বোকা ছেলে পর্ব ১৮&১৯

0
1137

# বোকা ছেলে
# পাঠ ১৯
❤️❤️❤️❤️❤️❤️

অভি বাসরঘর এ প্রবেশ করলো, নিয়ম অনুযায়ী নিলা অভিকে ছালাম করলো, অভি কিছু বলছেনা, নিশ্চুপ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে, আর চোখ থেকে পানি টপটপ করে পরছে,,

নিলা=তুমি কান্না করছো কেনো 😱
অভি=আমার ভালো লাগছে না,, আমি এখন ঘুমাবো
নিলা=ঘুমাবে মানে কি বলতে চাইছো
অভি=ঘুমাবো মানে ঘুমাবো,
নিলা=তোমার কি হইছে এরকম করছো কেন
অভি=বললাম ত আমার ভালো লাগছেনা, কেনো এতো বিরক্ত করছো,অভি বিছানায় গিয়ে শুয়ে পরে, পিছে পিছে নিলাও যায়

নিলা=মাথা ব্যাথা করছে, আমি কি তোমাকে সাহায্য করবো
অভি=চুপ চাপ শুয়ে থাকো তোমাকে কিছু করতে হবেনা
নিলা=তোমার সমস্যা কি বলবে ত নাকি, প্রতি মেয়েটার সপ্ন আছে এই রাত নিয়ে আর আমার তেমনি একটা সপ্ন আছে এই রাত নিয়ে, আর তুমি তা থেকে আমাকে বঞ্চিত করতে পারোনা, এটা আমার অধিকার,
অভি=থাকো তোমার অধিকার নিয়ে আমি গেলাম,
নিলা=কই যাচ্ছো

অভি চুপ চাপ করে চলে যায় বাহিরে ছাদে, আজ অভি জিম কে খুব মিস করছে, কেনো জানি শুধু জিমের কথাই মনে পড়ে
রাত টা অভি ছাদেই কাটিয়ে দিলো

সকালে জিমের বোন ফন দেয় অভিদের বাসায়

মিলা=হ্যালো
ওই পাশ থেকে এক ছেলে ধরেছে,
ছেলে=হ্যালো,
মিলা=অভি কথায়
ছেলে=ও তো এখন বাসরঘর এ রয়েছে
মিলা=বাসরঘর মানে কি যাতা বলছেন
ছেলে=কেনো আপনি জানেননা আগামীকাল অভি আর নিলার বিয়ে হয়েছে
মিলা=আপনি যা বলছেন ভেবে চিনতে বলছেন ত
ছেলে=কি আজব আমি কি আপনাকে মিথ্যা বলছি আপনার কি মনে হয়, আর আমি মিথ্যা বললে আমার কি লাভ,কিছুটা রাগী গলায়

তারপর ফোন কেটে দেয়
মিলা তারমানে আপু কাল এর জন্যে কেঁদেছে, এতো কিছু হয়ে গেলো আর আমরা কিছুই জানতে পারলাম না 😰

মিলা রুমে গিয়ে

মিলা=আপু এতো কিছু হয়ে গেলো আর আমাদের জানানো প্রোয়জন মনে হলো না
জিম=নিশ্চুপ ভাবে বসে আছে কিছু বলতে পারছেনা, শুধু চোখ দিয়ে পানি টপটপ করে পরছে,

জিম মনে মনে সিদ্ধান্ত নেয় আজ থেকে তার জীবন নতুন করে গুছিয়ে নেবো ভুলে যাবে কোন দূর সপ্ন ভেবে অতিকাল, কিন্তু ভুলতে কি পারবে কি জানি দেখা যাক

অভি খুব সকালে রুমে চলে যায়, সোফায় ঘুমিয়ে পরে

কিছুক্ষন পরে নিলা ঘুম থেকে উঠে, দেখে অভি ছোফায় ঘুমিয়ে আছে
নিলা আর কিছু না বলে ফ্রেস হতে যায়

সকালে একসাথে সবাই খেতে বসে, অভি কিছু খাচ্ছেনা, কেমন জেনো নিশ্চুপ হয়ে বসে আছে,

নিলা=কি ব্যাপার খাচ্ছো না কেনো
অভি=কিছু বলছেনা নিশ্চুপ হয়ে বসে আছে
বাবা=যা হবার তা তো হয়েছে এখন খেয়ে নাও

এভাবে কিছুদিন চলে যায় , এ কয়েদিনের মাঝে অভি নিলা কে টাস পর্যন্ত করেনি, সারা ক্ষন চুপ চাপ বসে থাকে,

নিলা=বাবা আমি আর আপনার ছেলের সাথে সংসার করতে পারবোনা
বাবা=কেনো কি হয়েছে,
নিলা=কি হয়নি বলেন, এ পর্যন্ত আপনার ছেলে আমাকে টাস পর্যন্ত করলোনা আমার তো একটা সপ্ন আছে, আমারো ত আমার স্বামীর ভালোবাস প্রয়জন, আমি আর পারছিনা, আমার তো আপনার ছেলেকে পুরুষত্ব নিয়ে চিন্তা হচ্ছে,
বাবা=কি বলছো মাথা ঠিক আছে তোমার,, কি আজে বাজে বোকছ
নিলা=যা সত্যি তাই বললাম, আমি বাবার বাড়ি চলে যাচ্ছি ভুল করেও আনতে জাবেন না বলে দিলাম, আমি ডিভোর্স পেপার পাঠিয়ে দেবো, এই বলে নিলা চলে জায়

