও না তাহলে ব্যাথা পাবে৷”
” তাহলে কি করবো ? ”
” আমি আছি তো জান৷ যাস্ট ওয়েট৷” স্মরণ তৈলের শিশি নিয়ে প্রাণোর চুলে দিয়ে আস্তে আস্তে চুলের জট খুলে দিয়ে ব্রাস করে দিলো৷ প্রাণো শুধু অবাক হয়ে আয়নায় স্মরণকে দেখে যাচ্ছে কিন্তু হঠাৎ করে স্মরণ বলে উঠলো , ” সুইটহার্ট এভাবে হা করে তাকিয়ে না দেখে দ্রুত ফ্রেস হয়ে ওজু করে এসো৷ তারপর না দেখা যাবে কে কাকে চোখ দিয়ে ঠোঁট হাত দিয়ে গিলতে পারে৷” বলে চোখ মারলো স্মরণ…
প্রাণো লজ্জা পেয়ে উঠে ওয়াশরুমে যেতে গিয়েও থেমে যায়৷
” কি হলো প্রাণ কোন প্রব্লেম?”
” চেন্জ করে কি পড়বো? আমি তো সাথে করে কিছু নিয়ে আসি নি৷”
” সুইটহার্ট একবার কার্বাড টা খুলে দেখো ৷”
প্রাণো স্মরণের কথা মতো কাবার্ড খুলে দেখে অবাক৷ কারণ কাবার্ডের উপরের ভাগে পুরো জায়গাটায় শাড়ি সালোয়ার কামিজ চুড়িদার সাথে প্রয়োজনীয় জিনিস যা লাগে৷ প্রাণো মনে মনে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করে স্মরণের মতো এমন হাসবেন্ট পেয়ে যে কিনা পাগল প্রেমিক কেও হার মানাতে বাধ্য….
প্রাণো গাঢ় পোলাপি রঙের জরজেট শাড়ি নিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকে যায়৷ লম্বা শাওয়ার নিয়ে শাড়ি পরে ওজু করে বের হয়ে দেখে স্মরণ বিছানা থেকে ফুলের পাপড়ি গুলো ঝেরে ফেলে সেগুলো ফেলে দিয়ে ৷ নিচে জায়নামাজ বিছিয়ে রেখেছে৷
প্রাণো কে দেখে স্মরণ নামাজের জন্য তাড়া দিলো৷ প্রাণো তার শাড়ি মাথায় দিতে স্মরণ কাবার্ড থেকে একটা রেডিমেট হিজাব বের প্রাণোকে পড়িয়ে দিয়ে বলে, ” মাশাআল্লাহ খুব সুন্দর লাগছে হিজাবে৷ চলো নামাজ টা আদায় করে নি৷”
প্রাণো মিষ্টি করে হেসে দিয়ে বললো,” যথা আজ্ঞা জনাব…”
এদিকে সবাই দৌড়ে ড্রইংরুমে এসে হাজির হয়৷
” আল্লাহ মার খাওয়ার হাত থেকে আজ বেঁচে গেলাম৷”
” আকাশ তোমার বন্ধু এমন হিটলার কেন বলোতো?”
” ঐশী আস্তে বলো ৷ স্মরণ যদি জানতে পারে ওর পিছে তুমি ওকে হিটলার বলেছো তাহলে নির্ঘাত তোমাকে ছাঁদ থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিবে৷”
” এই এই আকাশ ভাইয়া খবরদার আমার ভাই+জিজুকে নিয়ে একদম উল্টা পাল্টা কোন কথা বলবে না৷ আমার জিজু মোটেও হিটলার নয়৷”
” ওরে জিজুর চামচি বিয়ে করে এবাড়ি আসতে না আসতে শশুড়বাড়ির চামচা গিরি শুরু করে দিছিস৷” (সাবা)
” আপুউউউ ভালো হবে না বলে দিচ্ছি৷ আমি কিন্তু আপুকে বলে দিবো তুমি তার বোন+জা কে চামচা বলছো হু৷”
” এই তোরা দেখেছিস প্রিয়ার বিয়ে হওয়ার পর থেকে কেমন শশুড় বাড়ির ঝোল টেনে কথা বলছে?”(স্মিতা)
” কেন বলবো না ? দুদিন পর তো তোমরাও এই ভাইয়াদের বাড়ি মানে তোমাদের শশুড় বাড়ির ঝোল টেনে কথা বলবে তো আমি বললে দোষ তাই না?”
