বোকা ছেলে শেষ পর্ব

0
1576

# বোকা ছেলে
# পাঠ :20

শেষ পর্ব……..❤❤❤️

( আগের পর্ব গুলো আমার প্রোফাইলে আছে যারা আগের পর্ব গুলো পরেন নাই তারা আমার প্রোফাইল থেকে পরে নিন)

জিম=আমি আর ওই বাসায় যাবোনা এটা আমার ফাইনাল কথা
বাবা=আমি জানি তোমার অপর কি চলেছে, তুমি কেনো কোনো মেয়েই যাবেনা তোমার জায়গায় থাকলে,
কিন্তু আমার একটা কথা শুনো তারপর তুমিই ডিসিশন নিয়ো
জিম=হুম বলেন,
বাবা=আজ অভি এরকম হওয়ার কারন শুধু তুমি
জিম=ঠিক বুঝলাম না বাবা,এখানে আমি কি করেছি যা করার তা তো অভিই করেছে
বাবা=তোমার কি মনে হচ্ছেনা একবারও যে তুমি থাকা পর্যন্ত সবিই ঠিক ছিলো, আর তুমি আসার পরে আবার এই অবস্থা,
জিম=হুম এই ব্যাপার ত ভেবে দেখিনি, আচ্ছা নিলা ত ছিলো ও কি ওর কোনো সেবা করেনি

কিছু ক্ষন নিরবতা থেকে

বাবা=নিলা ডিভোর্স দিয়ে চলে গেছে
জিম=চলে গেছে মানে 😱
বাবা=বিয়ে থেকে সব খুলে বলতে শুরু করলো, আজকের ঘটনাও
তাহলে বলো মা এসব তো তোমার জন্যই হয়েছে, বললে ভুল হবে কিনা জানিনা, তবুও বলছি, অভি নিলা কে না তোমাকে ভালোবাসে

সবার চোখ থেকে দু ফোটা পানি টপ টপ করে নিছে পরলো,

সবাই নিশ্চুপ কারো মুখে কোনো কথা বের হচ্ছেনা,
নিরবতা বেঙে জিম বলতে শুরু করলো,

জিম=এই কথা আমাকে আগে কেনো বলেননি
বাবা=এসেছিলাম অনেক বার কিন্তু জিম=হুম বুঝেছি, আপনি একটু দেড়ি করেন আমি আসছি

একটু পর জিম কাপড়ের ব্যাগ নিয়ে আসে,,

জিম=চলেন বাবা
বাবা=হুম চলো

কেউ আর বাধা দিলোনা, দিয়েও যে আর লাভ নেই, তাইতো কেউ কিছু বল্লোনা

কিছুক্ষন পরে বাসায় আসে

অভির বাবা জিম কে নিয়ে অভির রুমে যায়

গিয়ে দেখে অভি সব কিছু ভেঙে ফেলছে, চিৎকার করে কাঁদতেছে
অবস্থা খুব খারাপের দিকে যাচ্ছে
অভির বাবা গিয়ে নেশা টা নিয়ে এসে অভির সামনে ধরে, অভি নিয়েই নেশা করতে থাকে
আশেপাশে কেউ আছে বা কে দিছে সেদিকে তার কোনো খিয়াল নেই,

জিম গিয়ে অভির হাত থেকে নেশা টা কেরে নিলো,

অভি=একবার তাকালো অসহায় দৃষ্টি তে, তারপর বলতে শুরু করলো

ওটা নিয়োনা আজ অনেকদিন পরে পেয়েছি এখনো ভালো করে খাইনি, আমি কথা দিচ্ছি আমি আরেকটু খেয়ে তোমাকে দিয়ে দেবো, আমাকে আরেকটু খেতে দাও প্লিজ আমি না খেলে মরেই যাবো দাওনা, এক প্রকার কেঁদে কেঁদে