১ বছর পরে

এই পাগল কে ধর ধর, পাগল টা জিমের সাথে ধাক্কা খায়
জিম মাটিতে পরে যায়
জিম যেই কিছু বলতে যাবে তার আগেই ছেলেটা কে দেখে জিম থমকে যায়, নিজের ভাষা হারিয়ে ফেলে, এ আমি কি দেখছি না এটা হতে পারেনা, ও তো নিলাকে বিয়ে করে সুখেই আছে, তাহলে আজ ওকে এমন দেখা যাচ্ছে কেনো,
হুম এটা অভিই
অভি এক ভাবে জিমের দিকে তাকিয়ে আছে মনে হচ্ছে খুব পরিচিত, খুব কাছের কেউ একজন, নিজের অজান্তেই দুজনের চোখ দিয়ে পানি নিছে টপটপ করে পরলো
কারো মুখে কোনো কথা বের হচ্ছেনা, নিশ্চুপ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে

কেই কিছু বলছেনা এমন সময় কয়েকজন লোক এসে অভিকে ধরে নিয়ে যেতে নিলো, জিমের জেনো কোনো খিয়ালি নাই, এক ভাবে অভির দিকে তাকিয়ে আছে,
এমন সময় অভি চিৎকার দিয়ে উঠে, জিমেত ধ্যান ফেরে, জিম দৌরে গিয়ে লোকদের সামনে যায়

জিম=আপ্নারা ওকে কথায় নিয়ে যাচ্ছেন
লোক=কেনো আপনি জানেননা, ওকে ওর বাসায় দিয়ে আসলেই পাবো ৫০ লাখ টাকা,
জিম=অহ!

অভি অদের কাছ থেকে ছুটে জিমের পিছনে লুকায়
আর পিছন থেকে বলে আমি অদের সাথে যাবোনা ওরা শুধু আমায় মার দেয়

তারমানে এর আগেও এমন হয়েছিলো

তারপর লোক গুলা জর করে অভিকে নিয়ে যায়, জিম অখানে কিছু ক্ষন ধারিয়ে থেকে চলে আসে বাসায়

বাসায়

মা=কেমন আছিসস মা,
জিম=হুম ভালো
মিলা=কিরে আপু তকে মনে হয় খুব চিন্তিত দেখা যাচ্ছে, কিছু হয়েছে কি
জিম=তার আগে বল আমার শশুর আব্বা কি ফোন দিয়েছিল, আমাকে কি চেয়েছিল, বা আমার কোনো খোজ করেছে, আমি কথায় থাকি তার কোনো ঠিকানা চেয়েছে

এক সাথে সবাই নিশ্চুপ হয়ে গেলো কারও মুখে কোনো কথা নেই,

জিম=কি হলো আমি একটা প্রশ্ন করেছি
মিলা=সেটা তোর না জানলেও চলবে
জিম=জানতে ত আমাকে হবেই
মা=হুম অনেক বার ফোন করেছিলো, আর আমরাই তোর পরিচয় গোপন করে রেখেছিলাম,
জিম=কেনো আমাকে জানালেনা
মা=আমরা তার কোনো প্রয়জন মনে করি নাই, আর আমার মেয়েকে ওই বাড়িতে যেতে দেবোনা, আমার মেয়ে ওর জন্য অনেক করেছে, বিনিয় ময়ে কি পেয়েছে, আবার ওর সেবা করবে তখন আবার সুস্থ হলে ঘার ধ্বাক্কা দিয়ে বের করে দেবে, আম একবার ভুল করতে পারি কিন্তু বার বার না
জিম=তোমরা ত জানো এখানে অভির কোনো দোষ নেই, তাউ কেনো এমন করছো
মা=আমি কিছু জানিনা আর এ বিষয়ে জেনো এই বাড়িতে কোনো কথা না উঠে
বলেই চলে যায়, তারপর যে যার রুমে চলে যায়

জিম বিদেশ গিয়েছিলো তখন অনেক মন ভেঙে পরেছিল তাই তার বাবা মা তাকে বিদেশ ফুফুর কাছে পাঠিয়ে দেয়, অখানেই থেকে যায় এক বছর, আর যেদিন আসে সেইদিন অবির সাথে দেখা হয়, আর ত দেখলেনি অভির কি অবস্থা,অভি আস্তে আস্তে নেশা জাতিয়ে সব কিছু খেতে শুরু করে, তার মানশিক অবস্থা আস্তে আস্তে হারিয়ে ফেলছে , তারপর প্রায় ঘরে থেকে বের হয়ে যেতো, আর তার বাবা পত্রিকায় টেলিভিশন এ ছেড়ে দিতো যে অভিকে এনে দিতে পাতবে তাকে অনেক মোটা অংকের টাকা দেওয়া হবে, পায়ে শিকল দেয় না একটাই কারন তার একটি মাত্র ছেলে,সে যেভাবে থাকিতে চায় সেইভাবে থাকতে দেয়

