#Romantic_Devil🌼
#Imtihan_Imran
10.
” সিনহা আমি ডুবে যাচ্ছি। সিনহা ডুবে যাচ্ছি আমি।
” আপু এটা কী ডেয়ার দিলি? ভাইয়া তো ডুবে যাচ্ছে।
সিনহার মুখে ঘাম জমে গেছে।ইমরান ডুবে যাচ্ছে কথাটা কানে শোনা মাত্রই, সে কিছু না ভেবেই পুকুরে ঝাঁপ দেয়।
সিনহা,ইমরানের কাছে এসে দেখে ইমরান হেসে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। কোথায় তার ডুবে যাচ্ছি বলে চিৎকার করা? কোথায় তার ডুবে যাওয়া?
ইমরানের হাসি দেখে সিনহার ইতিমধ্যে বুঝা হয়ে গেছে ইমরান ডুবে যাওয়ার নাটক করেছে।
” সিনহা গাধী, তুই জানিস না, আমি যে সাঁতার জানি।?
সিনহা কিছু না বলে পুকুর থেকে উঠে বাসায় চলে যায়।
” আরে কোথায় যাচ্ছিস? কিছু তো বলে যা।
!¡!
ইমরান বাসায় এসে সিনহাকে খুঁজে। বাসার ভিতরে কোথাও সিনহাকে দেখতে পায়না।
” আরে, এই মেয়েটা কোথায় গেলো? ছাদে গিয়ে দেখি।
ইমরান ছাদে উঠে দেখে সিনহা আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে।ইমরান শব্দ না করে হেটে সিনহার পিছনে এসে দাঁড়ায়।
” ঘাড় ব্যাথা হয়ে যাবে।
ইমরানের কন্ঠ শুনে সিনহা পিছনে ঘুরে তাকায়।
সিনহা কিছু না বলে পাশ কেটে চলে যেতে চাইলে, ইমরান সিনহার হাত চেপে ধরে।
” কী হয়েছে সিনহা? আমি তোর সাথে কথা বলছি। আর তুই পাশ কেটে চলে যাচ্ছিস।
” আমার তোর সাথে কোনো কথা নাই।
ইমরান, সিনহাকে টান দিয়ে ছাদের দেওয়ালের সাথে চেপে ধরে নিজের দুই হাত সিনহার দুই পাশে রেখে সিনহাকে আটকে রাখে।
” কী সমস্যা তোর? আমাকে বল।
” আমার কোনো সমস্যা নাই, আমি ঠিক আছি।
সিনহা কথাটা আরেকদিকে তাকিয়ে বলল। ইমরান এক হাত দিয়ে সিনহার থুতনি ধরে নিজের দিকে ফিরালো।
” সিনহা, আমার কিন্তু খুব রাগ হচ্ছে এখন।
সিনহা হাত দিয়ে ইমরানের বুকে ধাক্কা দেয়।
” আরে এমন করছিস কেনো,তুই?
” তুই তখন আমার সাথে এমন নাটক করলি কেনো? আমি যে ভয় পেয়েছি, জানিস তুই? না তুই তো জানবি না। তুই তো নাটকই করবি সবসময়। এখন এসেছিস, আমার সাথে রাগ দেখাতে। থাক তুই তোর রাগ নিয়া।
সিনহা রেগে কথাটা বলে পাশ কেটে চলে যেতে চাইলে, আবারও ইমরান সিনহার হাত ধরে আটকায়। এক টান দিয়ে সিনহাকে নিজের বুকে নিয়ে আসে। সিনহা, ইমরানের কাছ থেকে ছুটতে চাইলে, ইমরান ধমক দিয়ে উঠে।
” এমন তিড়িংবিড়িং করছিস কেনো? তোর বয়ফ্রেন্ড লাগি আমি? যে এভাবে তিড়িংবিড়িং করলে আমি তোকে ধরে রাখবো।
” তোকে কে বলছে ধরে রাখতে ছাড় আমাকে। ছাড়!
