#গোধূলীর_রঙিন_ছোঁয়া
#লেখায়_ফারহানা_ছবি
#পর্ব_৩৪
.
.
🦋
মেয়েলি কন্ঠ শুনে মৌ মাথা তুলে তাকিয়ে প্রাণোকে দেখে এক প্রকার শক্টড পেল৷ মৌ ভেবে ছিলো তাকে হয়তো তার কোন শত্রু কিডন্যাপ করেছে৷ কারণ জার্নালিস্টের তো শত্রুর অভাব হয়না কিন্তু প্রাণো যে তাকে কিডন্যাপ করতে পারে তার বিন্দুমাত্র ধারণা করতে পারেনি৷ প্রাণোর হাসি মাখা মুখ দেখে মৌয়ের চোয়াল শক্ত হয়ে এলো ৷ প্রাণোর দিকে আগুন দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলে উঠলো ……” তু,,তুমি?”
” ইয়েস ইট’স মি প্রাণো৷ ”
” তার মানে তুমি আমাকে কিডন্যাপ করিয়েছো? ও মাই গড এটা আগে কেন আমার মাথায় আসেনি?” মাথায় হাত দিয়ে চিৎকার করে বললো মৌ৷
মৌ’র ভাব ভঙ্গি দেখে প্রাণো বাঁকা হেসে বললো, ” তো মিস মৌ দাভাইকে তো আমার দ্বিতীয় রুপটার কথা জানা আপনার আর জানানো হলো না ৷ এখন কি হবে?” বিস্ময় হওয়ার ভাব করে মৌকে বললো প্রাণো৷
” আ,, আমি আমি সব টা বলবো সাদকে প্রাণো৷”
” কিন্তু কি করে মিস মৌ? যাহ! তোমার মাথায় হয়তো কোন বুদ্ধি আসছে না তাই না? নো টেনশন আমি ব্যবস্থা করছি যাতে তুমি দাভাই কে সবটা বলতে পারো৷”
প্রাণো RV দিকে তাকাতে RV পকেট থেকে একটা ইনজেকশন বের করে প্রাণোর হাতে দিয়ে বলে,” তোমার কথা মতো হাই ডোজের টা নিয়ে এসেছি৷ যাস্ট একবার ওর বডিতে ইনজেক্ট করে দেও তারপর…..”
” এভাবে ইনজেকশন দিতে দিবে না৷ তোমার হেল্প লাগবে৷”
” বুঝেছি চলো৷ ”
RV সেলের দরজা খুলে ভিতরে ঢুকতে মৌয়ের চোখে মুখে আতঙ্ক ভয়ের ছাপ স্পষ্ট ৷
” কি কি করবে তোমরা? তোমার হাতে এটা কিসের ইনজেকশন ? কি করবে এটা?” আতঙ্কিত হয়ে এক নাগাড়ে প্রশ্ন করে গেল মৌ৷
” কি করবো এটা দিয়ে তাই তো? যাস্ট সি , RV ” প্রাণো ইশারা করতে RV মৌয়ের দু’হাত চেপে ধরে৷ মৌ RV শক্তির সাথে পেরে ওঠে না৷ প্রাণো সে সুযোগে মৌয়ের কাধে ইনজেকশন টা ইনজেক্ট করে দেয়৷
” কাজ শেষ RV ৷ ”
” হুম , এবার কি করবো?”
” মৌকে তার বাড়িতে পৌছে দেও৷ আগামি তিনচার ঘন্টার আগে জ্ঞান ফিরবে না ৷ আর জ্ঞান ফিরলেও পেছনের কয়েক মাসের কথা স্মৃতি থেকে মুছে যাবে৷ আশা করি এর পর আর কোন সমস্যা হবে না৷ ”
” ঠিক আছে আমি এখুনি ব্যবস্থা করছি৷ ” RV নিজেই মৌ কে কোলে তুলে নিতে প্রাণো বলে ওঠে ,” RV আমাকে যেতে হবে ভার্সিটি কিছুক্ষণ পর বন্ধ হয়ে যাবে৷ ”
“তাহলে আমার সাথে চলো ৷”
” সেটাই করা উচিত ৷ তুমি গাড়ি স্টাট দেও আমি ফোন টা নিয়ে আসছি৷”
” ওকে”
প্রাণো তার কেভিনে গিয়ে ফোনটা হাতে নিতে দেখে স্মরণের দশটা মিসড কল ৷ প্রাণো দ্রুত স্মরণকে ফোন করে….