জিম=না আজকের পর আর খাওয়া যাবেনা

অভি=বাবা ওকে বুঝাওনা প্লিজ, আমি কিন্তু নিজেকে আর কন্ট্রাল করতে পারছিনা

কিছু না বলে চলে যায়

অভি জিমের দিকে তাকায় অগ্নি দৃষ্টিতে জিম একপ্রকার ভয় পেয়ে যায়,

অভি=ওটা আমাকে দিয়ে দাও, বলছিত আমি আরেকটু খেয়ে বাকিটা তোমাকে দিয়ে দেবো সেখান থেকে খেয়ে নিও কেমন
জিম=ভয়ে ভয়ে না আমি এখান থেকে আর একটু খেতে দেবোনা
অভি=চিৎকার করে বলে,,, তোমাদের সমস্যা কি হুম রাস্তায় ও খেতে নিলে সেখান থেকে কেড়ে নাও আবার বাসায় ও, আমি কি সাধিন ভাবে কিছুই করতে পারবোনা
জিম=ভয়ে পা কাঁপছে কারন অভি যে পজিশন এ আছে কখন যেন এটার্ক করে বসে,

অভি আস্তে আস্তে জিমের দিকে আগাতে থাকে, জিম ভয়ে ভয়ে পিছনের দিকে যাচ্ছে,

অভিকে এখন পুরুই হিংস্র পশুর মতো দেখা যাচ্ছে

একসময় জিম দেওয়ালের সাথে আটকে যায়
অভি কাছে যেয়ে জিমের হাত ধরে

নোক বড় থাকার কারনে জিমের হাতে ডুকে যায়, আর রক্ত বের হতে থাকে অভি জিম কে ফ্লোরে ফেলে দিয়ে ওর থেকে নেশা কেড়ে নিয়ে আবার খেতে শুরু করে,
একসময় খেতে খেতে বিছানায় বেহুশ হয়ে শুয়ে পরে,

জিম শুধু দেখছে কিন্তু কিছু বলছেনা,

তারপর জিম অন্য রুমে চলে যায়,
বাবার সাথে কথা বলতে,

জিম=বাবা ওতো অনেক নিছে নেমে গেছে ওকে কি অখান থেকে আনা সম্ভব
বাবা=হুম সেটা আমিও জানি অনেক ডাক্তারও দেখিয়েছি, তারা তাদের নিয়ম অনুযায়ী ওষুধ দেয়, কিন্তু অভিত খাবারি খায়না আর ওষুধ ত অনেক দূরের কথা 😰
জিম=আচ্ছা আমি দেখছি কি করা যায়

রাতে

জিম রুমে খাবার নিয়ে প্রবেশ করে

জিম অভি অভি বলে ডাকতে থাকে এক সময় অভি জেগে যায়, জেগেই বলতে থাকে আমার বোতল এনেছ দাও দাও তাড়াতাড়ি দাও
জিম=বোতল কিসের বোতল, আর এখন কোনো বোতল টতল হবেনা, তোমার পছন্দের খাবার নিয়ে এসেছি খেয়ে নাওতো দেখি লক্ষি ছেলের মতো
অভি=তোমাকে বলেছি খাবার আনতে, আমি বোতল চাই বোতল, তাড়াতাড়ি নিয়ে আসো, যাও
জিম=সব হবে আগে খেয়ে নাও তারপর
অভি=না আমি এখনি চাই মানে এখনি
জিম=আচ্ছা অভি তোমার সব চেয়ে প্রিয় জিনিষ কি, আমি সেটা এনে দেবো তুমি যদি এই খাবার খেয়ে নাও,
অভি=তাই সত্যি বলছো ত, না কি সবার মতো মিথ্যা বলছো
জিম=না সত্যি ই বলছি তুমি চেয়েই দেখো

