Child_Of_Night part-33 last part

0
3210

#Child_Of_Night
Writer: Tanjima Islam

আজ শুক্রবার। ব্রেকফাস্ট সেরে ওজগে’র বাবা সকাল সকাল মুহিদুলকে নিয়ে কোথায় যেন গেছে। বাড়ির সামনে বাগানের ভেতর একটা বেঞ্চিতে বসে আছে নীরা। গায়ে নরম রোদ লাগছে বেশ। ভীষণ আগ্রহ নিয়ে ওজগের পারফিউম বানোর প্রক্রিয়া দেখছে সে।

ওজগে দারুন পারফিউম বানাতে পারে। বাসায় সবাই তার তৈরি পারফিউমই ব্যবহার করে। নীরা’কে একটা বুনোফুলের পারফিউম দিয়েছে ওজগে। ঘ্রাণটা দারুন! মাখলে মনে হয় যেন সারা শরীর ঘ্রাণে ম-ম করছে।

ওজগে একটা বোতলের চারভাগের তিনভাগে বেস অয়েল ঢেলে নিল। তারপর তাতে কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল দিল। বোতলের মুখ বন্ধ করে নীরা’র হাতে দিয়ে বলল,

—–” আপু! এটা ভালো করে মেশাও।

নীরা তার কথা মতো বোতল ঝাকিয়ে মেশাতে লাগল। সকাল থেকে ওরহানকে দেখেনি সে। ওজগে বলল ওরহান নাকি একটা জরুরি কাজে ভোরেই বেরিয়ে গেছে। ফিরতে ফিরতে বিকেল হয়ে যাবে।

কিচেন থেকে নাজনীন আর জান্নাতের টুকটাক কথাবার্তা শোনা যাচ্ছে। স্পষ্ট না শুনতে পেলেও নীরা’র ধারণা বিয়ের ব্যাপারেই কথা বলছে তারা। মনে হচ্ছে দুই পরিবার থেকেই পছন্দ হয়েছে তাদের। শুধু ওরহান আর নীরা’কে বলা বাকি। নীরা ভেবে পাচ্ছেনা, বাবা-মা যখন সরাসরি তাকে বলবে তখন সে কি বলবে!?

ওরহান গতরাতেই সব বলে দিয়েছে তাকে। কিন্তু নীরা’র ভেতরে কেমন যেন দ্বিধা দ্বন্দ কাজ করছে। যদি ওরহানকে না পেতো, হয়তো সারাটা জীবন সে একাই কাটিয়ে দিতো। কিন্তু এখন! এখন কি করবে!? ওরহানের ব্যাপারে কি বাবা-মাকে বলবে নাকি বলবে না!? আর ওরহানের বাবা-মা! তারা কি এসব জানে!?

ওজগে এক পিস স্যান্ডেলউড আর ওরিস রুট গুড়ো করে মিশিয়ে নিল। নীরা বোতলটা তার দিকে এগিয়ে দিতেই ওজগে গুড়ো টুকু ঢেলে দিল বোতলে। মনে হচ্ছে অনুপাতে কিছুটা গোলমাল হয়েছে বোধহয়।

—–” আপু, ঐ অরেঞ্জ অয়েল এর সিসিটা দাও তো।

নীরা একটা কমলা রঙের অয়েল শিশি নিয়ে এগিয়ে দিল ওজগে’র দিকে। ওজগে কয়েক ফোটা অয়েল বোতলে মিশিয়ে হালকা ঝাকিয়ে নিল। পারফিউম তৈরি হয়ে গেছে!

—–” দেখো তো ঘ্রাণটা কেমন?

ওজগে বোতলটা ধরে স্প্রে করল নীরা’র হাতে। নীরা ঘ্রাণ শুকে তৃপ্তিময় হাসি দিয়ে বলল, ” দারুণ!

—–” এটা তোমার!

ওজগে বোতলটা নীরা’র হাতে দিয়ে বলল। নীরা স্মিত হেসে বলল, ” এখন তো আমারও পারফিউম বানাতে মন চাচ্ছে। কি সুন্দর স্মেল! নেশা লেগে যাচ্ছে একদম!

—–” আমি শিখিয়ে দেবো। তারপর তুমি আর আমি মিলে একটা পারফিউম কোম্পানি বানাবো!

বলতে বলতে খিলখিলিয়ে হেসে উঠল ওজগে। নীরাও সেইসাথে হেসে ফেলল। ওজগে’র আইডিয়া খারাপ না, তার বেশ পছন্দ হয়েছে!

কিচেনের জানালায় দাঁড়িয়ে এই সুন্দর মুহুর্তটা উপভোগ করছে জান্নাত। চোখেমুখে স্পষ্ট প্রশান্তি ছেয়ে গেছে তার।

—–” এমনই একটা মেয়ে চেয়েছিলাম। যাকে পেয়ে আমার পরিবার প্রাণবন্ত হয়ে থাকবে সবসময়!

