Ragging To Loving 2পর্ব-১৫

0
2850

#Ragging_To_Loving__2
#পর্বঃ- ১৫
#রিধিরা_নূর

বাড়ি ফিরে নূর আড়চোখে মায়ের দিকে তাকাচ্ছে। মেয়ের এমন অদ্ভুত চাহনি দেখে শাহারা হায়দার নূরের কাছে এলো।

শাহারা হায়দার — কিছু বলবে?

নূর — ভুতকি কী?

শাহারা হায়দার — ভূত টূত ওসব কাল্পনিক। ভূত বলতে কিছু নেই। এসব মানুষের মনের ভয়। বুঝছ? (নূরের গাল টেনে দিল)

নূর — আলে। ভূত না তো। ভুতকি। ভুতকি। (জোর গলায় বলল)

শাহারা হায়দার — বললাম তো ভূত বলতে কিছু নেই। এসব মানুষ ভয়ে বলে।

নূর — ওওওও। (সুর টেনে।)

নূরের মা চলে গেলেন রান্নাঘরে।

নূর — আফু কি আমাতে ভয় পেয়ে ভুতকি বলেতে? কেনু ভয় পেয়েতে? হো! চকলেত নিছি তাই?

মাস খানেক পর নূরের স্কুলের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। প্রত্যেক শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়ে আলাদা আলাদা নাটক আয়োজন করা হয়। যেখানে নূর সেজেছে পল্লি বধূ। নাম আনন্দিতা। লাল রঙের শাড়ি মোড়ানো, হাত ভরা চুড়ি, ঠোঁটে লাল লিপস্টিক। পিচ্চি বধূ রূপে বেশ সুন্দর লাগছে নূরকে। আফরান সেজেছে জমিদার পুত্র। রিহান সেজেছে জমিদার সাহেব। আরও অন্যান্য বাচ্চারাও বিভিন্ন সাজে সেজেছে। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে তাদের নাটকের আয়োজন। সবাই বেশ উৎসাহে মঞ্চের সামনে বসল। শুরু হলো নাটক।

নাটকের শুরুতে জমিদার সাহেব অর্থাৎ রিহান আনন্দিতা(নূর) এর মায়ের কাছে আসে বিবাহ সম্বোধন নিয়ে। রিহান বেশ সুন্দর করে নিজের চরিত্রে অভিনয় করে। সবাই হাত তালি দিয়ে তার উৎসাহ বাড়ায়। এরপর আসে পিচ্চি বধূ আনন্দিতা এবং জমিদার পুত্রের বিবাহের অনুষ্ঠান। আফরান রিহান হাত ধরে দাঁড়িয়ে আছে। মঞ্চের অপর পাশ থেকে গুটিসুটি পায়ে হাজির হলো আনন্দিতা(নূর)। আফরান নূরকে দেখে ভ্রু কুচকে ফেললো। অভিমান করে গাল ফুলিয়ে আছে।

আফরান — আমি ভুটকিকে বিয়ে করব না।

নূর — আমি ভূত না তো। আমি তো নুল।

আফরান — ভূত না। ভুটকি। মানে মোটু। তুমি মোটু। আমি তোমাকে বিয়ে করব না।

নূর রেগে গেল। এতো দিন সে রিহানকে বারণ করেনি আফরানকে চকলেট দিতে৷ কারণ সে ভেবেছিল চকলেট ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য হয়তো ভয় পেয়েছে। কিন্তু এই তো দেখি ঠাডা।

নূর — এই কি বললে?

আফরান — তুমি ভুটকি। আমি তোমাকে বিয়ে করব না।

নূর রেগে তেড়ে গেল। আফরানের কাঁধ ধরে ঝাকাতে লাগলো। আফরান তাল সামলাতে না পেরে উল্টিয়ে পড়ে। নূর গিয়ে তার পিঠের উপর বসল।

নূর — বিয়ে কলবে কি না বল।

আফরান — না। করব না। (কাঁদতে কাঁদতে বলল)

নূর আফরানের পিঠের উপর লাফাচ্ছে৷

নূর — বল। বিয়ে কলবে?