অভি=জিম কে এনে দাও, ও না আমার অপর খুব রাগ করে আছে, আমি ডাকদিলে আমার ডাক আর শোনেনা, আচ্ছা তুমি কি জিম কে চেনো, ওকে আমার চাই চাই, তুমি যদি ওকে আমার কাছে এনেদিতে পারো তাহলে আমি তোমার সব কথা শুনবো, আচ্ছা ওকে কি তুমি চেনো, ও না অনেক সুন্দর, কিন্তু কেনো যে আমাকে ছেরে চলে গেলো সেটাই ত মনে পড়ছে না, মাথা চুলকাতে চুলকাতে,, আচ্ছা তুমি কি জানো ও কেনো আমাকে ছেড়ে চলে গেছে,

জিম কথা গুলো মনযোগ দিয়ে শুনছিলো আর নিজের অজান্তেই চোখ দিয়ে পানি ফেলছে

অভি=কি হলো, আমি জানি তুমিও মিথ্যা বলছো তুমিও আমার জিম কে এনে দেবেনা, আমিই খুঁজে নেবো আমার জিম কে, তোমাদের কাউকে খুঁজে এনেদিতে হবেনা, আমিই যাচ্ছি, এই বলে অভি বিছানা থেকে নামতে চাইলে জিম হাত ধরে

জিম=কে বল্লো আমিই তোমার জিম কে এনে দেবো তোমার কাছে,

অভি জিম কে কোলে নিয়ে ঘুরতে খুশিতে

অভি=কবে এনে দিবা,
জিম=সেটা না হয় পরে বলবো, তার আগে তুমি খেয়ে নাও তারপর
অভি=আচ্ছা দাও আমি এখনি খেয়ে নিচ্ছি, তাড়াতাড়ি দাও
জিম=নিশ্চুপ
অভি=কি হলো কান্না করছো কেনো, তাড়াতাড়ি দাও, আর শোনো জিম কে বলে এনে যে আর কোনোদিম আমাকে ছেড়ে চলে না যায়, ও কি জানেনা আমি ওকে ছাড়া থাকতে কতো কোষ্ট হয়, এবার আসুক ওকে আমার সাথে বেধে রাখবো ওকে আর যেতেই দেবোনা হুম, ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে
জিম=আচ্ছা আমিও ওকে ভালো করে বুঝিয়ে দেবো কেমন, এখন লক্ষি ছেলের মতো খেয়ে নাও দেখি
অভি=আচ্ছা দাও,

তারপর জিম অভি কে খাইয়ে দিতে লাগলো, আর অভি হাসিখুশি ভাবে খেতে লাগলো

অভির খাওয়া শেষ হলে অভি শুয়ে পড়ে যায়, আর জিম যায় ওষুধ এর জন্য

জিম=ওষুধ খেয়ে নাও এবার
অভি=না আমি ওষুধ খাবোনা
জিম=তাহলে কিন্তু আমি জিম কে খুঁজতে সাহায্য করবোনা 😒
অভি=এই না এমন কথা বইলোনা, আমার যে খুব কষ্ট হয়😰
জিম=তাহলে ওষুধ খেয়ে নাও
অভি=ঠিক আছে দাও আমি খেয়ে নিচ্ছি
জিম=হুম নাও

