Journey part-46

0
1386

#Journey

#৪৬

প্রান্তের ঘরে বসে সেলিম বারবার টেবিল ল্যাম্প জ্বালাচ্ছে,নেভাচ্ছে।চেহারা দেখে খুব শান্ত মনে হলেও ভেতরটা উথালপাতাল করছে যার ফলস্বরূপ বার বার আঁধার আর আলোর মাঝে বিচরণের চেষ্টা চালাচ্ছে।

এই সময় প্রান্ত ঘরে প্রবেশ করে, ফুফাত ভাইকে বিছানায় দেখে বেশ অবাক হয়।
“ব্রো!এই রাতে এখানে!ঘুমাও নি যে?”
“আসছে না”
“ওহ।তা আমার আবার কোন সাহায্য লাগবে?”
“লাগবে বলেই তো এখানে আসলাম”

প্রান্তের পকেটে পাঁচশো টাকার নোট গুঁজে হাত থেকে একটা কাঠের ফলক এগিয়ে দেয় ওর দিকে।সেখানে লিখা,
“আদর্শ জীবন তো তাই,
যাতে রঙ তুলিতে ফুটে ওঠে মানবতার ছাপ”

প্রান্ত অবাক চোখে সেলিমকে প্রশ্ন করে,
“এটার মানে কি ব্রো?”
“মানে বাদ দে,মানে বের করতে হবে না।আমাকে বলা হয়েছে-
তৃতীয় ক্লু তুই যখন পাবি,তখন দুই আর তিন নাম্বার ক্লু পাশাপাশি রাখবি।তিন নাম্বার ক্লু এর প্রথম শব্দ আর দুই নাম্বার ক্লু এর শেষের শব্দ নিয়ে যে স্থানের নাম পাবি,সেই গ্রামেই আছে চার নাম্বার ক্লু।কিন্তু কার কাছে আছে?সেটা বের করতে হলে তিন নাম্বার ক্লু ভালো করে পড়তে হবে,সেখানেই নামটা বলা আছে।এক্টু খেয়াল করে বের করতে হবে বৈকী!

এখন এই কথার সাথে এই যে আগের সূত্র,এটা নে,এটাকে মিলিয়ে পাজল সলভ করতে হবে”
প্রান্ত আগের সূত্রটা হাতে নেয়,সেই গতকালের লিখাটা আছে-
“বিনোদপুরে আছে এক মন্দির,তার ডান পাশে থাকা পুরোহিতের ঘর থেকে ত্রিশ হাত পশ্চিমে এক পুকুর,তার তলায় আছে পরের সূত্র আর গ্রাম”

প্রান্ত বিছানায় বসে সূত্র দুটো পাশাপাশি রাখে আর গাল চুলকে ভাবতে বসে।ওর পাশে সেলিম দাঁড়িয়ে বার বার চুল টানে,ওর আর ভালো লাগছে না এই খেলা।আর ক্লু গুলো পড়ে কিছুই বুঝতে পারছে না,মাঝখান থেকে মনে হচ্ছে যে কতগুলো সময় নষ্ট হলো,টাকাও নষ্ট।বারবার মায়ের প্রতি একটা প্রশ্নই আসছে ওর,আমি কি বাংলা এতই ভাল পারি যে এরকম এক ঝামেলায় ফেলে গেলে???

ভাবনায় ছেদ ঘটিয়ে প্রান্ত বলে,
“ব্রো,তিন নাম্বার সূত্রের প্রথম শব্দ ‘আদর্শ’ আর দ্বিতীয় ক্লু এর শেষ শব্দ ‘গ্রাম’।তার মানে বোঝা যাচ্ছে তোমার এরপরের গ্রাম হচ্ছে ‘আদর্শগ্রাম’।আর তিন নাম্বার ক্লুতে যদি কারো নামের কথা বলতে চাও,দুটো শব্দ নাম হয়,একটা হল আদর্শ,আরেকটা তুলি।এখন এর মাঝে কোনটা হবে সেটা বোঝা মুশকিল”
“কিন্তু আদর্শ দিয়ে তো গ্রামের নাম হচ্ছে,তাই না?”
“হুম,কিন্তু তাই বলে যে এ দিয়ে কারো নাম বোঝাবে না,সেই নিশ্চয়তাও তো নেই”