আফরান — হ্যাঁ করব। (চিৎকার করে কাঁদতে)

কি আর নাটক হবে। উপস্থিত সবাই তাদের কান্ড দেখে হাসছে। দুইজন শিক্ষিকা গিয়ে তাদের মঞ্চ থেকে নিয়ে এলো। কাঁদতে কাঁদতে আফরানের হেচকি উঠে গেল। নূর কাঁদো কাঁদো চেহারা বানিয়ে আছে। রিহান দৌড়ে আফরানের কাছে গেল। তা দেখে নূরের রাগ হলো। রিহানের হাত ধরে টেনে নিয়ে নিজের পাশে দাঁড় করালো। রিহান হাত ছাড়িয়ে আবারও আফরানের কাছে গেল। রেগে নূর জুতো খুলে ছুড়ে মারল। উড়ন্ত ফ্লাইং জুতা গিয়ে পড়ল রিহানের মুখে। রিহান চিৎকার করে কাঁদছে। রিহানের কান্নায় আফরানও কেঁদে দিল। মার খাওয়ার ভয়ে নূরও কেঁদে দিল। তিনজনে কান্নায় পুরো স্কুল মাথায় তুলে নিয়েছে।

এরপর থেকে রোজ তাদের মধ্যে ঝগড়া, বিবাদ চলে। রোজ বাসায় তাদের বিরুদ্ধে নালিশ করা হয়।
বার্ষিক পরীক্ষায় রিহান, আফরান ভালো ফলাফল করে পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়। কিন্তু নূর অনুত্তীর্ণ হয়। আফরান রিহান নূরকে নিয়ে হাসাহাসি করে। নূর রাগী দৃষ্টিতে তাকাতেই দুজনেই উল্টো দিকে দৌড় দেয়। তার পরবর্তী বছরেও একই ঘটনা ঘটে। নূর আবারও অনুত্তীর্ণ হয়। পর পর তিন বছর একই শ্রেণিতে থাকার ফলে শিক্ষকরা নূরের অভিভাবককে আসতে বলে।

শিক্ষিকা — দেখুন নূর পর পর দুই বছর একই শ্রেণিতে অনুত্তীর্ণ হয়েছে। রিহান এবং নূর তো ভাইবোন। রিহান এতো ভালো ফলাফল করেছে। তাহলে নূরের এই অবস্থা কেন? আপনি নূরের পড়ালেখার দিকে লক্ষ্য করছেন না।

শাহারা হায়দার — না না। আমি তো নূরের দিকে আরও বেশি ধ্যান দিচ্ছি। কিন্তু….

শিক্ষিকা — তাহলে আমরা উপদেশ দিব আপনি নূরকে স্পেশাল স্কুলে ভর্তি করুন। কারণ নূরের যা অবস্থা আমার মনে হয় না ভবিষ্যতে সে পারবে এগিয়ে যেতে।

শাহারা হায়দার — দেখুন নূর স্পেশাল চাইল্ড নয়। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় এক দূর্ঘটনার শিকার হয়। ফলে তার প্রভাব বাচ্চার উপর পড়ে। জন্মের সময় ডাক্তার জানান সেই প্রভাব নূরের উপর পড়ে। রিহান নূর দুজনেই জমজ হলেও রিহানের তুলনায় নূর ভীষণ দুর্বল। তার মানসিক বিকাশ অব্যাহত হতে সময় লাগবে। কোন কিছু স্মৃতিতে ধারণ করতে অন্যদের তুলনায় বেশি সময় লাগবে। কিন্তু বয়সের সাথে সব ঠিক হয়ে যাবে।

শিক্ষিকা — কিন্তু আমাদের স্কুলের একটি রেকর্ড আছে। সম্মান আছে। পর পর তিন বছর একই ক্লাসে থাকলে স্কুলের রেপুটেশনে….