তারপর অভি ওষুধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে

জিম নিছে যায় খাবার খেতে

কিছু ক্ষন পরে জিম রুমে চলে আসে

ততক্ষনে অভি ঘুমিয়ে গেছে একদম বাচ্চাদের মতো

জিম ভাবছে, আজ আর অভি কারো কোলে পা রাখেনা, কাউকে আর খাইয়ে দিতে হয়নি, কোতোটা বদলে গেছে, কিন্তু তারপরেও আমাকে কেনো চিনতে পারলোনা, যেভাবে তাকিয়ে ছিল মনে হয়েছিলো আমাকে ও চিনতে পেরেছে, আমিও ত তাই মনে করেছিলাম, কিন্তু কি থেকে কি হয়ে গেলো, না কোনোদিন ছেলেটা সুখী হতে পারলো না আমি, আসলেই আমাদের ভাগ্যে টাই যে অন্যরকম, বিধাতা নিজের হাতে লিখেছেন বলে কথা, এই জুটি কি আদৌ মিল হবে, না কি এভাবেই সারাটা জীবন কাটিয়ে দিতে হবে, আজ নেশার দুনিয়ায় মুগ্ধ হয়ে পড়ে গেছে সুধু আমার জন্য, এতোই যখন ভালোবাসতো তাহলে এক বার বললেই পারতো, সুধু নিজেকে কষ্ট দিলো সাথে ফিরি আমাকে

জিম অনেক রাতে জেগে যায় কিছু বাঙার শব্দ শুনে,

জিম উঠে দেখে অভি নেশা করে এদিক অদিক টোলতে লাগছে, হাত দিয়ে কিছু ধরে রাখতে পারছেনা, এদিক অদিক ঘুরাঘুরি করছে
জিম ধরে গিয়ে অভিকে জড়িয়ে ধরে,

জিম=তুমি আবারোও নেশা করেছে
অভি=হুম করেছি ত
জিম=তুমি এভাবে কথা বলছো কেনো
অভি=ত তোর সাথে কেমনে কথা বলবো, তোরা সবাই খারাপ সবাই আমাকে ঠুকিয়েছিস তোদের আমি ক্ষমা করবোনা, আর ওই জিম ওকে আমি পেলে ওকে খুন করে ওর সাথে আমিও খুন হয়ে পরপারে চলে যাবো, ওকে আমি ছাড়বো না, দেখে নিশ, ও আমাকে একটুও ভালোবাসেনা, শুধু আমাকে কষ্ট দিয়েছে আর কিছুই না,

জিম ভাবছে হয়তো নেশার ঘরে আবল তাবল বোকছে, নেশা কেটে গেলে ঠিক হবে

জিম=চলো শুয়ে পরো
অভি=না আমি শুবোনা তুই আমাকে আরো নেশা এনে দে আমি আরো খেতে চাই, আচ্ছা তোকেও দেবোনি, ওখানে আমার অনেক টাকা আছে যা নেশা নিয়ে আয়,
জিম একপ্রকার জর করে অভিকে বিছানায় শুয়ে দিলো,

সকালে

জিম=বাবা আপনার ছেলেতো মনে হয় নেশা কখনো ছাড়তে পারবেনা
বাবা=হয়তো বা
জিম=বাবা ডাক্তারের সাথে আরেক বার কথা বলে দেখেন, ওনি কি বলে,
বাবা=ঠিক আছে আমি দেখছি

কিছু ক্ষন পরে ডাক্তার চলে আসে

জিম=আচ্ছা আংকেল, ওকে কি আর কোনো উপায় ঠিক করা যাবেনা,আমি বলতে চাইছি যে ওষুধ ছাড়াও আর কোনো উপায়ে
ও তো নেশা একদমি ছাড়তে পারছেনা
ডাক্তার=একটা উপায় আছে, কিন্তু এতে বিপদ বেশি, ওর কোনো ক্ষতিও হতে পারে
জিম=কি সেটা আমাদের বলেন
ডাক্তার=অভির যখন খুব নেশার পরিমাণ বেড়ে যাবে, পাগলের মতো করতে থাকবে, তখন ওকে রুমে আটকিয়ে রাখবেন, যেনো বাহিরে আসতে না পারে, হাজার চিৎকার করলেও কেউ দরজা খুলে দেবেনা, আর অখানে নেশা জাতীয় কিছু রাখা যাবেনা, এতে কাজ হতেও পারে, আবার বিপরীত কিছুও হতে পারে
জিম=আচ্ছা আমরা দেখছি কি করা যায়
বাবা=তাহলে আজ রাতেই দেখি
ডাক্তার=হুম সেটা আপনাদের ব্যাপার, কিন্তু সাবধান কেউ তখন ওর আশেপাশে যাবেননা তাহলে হেতে বিপরীত হবে বলে দিলাম

