#ভালোবাসি_বলেই_তো ♥️
লেখিকা – #আদ্রিয়া_রাওনাফ
পর্ব – ১৩
কারাতি ক্লাস শেষ করে আবরন পূর্ণতা কে নিয়ে পূর্ণতাদের বাসায় ফিরছে । পূর্ণতা অনেক বেশি টায়ার্ড , কারন কারাতি বিগিনারদের জন্য এক্সারসাইজ গুলো কঠিন হয়ে থাকে । আর পূর্ণতার আজ প্রথমদিন ছিল । ওর হাত পা এখন প্রচুর ব্যথা করছে । এমনকি মাথাও ব্যথা করছে । পূর্ণতা গাড়ির সিটে হেলান দিয়ে চুপচাপ চোখ বন্ধ করে আছে । আবরন ওর দিকে এক বার আড়চোখে দেখে তারপর বলল ,
– খুব বেশি খারাপ লাগছে ??
পূর্ণতা মাথা নেড়ে হ্যা জানালো ।
আবরন বলল ,
– প্রথম দিন তো তাই একটু খারাপ লাগছে । রেগুলার প্র্যাকটিস করলে তখন আর খারাপ লাগবে না ।
পূর্ণতা চোখ বন্ধ রেখেই বলল ,
– আমাদের ক্লাস শুরু হয়ে গেলে কারাতিতে প্রতিদিন যাওয়া টা আমার জন্য কঠিন হয়ে যাবে মনে হচ্ছে !!
আবরন বলল ,
– তাহলে তুমি সেনসেই ( জাপানি ভাষায় শিক্ষক এর ফর্ম ) এর সাথে কথা বলে বিষয়টা ক্লিয়ার করে নিও ।
পূর্ণতা চোখ খুলে আবরনের দিকে তাকিয়ে বলল ,
– প্রথম গেলাম আর এখনই সমস্যার কথা জানাবো ? বিষয়টা খারাপ দেখাবে না ??
আবরন বলল ,
– ওকে , আমি বলে দিব সেনসেই কে । তুমি চিন্তা করো না , কারন ক্লাস শুরু হয়ে গেলে অনেক চাপ পড়বে । তবে বিকেলের দিকে ঝামেলা সেড়ে আমি তোমাকে প্র্যাকটিস এ হেল্প করতে পারবো ।
পূর্ণতা ভ্রু কুচকে বলল ,
– সেটা কিভাবে ?
– তুমি বোধয় জানো না আমিও কারাতি ডিফেন্স এ যতটুকু প্রয়োজন তা জানি !
পূর্ণতা কিছুটা ভাব নিয়ে বলল ,
– বাহ ! ভালো তো ! তবে আমার আপনার হেল্পের দরকার নেই ।
আবরন বলল ,
– যেমন তোমার ইচ্ছা !!
বাসার গেইটে পূর্ণতা কে নামিয়ে দিয়ে আবরন বলল ,
– বাসায় গিয়ে আন্টিকে বলো আমার জরুরি কাজ আছে , তাই উপরে যেতে পারি নি ।
পূর্ণতা বলল ,
– আচ্ছা ।
আবরন আর কিছু না বলে গাড়ি ঘুরিয়ে চলে গেল ।
পূর্ণতা আবরনের এমন রিয়েক্ট দেখে মনে মনে ভাবলো ,
– অন্যসময় তো গাড়ি থেকে নামিয়েও পেছন থেকে ১৪ টা ডাক দেয় । আজকে হঠাৎ কি হলো ??
এসব ভাবতে ভাবতেই উপরে গিয়ে কলিং বেল চাপতেই মিলি রহমান দরজা খুলল । পূর্ণতা ভিতরে গিয়ে নিজের রুমে গিয়ে ফ্রেশ হতে লাগল ।
………………………………………………
আবরন বাসায় পৌঁছে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে কলিং বেল বাজাতেই আধিরা আনজুম দরজা খুলে ছেলের দিকে অসহায় দৃষ্টিতে তাকালেন । আবরন জোড়পূর্বক হেসে মায়ের কাধে হাত রেখে বলল ,
– চিন্তা করো না ।
এরই মধ্য আধিরা আনজুমের পেছন থেকে জল এসে আবরনকে দেখেই এক্সাইটেড হয়ে বলল ,
– তুমি এসেছো ??