বিড়বিড়িয়ে বলে উঠল জান্নাত। নাজনীন তার কথা স্পষ্ট শুনতে না পেলেও বুঝতে পারলো, তাদের মেয়েকে উজুন পরিবার পছন্দ করেছে। ওরহানকেও ভীষণ পছন্দ হয়েছে তাদের। বাকিটা ওপরওয়ালার ইচ্ছা!

___________________________

বিকেলের আলো ফুরিয়ে আসছে। সন্ধ্যে নামবে নামবে ভাব। সী সাইডে হেটে চলেছে ওরহান, ওজগে আর নীরা। রৌদ্রজ্জ্বল আকাশে ঝাকে ঝাকে পাখি উড়ে বেড়াচ্ছে। দুপুরের পর বিকেলে হাটতে বেরিয়েছিলো তারা। নীরা’র হাত ধরে হাটছে ওজগে। ওরহান হাটছে অন্য পাশ দিয়ে।

একটু দূরে একদল ছোট ছেলেমেয়েরা মিলে ঘুড়ি ওড়াচ্ছে। ওজগে’র যেতে মন চাইলো কিন্তু ভাইয়ের ভয়ে গেলো না। নীরা বুঝতে পেরেছে, ওজগে ওদের সাথে ঘুড়ি ওড়াতে চাচ্ছে। ওরহানের সেদিকে খেয়াল নেই। নীল সমুদ্রের ঢেউয়ের দিকে তাকিয়ে সে ডুবে আছে নানান ভাবনায়।

—–” ঘুড়ি ওড়াবে ওজগে!?

উত্তেজিত হয়ে বলল নীরা। ওরহান প্রায় সাথেসাথেই দৃষ্টি ফিরিয়ে তার দিকে তাকালো। নীরা তা দেখেও না দেখার ভান করল। মিনমিন করে হ্যাঁ জানালো ওজগে। পরক্ষণেই ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে দেখল, সে নীরা’র দিকে ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছে।

নীরা তার দৃষ্টি অনুসরণ করে ওরহানের দিকে তাকিয়ে রইলো। সেও ওরহানের অনুমতির জন্য অপেক্ষা করছে। ওজগে যদিও জানে যে ওরহান রাজি হবে না। তাও মনেমনে চাচ্ছে।

—–” সমুদ্রের ধারে যাবিনা। দূরে দাঁড়িয়ে ওড়াবি।

ওরহানের কি হল কে জানে! সে বেশ স্বাভাবিক ভাবেই বলল কথাটা। ওজগে’কে আর পায় কে! সে এক ঝলক হাসি দিয়ে ছুটে গেলো ঘুড়ি ওড়াতে। স্মিত হাসল নীরা। ওরহানের ঠোঁটের কোণায় মৃদু হাসির রেখা ফুটে উঠেছে।

—–” ওজগে’কে বাইরে যেতে দেন না কেন?

ধীর পায়ে ওরহানের দিকে এগিয়ে এসে জিজ্ঞেস করল নীরা। ওরহান ঘুরে সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে বলল,” ওজগে ছোট থেকে একাই থেকেছে। খেলার সাথী পায়নি কখনও।
ওর শৈশব কেটেছে প্যারালাইজড রোগীর মতো। পুরোপুরি সুস্থ হয়েছে নয় বছর বয়সে।
বাইরের সবকিছুর সাথে ওর খাপ খাইয়ে নিতে সময়ের প্রয়োজন।
নয়তো, খারাপ কিছু হয়ে যেতে পারে। তাই ওকে বেশি বের হতে দেইনা।

ওরহান এবার নীরা’র দিকে তাকিয়ে বলল,” আমি না থাকলে ও বাইরে বের হয় সে আমি জানি। কিন্তু কিছু বলিনা। বেশি স্ট্রিক্ট হলে যদি ও আমার থেকে দূরে সরে যায় সেই ভয়ে। আমার বকা খাওয়ার ভয়ে হলেও ও নিজেকে সময় দিক শুধু এটাই চাই।

স্মিত হাসল নীরা। দূরে তাকিয়ে দেখল, ওজগে খুশি মনে ঘুড়ি ওড়াচ্ছে। বাতাসের তোড়ে পাখির মতো উড়ে বেড়াচ্ছে ঘুড়ি গুলো। নীল আকাশে রংবেরঙের পাখির ঝাক দেখে রংধনুর মতো লাগছে দেখতে।

—–” ওসমান আংকেল, জান্নাত আন্টি, ওজগে! কেউ জানে আপনার ব্যাপারে!?

—–” না, কিন্তু ওজগে জানে শুধু তোমার ব্যাপারে।

—–” কি জানে!?

