ভালোবাসি_বলেই তো♥️ সারপ্রাইজ পর্ব ♥️

0
1529

#ভালোবাসি_বলেই_তো ♥️
লেখিকা – #আদ্রিয়া_রাওনাফ
♥️ সারপ্রাইজ পর্ব ♥️

বারবিকিউ পার্টির সাথে ট্রুথ আর গানের কলি ভালোই জমেছিল । পার্টি শেষ হতেই নীরা এবং রুহি যার যার বাসার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ল । রাত ১২:০০ টা বাজে বলে ফাহিম আর তাসিন ওদের বাসায় পৌঁছে দিতে গেল , তবে ওরা আবার ফিরে আসবে ।

পার্টি শেষে প্রেনা আর আয়মান ছাদের এক পাশে দাঁড়িয়ে জোৎস্না বিলাস করছে সাথে টুকটাক কথা বলছে ।

অপরদিকে ,

জিব্রান পার্টির পর ছাদের এক কিনারে দাঁড়িয়ে আবরন আর পূর্ণতা কে নাদিরার ছবি বের করে দেখিয়ে বলল ,

– এই দেখ , এটা নাদিরা ।

আবরন জিব্রানের হাতের থেকে ফোনটা নিয়ে ছবির দিকে তাকিয়ে বলল ,

– ভাবি তো মাশাআল্লাহ !! বিয়ে কবে করছো ??

পূর্ণতা ছোবল মেরে আবরনের হাত থেকে ফোনটা নিয়ে বলল ,

– বিয়ে পরে হবে , আগে আমাকে দেখতে দিন ।

তারপর ছবিটার দিকে তাকিয়ে ভালো করে খুটিয়ে খুটিয়ে দেখতে লাগল পূর্ণতা । মেয়েটা দেখতে খুব মিষ্টি , গায়ের রং শ্যামলার চেয়ে একটু পরিষ্কার । চোখ গুলো মায়াবী আর চুলগুলো একদম স্ট্রেইট আর সিল্কি দেখেই বোঝা যাচ্ছে ।

পূর্ণতা খুশি হয়ে বলল ,

– মাশাআল্লাহ, মাশাআল্লাহ । থু থু থু , নজর না লাগে আমার হবু ভাবীর ওপর !!

জিব্রান পূর্ণতার কান্ড দেখে ওর হাত থেকে ফোনটা নিয়ে বলল ,

– ইয়াক , ছি !! থু থু করে তো আমার ফোনের বারোটা বাজিয়ে দিলি !!

পূর্ণতা ভাব নিয়ে বলল ,

– আমার থু থু পবিত্র, তোমার মোবাইলে লেগে থাকা ভাইরাস ব্যাক্টেরিয়া মরে যাবে ।

আবরন আর জিব্রান হাসল । এর‌ই মধ্যে জিব্রানের ফোন বেজে উঠলো । জিব্রান ফোনের দিকে তাকিয়ে হেসে ফোনের স্ক্রিন টা আবরন আর পূর্ণতা কে দেখিয়ে বলল ,

– দেখ , কে কল করেছে !!

আবরন পূর্ণতা দেখলো স্ক্রিনে “নাদিরা” লেখা । আবরন বলল ,

– জলদি রিসিভ করো ভাইয়া !! নাহলে কেটে যাবে ।

পূর্ণতা মুচকি হেসে বলল ,

– হাউ রোম্যান্টিক !! দুইজন‌ই দুইজনের কথা ভাবছে ।

জিব্রান কলটা রিসিভ করে ফোন কানে দিয়ে আবরন পূর্ণতা কে ইশারা দিয়ে ছাদের আরেক পাশে চলে গেল ।

পূর্ণতা হেসে পেছনে ফিরে দেখল ছাদের পশ্চিম দিকটায় আয়মান আর প্রেনা একসাথে হাত ধরে দাঁড়িয়ে আছে ।

পূর্ণতা কে পেছনে ফিরে তাকাতে দেখে আবরন তাকিয়ে দেখল প্রেনা আর আয়মানকে দেখছে পূর্ণতা ।

