#Ragging_To_Loving__2
#পর্বঃ- ৪৩
#রিধিরা_নূর
আফরান বারবার আড়চোখে তার বাবার দিকে তাকাচ্ছে। ভাবছে না জানি তার বাবা তাকে নিয়ে কেমন চিন্তা করছে। শরীফ আহমেদ মনোযোগ সহকারে মঞ্চের পানে তাকিয়ে আছে। আফরান একটু নড়েচড়ে তার বাবার দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছে। যদিও বা তার দিকে তাকায় তাহলে উনাকে বুঝিয়ে বলবেন। কিন্তু তিনি ভাবান্তরহীন এক দৃষ্টিতে সামনে তাকিয়ে আছে।
“বসন্ত এসে গেছে” গান শুরু হতেই বাচ্চারা নাচ শুরু করল। কিন্তু বিপত্তি বাঁধলো, কয়েকজন নার্ভাস হয়ে দাঁড়িয়ে আছে, কয়েকজন ভুল ডান্স স্টেপ দিচ্ছে, কয়েকজন সঠিকভাবে নাচছে। এতে উপস্থিত দর্শকেরা বিরক্ত হয়ে তাদের নামিয়ে দিতে বলল। নূর মন ক্ষুন্ন করে চোখ বুলালো। হাত নেড়ে বাচ্চাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তাদের ডান্স স্টেপ দেখিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু তারা এতটা নার্ভাস হয়ে গিয়েছে নিথর দাঁড়িয়ে আছে। নূর বিষন্ন হয়ে গেল। নাচ বড় কথা নয়। তারা এই প্রথম মঞ্চে উপস্থাপন করছে তাই ভয় হতেই পারে। কিন্তু সবার এমন মন ক্ষুন্ন কথায় তাদের আত্মবিশ্বাস হারিয়ে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে হয়তো সাহস যোগাতে পারবে মঞ্চে উঠার।
আফরান এবং তার বাবা সহানুভূতি দৃষ্টিতে তাদের দিকে তাকিয়ে আছে। আফরান পাশে তাকিয়ে দেখে নূর হতাশ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আফরান বিরক্তি প্রকাশ করে মনে মনে বলল,
আফরান — (ডান্স টিচার এমন হলে নাচ তো এমনই হবে। শুধু পারে লাফালাফি করতে। কে বলেছিল তাকে বাচ্চাদের নাচ শেখাতে। বেচারা বাচ্চারা। কেমন হতাশ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।)
নূর সাত পাঁচ না ভেবে মঞ্চে উঠল। মিষ্টি হাসি দিয়ে বাচ্চাদের দিকে তাকাল। নূরের মিষ্টি হাসি যেন তাদের সাহস জুগিয়ে দিল। গানের মাঝখান থেকেই নাচ শুরু করল। তার পদক্ষেপ অনুসরণ করে বাচ্চারা তাল মিলিয়ে নাচলো।
♪♪♪
গগনের নবনীলে মনের গোপনে
বাজে ঐ, বাজে ঐ, বাজে ঐ
পলাশের নেশা মাখি চলেছি দু’জনে
বাসনার রঙে মিশি শ্যামলে স্বপনে
কুহু কুহু শোনা যায় কোকিলের কুহুতান
বসন্ত এসে গেছে, বসন্ত এসে গেছে……..