রাতে=আজও জিম আর অভি ঘুমিয়ে আছে,

মাঝরাতে জিমের ঘুম বেঙে যায়, কিছু খুচুরখুচুর শব্দ শুনে,

উঠে দেখে অভি আজও খুঁজতে ছে নেশা পাগলের মতো, কিন্তু কথাও পাচ্ছেনা, জিম উঠে দরজার বাহিরে যেতে নিলে অভি জিম কে ধরে ফেলে

অভি=তুমি কি জানো আমার নেশার পাত্র টা কথায়,
জিম=না তো আমি জানিনা
অভি=এখানেই ত রেখেছিলাম কথায় গেলো, মাথায় হাত দিয়ে, পাগলের মতো আচরণ শুরু করে দিয়েছে চিৎকার করতে লাগলো,
জিম আস্তে করে দরজা বাহির থেকে লাগিয়ে দিলো, অভি সেটা বুজে বাবাকে ডাকতে থাকে নেশা আনার জন্য, কিন্তু বাবা এসেছে ঠিকি কিন্তু নেশা নিয়ে না, বাহিরে দাঁড়িয়ে আছে, অভি খুব চিৎকার করতে লাগলো কিন্তু কেউ দরজা খুলছেনা, কিন্তু অভির বাবা আর সজ্য করতে পারছেনা সে দোরে গিয়ে নেশা নিয়ে আসে, আরর দরজা খুলে দেখে অভির মুখ দিয়ে লালা পড়ছে, এক জায়গায় ঘুটি মেরে শুয়ে পরেছে, হাটার শক্তি জেনো হাড়িয়ে ফেলছে, পেট ধরে চিৎকার করছে, অভি বাবা কে দেখে দোরে কাছে আসতে নিলে কিছু একটার সাথে পা পিছলে পরে যায়, আর মাথা ফেটে যায়
অভির বাবা এবার কেঁদেইই দেয় চিৎকার দিয়ে, জিম ডাক্তার কে ফোন দেয় বাসায় আসার জিন্য, আর সব ঘটনা খুলে বলে,
কিছু ক্ষন পরে ডাক্তার চলে আসে, অভিকে বিছানায় শুয়ে দেয়, ততোক্ষনে অভি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে

ডাক্তার এসে দেখে বলে তেমন কোনো কিছু হয়নি আপ্নারা বাহিরে যান আমি দেখছি, কিছু ক্ষন পরে ডাক্তার বাহিরে আসে,,

জিম=এখন কি অবস্থা
ডাক্তার=কিছু বলা যাচ্ছেনা, মাথায় বেন্ডিজ করে দিয়েছি, আর যা হবে তা ওর জ্ঞান ফিরলেই বুঝা যাবে তার আগে কিছু বলতে পারছিনা, আসা করি ভালো কিছু সংবাদ দিতে পারবো,,,,যা করার আমি করে দিয়েছি,, আশা করি এখন নেশাটা কিছুটা হলেও কমে যাবে,,,আর তা না হলে একদম ভালো হয়ে যেতে পারে,,আর বিপরীতে ভয়াবহ কিছু,,

( আমরা সবাই জানি,,, একটা নেশখোর জীবনেও দুদিন জ্ঞান হাড়িয়ে থাকলে বা ডাক্তার এমন যাই করুক না কেনো রোগী এতো তাড়াতাড়ি সুস্থ হবে না,,,,এই গল্প শেষ করার ছিলো তাই এভাবেই শেষ করে দিলাম)

বাবা=হুম 😰

প্রায় দুদিন পরে অভির জ্ঞান আসে,
জিম পাশেই শুয়েছিল

অভি চোখ মিলে দেখে জিম পাশে শুয়ে আছে, লাফ দিয়ে বসে পরে ভূত দেখার মতো কিছু একটা দেখেছে মনে হয়