আবরন পূর্ণতার দিকে তাকাতেই দেখল চাঁদের আলোয় পূর্ণতার ফর্সা ত্বক চিকচিক করছে ।

পূর্ণতা প্রেনা আর আয়মানের দিক থেকে চোখ সরিয়ে ওর পাশে থাকা ব্যক্তির দিকে তাকাতেই লক্ষ‍্য করল সেই ব্যক্তি তার চোখ দিয়ে ওর দিকেই তাকিয়ে আছে ।

পূর্ণতার কেমন যেন ফিল হচ্ছিল তাই হেঁটে চলেই যাচ্ছিল কিন্তু আবরন ওর হাতের কব্জি ধরে ওকে থামিয়ে দিতেই পূর্ণতার বুক ধরফর করতে শুরু করল । তাই ও চুপচাপ চোখ বন্ধ করে ফেলল , কারন ওর মন চাইছে এই রকম একটা মূহুর্তকে মিস না করতে । আবরন বলল ,

– ছাদের দুই দিক কাপলদের দখলে । আমরা যদিও কাপল না , কিন্তু চাঁদের দিকে তাকিয়ে তার সৌন্দর্য পর্যবেক্ষণ তো করতেই পারি তাই না ?? যদি তোমার কোনো আপত্তি না থাকে !!

পূর্ণতা চোখ বন্ধ করেই আবরনের কথা গুলো শুনছিল । আবরন পূর্ণতা কে চুপ করে থাকতে দেখে আবার প্রশ্ন করলো ,

– কি হলো ! চুপ করে আছো যে !! দেখতে চাও চাঁদের সৌন্দর্য ??

পূর্ণতা চোখ বন্ধ করেই হা সূচক মাথা নাড়ল । আবরন পূর্ণতার জবাব শুনে ওকে টেনে ওর দিকে আনতে লাগল আর পূর্ণতা এক পা দু পা করে পিছাতে লাগল । আবরন পূর্ণতা কে ওর একেবারে কাছাকাছি এনে ওর হাত ছেড়ে দিল ।
পূর্ণতা ফিল ক‍রতে পারছে আবরনের প্রতিটা নিঃশ্বাস ওর ঘাড়ে এসে বারি খাচ্ছে । পূর্ণতার মন চাইছে আবরনকে উল্টো ঘুরে জড়িয়ে ধরে ওর এই অনুভূতি গুলোকে শেষ করে দিতে , কারন ওর অনুভূতি তে ভয় মিশে আছে , এমন একটা রহস্যজনক ভয় যার শিকড় কোথা থেকে শুরু তা পূর্ণতা নিজেই জানে না । কিন্তু কেন মন হঠাৎ এসব কথা ওকে দিয়ে ভাবাচ্ছে এর উত্তর ওর কাছে নেই ।

আবরন পূর্ণতাকে চুপ চাপ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে দুষ্টুমি করে ওর খোপা করা চুল গুলো একটানে খুলে দিতেই লম্বা সিল্কি চুল গুলো ওর কোমড় ছাড়িয়ে নিচে পড়ল ।
পূর্ণতার চুলের ঘ্রাণে আবরন যদিও আকর্ষিত হচ্ছিল কিন্তু নিজেকে কন্ট্রোল করে দুষ্টুমি করেই পূর্ণতা কে বলল ,

– আচ্ছা কাউয়্যার ব‌উ তুমি চুলে কি শ্যাম্পু ইউজ করো বলোতো !! ছি এতো বাজে স্মেল !! ইয়াক !! আমার এত স্বাদের মজা করে খাওয়া বারবিকিউ পেট থেকে বেরিয়ে যাবে মনে হচ্ছে !! ইয়াক 🤢

পূর্ণতা আবরনের এমন কথা শুনে ওর মন থেকে সকল অনুভূতি ঝেড়ে ফেলে দিয়ে চোখ খুলে রেগে ওর দিকে ঘুরে তাকিয়ে বলল ,

– হুহ , কে বলেছে আপনাকে আমার চুল খুলতে ?? আপনি জানেন না রাতে খোলা চুলে মেয়েদের বাহিরে যেতে নেই !!