” হ্যালো প্রাণ কোথায় তুমি ? আমি ভার্সিটির গেটে ওয়েট করছি ৷”
” স্মরণ আমার যাস্ট পনেরো মিনিট লাগবে প্লিজ আর একটু ওয়েট করো৷”
” ওকে সুইটহার্ট৷ তোমার জন্য তো আজীবন অপেক্ষা করতে প্রস্তুত এই অধম৷”
” পাগল ,রাখছি”
কল ডিসকানেক্ট করে প্রাণো RV সাথে বেড়িয়ে পড়ে৷
” RV পনেরো মিনিটের মধ্যে ভার্সিটির গেটে পৌছাতে হবে৷”
” নো চিন্তা ডু ফুর্তি প্রাণো ৷ প্লেনের মতো উড়িয়ে নিয়ে যাবো পনেরো মিনিটের মধ্যে চিন্তা করো না৷”
” কথা না বাড়িয়ে দ্রুত চলো RV”
RV গাড়ি স্টাট দিয়ে ফুল স্পিডে চালাতে লাগলো ৷ যেন গাড়ি চলছে না উড়ছে এমন অবস্থা৷
__________
সাদমান আজ অফিস গিয়ে তার বাবা জুনাইদ কবির কে খুজে না পেয়ে ম্যানেজার এর কাছে জানতে চাইলে ম্যানেজার জানায় জুনাইদ কবির আজ অফিসে আসেনি৷ কথাটা শুনে সাদ এর কপালে চিন্তার ছাপ ফুটে ওঠে ৷ সকালে নিউজ দেখার পর পর জুনাইদ কবির অফিসে কাজ আছে বলে দ্রুত বেড়িয়ে পড়ে৷ কিন্তু তার বাবা অফিসে আসেনি৷ কথাটা জানার পর সাদ এর মনে অন্যকিছু চলছে৷ প্রাণোর কে সবটা বলবে কিন্তু প্রাণো যে তার শশুড় বাড়ি সেখানে হয়তো ব্যস্ত কল করা ঠিক হবে কি হবে না এটা ভেবেই আর কল করলো না প্রাণোকে সাদ৷
” কতো টাকার ক্ষতি হলো JM?”
” লাভের থেকে ক্ষতির পরিমানটা এতো বেশি যে তার হিসেব করতে হিমসিম খেতে হচ্ছে ৷”
” এখন কি করবো? মাল ডেলিভারি দেবো কি করে? ব্যায়াররা যখন জানতে পারবে সব মাল আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে তখন কি হবে এটা ভেবেই আমার কলিজা শুকিয়ে যাচ্ছে৷ এডভ্যান্স টাকা টাও খরচ হয়ে গেছে৷ টাকা ফেরত দেওয়ার তো কোন ওয়ে দেখছি না JM?”