“এই তোদের ঝগড়া বন্ধ করে চল রাত তো অনেক হলো বাড়ি ফিরি এবার?”
” না ভাইয়া এখন আপনারা কোথাও যাবেন না৷ গেস্ট রুম তৈরি আপনারা গেস্ট রুমে চলে যান ওখানে রেস্ট করুন৷ ”
” ঠিক আছে৷”
সবাই গেস্ট রুমে চলে যেতে কলিংবেল বেজে ওঠে ৷ প্রিয়া বুঝতে পারে তার শশুড় শাশুড়ি ননদ জামাই এসেছে৷ প্রিয়া গিয়ে দ্রুত দরজা খুলে দেয়৷ জীবন মাহমুদ কোন কথা না বলে গট গট করে নিজের রুমে চলে যায়৷ প্রিয়া সাজিতের মুখের দিকে তাকিয়ে দেখে সাজিত একদম নরমাল হয়ে আছে ৷ মুখে না আছে কোন রাগ আর না আছে কোন আনন্দ৷ সাজিত মিহুকে ধরে ওর রুমে নিয়ে চলে যায়৷ সাহারা বেগম প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে মিষ্টি করে হেসে বলে, ” সব ঠিক ঠাক হয়েছে তো?”
” হ্যা মামুনি সব ঠিকঠাক হয়েছে তুমি এখন রুমে গিয়ে রেস্ট করো আর আমি তোমার ছোট ছেলেকে দেখছি৷”
” ঠিক আছে ”
সাহারা বেগম নিজের রুমে চলে যায়৷ প্রিয়া দরজা আটকে নিজের রুমে এসে দেখে সাজিত ওয়াশরুম চেন্জ করে বেড়িয়ে আসতে৷ সাজিত প্রিয়াকে কিছু না বলে বিছানায় উল্টো মুখ করে শুয়ে পড়ে৷ তা দেখেই প্রিয়া মনে মনে বলে ওঠে ,” এমা এটা কি হলো? ছ্যাকা খেয়ে ব্যাকা হয়ে গেলো ব্যাটা তা রাগ করবে কান্না কাটি করবে তা না করে ঘুমিয়ে পড়লো? ধ্যাত কতো কি ভেবে ছিলাম ৷ কান্না কাটি করলে শান্তনা দিবো৷ তা আর হলো না ৷ ”
হঠাৎ প্রিয়ার ভাবনার ছেদ ঘটিয়ে সাজিত বলে উঠলো ,” এতো আকাশ কুসুম চিন্তা না করে ঘুমিয়ে পড়ো প্রিয়ু৷ গুড নাইট৷”
সাজিতের কথা শুনে প্রিয়া চোখ বড় বড় করে সাজিতের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে সাজিতের পাশে শুয়ে পড়লো৷
_______
স্মরণ প্রাণো দু’জনে নামাজ পড়া শেষ হওয়ার পর প্রাণো জায়নামাজ উঠাতে উঠাতে বলে, স্মরণ তুমি ব্যালকনিতে যাও আমি এখুনি আসছি৷”
” ওকে সুইটহার্ট ” স্মরণ ব্যালকনিতে যেতে প্রাণো ভিজে চুল মেলে দিয়ে শাড়ি ঠিক করে নিয়ে নিজের ফোনটা টেবিলের উপর থেকে নিয়ে কাউকে একটা মেসেজ করতে তার কয়েক সেকেন্ড পর ফিরতি মেসেজ আসতে প্রাণোর ঠোঁটের কোনে রহস্যময় হাসি ফুটে ওঠে৷ প্রাণো তার ফোনটা লক করে ব্যালকনিতে গিয়ে পেছন থেকে স্মরণকে জড়িয়ে ধরে বলে , ” আজ থেকে আর কোন বাধা রইল না জান আমাদের একসাথে থাকার৷ আই লাভ ইউ স্মরণ৷ ”
স্মরণ কিছু না বলে হুট করে পেছনে প্রানোর হাত ধরে ঘুড়িয়ে প্রাণোকে সামনে এনে স্মরণ তার হাত দুটো প্রাণোর পাতলা শাড়ি ভেদ করে কোমড় স্পর্শ করতে প্রাণো কেঁপে ওঠে৷ লজ্জায় স্মরণের বুকে মুখ গুজে ৷
” বাহ আমার বেগম তো দেখছি লজ্জায় লাল নীল হয়ে যাচ্ছে ৷ তো প্রাণ এটা তো আর আমাদের প্রথম বাসর নয় আমারা এতো এর আগেও বাসর ক…” বাকিটা বলার আগেই প্রাণো স্মরণের বুক থেকে মাথা তুলে স্মরণের মুখ চেপে ধরে বলে,” বিন্দুমাত্র লজ্জা সরম নেই তোমার তাই না?”