আবরন ভ্র কুচকে বলল ,

– কেন বলোতো ??

পূর্ণতা চুল গুলো আবার খোপা করতে করতে বলল ,

– ডাইনী ধরবে আমাকে !! হুহ !!

এই বলে পূর্ণতা আবার হেঁটে চলে যাচ্ছিল কিন্তু আবরন আবার ওর হাত ধরে হেচকা টান দিয়ে ওকে ওর দিকে ঘুরিয়ে কাছে এনে আবারো একটানে চুল গুলো খুলে দিয়ে বলল ,

– তাহলে আসতে দাও ডাইনী কে , আমি জীবনে ডাইনী দেখিনি আজ দেখা হয়ে যাক তাহলে !!

পূর্ণতা রাগে ফুসতে ফুসতে পা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আবরনের চুল গুলো এলোমেলো করে দিয়ে বলল ,

– নিজের চুলে ডাইনীকে জায়গা দেন !!

আবরন পূর্ণতার চুল গুলোও এলোমেলো করে দিয়ে ভয় পাওয়ার নাটক করে বলল ,

– আমি ডাইনী দেখতে পাচ্ছি !!

পূর্ণতা ভয়ে আবরনকে জড়িয়ে ধরে চোখ মুখ বন্ধ করে বলল ,

– নাআআআআ !! আমাকে বাঁচান , প্লিজ , ডাইনী আমার এত কষ্টে বড় করা চুলগুলো নিয়ে যাবে ।

আবরন পূর্ণতার রিয়েকশন দেখে ওকে
আরো ভয় দেখাতে ইচ্ছে করেই বলল ,

– ডায়নী আমাদের দিকেই তেড়ে আসছে ।

পূর্ণতা চিৎকার করতে করতে বলল ,

– আআআআআআ !! বাঁচান আমাকে !! ডায়নী আমাদের না শুধু আমাকে নিতে আসছে ।

আবরন ওর রিয়েকশন দেখে এবার ওকে জড়িয়ে ধরেই জোরে জোরে হুহা করে হাসতে লাগল ।

আর ওদিকে পূর্ণতার চিৎকার শুনে আয়মান , প্রেনা , জিব্রান সবাই ওদের দিকে এসে জড়ো হয়ে জিজ্ঞেস করল ,

– কি হয়েছে !! কি হয়েছে !!

আবরন সবাইকে দেখে পূর্ণতা কে ছেড়ে দিয়ে একটু দূরে দাঁড়িয়ে আবার হাসতে হাসতে বলল ,

– ডায়নী নাকি ওর চুল নিয়ে যাবে !! তাই মহারানী ভয়ে চিৎকার করছিল । হা হা হা ।

আবরনের কথা শুনে সবাই হাসতে লাগল । পূর্ণতা বুঝলো আবরন ইচ্ছা করেই ওকে নিয়ে মজা করেছে এতক্ষন । তাই ওর দিকে এগিয়ে গিয়ে ওকে কয়েকটা কিল ঘুষি মেরে বলল ,

– আমাকেই খুঁজে পায় সবাই ঠাট্টা করার জন্য তাই না !! ধুর , ধুর , ধুর । আমি গেলাম । আর থাকবোই না এখানে ।

আবরন বলল ,

– আরে বোকা মেয়ে কারাতি শিখে লাভ কি হলো ?? এমন ভাবে মারলে মনে হলো হাতিকে পিঁপড়া কামড় দিচ্ছে !!