সেলিম চুল টানতে থাকে,টেনশনে থাকলে এই কাজ করা তার একটা বদঅভ্যেস। এবার প্রান্ত ওর দিকে ঘাড় ঘুরিয়ে তাকিয়ে দন্ত বিকশিত এক হাসি দেয়।সেলিম পকেট থেকে আরেকটা পাঁচশ টাকার নোট বের করে প্রান্তের হাতে দিয়ে ক্লুগুলো নিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে যায়।প্রান্ত দুটো নোট একত্র করে চুমু খায়।এরকম একটা বিদেশি ভাই থাকলে টাকা নিয়ে কি আর চিন্তা থাকে!

পরদিন সেলিম আবার যাত্রা করে আদর্শগ্রামের দিকে,গাড়িতে বসে কাঠের ক্লু গুলো নাড়াচাড়া করছে।আচ্ছা,আগে কাকে খুঁজবে?আদর্শকে?নাকি তুলিকে?জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে থেকে থেকে কখন ঘুমিয়ে গেছে বুঝতে পারে না।ঘুমাবেই বা না কেন?গতরাতে যদিও প্রান্ত সূত্রের ৯০ ভাগ সমাধান করেছে,বাকিটার জন্য চিন্তায় চিন্তায় ঘুম হয়নি।রাতে স্বপ্ন দেখেছে,একটা বিশাল মেটে মাঠ।সেই মাঠে মাঝরাতে শাবল নিয়ে সেলিম মাটি খুড়ছে।দরদর করে কপাল আর মুখের দুপাশ থেকে ঘাম চুইয়ে পড়ছে।সেলিম মাটি খুড়ে যাচ্ছে তো যাচ্ছেই,মাটি খোড়ার আর শেষ হচ্ছে না।অস্থির হয়ে গেছে কখন মাটি খুঁড়ে হীরার কাছে পৌঁছাবে,কিন্তু তা যেন আর কখনো সম্ভব না।দম আটকে আসছে মাটি খুঁড়তে খুঁড়তে।খুঁড়ছে খুঁড়ছে তো খুঁড়ছেই…

ঠিক এরকম একটা অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে ঘামতে ঘামতে ওর ঘুম ভেঙে গিয়েছিল।সারা রাত আর কোন ঘুম আসেনি।তাই গাড়িতে বসার কিছুক্ষণের মাঝেই ঘুম ওকে গ্রাস করে নিয়েছে,আর ঘুম ভাঙল শিমুলের ডাকে।
“স্যার,আমরা তো চইলা আইছি”
সেলিম চোখ পিটপিট করে আশেপাশে তাকায়।আচ্ছা,এখানে আদর্শ অথবা তুলি নামের কেউ আছে কিনা তা কোথায় জানতে চাইবে?বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজা তো সম্ভব না।তাহলে? গাড়ি থেকে বের হয়ে তার গায়ে হেলান দিয়ে দাঁড়ায়।অদ্ভুত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য মন্ডিত পরিবেশ,বাতাসে মেটে ঘ্রাণ,শিশিরকণা গুলো এখনো ঘাসের মাথায় লেগে আছে,রোদের ছটায় সেগুলো মুক্তোর মত জ্বলছে।সকালে আজ নাস্তাও করে আসেনি।শিমুলকে নিয়ে তাই পাশেই বাজারের এক দোকানে বসে।ইদানিং বাঙালী খাবারগুলো বেশ এঞ্জয় করতে শুরু করেছে।খাবার খেতে খেতে মাথায় চিন্তা আসে, তুলি বা আদর্শের সাথে মানবতার কোন সম্পর্ক নেই তো? দাতব্য প্রতিষ্ঠানগুলোর কোন সদস্য কি হতে পারে?হুম,পারে!