স্মরণ প্রাণোর হাতটা মুখ থেকে সরিয়ে বলল,” একদম বউয়ের কাছে নো লজ্জা নো সরম অনলি রোমান্স চলবে বুঝেছো প্রাণ৷”
” ধ্যাত! স্মরণ তুমি কিন্তু দিনকে দিন আরো অসভ্য নির্লজ্জ হয়ে যাচ্ছো৷”
” শোন বউয়ের কাছে সব স্বামীরাই অসভ্য নির্লজ্জ হতে চায় যেমন টা আমি … ”
” তাই নাকি?”
” হুম তাই”
আকাশে পূর্ন চাঁদ তার আলো প্রাণোর মুখে পড়তে প্রাণোর নাকের নাকফুলটা চাঁদের আলোয় চিকচিক করতে লাগলো৷ গোলাপি শাড়িতে প্রাণোকে আজ আরো বেশি এট্রাকটিভ লাগছে৷ বাইরের মৃদু বাতাসে প্রাণোর চুল গুলো বাতাসে উড়ে মুখে পড়ছে ৷ প্রাণো সেটা বিরক্ত হয়ে বার বার সরিয়ে দিচ্ছে৷ স্মরণের চোখ জোড়া আজ প্রাণোর উপর থেকে যেন সরছে না৷ প্রাণো ভেজা ঠোঁট জোড়া আজ ভিষণ রকমের টানছে স্মরণকে , হুট করে স্মরণ প্রাণোর ভেজা চুলের ভাজে হাত দিয়ে প্রাণোর ঠোঁট জোড়া ঠোঁটের ভাজে ডুবিয়ে দেয়৷
স্মরণে এমন কান্ডে প্রথমে প্রাণো চমকে গেলেও পরে নিজেকে সামলে নিয়ে স্মরণের তালে তাল মেলাতে লাগে ৷ দুটো হৃদয়ের স্পন্দন যেন দুটো মানুষ অনুভব করতে পারছে৷ একে অন্যের ভালোবাসার নেশায় একটু একটু করে ডুবে যেতে লাগলো দুটো মানুষ৷
স্মরণ হুট করে প্রাণো কে কোলে তুলে নিয়ে বিছানার দিকে এগিয়ে যেতে লাগলো৷
অর্ধেক শেষ হওয়া মোমের আলোয় নিজেদের পবিত্র ভালোবাসায় নিজেদের রাঙিয়ে নিতে ব্যস্ত দুটো হৃদয়৷
________
শান বাড়িতে ফিরতেই নিজের রুমে ঢুকে ভাঙচুর শুরু করে৷ জীবনের প্রথমবার চ্যালেন্জে হেরে গেছে শান৷ এই পরাজয় মেনে নিতে নারাজ শান৷ এদিকে ড্রইংরুমে কমিশনার আর সিমি বসে আছে ৷ আশিক খান মেয়ের সাথে এবাড়িতে আসতে চেয়েছিলো কিন্তু সিমি বারণ করে দেয়৷
কিছুক্ষণ পর ভাঙচুরের শব্দ বন্ধ হতেই কমিশনার আর সিমি দুজনে হাফ ছেড়ে বাঁচে৷ কিন্তু হঠাৎ করে শানকে সিঁড়ি দিয়ে নামতে দেখে সিমি ঘাবড়ে যায়৷
ছেড়া শেরওয়ানী এলোমেলো চুল ভয়ংকর দুটো লাল টকটকে চোখ নিয়ে সিমির সামনে দাড়িয়ে হুট করে সিমি ঘাড় ধরে উপরে নিয়ে যেতে নিলে কমিশনার কিছু বলতে যাবে তখনি শান বলে ওঠে,…..
.
.
.
#চলবে…………