আবারো সবাই মুখ চেপে হেসে উঠলো ।

পূর্ণতা গাল ফুলিয়ে ছাদের দরজা দিয়ে বের হতেই যাচ্ছিল ঠিক তখন ফাহিম আর তাসিন ছাদে হাজির হলো ।

পূর্ণতা ওদের দিকে তাকিয়ে ভেংচি কেটে নিচে চলে গেল ।

ফাহিম আর তাসিন ওর রিয়েকশন দেখে ছাদে থাকা বাকি সদস্যদের দিকে তাকিয়ে দেখল সবাই হাসছে । ওরা ঘটনা বুঝতে না পেরে ওদের দিকে এগিয়ে গিয়ে জানতে চাইলো ঘটনা কি ??

প্রেনা সব খুলে বলতেই ওরাও হাসলো ।
জিব্রান বলল ,

– পূর্ণতা এখন‌ও বাচ্চাই রয়ে গেল । আমি তো চলে যাবো । তোরা সবাই আমার বোনটাকে দেখে রাখিস , কষ্ট দিস না কেমন ?? আমার মনে হলো তোদের পেয়ে ও রাগ অভিমানের মধ্যেই নিজের হাসির সাথে শান্তি ও খুঁজে পেয়েছে । আর বিশেষ করে তুই আবরন !!

আবরন চোখ বড় করে বলল ,

– আমি কি করেছি ??

– কি করিস নি তা বল ?? তুই যা করছিস , পুরুষ জাতির মান সম্মান তো ডুবিয়ে ছাড়বি !!

আবরন ভ্রু কুচকে বলল ,

– কি করেছি তা বলবে তো ??

– দেখলাম ই তো নিজের চোখে সব , তুই আমার ছোট্ট মিষ্টি পুচকি বোনের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছিস !

সবাই এই কথা জিব্রানের মুখে শুনে খুশি হলেও আবরনের মাথায় যেন বাজ পড়ার মতো অবস্থা । আবরনের রিয়েকশন দেখে জিব্রান বলল ,

-হয়েছে , আর ঢং করিস না । আমি ক্লাস টু তে পড়ুয়া বাচ্চা ন‌ই যে কিছু বুঝবো না ।

ফাহিম দাঁত কেলিয়ে বলল ,

– ভাইয়া , ক্লাস টু তে পড়ুয়া বাচ্চারা‌ও আজকাল সব বোঝে !!

জিব্রান বলল ,

– হ্যা , তাই । আর আমি তো তোদের চেয়েও বড় । এখন মূল পয়েন্ট হচ্ছে তুই যদি আমার বোনকে ওর পার্মিশন ছাড়া জোর করে বিয়ে করিস তাহলে তোর খবর আছে । আর যদি ওকে রেখে অন্য কাউকে বিয়ে করিস তাহলেও তোর খবর আছে !!

আবরন বলল ,

– আমি আজ বাগদানের আসর ছেড়ে সবাইকে নিয়ে তোমাদের বাসায় এসে উঠেছি , তার কারনটা হচ্ছে আমার লাইফে তোমার ঐ ছোট্ট মিষ্টি পুচকি বোনটা আগের থেকেই জায়গা করে নিয়েছে । এখন শুধু ওর মনে আমার জায়গা করে নিতে হবে !!

সবাই একে একে বলল ,

– আজ যেভাবে আবরন সবার সামনে আমাদের নিয়ে চলে এলো , কি আর বলবো !! ( আয়মান )

– হ্যা ,ওর বিহেইভে আমরাই ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম । (তাসিন)

– আমাদের বলে নি পর্যন্ত যে আমাদের নিয়ে ও কোথায় আসবে !! ( ফাহিম )

– আমিও ভয় পাচ্ছিলাম কিন্তু সাথে আন্টি থাকায় একটু স্বস্তি পেয়েছি । ( প্রেনা )

জিব্রান আবরনকে জড়িয়ে ধরে বলল ,

– ভাই আমার , আমি চলে গেলে আমার বোনটাকে এক মূহুর্ত্তের জন্যেও দৃষ্টি ছাড়া করিস না , ওর কেয়ার নিস , কষ্ট দিস না । বড় ভাই হয়ে তোকে রিকোয়েস্ট করছি ।

আবরন জিব্রানকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলল ,

– এভাবে বলো না ভাইয়া । আমি প্রমিজ করছি আমি ওর সব বিষয়ে খেয়াল রাখবো । কখনো কষ্ট দেওয়া তো দূরের কথা অন্য কেউ কষ্ট দিলেও তাকে ছেড়ে দেব না । আমি ওয়াদা করলাম ।

– মনে থাকবে তো ?? পারবি তো সব দিক থেকে আমার বোনটাকে প্রোটেক্ট করতে ??