দ্রুত খাওয়া শেষে খোঁজ নেয়া শুরু করে।একটা প্রাইমারী স্কুল পায়,কয়েকটা মাদ্রাসা আছে,তবে এর চেয়ে বেশি কিছু নেই।সেলিম আগে সেই প্রাইমারী স্কুলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।স্কুলের সামনে যাওয়ার পর হেডমাস্টারের ঘরে যায়,পিওন দেখে তাকে জানায় হেডমাস্টার নেই।যখন সেলিম আদর্শ বা তুলি নামের কেউ আছে কিনা জানতে চায়,লোকটা ভীষণ বিরক্ত হয়।
“আফনে কারে চান কন তো?যারে চান খুইজা নেন,আমার কাম আছে”
কথা শেষ করে তার জন্য নির্ধারিত চেয়ারে বসে একটা কাঠি বের করে দাঁত খোঁচাতে শুরু করে।সেলিম বেশ অবাক হয়,এই তার কাজ??

বিরক্ত হয়ে আশেপাশে তাকায় ঘুরতে ঘুরতে শিক্ষকদের ঘরের সামনে চলে আসে।সেখানে স্কুলের শিক্ষকেরা কাজ করছে,কেউ খাতা দেখছে,কেউ খাচ্ছে,কেউ পাশের জনের সাথে গল্প করছে।সেলিম সেখানে যাবে কি যাবে না ইতস্তত করতে করতে একজন পুরুষ শিক্ষক বেরিয়ে ওকে খেয়াল করে।
“কাকে চাই?”
“এখানে তুলি ম্যাডাম আছে?”
নামটা আন্দাজের উপর ভর করেই ঢিল ছুড়ে,জানে না লাগবে কি লাগবে না।লোকটা ওর উত্তর না দিয়ে পালটা প্রশ্ন করে,
“আপনি কে?”
“আমি উনার আত্মীয়”
“কেমন আত্মীয়?”
“দূর সম্পর্কের”
“দূর সম্পর্কের মানে আপনাদের মাঝে সম্পর্কটা কি?”
“আআআ ইয়ে,ঐ… আমার দূর সম্পর্কের আপু হয়”
“তা নাম কি আপনার?”
“সেলিম”
লোকটা আর না পেঁচিয়ে ভেতরে চলে যাওয়ার জন্য ঘুরে।সেলিম জোরে বলে,
“উনাকে বলবেন যে আমি বিদেশ থেকে এসেছি!”

লোকটা ঘুরে ওর দিকে এক পলক তাকিয়ে ভেতরে চলে যায়।কয়েক মিনিট শাড়ি পড়া মধ্যবয়স্কা এক নারী এগিয়ে আসে।চুলগুলো বেণি করে পেছনে রাখা,সাদাসিধা সুতির গাঢ় গোলাপী শাড়ি পড়নে,মুখে হাল্কা বলি রেখা পড়ে গেছে,চুলেও কিছুটা পাক ধরেছে।ভারী প্লাস্টিকের চশমা চোখেএ উপর ঠেলে সেলিমের দিকে তাকিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে আসে।
“আপনি কি আমাকে খুঁজছিলেন?”
“আপনি কি তুলি ম্যাডাম?”
“হ্যাঁ,আমি তুলি”
“তাহলে আমি আপনাকেই খুঁজছি”,
বলে তুলির দিকে হাত বাড়িয়ে দেয় হাত মেলানোর উদ্দেশ্যে। অপর দিকের মানুষটা তেমন আগ্রহ দেখায় না,ভ্রু কুঁচকে ওর হাতের দিকে তাকায়,তারপর হাত বাড়ানোর বদলে জিজ্ঞাসা করেন,
” কি চান বলুন?”
সেলিম অপ্রস্তুত হয়ে হাত সরিয়ে নেয়।এই মহিলার সাথে মনে হয় সরাসরি কথা বলতে হবে,সেলিম ভাবে।