শাহারা হায়দার — ঠিক আছে। আমি নূরকে অন্য স্কুলে ভর্তি করাবো।

শাহারা রিহানকেও সেই স্কুল থেকে ফিরিয়ে নিতে চেয়েছিল কিন্তু এই স্কুল এখানকার উত্তম স্কুল। তাই তিনি এক সন্তানের জন্য অন্য সন্তানের ভবিষ্যৎ নষ্ট করতে চান নি।
দুই দিন পর আফরান মায়ের হাত ধরে গেইটের বাইরে অপেক্ষা করছে রিহানের জন্য। একটুপর রিহান আসে। কিন্তু আজ তার মধ্যে আনন্দের কোন ছোঁয়া নেই।

আফরান — রিহান ও কোথায়?

রিহান বুঝতে পারলো আফরান নূরের কথা বলছে।

রিহান — আসবে না। আম্মু ওকে অন্য স্কুলে নিয়ে গিয়েছে। ও আর এখানে আসবে না বলেছে। (করুণ স্বরে)

আফরান — কেন আসবে না? রিহান। কেন আসবে না? (ফোঁপাতে লাগলো) আচ্ছা আমি ভুটকি বলছি, মোটু বলছি। তাই? আচ্ছা আমি আর বলব না। কিন্তু ওকে আসতে বল। আসতে বল।

সেদিন আফরান ভীষণ কান্না করেছে নূরের জন্য। প্রতিদিনের চেনা মুখটা যখন হঠাৎ হারিয়ে যায় তখন মনের গহিনে তার শূন্যতা বিক্ষুব্ধ করে। এভাবে বহুদিন আফরান নূরের অপেক্ষায় থাকতো কিন্তু নূর আসতো না। অপরদিকে নূরও কাঁদে। কেন আম্মু তাকে রিহানের সাথে স্কুলে যেতে দেয় না। রিহান যখন তাদের স্কুল এবং আফরানের কথা বলে তখন নূর ডুকরে কেঁদে উঠে। বারবার মাকে প্রশ্ন করে কেন সে রিহানের সাথে স্কুলে যেতে দেয় না। শাহারা রিহান বুঝিয়ে দেয় যাতে করে নূরের সামনে তাদের স্কুল ও আফরানের কথা উল্লেখ না করে। বোনের এমন কষ্ট দেখে রিহানও ধীরে ধীরে সব গুছিয়ে নেয়।
নতুন স্কুলে নতুন মানুষের সাথে পরিচয় হয় নূর।সময়ের সাথে স্মৃতির পাতায় আঁকা ছবি আবছা হয়ে যায়। স্মৃতির অনেকাংশ মুছে যায়। নতুন পরিবেশে খাপ খাওয়াতে পুরনো স্মৃতি মুছে যায়। কিন্তু আফরান স্মৃতির কোটরে গেঁথে রাখে সেই বাল্য বধূ আনন্দিতার প্রতিচ্ছবি। রিহানকে তার বোনের কথা জিজ্ঞেস করলে রিহান এড়িয়ে চলত। কারণ সে নূরের সেই কান্না, সেই কষ্ট দেখেছে। ছোট হলেও রিহানের বুঝ ছিল বড়দের ন্যায়। পর পর আফরানও নূরের ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া বন্ধ করে দেয়।

বহু বছর পর আজ আবারও স্মৃতি কড়া নাড়লো।

_______________________________

বর্তমান,
ওয়াসিম দ্রুত চুইংগাম চিবিয়ে ঠাস করে বাবল ফুটালো। তার পর পর আহিল, ইয়াশও ফুটালো। আরিফ অসহায় ভঙ্গিতে তাকাল তাদের দিকে। এমন উদ্বিগ্ন মূহুর্তে আরিফেরও বাবল ফুটাতে ইচ্ছে করছে। কিন্তু সে তো চুইংগাম নেয়নি। ওয়াসিম, আহিল, ইয়াশ, আরিফ চোখ বড় বড় করে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে রিহানের।