দৃষ্টি ফিরিয়ে ওরহানের দিকে তাকিয়ে বলল নীরা। ওরহান হেসে বলল, ” এই যে, তার ভাই এক মিষ্টি সুঘ্রাণযুক্ত ও-পজেটিভ রমনীর নেশায় আসক্ত হয়ে গেছে। অথচ সেই রমনী কিছুতেই তার ভাইকে মিষ্টি সুঘ্রাণ নিতে দিচ্ছে না!

নীরা বেশ গম্ভীর হয়ে তাকিয়ে ছিলো। প্রথমে বুঝতে না পারলেও, পরে বুঝতে পেরে সে তেড়ে গেলো ওরহানের দিকে। ওরহান এক লাফে পাথরের ওপর উঠে হাসতে হাসতে বলল,

—–” দ্যাখো নীরা, আমি এখান থেকে লাফ দিয়ে সমুদ্রে ঝাপ দেবো। যদি তুমি রাজি না হও!

—–” তুমি লাফ দেবে কি! আমিই তোমাকে ফেলে দিচ্ছি চলো!

নীরা দ্রুত পায়ে পাথর ডিঙিয়ে এগিয়ে চলল ওরহানের দিকে। ওরহানও এক পাথর থেকে অন্য পাথরে লাফ দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।

_________________________

বসন্তের শেষে, গ্রীষ্মের শুরুতেই মহা ধুমধামে বিয়ে হয়ে গেলো ওরহান আর নীরা’র। টানা এক সপ্তাহ চলল তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান। বাংলাদেশ থেকে বিয়ে করে বউ হয়ে এলো তুরস্কে।

বিয়ের পরপরই এমএসসি করতে জার্মানি ফিরে গেছিলো নীরা। তুরস্কে থেকে গেলো ওরহান। দুইজন দুই দেশে থেকেও তাদের ভালবাসা কমেনি বিন্দুমাত্র। এমএসসি শেষ করতে লাগল এক বছর।

ফিরে এলো তুরস্কে। নীরা জার্মানি থেকে ফিরে আসার আগে মীরা’র বাড়িটা বিক্রি করে সেই টাকা একটা অরফানেজ এ দিয়ে দিয়েছে।

দুই বছর পর…….
আজ সকালে হসপিটাল থেকে বাড়ি ফিরেছে নীরা। প্রেগ্ন্যাসির নয়টা মাস সে বাপেরবাড়িতে থেকেছে। মাসে মাসে আসতো ওরহান। গত সপ্তাহে ডেলিভারির কয়েকদিন আগে তার শ্বশুরবাড়ি থেকে সবাই এসেছে।

ফুটফুটে একটা পুত্র সন্তান জন্ম দিয়েছে সে। যদি-ও মাত্র কদিন বয়স তার, তবুও নাজনীন এই বলে গলা শুকিয়ে ফেলছে যে, আমার নাতি মাশাল্লাহ ওরহান বাবার কার্বনকপি! শুধু চুল গুলো সোনালী! কিন্তু কেউ যদি বলেছে যে, নীরা’র মতো চোখ হয়েছে ছেলের! তাও সে মানতে নারাজ!

নীরা’র রুমে সব পরিপাটি করে রাখা। কিন্তু চারিদিকে তাকালে শুধু বাচ্চার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দেখতে পাচ্ছে নীরা। তার কোনো জিনিসপত্র চোখেই পড়ছে না শুধু বেড আর ড্রেসিং টেবিল বাদে।

—–” আমার জামাকাপড় কোথায় আম্মু!?

নাজনীন শুনতে পেলো কি না কে জানে। সে ওদিকে গেস্টদের নিয়ে ব্যস্ত। মুহিদুল আর ওসমান আকিকার ব্যাপারে কথা বলছে। বাচ্চা জান্নাতের কোলে। ওজগে তার পাশে দাঁড়িয়ে আছে কখন কোনটা লাগে সেটা এগিয়ে দেওয়ার অপেক্ষায়। ওরহানকে কোথাও দেখা যাচ্ছে না।

নীরা বিরক্ত মুখে বিড়বিড় করে গালি দিল। কাকে দিল সে জানেনা। প্রেগ্ন্যাসির সময় থেকেই মেজাজ সবসময় খিটমিট করে তার। সবাই মিলে যেন তাকে বিরক্ত করতেই তৈরি থাকে সবসময়। অথচ দরকারের সময় কাউকে খুজে পাওয়া যায় না।

অগত্যা সে নিজেই কাবার্ড খুলে কাপড় খুজতে লাগল। সেখানেও বেবি প্যাম্পাসের ভিড়! অনেক খুজে নিচের দিকে একটা পুরোনো লং টিশার্ট, স্কার্ট আর মায়ের ওড়না নিয়ে গোসলে ঢুকল সে।