কিছু ক্ষন পরে অভিকে নিয়ে বাসায় আসে

লোক=এই নিন আপনার ছেলে, আর আমাদের টাকা দিয়ে দেন
বাবা=হুম একটু অপেক্ষা করেন
লোক=হুম একটু তাড়াতাড়ি করবেন

কিছু ক্ষন পরে বাবা টাকা এনে দেয়

লোক=আচ্ছা আপনার ছেলে কি কাউকে ভালোবাসতো
বাবা=হঠাত এমন কথা বলছেন কেনো

লোক গুলো তারপর আজকের সব ঘটনা খুলে বলে

হঠাত নিজের অজান্তেই বাবার মুখে বের হয় তাহলে কি জিম ফিরে এসেছে, না আমি আজিই ওর বাসায় জাবো ওকে যে এখন অভির পাশে থেকে ওকে ভালো করে ওর ভালোবাসা আদায় করে নিতে হবে,, ওর জন্যই তো আজ অবির এই অবস্থা

অভি=বাবা একটা বোতল দিবা অনেক দিন হলো খাইনা, কেউ আমাকে দেয়না সবাই মেড়ে তাড়িয়ে দেয়, মাথাটা হালকা তুলে
বাবা=অভিকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দেয় চিৎকার করে, আমি জানি তোর খুব কষ্ট হচ্ছে, কিন্তু আমার কোনো কথাই ত শুনিস না, তোর যা লাগে আমাকে বলবি আমি ঘরে এনে দেবো, কেনো বাড়ি ছেরে চলে জাস,
অভি=বাবা জিম কে এনেদিবা, আমি না ওকে অনেক খুঁজেছি কিন্তু কথাও খুঁজে পাচ্ছিনা, রাতে সপ্নে দেখি ও আমাকে ডাকছে আর আমি ওর পিছু পিছু যায়, ওকে অনেক ডাকি কিন্তু ও আমার কোনো কথাই শোনেনা, জানো বাবা ও একবারো পিছনে তাকায় না, আচ্ছা ও কি আমার অপর খুব রেগেছে, আচ্ছা বাবা জিম কি আমাকে আর ভালোবাসেনা, আমি যে ওকে কতো ভালোবাসি ও কেনো বোঝেনা, এই বলে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কান্না করতে থাকে, আর জিম জিম বলে ডাকতে থাকে, একসময় অখানেই ঘুমিয়ে যায় ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়য়ে কান্না করতে করতে
,তারপর অভি র বাবা বাড়ির কাজের লোক জনের সাহায্যে নিয়ে যায় রুমে, আর পাশে এক বতল রেখে যায়, ঘুম থেকে উঠে যে এটা অভির লাগবেই লাগবে

অভির বাবা আজি যাবে জিম দের বাসায়

তারপর অভির বাবা জিমদের বাসায় আসে, কলিং ভেল বাজায়,
কিছু ক্ষন পরে জিমের মা দরজা খুলে দেয়,

মা=আপনি আবারো আসছেন। যান এখান থেকে বের হয়ে আমি ত বলেছি আমার মেয়ে আর কোনোদিন ওই বাসায় যাবে যাবেনা,
বাবা=আমার কথাটা একবার শুনেন প্লিজ একবার জিম মার সাথে কথা বলতে দেন
মা=না হবেনা মানে হবেনা, আপনি আসতে পারেন এখন
বাবা=আসতে ত হবেই আমাকে😰

এমন সময় জিম আসে,

জিম=মা কার সাথে এমন করে কথা বলছো,
অভির বাবা=মা তুমি বাসায় এসেছো আমি জানতাম তুমি একদিন ফিরে আসবেই
জিম=পায়ে সালাম করে কেমন আছেন বাবা
অভির বাবা=ভালো আর কি করে থাকি, বাড়ির যা অবস্থা বলেই কেঁদে দেয়
জিমের মা=দেখেন এখানে কান্না করার যায়গা না, আপনি আসতে পারেন
জিম=চুপ করবে মা, এমন বিহিব করছো কেনো ,, বাবা আপনি ঘরে আসেন

কিছু ক্ষন নিরবতা
তারপর জিম বলতে থাকে

জিম=বাবা আপনি যদি মনে করেন যে আমি আবার আপনার ওই বাসায় যাবো আপনার ছেলের দেখভাল করতে তাহলে আপনি ভুল করতে এসে ছেন, কারন আমি আর ওই বাড়িতে জাবোনা এটাই আমার শেষ কথা

আবারো কিছু ক্ষন নিরবতা

নিরবতা বেঙে গেলে বাকিটা লিকবো

next

sorry.. ……
নেক্সট পরবেই শেষ করব ইনশাল্লাহ……..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here