তারপর কাছে এগিয়ে আধিরা আনজুম কে ক্রস করে আবরনের কাছে এগিয়ে এসে বলল ,
– তুমি জানো আমি সেই কখন এসেছি , তোমার জন্য অপেক্ষা করতে করতে বোর হয়ে যাচ্ছিলাম !!
আধিরা আনজুম ছেলের দিকে তাকিয়ে চলে গেল ।
আবরন জলকে বলল ,
– জল আমি খুব টায়ার্ড । আমাকে ভেতরে যেতে দাও । পরে কথা বলছি ।
জল আবরনের গালে হাত রেখে বলল ,
– ওকে , যাও । তুমি গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নাও ।
আবরন জলদি জলদি করে ভেতরে ঢুকে নিজের রুমে চলে গেল ।
আবরন মুখে পানির ছিটা দিতে দিতে নিজেকে একবার আয়নায় দেখে নিয়ে মনে মনে বলল ,
– সরি , পূর্ণ ! আসলে তোমাকে কারাতি ক্লাসে ঢুকিয়ে দিয়ে আমি যখন গ্যালারিতে বসা ছিলাম তখন আম্মু কল দিয়ে বলেছিল বাসায় আমার ফুপি এসেছে , আর জলকেও হোস্টেলে গিয়ে নাকি সাথে করে বাসায় নিয়ে এসেছে । তুমি তো জানো না জল আমাদের বাসায় এলে কি কি করে !! তাই আমার মুড অফ থাকায় তোমার সাথে তখন ঐরকম বিহেইভ করেছি । জানি না যে তোমার এতে কিছু যায় আসে কিনা , কিন্তু আমার খুব গিল্টি ফিল হচ্ছে ।
এসব কথা নিজের মনে রেখেই আবরন ফ্রেশ হয়ে বাথরুম থেকে বের হতেই দেখল জল ওর খাটে বসে আছে ।
আবরন জলের দিকে তাকিয়ে দেখল
জল একটা রেড টি শার্ট আর ব্ল্যাক জিনস্ পড়ে পায়ের ওপর পা তুলে মোবাইলে স্ক্রলিং করছে ।
আবরন বরাবরের মতোই ওকে ইগনোর করে রুম থেকে বের হয়ে যাচ্ছিল তখনই জল ওর হাত ধরে ওকে আটকিয়ে বলল ,
– কোথায় যাচ্ছো ?
আবরন জলের থেকে নিজের হাত টা ছাড়িয়ে বলল ,
– ফুপির সাথে দেখা করতে !
জল আবরনের বাহু হাত ধরে পেচিয়ে ধরতে ধরতে বলল ,
– চলো , আমিও যাবো তোমার সাথে !
আবরন কিছু বলতে পারলো না । মনে মনে নিজের রাগকে কন্ট্রোল করে গেল গেষ্ট রুমের দিকে ।
– ফুপি , কেমন আছো ?
শাকিলা ইয়াসমিন নিজেদের কাপড় চোপড় ব্যাগ থেকে বের করছিলেন । আবরনের গলা শুনে ওর দিকে তাকিয়ে শাকিলা ইয়াসমিন কিছুটা ভাব নিয়ে কাপড় গুছিয়ে আলমারিতে রাখতে রাখতে বললেন ,
– তা জেনে আর কি করবি ?? জীবনে তো ফোন দিয়ে একটা খোঁজ নেস না ?
আবরন বলল ,
– তুমি তো জানো ই আমি কি পরিমাণে বিজি থাকি !! আমি তো কারো খোঁজ রাখারই সময় পাই না !!
– হ্যাঁ তা পারবি কেন ?? পরের মেয়েকে নিয়ে তো ভালোই হাত ধরে ঘুরতে পারিস !
আবরন ভ্রু কুচকে বলল ,
– কি বলছো এসব ফুপি ??