” কিছু তো একটা করতেই হবে ৷ আমাকে ভাবতে দে কোন না কোন একটা পথ আমি বের করবোই৷”
__________
প্রাণো পেছনের গেট দিয়ে ঢুকে কমন রুমে ঢুকে সাফা ঐশী স্মিতা কে দেখতে পায় ৷ প্রাণোকে দেখে তিন বান্ধবী যেন ধরে প্রাণ ফিরে পেল৷
” দোস্ত তুই এতোক্ষণ কোথায় ছিলি? দুলাভাই গেটে তোর জন্য অপেক্ষা করছে৷ ভয়ে আমরা কেউ বের হতে পারছি না৷ ”
” চিন্তা করিস না ৷ আমি এসে পরেছি তো চল ও বাইরে গাড়ি নিয়ে অপেক্ষা করছে৷”
“চল দোস্ত”
প্রাণো সাফা ঐশী স্মিতা ভার্সিটি থেকে বেড়িয়ে স্মরণ কে দেখতে পেল৷ সকালে কফি কলার শার্ট আর জিন্স পড়ে এসে ছিল স্মরণ আর এখন ব্লাক কোট প্যান্ট ওয়াইট শার্ট চোখে সানগ্লাস ৷ একদম অন্যরকম লাগছে স্মরণকে, প্রাণোর চোখ আশে পাশে পড়তে খেয়াল করে অনেক গুলো মেয়ে চোখ দিয়ে স্মরণকে গিলছে ৷ আর কিছু মেয়ে তো দুরে দাড়িয়ে চুল ঠিক করছে ৷ লিপস্টিক দিচ্ছে৷ এই সব দেখে যেন প্রাণোর পুরো শরীর টা জ্বলে যাচ্ছে , রেগে বিড় বিড় করে বলতে লাগলো, ” এই মেয়ে গুলো না ননীর পুতুল, ন্যাকামির অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ান যদি কেউ হতে পারে তো এই মেয়ে গুলোই পারবে৷ অন্যের স্বামীর দিকে নজর দেওয়া এই শাকচুন্নিদের অভ্যাস ৷ সুন্দর ছেলে মনে হয় যেন এরা জীবনেও দেখেনি৷ অসহ্য আর লোকটার কেন এতো সেজে আসার দরকার ছিলো হাহ! দাড়াও দেখাচ্ছি মজা৷”
প্রাণো ঝড়ের গতিতে গিয়ে স্মরণের সামনে এসে দাড়ায় ৷ স্মরণ কিছু বলার পূর্বে প্রাণো স্মরণের চুল গুলো হাত দিয়ে এলোমেলো করে দিয়ে চোখ থেকে সানগ্লাস খুলে নেয়৷ হঠাৎ প্রাণোর চোখ স্মরণের ঠোঁটের উপর পড়তে হাত দিয়ে স্মরণের ঠোঁট ঘষতে লাগে, স্মরণ সহ সাফা ঐশী স্মিতা আহাম্মক হয়ে প্রাণোর কান্ড দেখছে৷ প্রাণোর হঠাৎ কি হলো? স্মরণ প্রাণোর হাত দুটো আটকে দিয়ে বলে,” প্রাণ কি করছো এই সব?” স্মরণ এই কথাটা যেন আগুনে ঘি ঢালার মতো কাজ করলো৷ প্রাণো আগুন চোখে স্মরণ এর দিকে তাকাতে স্মরণ চুপসে গেল৷ গলায় আগুন তেজ নিয়ে বলতে লাগলো প্রাণো,” আমি কি করছি তাই না? আমার ভার্সিটিতে আসবে ভালো কথা কিন্তু তো সেজে গুজে আসার কি আছে হু? ওহ নাকি মেয়েদের দেখাতে এসেছো কোনটা? ”
প্রাণোর কথা শুনে স্মরণের আর বুঝতে বাকি নেই আচমকা প্রাণোর এমন রাগার কারণ, স্মরণ ঠোঁট কামড়ে ধরে হাসি আটকিয়ে বলল,” আর ইউ জেলাস প্রাণ?”