গোসল করে বেরিয়ে দেখল তার মা এক বাটি স্যুপ এনে বেডে বসে আছে। তার জন্য অপেক্ষা করছে হয়তো! নীরা’র ভীষণ ক্ষিদে পেয়েছে। মা নিশ্চয়ই খাইয়ে দেবে! নীরা চুল মুছতে মুছতে বেডে শুয়ে বলল,

—–” উফফ! এতক্ষণে তোমাদের আমার কথা মনে পড়ল! কি ক্ষিদে পেয়েছে জানো! দাও, এবার খাইয়ে দাও তো। এক প্লেট গোশত খিচুড়ি খেলে ভালো হত!

কিছুটা মন খারাপ করে বলল নীরা। নাজনীন আকাশ থেকে পড়ার ভান ধরে স্যুপের বাটি নীরা’র হাতে ধরিয়ে বলল,” এখন ওসব মসলা খাবার খাওয়া চলবে না তোর। কদিন যাক তারপর। এখন স্যুপ টুকু খেয়ে নে! আল্লাহ! ওদিকে কত কাজ বাকি!

নাজনীন রুম থেকে বেরিয়ে যেতে যেতে হাক ছাড়ল, ” ওজগে মামনি! একটু কিচেনে এসো তো, গরম পানির ফ্লাক্সটা নিয়ে যাও।

মআ বেরিয়ে যেতেই একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল নীরা। তার দিকে কারোর খেয়াল নেই ভেবে গোমড়া মুখে স্যুপ খেতে লাগল। খিদের চোটে সে এক বাটি স্যুপ এক নিমিষেই খেয়ে ফেলেছে।

খেয়েদেয়ে যেই না শুতে যাবে তখন দেখল, ঘরের দরজায় হেলান দিয়ে বুকে হাত গুজে দাঁড়িয়ে আছে ওরহান। সে কি নীরা’কে গপগপিয়ে খেতে দেখেছে! মৃদু লজ্জাবোধ করল নীরা। পরক্ষণেই ভাবল, দেখে দেখুক তাতে কি আসে যায়!

শুয়ে পড়ল নীরা। ওরহান এগিয়ে এসে নীরা’র হাতে চুমু খেয়ে বলল, ” কেমন লাগছে শরীর!?

—–” ভালো।

—–” গরম গরম গোশ খিচুড়ি খাবে!?

খুশিতে উদ্বেলিত হয়ে তাকালো নীরা। ওরহান কি সত্যিই তাকে ভুনা খিচুড়ি আর গোশত খেতে দেবে? লকলকিয়ে উঠল নীরা’র জিব। মাথা দুলিয়ে দ্রুত হ্যাঁ জানালো সে।

ওরহান নীরা’র চুলে আঙুল ডুবিয়ে বিলি কেয়ে দিতে দিতে বলল,” আকিকার দিন দেবো!

—–” কবে করবে আকিকা!?

—–” পরশু।

ওরহান কিছু একটা ভেবে জিজ্ঞেস করল, ” নাম কি রাখবো?

নীরা আবার তাকালো ওরহানের দিকে। সে জানে ওরহান তাদের ছেলের নাম ঠিক করে রেখেছে আগেই। এখন জিজ্ঞেস করছে ডাক নাম কি রাখবে তাই। প্রেগ্ন্যাসির সময় বহুবার জিজ্ঞেস করেছে ওরহান।

নীরা বলেনি। আকিকার সময় বলবে বলেছে। কিন্তু সে যে নাম রাখবে, সেটা কি আকিকায় দেওয়া যাবে!? না দেয়া গেলে না দেবে। কিন্তু ডাকবে সে অবশ্যই!

—–” মিলিয়ান!

ওরহান অবাক হল না। যেন সেও জানতো নীরা এটাই বলবে। নীরা কিছুক্ষণ চুপ থেকে আবার বলল, ” পরের জন্ম বলে কিছু নেই জানি। তাই ঐ আমার মিলিয়ান। আমাদের সোনালী চুলের রাজপুত্র! মিলিয়ান!

____________||সমাপ্ত||_______________

বিঃদ্রঃ অবশেষে গল্পটা শেষ হল। নানান ঝামেলায় গল্পটা শেষ হতে এতদিন লেগেছে। জানিনা কতটুকু গুছিয়ে লিখতে পেরেছি। গল্পটা কেমন লেগেছে তা জানাতে আশা করি গ্রুপে রিভিউ দিবেন। আলোচনা সমালোচনা সবটাই গ্রহণযোগ্য। ভুল হলেও ধরিয়ে দেবেন। ভুল থেকেই তো মানুষ শেখে। আমিও শিখবো😇
হ্যাপি রিডিং❤️

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here