– হ্যা , এখন তো সত্যি কথা বললে গায়ে লাগবেই !!
আবরন জলের দিকে রাগি রাগি চোখে তাকাতেই জল শাকিলা ইয়াসমিনকে উদ্দেশ্য করে বলল ,
– আম্মুউউউ !! তুমি আবরনকে এভাবে কেন বলছো ?? ওর কি খারাপ লাগে না ??
শাকিলা ইয়াসমিন জলকে ধমক দিয়ে বলল ,
– তুই থাম !! তেলে মাথায় তেল দিস না !! ডাক্তারি পড়ে একদম উল্টিয়ে ফেলছে আর মেয়েদের হাত ধরে , তাকে গাড়িতে উঠিয়ে ঘুরে বেড়ানো !! এই উনার ব্যস্ততা , যত্তসব !
আবরন রেগে কিছু না বলে রুম থেকে বেরিয়ে গেল আধিরা আনজুমের রুমে । জলও ওর পেছন পেছন যাচ্ছিল , কিন্তু আবরন আধিরা আনজুমের রুমে ঢুকেই ভেতর থেকে দরজা লাগিয়ে দিল যার কারনে জল ভেতরে ঢুকতে পারলো না ।
আবরনের এমন আচরনে আধিরা আনজুম ভয় পেয়ে বিছানা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে বললেন ,
– কিরে ? কি হয়েছে ?
আবরন আধিরা আনজুমের দিকে এগিয়ে গিয়ে বললেন ,
– এসব কি হচ্ছে আম্মু ?
– কি হয়েছে বলবি তো !!
আবরন আধিরা আনজুমকে ওর সাথে ওর ফুপির হওয়া কথোপকথন সব খুলে বলল । আধিরা আনজুম সব শুনে বলল ,
– তোর বাবা আসলে ব্যাপার টা খোলাসা হবে !! এর আগ পর্যন্ত চুপ চাপ থাক ।।
– বাবা কখন আসবে ?
– রাতে ।
আবরন বলল ,
– কি যেন হতে যাচ্ছে !! আমার মাথা ব্যথা করছে । তুমি জানো , এই কারনে আজকে আমি পূর্ণর সাথেও ঠিক বিহেইভ করি নি , মাথার মধ্যে তুমি কল দেওয়ার পর থেকে শুধু একটা চিন্তাই ঘুর ঘুর করছে , কোন ঝড়ের পূর্বাভাস যেন আসতে চলেছে !!
আধিরা আনজুম ছেলের কাধে হাত রেখে বললেন ,
– তোর বাবা তোর পাশে না থাকলেও আমি আছি তোর পাশে । তুই চিন্তা করিস না ।
আবরন মাথা ঠান্ডা করে আধিরা আনজুমের হাত ধরে বলল ,
– আম্মু , সত্যি করে বলবে !! পূর্ণতা কে তোমার কেমন লেগেছে ??
– খুব ভদ্র । একদম সাদা মাটা । তোর জন্য পারফেক্ট । আমি সব সময় আল্লাহর কাছে তোর জন্য এমন একটা বউ ই চেয়েছি । দেখ , আল্লাহ আমার কথা ফিরিয়ে দেন নি । কারন , আমি তো মা , আমি তো মনে থেকে চেয়েছি । আমার দোয়া তাই কবুল হয়েছে ।
আবরন হেসে বলল ,
– এখনো বউ হয় নি আম্মু !!
আধিরা আনজুম হেসে বলল ,
– হতে কতক্ষন ??
মা – ছেলে একসাথে হাসতে লাগল ।
……………………………………………..
সন্ধ্যা ৭:৩০ টা ,
পূর্ণতা মিলি রহমানের রুমে গিয়ে মিলি রহমান কে জিজ্ঞেস করলো ,
– আম্মু , ভাইয়া কোথায় ?
– কোথায় যেন কাজে গিয়েছে !
– কখন আসবে জানো কিছু ??
– বলেছে তো সন্ধ্যায় চলে আসবে । কেন , কোনো দরকার ?