♪♪♪
আফরান মন্ত্রমুগ্ধের ন্যায় নিষ্পলক নূরের নৃত্য উপভোগ করল। নূর মঞ্চে উঠার সময় আফরান ভ্রু কুচকে তাকিয়ে ছিল। নাচ শুরু হতেই যেন সে সম্মোহিত হয়ে গেল। মুখ আপনা আপনি হা হয়ে গেল, চোখ দুটো পাথরের ন্যায় স্থির হয়ে নূরের দিকে তাক করছে। এই যেন বসন্তে ময়ূরী নৃত্য দেখছে। মুগ্ধতায় আচ্ছন্ন চোখ দুটো পলক ফেলতেই ভুলে গিয়েছে। কয়েক ঘন্টা এভাবে নিষ্পলক তাকিয়ে থাকলেও যেন চোখ দুটো ক্লান্ত হবে না।
উপস্থিত সকলের হাত তালির শব্দে আফরানের ঘোর কাটলো।
তড়িঘড়ি চোখ নামিয়ে নিল। আড়চোখে তার বাবার দিকে তাকাল। তিনি দেখেননি তো? দেখলে ভাববে একটু আগে নূর যা বলেছে সব সত্যি। ভাবতেই নিজের উপর ক্ষোভ হলো।
নূরের নৃত্য প্রদর্শনের পর আরও দুটি নৃত্য প্রদর্শিত হলো। এরপর অনুষ্ঠান শেষ পর্যায়ে এলো। শরীফ আহমেদ সচরাচর নিজে আয়ের বেশির ভাগ অংশ বিভিন্ন সাহায্য খাতে দান করেন। জাবেদ চাচা উনার সঙ্গে বাচ্চাদের পড়াশোনার ব্যাপারে কথা বললেন। তিনি আশ্বাস দিলেন তাদের পড়াশোনার দায়িত্ব তিনি নিবেন।
পুষ্প,নূর সবাই সেলফি নিতে ব্যস্ত। নূর এবড়োখেবড়ো মুখ বানিয়ে ছবি তুলল। পুষ্প রেগে মাথায় থাপড়ান দিল। ছবি ডিলিট করতে যাবে খেয়াল করল ছবিতে আফরান। চোখ বড় বড় আশেপাশে তাকিয়ে তাকে খুঁজতে লাগলো।
মেহের — কাকে খুঁজছিস?
পুষ্প — ভাইকে। ভাই এখানে কি করছে?
নূর সবে মাত্র মুখে পানি দিয়েছিল। পুষ্পর কথায় বিষম খেল। পানি নাকে উঠে কাশতে লাগলো।
আমরিন — আস্তে আস্তে খা। সবসময় কি এতো তাড়া তোর।
নূরের মাথায় মৃদু থাপড়ান দিচ্ছে৷ গলায় খিচ ধরায় শব্দ করতে পারছে না। নূর স্বাভাবিক হতেই সবাই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল।
দুপুর ১ টার দিকে অনুষ্ঠান শেষ হলো।
অনুষ্ঠান শেষে সবাই চলে যেতে লাগলো। শরীফ আহমেদ পাশ দিয়ে হেটে যেতেই নূরের উপর নজর পড়ল। চঞ্চলতা তার চেহারায় প্রতিফলিত।
পুষ্প — বাবা তুমি? তোমরা এখানে কি করছ?
শরীফ আহমেদ — অনুষ্ঠানের অতিথি হিসেবে এসেছি। তুমি এখানে কি করছ?
পুষ্প — এরা আমার বান্ধবীরা। আমরা শান্তি নিকেতনের পক্ষ থেকে এসেছি।
শরীফ আহমেদ — শান্তি নিকেতন মানে ওই অনাথ আশ্রম?