” কিহ! জেলাস? জেলাস কেন হতে যাবো? কতো গুলো শাকচন্নির দল আমার বরের দিকে নজর দিবে আর আমি তা সহ্য করবো? এমন উদার মনের মেয়ে কিন্তু আমি নই মিস্টার ইফতেকার মাহমুদ স্মরণ ৷ ”
প্রাণোর কথা শেষ হতে পেছন থেকে স্মিতা ঐশী সাফা কিটকিটিয়ে হেসে বলতে লাগলো ,” আরে বুঝেন না দুলাভাই আপনার বউ ভেতরে ভেতরে জ্বলছে ৷ মেয়ে গুলো শুধু আপনাকে চোখ দিয়ে গিলেছে তাই আপনার এই হাল করলো প্রাণো যদি কোন মেয়ে ভুলেও আপনার কাছে আসার চেষ্টা করে তাহলে আপনার যে কি হবে একমাত্র আল্লাহ জানে…”
” স্যাটয়াপ ৷ ” (প্রাণো)
প্রাণো মুখ ভার করে গাড়ির দরজা খুলে ফ্রন্ট সিটে বসে পড়লো৷ পেছনের সিটে সাফা ঐশী স্মিতা বসলো৷ স্মরণ ড্রাইভিং সিটে৷ পুরো রাস্তায় প্রাণো কোন কথা বললো না৷ মুখ ভার করে রইল৷ আজ স্মরণের কেন যেন প্রাণোর এই রুপটা ভিষণ ভালো লেগেছে৷ প্রাণো যে তাকে নিয়ে পজেসিভ এটা স্মরণ খুব ভালো করে বুঝতে পারছে ৷ স্মরণ মিট মিট করে শুধু হেসে গেছে৷
_____________
দুপুরে ফ্রেস হয়ে প্রাণো তার শাশুড়ির দেওয়া লাল শাড়িটাই আবার পরে নেয়৷ সকালে মাত্র কিছুক্ষণের জন্য শাড়িটা পরেছিলো৷ স্মরণ রুমে আগেই চেন্জ নেয়৷ প্রিয়া প্রাণো কে নিয়ে নিচে গিয়ে দেখে সকালের মতো সবাই ডাইনিংয়ে তার জন্য অপেক্ষা করছে ৷ সাহারা বেগম প্রাণোর হাত ধর রান্না ঘরে নিয়ে গিয়ে বলে,” বড় বউমা নিয়ম অনুযায়ী তোমার আজ রান্না করার কথা ছিলো কিন্তু তোমার কলেজ থাকায় আমি সবটাই রান্না করেছি এখন তুমি শুধু পায়েশ টা রান্না করো আর কিছু করতে হবে না৷ ”
” মামুনি চিন্তা করবেন না আমি এখুনি পায়েশ টা রান্না করছি৷”
” বড় বউমা এটা যদি এবাড়ির নিয়ম না হতো তাহলে তোমাকে চুলার কাছে আসতে ও দিতাম না৷”
” মামুনি তুমি বেশি বেশি ভাবছো ৷ তুমি ওদের খেতে দিয়ে দেও আমি ঝটপট রান্না করে ফেলি৷”
” ঠিক আছে৷ তবে সাবধানে করবে৷”
” ঠিক আছে৷”
সাহারা বেগম সবাইকে খাবার সার্ব করে দেয় কিন্তু স্মরণ খেতে রাজি হয়না কারণ টা সবাই বুঝতে পেরে বেশ হাসি মজা করলো তবে মিহু আর সাজিত কোন টু-শব্দ করলো না৷ চুপ খেতে লাগলো৷
পায়েশ রান্না শেষ হলে প্রাণো বাটিতে সাজিয়ে সবাই কে সার্ব করে দেয়৷ প্রত্যেকে প্রাণোর হাতের রান্না করা পায়েশ খেয়ে প্রশংসা করলো৷ সবাই খেয়ে উঠে পড়তে জীবন মাহমুদ বাড়িতে ঢুকে ৷ কাউকে কিছু না বলে তিনি তার রুমে চলে যান৷ সাহারা বেগম জোর করে প্রিয়া প্রাণো আর স্মরণ কে জোর করে খেতে বসিয়ে রুমে চলে যায়৷
” তোমার আজ এতো দেরি হলো আসতে?”