ওয়াসিম — আফরান কেঁদেছে আনন্দিতার জন্য! (বিস্মিত হয়ে)

এবার সবাই ঘাড় ফিরিয়ে পাশে বসে থাকা আফরানের দিকে তাকাল। আফরান নিচু হয়ে মাথা চুলকাতে লাগলো।

আরিফ — আই ডোন্ট বিলিভ দিস। সিরিয়াসলি! আই রিয়েলি ডোন্ট বিলিভ দিস। আমার তো মনে হচ্ছে এই আফরান সেই আফরান এক না।

আহিল — এসব বাদ দে। এই হারামি আমাদের একটিবার জানালোও না। আমাদের বন্ধুত্বের মাঝে কোন সিক্রেট নেই। সবাই সব জানি। তাহলে আফরান আর রিহান এই ব্যাপারটা লুকিয়েছিস কেন?

রিহান — এখানে লুকানোর কি আছে।

আহিল — কি আছে মানে। অনেক কিছু আছে। আফরানের বাল্যপ্রেম কাহিনী আমরা আজ শুনলাম।

আফরান — হোয়াট? বাল্যপ্রেম? আহিল তোর কি মাথা খারাপ? কি যা তা বলছিস।

ওয়াসিম — ছিঃ! আফরান ছিঃ। ছিঃ ছিঃ ছিঃ! তওবা তওবা। ছিঃ ছিঃ ছিঃ! (কান টানা খেল)

আফরান — হোয়াট ছিঃ ছিঃ! তোরা কি পাগল হয়েছিস? যত্তসব। (উঠে জানালার পাশে দাঁড়ালো। গিটার হাতে নিয়ে আনমনে সুর ধরল। চিন্তা ভাবনা স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছে। কিছুই মাথা আসছে না।)

আহিল — রিহান। আমি কিন্তু ভীষণ এক্সাইটেড। আমি আনন্দিতার সাথে দেখা করতে চাই।

আফরানের হাতটি নিশ্চল হয়ে গিয়েছে। তার ধ্যান রিহানের উপর। রিহানের জবাব কি হবে কান খাড়া করে শুনছে। রিহান যেন বিষম খেল। নূর যে বারণ করেছে কাউকে কিছু না জানাতে। তার উপর এই কয়দিন যা ঝামেলা করল। সবাই যখন সত্যি জানবে তখন কি হবে?

ইয়াশ — কি হয়েছে? চল তোর বাসায় যাব। আমিও দেখা করতে চাই।

রিহান — সে তো নেই।

আরিফ — নেই মানে কি? একটু আগেই তো বললি তিন মাস আগেই এসেছে। তাহলে এখন আবার নেই বলছিস কেন? চল।

রিহান — নেই মাঝে বাসায় নেই। মামার বাড়িতে গিয়েছে সবাই। সেজন্যই তো ফোন দিয়েছে।

আফরান কপাল কুচকে গিটার শক্ত করে চেপে ধরল।

আহিল — ওহহ। আচ্ছা ছবি তো দেখতে পারি। ছবি হলে দেখা।

রিহান — নেই। আমার কাছে ওর কোন ছবি নেই।

আফরান — কেমন ভাই তুই? বোনের একটা ছবি পর্যন্ত নিজের কাছে রাখতে পারিস না। (রেগে)

সবাই উত্তেজিত হয়ে আফরানের দিকে তাকিয়ে আছে। আফরান অনেক্ষণ নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল। হঠাৎ মুখ ফসকে বলে ফেলল। যখন বিষয়টি বুঝতে পারল নিজের কাজে লজ্জিত হলো। এদিকে বাকিরা মুখ টিপে হাসছে।