– না , এমনি । একা একা ভালো লাগছে না । ভাইয়া থাকলে অন্তত ঝগড়া করে সময় কাটাতে পারতাম !
মিলি রহমান হেসে বললেন ,
– যা , তেলের বোতল টা নিয়ে আয় , তোর চুলটা ম্যাসেজ করে দিই ।
পূর্ণতা বলল ,
– আসলেই , মাথাটা ব্যথা করছে । দাঁড়াও নিয়ে আসি ।
মিলি রহমান পূর্ণতার চুলের গোড়ায় গোড়ায় তেল ম্যাসেজ করে দিতে দিতে বলল ,
– এখন জিব্রান আছে বলে ওর সাথে ঝগড়া করিস । চলে গেলে কি করবি ?
পূর্ণতার এই কথা শুনে মন খারাপ হয়ে গেল । তারপর বলল ,
– বাবার সাথে কথা বলে দেখবো আমি !! ভাইয়া না গেলে কি এমন হবে ?
– লাভ নেই ।
এর মধ্যেই কলিং বেল বেজে উঠলো । পূর্ণতার বুঝতে বাকি রইল না জিব্রান এসেছে । দৌড়ে গিয়ে দরজা খুলতেই জিব্রান বলল ,
– কিরে , পুচকি ! কারাতি ক্লাসে গিয়েছিলি ?
– হা , আগে ভেতরে এসো । ফ্রেশ হয়ে নাও তারপর কথা বলছি ।
জিব্রান ভিতরে ঢুকে বলল ,
– আচ্ছা ।
রাতে ডিনারের পর জিব্রান পূর্ণতার রুমে গিয়ে বলল ,
– একটা খবর আছে !
পূর্ণতা বলল ,
-কি খবর ?
জিব্রান পূর্ণতার বিছানায় বসে বলল ,
– আমার জুলাই মাসে ফ্লাইট । ফ্রান্সের ভিসা হয়ে গিয়েছে । আর বাবা সব কাগজ রেডি করে ফেলেছে । আমার এদিকের কাগজও সব রেডি ।
পূর্ণতার আবারো মন খারাপ হয়ে গেল ।
জিব্রান বলল ,
– ভেবেছি কোথায় তুই খুশি হবি !! উল্টো মন খারাপ করছিস !!
– এমনিতেই সারাদিন একা থাকি , যখন তুমি থাকবে না তখন তো আমি আরো একা হয়ে যাবো !
– একা কেন হবি ! বিয়ে করবি , হাজবেন্ড ওয়াইফ একসাথে পড়াশোনা করবি !
– তারমানে কি তুমি এই ৫ মাসের মধ্যে যাওয়ার আগে আমাকে সত্যিই বিয়ে দিয়ে যাবে ??
– তা ই ভেবেছি । তবে একটা কথা বল !আমাকে তো বিশ্বাস করিস তাই না ?