পুষ্প — হ্যাঁ! আমরা প্রায় সেখানে যায়। আমাদের সাধ্য মতো তাদের সাহায্য করি। তাদের অক্ষর জ্ঞান দেওয়া, প্রাথমিক শিক্ষা দেওয়া এসব ছোট খাট সাহায্য করি।
গর্বে যেন উনার বুক ফুলে গেল। গর্বিত হয়ে বললেন,
শরীফ আহমেদ — আমার মেয়ে একেবারে আমারই মতো হয়েছে।
আড়চোখে আফরানের দিকে তাকাল। যেন তাকে বোঝানোর চেষ্টা করছে সে একজন নিষ্কর্মা। বাবার এমন চাহনির কারণ আফরান বেশ ভালোই বুঝতে পারছে। মুখের উপর কৃত্রিম হাসি ঝুলিয়ে দিল।
নূর হতভম্ব হয়ে আছে। যথাসম্ভব নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা করছে যাতে আফরানের বাবার নজরে না আসে। কিন্তু তা আর হলো কয় পুষ্প একে একে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিল। সর্বশেষে নূরকে টানছে এগিয়ে আসার জন্য কিন্তু নূর আসতে চাইছে না। আলিফা পেছন থেকে ধাক্কা দিল। নূর মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে। কারণ সে একজন বাবার সামনে তারই ছেলের নামে বদনাম করেছিল। না জানি তিনি কি ভাবছেন। এসব ভেবে নূর লজ্জিত হলো। আফরানের বাবা কিছু বলল না শুধু মুচকি হেসে নূরের মাথায় হাত বুলিয়ে দিল। এতে যেন নূরের মনে আশার প্রদীপ জ্বলে উঠল। আফরানের দিকে নজর পড়তেই যেন সেই প্রদীপ ধড়ফড় করতে লাগলো। যেকোন মূহুর্তে ফুস করে নিভে যেতে পারে। আফরানের ধারালো দৃষ্টি দেখে নূর শুকনো ঢোক গিলল। মনে হচ্ছে যেন এক্ষুনি আফরান ফুহ্ দিয়ে সেই প্রদীপ নিভিয়ে দিবে।
আফরানকে উদ্দেশ্য করে তার বাবা বললেন তিনি এখান থেকে অফিসের কাজে যাবে। এটা বলার কারণ আফরান ফেরার পথে পুষ্পকে নিয়ে বাড়ি ফিরে। কড়া নির্দেশ দিয়ে তিনি চলে গেলেন। আফরান হয়ে পুষ্পর দিকে তাকিয়ে বলল,
আফরান — চল।
পুষ্প — উঁহু। আমরা এখন পলোগ্রাউন্ড মাঠ যাব। বসন্ত উপলক্ষে শহরের সবচেয়ে বড় প্রোগ্রাম আয়োজন করা হয়েছে সেখানে। আমরা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা সেখানে এখন যাব।
আফরান — যেতে হবে না। শুনিস নি বাবা কি বলেছে? তোকে নিয়ে বাড়ি ফিরতে।
নূর — এক্সকিউজ মি! পুষ্পকে নিয়ে বাড়ি ফিরতে বলেছে। এক্ষুনি নিয়ে যেতে বলেনি।
আফরান রাগী দৃষ্টিতে তাকাতেই নূর চুপসে গেল।
সিমা — ভাইয়া আপনিও চলুন না আমাদের সঙ্গে। বরঞ্চ আমি ওয়াসিমকে ফোন করি। সবাই একসাথে ঘুরবো।
বলতে দেরি ফোন করতে দেরি নেই। আফরানের উত্তরের অপেক্ষা না করেই ওয়াসিমকে জানিয়ে দিল। ওয়াসিম এক পায়ে খাড়া যাওয়ার জন্য। যেখানে আমরিন সেখানেই আহিল। এই নীতি অনুসরণ করে আহিলও রাজি হলো।