“আমি ইটালি থেকে এসেছি।আপনি জেসমিন নামের কাউকে চিনেন?”
“কোন জেসমিন?”
“ইটালিতে থাকত,আমি তার ছেলে সেলিম।আপনি কি মনে করতে পারছেন?”
মহিলা মাথা নাড়ান
“সরি,আমি ইটালিতে থাকে,জেসমিন নামের কাউকে চিনি না”
সেলিম খুব হতাশ হয়, ভেবেছিল বুঝি চতুর্থ সূত্র পেয়েই গেছে!কিন্তু সে আশায় গুড়ে বালি।মহিলাকে সরি বলে ঘুরে চলে আসে।গাড়িতে বসে ভাবতে বসে এখন কি করবে?কোথায় খুঁজবে?কি একটা ভেবে আবার গাড়ি থেকে নেমে আসে।তুলি নামের সেই মহিলা এখনো সেখানেই দাঁড়িয়ে আছে।তার কাছে এসে সেলিম বলে,
“আপনাদের এই গ্রামে তুলি নামের আর কেউ আছে কিনা বলতে পারবেন?”
“থাকতে পারে,কিন্তু কেন বলেন তো?”
“কারণ এই গ্রামের তুলি নামের একজনকে আমার খুব দরকার”
“কি দরকার?”
“আপনারা সবাই অনেক বেশি প্রশ্ন করেন!আমার কি দরকার তা দিয়ে কি হবে?!যদি জানা থাকে বলেন,না জানলে সেটাও বলেন!আমার দরকার দিয়ে আপনার কি আসে যায়!এমন এক গ্রামে এসে পড়লাম,এখানে কাউকে প্রশ্ন করলে উলটা প্রশ্ন করে উত্তর না দিয়ে,অদ্ভুত!”

সেলিমের উঁচু গলা শুনে সেই মহিলা আর কোন দ্বিরুক্তি না করে সেখান থেকে চলে যায়।সেলিম নিজের কথায় নিজেই লজ্জা পায়।এই মানুষের কাছ থেকে যাই একটু সাহায্য পাওয়ার কথা ছিল,তাও পাবে না।হতাশ হয়ে গাড়ির দিকে পা বাড়াতেই পেছন দিক থেকে ডাক আসে।ঘাড় ঘুরিয়ে দেখে সেই মহিলা ওকে ডাকছে।সেলিম দাঁড়িয়ে পড়ায় সে কাঁধের ব্যাগটা সেট করতে করতে তার সাথে হাঁটতে ইশারা করে।সেলিম তাকে অনুসরণ করে হাঁটতে শুরু করে।

তুলি নামক সেই মানুষটি হাঁটছে,পেছন পেছন হাঁটছে সেলিমও।ওদের গাড়ি অনেক আগেই পিছে ফেলে এসেছে।শিমুল অবশ্য ইশারায় জিজ্ঞাসা করেছিল সে কোথায় যাচ্ছে,সেলিম ইশারায় তাকে সেখানে থাকতে বলে এসেছে।তুলিকে অনুসরণ করতে করতে ওরা স্কুল পেরিয়ে ধান ক্ষেতের বিশাল মাঠ পেরিয়ে একটা নদীর ধারে এসে দাঁড়িয়েছে,নদীর নাম ‘গুমানী’। নদীর তীরে এসে তুলি ঘাসের উপর বসে পড়ে,ইশারায় সেলিমকে বসতে বলে।তার পাশে বসার পর ওর দিকে হাত পাতে।সেলিম প্রশ্ন চোখে তাকায়।