জিমও জেগে যায় শব্দ শুনে

জিম=কেমন লাগছে এখন
অভি=😱 অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে, মুখে কোনো কথা বের হচ্ছেনা, শুধু তাকিয়ে আছে
জিম=কি হলো অভাবে তাকিয়ে আছো কেনো
অভি=তু তু তুমি কখন আসলে
জিম=প্রায় ১ সাপ্তাহ 😒
অভি=আর কিছু না বলে জড়িয়ে ধরে জিম কে
জিম=কি হচ্ছে কি, এভাবে ধরছ কেন
অভি=প্লিজ জিম আমাকে ক্ষমা করে দাও আমি বুঝতেই পারিনি আমি তোমাকে ভালোবেসেছি, তোমার সাথে অনেক খারাপ ব্যবহার করেছি প্লিজ তুমি আমায় মাফ করে দাও 😰
জিম=আচ্ছা সেটা না হয় দিলাম এবার ত আমায় ছাড়ো
অভি=না আজ আর ছাড়ছি না
জিম=বাবা এসে যাবে ত
অভি=আসুক তাতে আমার কি
এরি মাঝে বাবা এসে যায়
বাবা=আমি কি বাহিরে যাবো, একটু পরে আসি
অভি=ঠিক আছে, বলেই জিব্বায় কামুর দেউ
জিম=লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে
বাবা=হইছে এখন আর লজ্জা পেতে হবেনা, আমি কিছু দেখিনাই, বাহিরে থেকেই বুঝতে পেরেছি।
জিম=কি যে বলেন না বাবা😖

বাবা=অভি এখন কেমন লাগছে
অভি=জ্বি বাবা অনেকটাই ভালো লাগছে
বাবা=ভালো না লেগে যাবে কথায়, এর জন্য তো আর বউ মা কম কষ্ট করেনি
অভি=মানে আমার কি হয়েছিল

অভির বাবা অভি কে সব খুলে বলে প্রথম থেকে

রাতে

অভি=এতো দূরে শুয়েছ কেনো
জিম=ত কি করবো, জীবনে ত আর স্বামীর ভালোবাসা পেলাম না, তাই ভেবেছি বাকি জীবন টা এভাবেই কাটিয়ে দেবো, আর তোমার আশেপাশে যাবো না😒আমার অভ্যাস হয়ে গেছে, এখন আর তোমাকে লাগবেনা
অভি=তুমি থাকতে পারলে আমি পারবোনা

এই বলেই জিমের কাছে গিয়ে জিম কে জড়িয়ে ধরে,
জিমের কোমরে হাত দিয়ে স্লাইড করতে শুরু করলো, আর চুলে নাখ ঘষতে থাকে

অবি=একি তুমি কাঁদছ কেনো,আমি কি কিছু ভুল করে ফেললাম
জিম=কেদেই জাচ্ছে
অভি=আচ্ছা সরি আমি ছেড়ে দিচ্ছি
জিম=ছেড়ে দিবি মানে, এই বলে অভিকে খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরে
আর কেঁদে কেঁদে বলে, এই দিনটার জন্য আমাকে আর কতোদিন অপেক্ষা করতে হবে, অপেক্ষা ত আর কম করলাম না
অভি=তাহলে কান্না করছ কেনো
জিম=তুমি বুঝবেনা
অভি=আচ্ছা বুঝার দরকার ও নাই

তারপর আরকি বাকিটা ইতিহাস হিসেবে ধরব নেন,

আর এখানেই সমাপ্ত❤❤❤……********

আর হ্যা,,, যারাই এই গল্প পড়ছেন তাড়াই কমেন্ট করুন

,, সবাই ভালো থাকবেন,আল্লাহ হাফেজ

আবার কোন নতুন গল্প দিব ইনশাল্লাহ…..

****★*****★*******★********★*********★****

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here