” কাজ ছিলো সাহারা”
” ঠিক আছে তুমি জামা কাপড় ছেড়ে গোছল করে নেও৷ আমি আসছি৷”
সাহারা বেগম যেতে নিলে জীবন মাহমুদ বলে উঠলো ,” সাহারা কাল তো স্মরণ আর বড় বউমার রিসিপশন ৷ তো আমি ভাবছিলাম রিসিপশন যেহেতু হচ্ছে তখন দুই ছেলের এক সাথে হোক৷ সাজিত আর ছোট বউমার তো রিসিপশন হয়নি৷”
” আমার মনের কথাটাই বললে তুমি, আমার কোন আপত্তি নেই ৷ তুমি সেভাবে এরেন্জমেন্ট করো৷”
” বিকেল থেকে পুরো বাড়ি সাজানো শুরু হবে ৷ আর একটা কথা ইনভাইটেড লোক থাকবে তারা সবাই বড় বড় বিজনেসম্যান ৷ তাদের যেন কোন অসুবিধা না হয় তার ভার তোমার, ”
” চিন্তা করো না আমি আছি তো৷”
” আর একটা কথা বিকেলে একজন ডিজাইনার আসবে তার কাছ থেকে দুই বউমার জন্য পোষাক নিয়ে নিবে৷ ”
” তোমাকে আর এই নিয়ে ভাবতে হবে না ৷ আমি সবটা দেখে নিবো৷”
” ঠিক আছে৷”
সাহারা বেগম রুম থেকে বেড়িয়ে যাওয়ার পর পর জীবন মাহমুদ এর ফোনটা বেজে ওঠে৷ তিনি কল রিসিভ করতে ওপাশ থেকে কিছু শুনে তিনি বলে ওঠে , ” ভেরি গুড, খবর টা তাকে দ্রুত জানিয়ে দেও আসিস৷”
কথাটা বলে কল ডিসকানেক্ট করে ফুরফুরে মন নিয়ে তোয়ালে হাতে নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলেন জীবন মাহমুদ ৷
অন্যদিকে রিভলবারে গুলি লোড দিয়ে হাতের নিশানা ঠিক আছে কিনা তা দেখার জন্য সামনে একজন ব্যক্তিকে মাথায় আপেল রেখে দাড় করিয়ে রেখেছে JM ৷ JM এর হাতে রিভালবার দেখে লোকটা ভয়ে থর থর করে কাঁপছে, এই ভেবে হয়তো প্রথম গুলিটা তার কপালে গেঁথে যাবে৷ লোকটাকে ভয় পেতে দেখে JM এর ঠোঁটের কোনে মারাত্মক ভয়ংকর হাসি ফুটে উঠলো ৷ এমন জঘন্য হাসি যে কেউ দেখলে তার শরীর শিউরে উঠবে৷ JM হাতের আঙ্গুলের ফাঁকে রিভালবার ঘুড়াতে ঘুড়াতে সামনে দাড়িয়ে থাকা লোকটাকে প্রশ্ন করলো,” টিম টার এখন এক্সাক্টলি লোকেশন টা কোথায়?”
” আ,,, আমি জা,, জানি না বস?”
“জানি না” কথাটা শুনে JM লোকটার পায়ে শুট করে বলে,” বাহ! আমার হাতে নিশানা দেখছি এখনো বেশ ভালো ৷ এবার নাহয় তোর কপালে নিশানা করি ৷ কি বলিস?”
” ব,, বস ওই টিমের লোকেশন কোথায় জানি না৷ তবে ওই টিমের একটা মেয়েকে আমি দেখেছি ৷ দেখলে চিনতে পারবো৷”
” তার মুখের আদলের বিবরন দিতে পারবি?”
” পারবো স্যার”
” গুড, রানা ”
” ইয়েস বস”
” আর্টিস্ট ডেকে মেয়েটার ছবি বানিয়ে নে ৷ যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব ৷”
“ওকে বস ৷ আমি এখুনি আর্টিস্ট আনার ব্যবস্থা করছি৷”
একবার যাস্ট স্কেচটা হাতে পাই তারপর শুধু মেয়েটা কেন? পুরো টিমের অস্থিত্ব আমি মিটিয়ে দিবো ৷
.
.
.
#চলবে…………..