ইয়াশ — আচ্ছা চল সবাই আজ রিহানের বাড়িতে আড্ডা দেয়। আরও কিছু গল্প শুনবো।

রিহান — কেন? আমরা তো সবসময় আফরানের ফার্ম হাউসে আড্ডা দেয়। আজকেও সেখানে চল।

আফরান — না। আই মিন গতকাল রাতেই নাকি ফার্ম হাউসের ট্রান্সমিটার নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সেখানে কাজ চলছে। (ডাহামিথ্যে কথা। আসলে আফরান নিজেই চাই রিহানের বাসায় যেতে।)

ইয়াশ — এবার আর কোন কথা নয়। তুই তো বললি সবাই তোর মামা বাড়িতে গিয়েছে। বাড়ি তাহলে ফাঁকা। চল এবার। খাবারের সব আরিফ ম্যানেজ করে নিবে। আজ রাত তোর বাসায় কাটাবো। এখন যদি নতুন কোন বাহানা করিস তাহলে কিন্তু থার্ড ডিগ্রি দিব। জানিস তো আমাদের থার্ড ডিগ্রি কি?

কি আর করার রিহান শুকনো ঢোক গিলে রাজি হয়ে গেল। কিন্তু বিপত্তি রয়েই গেল। নূর। ভার্সিটির ক্লাস শেষে নূর বাড়ি ফিরবে। তখন কি হবে?

রিহান — তোরা বাইরে অপেক্ষা কর। আমি একটু আসছি।

আফরান — কোথায় যাচ্ছিস?

রিহান — ওয়াশরুমে।

ছেলেরা বাইরে যেতে রিহান তড়িঘড়ি নূরকে ফোন দিল। অস্থির হয়ে এদিক ওদিক পায়চারি করছে। নূর ফোন রিসিভ করতেই বিরামহীন বলতে লাগলো।

রিহান — নূর। তুই কোথায়? বাসায়?

নূর — হ্যাঁ! মাত্রই এলাম। দাদুর কাছে যাচ্ছি ঘরের চাবি নিতে।

রিহান — নায়ায়ায়ায়া।

নূর — আব্বে চিল্লাস কেন?

রিহান — তুই বাসায় যাবি না।

নূর — যাব না মানে। অবশ্যই যাব। এক্ষুনি যাব। লাগবে না চাবি। তালা ভেঙে ঢুকে পড়ব বাসায়। তুই আমাকে থামিয়ে দেখা।

রিহান — আরে শোন। আ..আমি… আ..আমি। আমি আজ বাসায় আসব না। বন্ধুদের সাথে থাকব। কাল সকালে আসব। তুই কি বাসায় একা থাকবি? এক কাজ কর আজ তুই দাদী দাদুর সাথে থাক।

নূর — এক থাকলে কি হবে। বাসায় তো আছি। আমি বাসায় থাকব।

রিহান — তাহলে আমি সবাইকে বলে দিব। তুই আমার বোন। তোর ফ্রেন্ডদেরও বলে দিব।

নূর — অসভ্য অভদ্র নির্লজ্জ বেহায়া খাচ্চোর খাটাশ খবিশ। তুই শুধু একবার বলে দেখ। তারপর দেখবি তোর কি হাল করি।

রিহান ভয়ে ঢোক গিলল। যার জন্য চুরি করছি সেই বলে চোর। ব্যাপারটা এখন তেমনই দাঁড়িয়েছে। নূরের সাহায্য করতে গিয়েই রিহান পড়ল মাইনকা চিপায়। নূর জোর গলায় বললেও মনে মনে সেও ভয় পেয়েছে। যদি সত্যি রিহান বলে দেয়। ফকিন্নি গুলো জান খেয়ে ফেলবে।

নূর — আচ্ছা ঠিক আছে। আমি দাদী দাদুর সাথেই থাকব। তুই খাবি কি? থাকবি কোথায়?

রিহান — আমার চিন্তা করিস না। আর হ্যাঁ তুই কিন্তু বাসায় যাবি না।

নূর — আচ্ছা। (দাঁতে দাঁত চেপে)

.
.
.

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here