– পারবো । একশ বার পারবো , হাজার বার পারবো । তোমার ঐ সহজ সরল ছোট্ট মিষ্টি পুচকি বোন আমার ভালোবাসা হয়তো বুঝতে পারছে না , এই যে আজ বাবার পছন্দ করা মেয়ের সাথে আমি বাগদান না করে , বাবার সম্মান ধুলোয় মিশিয়ে দিয়ে এখানে চলে এসেছি শুধু তোমার ঐ পুচকি বোনটাকে #ভালোবাসি_বলেই_তো ♥️ । হ্যাঁ , আমি সত্যিই ওকে খুব ভালোবাসি ভাইয়া , খুব ভালোবাসি আর সবসময় ওকে এভাবেই ভালোবাসবো । এই তোমাকে জড়িয়ে ধরেই আজ সবার সামনে প্রতিজ্ঞা করলাম ।

জিব্রান আবরনের বলা কথা গুলো শুনে কেদেই দিল । এমনকি আয়মান , প্রেনা , ফাহিম , তাসিন সবাই চোখের কোনে জমানো পানি ছেড়েই দিল ।

জিব্রান বলল ,

– এই প্রথম আমার মনে হচ্ছে আমার আর মায়ের পরে আমার বোনের খেয়াল রাখার জন্য তু‌ই ই পারফেক্ট ।

আবরন বলল ,

– তুমি জানো যে তুমি আর আন্টি ছাড়া বাকি সবাই‌ই জানতো যে আমি পূর্ণতাকে কতটা কেয়ার করি !!

সবাই এক সঙ্গে হাত তালি দিয়ে বলল ,

– ইয়েএএএএএ , এখন জিব্রান ভাইয়াও সত্যিটা জেনে গিয়েছে । সব সমস্যা শেষ !! এখন মনে হচ্ছে সামনে অনেক গুলো বিয়ে লাগতে চলেছে !!

জিব্রান বলল ,

– ওকে , এখন সবাই নিচে চল । আমার প্রচন্ড ঘুম পাচ্ছে । ডিনার তো আমাদের ডান । এখন গিয়ে ঘুমানোর ব্যবস্থাটা করি ।

সবাই মাথা নেড়ে পিপিলিকার সাড়ির মতো নিচে যেতে লাগল । আর আবরন
নিচে যাওয়ার আগে একবার খোলা আকাশের পূর্ণিমার গোল থালার মতো চাঁদটার দিকে তাকিয়ে চোখ বন্ধ করে সস্তির নিঃশ্বাস ছেড়ে বলল ,

– চাঁদ মামা , তোমার সৌন্দর্য একসাথে দেখা তো বাকি রয়ে গেল , তুমি রাগ করো না !! তোমাকে আমরা বিয়ের পর একসাথে মিলে পর্যবেক্ষণ করবো ।

এই বলে মুচকি হেসে ছাদের দরজাটা লাগিয়ে আবরন নিচে চলে গেল ।

#চলবে ♥️

বিঃদ্রঃ কিইইইই !! কেমন লাগলো সারপ্রাইজ ?? 🤗

আমি তো সারপ্রাইজ দিলাম , তাই আপনারাও দেড়ি না করে বলে ফেলুন কেমন এগোচ্ছে আবরন – পূর্ণতার গল্প ??
সবাই মন্তব্যে জানান , তাহলে আমি খুশি হয়ে সামনে এরকম আরো সারপ্রাইজ নিয়ে আসবো । 😎

আর ভুল ত্রুটি অবশ্য‌ই ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন । ধন্যবাদ । ♥️

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here