প্রায় আধ ঘন্টা পর ছেলেরা এসে উপস্থিত হলো। সবাই একসাথে বাসের টিকেট কেটে রওনা দিল। বিশ মিনিটের রাস্তা। পুরো রাস্তায় হৈ-হুল্লোড় করছে। বাকি যাত্রীরা অবাক হয়ে তাদের কার্যকলাপ দেখছে। এই যেন সবাই দল বেঁধে ভ্রমণে যাচ্ছে।
নূরের হৈচৈ এ আফরান বেশ বিরক্ত হচ্ছে। কিন্তু পরক্ষণে বেশ ভালো লাগছে।
গন্তব্যে পৌঁছে নূর সবাইকে টেনে হিছড়ে খাবারের কাউন্টারে নিয়ে গেল। সকালে অনুষ্ঠানের কাজে এতো ব্যস্ত ছিল খাওয়ার সময় পেল না। এখন ক্ষুধার যন্ত্রণা সহ্য করতে পারছে না। ভীড়ও কম না। অসংখ্য মানুষের সমাগম। সকলে আপ্লুত হয়ে উপভোগ করছে। একটি বড় টেবিলে বসল সবাই। একপাশে সারিবদ্ধ হয়ে ছেলেরা বসল, তাদের মুখোমুখি হয়ে মেয়েরা বসল।
নূর — হায়! পোলাডা এত্তো কিউট কেন? মন ধরে চিবিয়ে খেয়ে ফেলি। (মৃদুস্বরে)
আফরান নূরের মুখোমুখি বসায় সব শুনতে পেল। নূরের এমন কথা শুনে ভ্রু জোড়া কুচকে গেল। নূরের দৃষ্টি অনুসরণ করে সেদিকে তাকাল। দুজন সুদর্শন যুবক দাঁড়িয়ে আছে। তাদের মধ্যে একজন শ্যামলা, অপরজন ফর্সা। আফরানের ভ্রু কুচকে ফর্সা ছেলেটির দিকে তাকিয়ে আছে।
আফরান — (নিশ্চয় নূর এই ছেলেকে দেখে এমন মন্তব্য করছে।)
নূর — হায় ইচ্ছে করছে গিয়ে গাল দুটো টেনে দিই।
নূরের এমন মন্তব্য আফরানের কাছে অশোভন মনে হলো। নূরের দিকে হালকা ঝুঁকে বসল। নূর চমকে আফরানের দিকে তাকাল। আফরান ফিসফিসিয়ে বলল,
আফরান — তোমাকে দেখে এখন আমার কেমন মনে হচ্ছে জানো? মনে হচ্ছে কোন এক বখাটে ছেলে মেয়েদের ইভটিজিং করছে। সো চিপ কমেন্ট। (বলে পুনরায় দূরত্ব রেখে বসল।)
নূরের মুখ হা হয়ে গেল। নূর আফরানের দিকে ঝুঁকে বসল। ফিসফিসিয়ে বলল,
নূর — আপনি বখাটে, আপনার বউ বখাটে। আর এখানে চিপ বলার কি আছে। কিউটকে কিউট বলব না তো কি বলব শুনি? চিপ আমি না আপনি। এমন কিউট পোলাকে নিয়ে ইভটিজিং এর সাথে তুলনা করছেন। হুহ্! হায় গাল দুটো….। গাল তো নয় যেন কলকাতার রসগোল্লা। ইচ্ছে করছে চেপে ধরে চুমু খাই।
আফরান বিষম খেয়ে কাশতে লাগলো। আরিফ তড়িঘড়ি পানির বোতল এগিয়ে। আফরান ঢকঢক করে পান করল। কিন্তু নূর কোন ভাবান্তর করল না। আফরান ভাবছে কেমন নির্লজ্জ মেয়ে। একটি ছেলেকে নিয়ে এমন অশ্লীল মন্তব্য করছে। নূরের এমন রূপ দেখে আফরান রীতিমতো অবাক। নূর ভাবলেশহীন তাকিয়ে আছে। না চাওয়া স্বত্তেও বারবার আফরানের চোখ সেদিকে যাচ্ছে। নূরের এমন কার্যকলাপে তার ভীষণ রাগ হচ্ছে। পানির বোতল শক্ত করে চেপে ধরল। ফলাফল বোতল চেপ্টা হয়ে পানি সব বেরিয়ে পড়ল। রিহান, পুষ্প সবাই অবাক হলো আফরানের কাজে। প্রশ্ন করলে কিছু না বলে এড়িয়ে গেল। কিন্তু সেদিকে নূরের ভাবান্তর নেই। সে তাকিয়ে আছে বাইরে। নূরকে বেখেয়ালি দেখে সিমা কুনুই দিয়ে খোঁচা দিল।
সিমা — কি রে বাইরে কি দেখিস?