“দাও”
“কি দিব?”
“আগের সূত্রগুলো”
“কিন্তু…মানে আপনি তখন না বললেন যে…”
“যেটা বলেছি সেটা করতে পারবে?”
সেলিম আর কথা না বাড়িয়ে কাঠের ছোট ফলকগুলো তার হাতে দেয়।সূত্রগুলো মনোযোগ দিয়ে দেখে সেলিমের দিকে তাকায়।
“যাক,তুমি ছদ্মবেশী কেউ নও।তুমি সত্যিই জেসমিনের ছেলে সেলিম কিনা,সেটা বুঝতেই অস্বীকার করেছিলাম”
“আপনি মাকে চিনতেন?”
“হ্যাঁ,চিনতাম।তোমার মা আমার অনেক বড় উপকার করেছেন।আমার স্বামীর পায়ে গ্যাংরিন হয়ে তার পা কাটতে হয়েছিল,তারপর থেকে সে বাসায় থাকে।আমার নিজেরও কোন আয় ছিল না।তোমার মা তখন এগিয়ে এসে আমার জন্য এই চাকরির ব্যবস্থা করে দেয়।জেসমিনের মত মানুষ আজকাল পৃথিবীতে হয় না”
“আমি জানি।আমার মা সবার সেরা!”
তুলি হাসে।
“তোমার মা তো মারা গেছে,তাই না?”
“আপনি কিভাবে জানেন!”
“তোমার মা যখন আমাকে একটা আমানত দেয়,তখন বলেই দিয়েছিল যে,তার মৃত্যুর পর এই জিনিস তার ছেলে নিতে আসবে।যেহেতু তুমি এসেছ,তার মানে সে মারা গেছে”

সেলিমের বুকটা ভারী হয়ে যায় মুহূর্তে। মাকে এখন ভীষণ মিস করছে।আচ্ছা,অনেকেই বলে কেউ মারা গেলে আকাশের তারা হয়ে যায়।মা কি তারা হয়ে গেছে? সে কি উপর থেকে ছেলেকে দেখছে??

সেদিন গ্রাম থেকে রওনা দিতে দিতে বিকেল হয়ে যায়।তুলি ওকে নিজের বাসায় নিয়ে গিয়েছিল,তার নিজ হাতে রান্না করা খাবার খাইয়েছে।বলা বাহুল্য, তুলির হাতে সেলিম মায়ের হাতের রান্নার স্বাদ পেয়েছে! অতিথি আপ্যায়ন শেষে ওকে আরেকটা ছোট বাক্স দিয়েছে তুলি।সেলিম সেটা নিয়ে ধন্যবাদ জানিয়ে গাড়িতে উঠেছে।এখনও খুলে দেখেনি এরপরের সূত্রটা কি,সূত্র নিয়ে মাথাও ঘামাচ্ছে না,শুধু মাথায় ঘুরছে তার মায়ের কথা জেসমিনের কথা।আজ সারাক্ষণ জেসমিনের কথাই বলল তুলি।ভদ্রমহিলা নিঃসন্দেহে একজন অমায়িক মানুষ।তার বর্ণনায় নিজের মাকে ফেরেশতা মনে হচ্ছিল,একটা এঞ্জেল যে কিনা দুঃখি মানুষগুলোর জন্য কত কি করেছে! আজ জেসমিনের কথা শুনে সেলিমের মনে হচ্ছে,মায়ের এই দিকটা ও কখনোই দেখেছি,এ যেন মাকে নতুন করে চিনতে পারছে।

শেষ বিকেলের রোদ গায়ে মেখে সেলিম গাড়ির সিটে হেলান দেয়।গাড়িতে ওঠার আগে আসর এর নামায তো পড়া হয়েছে,কিন্তু দোয়া গুলো পড়া হয়নি।সেলিম দোয়া পড়তে থাকে,সাথে এও পড়ে,
“রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বা ইয়ানি সাগীরা! রাব্বানাগ ফিরলি ওয়ালি ওয়ালিদাইয়া ওয়ালিল মু’মিনীনা ইয়াওমা ইয়াকুমুল হি’ছাব!”

চলবে…

লেখনীতে, #AbiarMaria

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here