পূর্ণতা বলল ,
– হুম ।
– তাহলে ভরসা রাখ , আমি যা করবো তোর ভালোর জন্যই ।
পূর্ণতার চোখ গড়িয়ে এক দুই ফোঁটা জল নিচে পড়ল ।
জিব্রান বলল ,
– কাদিস না ।
পূর্ণতা জিব্রানকে জড়িয়ে ধরে কান্নার বেগ বাড়িয়ে দিল ।
মিলি রহমানও দরজার বাহিরে দাঁড়িয়ে ভাই বোনের কথোপকথন শুনে চোখের জল আটকে রাখতে না পেরে নিজের রুমে ছুটে গেল একটু মন খুলে কাদবে বলে ।
………………………………………………
রাতে ডিনার শেষে শাদমান চৌধুরী বাসায় উপস্থিত সবাইকে ড্রয়িং রুমে ডাকলেন বিশেষ জরুরি কিছু কথা বলতে ।
শাকিলা ইয়াসমিন , জল সোফায় বসলেন শাদমান চৌধুরীর পাশে । আধিরা আনজুম আর আবরন বসল অপর পাশের সোফায় ।
শাদমান চৌধুরী বলতে শুরু করলেন ,
– আগামি কাল আমাদের উত্তরার বাংলোতে আমার জল মামনির জন্মদিন বড় করে উদযাপন করা হবে ।
জল খুশি হয়ে শাদমান চৌধুরী কে জড়িয়ে ধরে বলল ,
– থ্যাংকস মামা ।
– মাই প্লেজার মামনি । আর তোমার জন্য আমি অনেক বড় সারপ্রাইজ রেখেছি , কাল যথা সময়ে পেয়ে যাবে ।
আর সবাই ব্যাগ গুছিয়ে নাও । কাল সকালে নাস্তা খেয়ে আমরা রওনা হবো । অনেক অনেক কাজ বাকি । তবে সবাইকে ইনভাইটেশন এর কাজ আমি আরো আগেই সেড়ে ফেলেছি ।
আবরন বলল ,
– কিন্তু বাবা , আমার তো কাল কাজ আছে ।
শাদমান চৌধুরী বললেন ,
– যত কাজই থাকুক , কাল তুমি কোথ্থাও যাবে না । এটাই আমার লাষ্ট এন্ড ফাইনাল ডিসিশন । আমি আর কোনো মন্তব্য শুনতে আগ্ৰহী না । যার যার ব্যাগ গুছিয়ে ফেলো ।
এই বলে শাদমান চৌধুরী নিজের রুমে চলে গেলেন । আবরনও আধিরা আনজুমের দিকে এক পলক দেখে রেগে চলে গেল । আর এদিকে শাকিলা ইয়াসমিন আধিরা আনজুমকে বলল ,
– ভাবি , আমার মেয়ের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে কিন্তু কোনো কিছুর অভাব চাই না । তুমি একটু সব দিকটা সামাল দিও কেমন ?
আর তোমার ছেলেকে বলো যেন আমার মেয়ের সাথে কালকের দিনটা থাকে । আমি কালকের দিনটা অন্তত আমার মেয়েটার মুখে হাসি দেখতে চাই ।
জল ও আধিরা আনজুমের দিকে হেসে তাকালো ।
আধিরা আনজুম মুখে জোড়পূর্বক হাসির রেখা টেনে বলল,
– জলকে তো আজ পর্যন্ত কখনো কাদতে দেখলাম না শাকিলা !! তুমি যেভাবে বলছো , আমি তো মনে করেছি তোমার মেয়ে বুঝি প্রতিদিনই কাদে তাই কালকের দিনটা তুমি ওর মুখে হাসি দেখতে চাও ।
এই বলে আধিরা আনজুম নিজের ঘরের দিকে চলে গেলেন ।
শাকিলা ইয়াসমিন গাল ফুলিয়ে মেয়ের হাত ধরে টেনে নিয়ে নিজেদের রুমের দিকে গেলেন ।
……………………………………………..
রাতে শুয়ে শুয়ে পূর্ণতা নীরবে চোখের জল ফেলছে , ওর কষ্টে ঘুম আসছে না । জিব্রানের বলা কথা গুলো বার বার ওর মনে নাড়া দিচ্ছে ।
এদিকে আবরন শাদমান চৌধুরীর কথা কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারছে না । তার এত কঠোরতা আবরনকে বার বার দুশ্চিন্তায় ফেলে দিচ্ছে । ওর বার বার মনে হচ্ছে , কাল কোনো না কোনো অঘটন ঘটতে যাচ্ছে ।
#চলবে ♥️
বিঃদ্রঃ মনে হচ্ছে আর কিছুদিন পর গল্পটা প্রতিদিন continue করতে পারবো না । পড়াশোনার চাপ ধেয়ে আসছে আমার দিকে । তবে এক দিন পর পর কিছুটা বড় করে পর্ব দিয়ে যাবো । নিয়মিত আপডেট পেতে আমার পেইজে লাইক/ফলো দিয়ে সাথেই থাকুন । ধন্যবাদ ♥️
ভুল ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন ।
পেইজ লিংক – https://www.facebook.com/আদ্রিয়া-রাওনাফ-105596265191725/