নূর — ওই কিউট পোলারে।
ইশারায় দেখাল। সবাই সেদিকে তাকাল। আফরানের রাগ সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। সিমা মাথায় হাত দিল।
সিমা — তুই শুধরোবি না।
নূর — তোরা থাক। আমি গিয়ে ওরে চুইম্মা আসি।
নূরের এমন সোজাসাপ্টা কথায় আফরান চোখ বড় বড় করে তাকাল। সবার সামনে এভাবে নির্লজ্জের মতো কি বলছে এসব?
রিহান — চুইম্মা আসি মানে! কারে চুমাবি? (অবাক হয়ে)
নূর কোন উত্তর না দিয়ে বেরিয়ে এলো। সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে নূরের যাওয়ার পানে।
আফরান — এই মেয়ের কি মাথা খারাপ? পাবলিক প্লেসে এসব কি করতে যাচ্ছে। আর তোরা-ই বা ওকে আটকাচ্ছিস না কেন?
সিমা — আরে ভাইয়া ও এমনই। যেখানেই….
সিমার কথা সম্পূর্ণ হওয়ার পূর্বেই আফরান ছুটলো নূরের পিছে তাকে থামাতে। বের হতেই দেখে নূর ছেলেটির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আফরান হাত মুষ্টি বদ্ধ করল, চোয়াল শক্ত করে, কপালের রগ ফুলে আছে। আফরান হেচকা টান দিয়ে নূরকে পিছিয়ে নিল। চোয়াল শক্ত করে শীতল কণ্ঠে বলল,
আফরান — তোমার কি মাথা খারাপ? কি করছ এসব? এটা পাবলিক প্লেস।
নূর — তো?
আফরান — তো মানে! কি এমন দেখেছ এই সাদা ব্রয়লার মুরগির মধ্যে যে ওকে…. (মুখ ফিরিয়ে নিল)
নূর সরু দৃষ্টিতে তাকাল। একবার আফরানের দিকে একবার পাশে।
নূর — বয়লার মুরগি? এমন কিউট একটা ছেলেকে আপনি ব্রয়লার মুরগি বলছেন? সেই যায় হোক আপনার মতো বিলাতি বক না। দেশি মুলার চামড়া। হুহ্!
নূর যেতে নিলে আফরান তার হাতের কব্জি চেপে ধরে। নূর যথাসাধ্য হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করছে কিন্তু আফরান আরও শক্ত করে চেপে ধরল। ততক্ষণে বাকিরাও হাজির হলো।
পুষ্প — ভাই ছেড়ে দাও ওকে। যতক্ষণ না সে ছেলেটাকে চুমু দিবে ততক্ষণ তার পিছে পিছে ঘুরতেই থাকবে।
আফরানের অবাক হওয়ার সীমা চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেল।
আফরান — আর ইউ সিরিয়াস? তোর মাথাও কি গেছে? হোয়াটস রোং উইথ ইউ?
সিমা — নে খা চুমু। লুচ্চা মাইয়া।
নূর ঝাড়া দিয়ে হাত ছাড়িয়ে নিল। আফরান অবাক হয়ে তাকিয়ে দেখে নূর এক-দেড় বছরের ছোট পিচ্চি ছেলেকে কোল নিল। গুলুমুলু গাল গুলো টেনে দিচ্ছে। গালে চুমু খেলে বলল,
নূর — হায়! গাল গুলো কত তুলতুলা। ইচ্ছে করছে চিবিয়ে খেয়ে ফেলি।
আফরান — কি হচ্ছে এসব? (অবাক হয়ে)
আলিফা — কি আর হবে। গুলুমুলু ছোট বাচ্চা দেখলেই নূর এমন করে।
.
.
.
চলবে