” যা ছেড়ে দিলাম।
ইমরান, সিনহাকে ছেড়ে দেয়। সিনহা ছাড়া পেয়ে হাটা ধরে।
” শোন মারিয়াকে ছাদে পাঠিয়ে দিস। ওর সাথে কিছুক্ষণ গল্প করবো।
ইমরানের কথা শুনতেই সিনহার হাটা বন্ধ হয়ে যায়। সে ইমরানের দিকে তেড়ে এসেই ঝটপট ইমরানের বুকে কিল ঘুষি বসিয়ে দেয়।
” আরে মেরে ফেলবি নাকি?।
সিনহা জবাব না দিয়ে আরেকটা কিল দিয়ে হনহন করে হেটে চলে যায়। ইমরান দাঁড়িয়ে হাসছে। মেয়েটাকে জ্বালাতে ভালোই লাগে তার কাছে।
!¡!
!¡!
পরেরদিন ইমরান ঘুম থেকে উঠলে সিনহাকে খুঁজে পায়না। সিনহা নাকি জরিনা বানুকে নিয়ে রাস্তায় হাটতে বের হয়েছে। ইমরানও মারিয়া,চাচাকে নিয়ে হাটতে বের হয়।
সিনহা হাটতে হাটতে অনেকটা পথ চলে এসেছে।
” আপা আর হাটতে পারতেছি না,চলেন ফিইরা যাই।
” আচ্ছা চলো।
” আরে সুন্দরী সিনহা গ্রামে এসেছে.।পেয়েও গেলাম তাকে।
চেয়ারম্যানের ছেলে ও তার একটা বন্ধু সিনহার পথ আটকে দাঁড়ায়।সিনহা, কাশেমকে দেখে ভয় পেয়ে যায়। এই ছেলে আগে তাকে খুব টিজ করতো। শহরে গিয়ে এই ছেলের অত্যাচার থেকে সিনহা রক্ষা পেয়েছে। এখন আবার কেনো দেখা হতে গেলো এর সাথে? সিনহা পাশ কেটে চলে যেতে চাইলে কাশেমও সামনে গিয়ে দাঁড়ায়।
” সমস্যা কী তোর? সামনে থেকে সরে দাঁড়া বলছি।
” উঁহু আগেরবার ফাঁকি দিয়ে চলে গেলি। এবার আর যেতে দিচ্ছি না।
এই কথা বলে কাশেম, সিনহার এক হাত চেপে ধরে সিনহাকে টেনে হিচড়ে জঙলের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল।
” শয়তান পোলা ছাড় আপারে।
জরিনা বানু বাধা দিতে এলে,তাকে এক ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। জরিনা বানু উঠে আবার বাধা দিতে গেলে কাশেমের সাথের ছেলেটা জরিনা বানুকে থাপ্পড়ের উপর রাখে।
এই দিকে কাশেম সিনহাকে নিয়ে জঙ্গলের ভিতর চলে যায়। সিনহার চিৎকার করে সাহায্য চাচ্ছে। মনে মনে আল্লাকে ডাকছে সে। এমন সময় ডাক পড়ে।
” সিনহা.।
কাশেম দাঁড়িয়ে যায়। সিনহা তাকিয়ে দেখে ইমরান,সাথে মারিয়া ও চাচাও আছে। সিনহা দেহে প্রাণ ফিরে পায়।
ইমরান কিছু বলতে যাবে, চাচা ইমরানকে হাত দিয়ে থামিয়ে দেয়।
” ভাতিজা থাম তুই।এই বাচ্চা পোলার ইয়া বড় কলিজা। ও আমার ভাতিজিকে টাচ করে। আজকে ওরে খাইছি। লুঙ্গি দিয়া গিট্টু দিয়া মাইরালাইম ওরে।
চাচা কথাটা বলেই নিজের লুঙ্গি খুলে ফেলে। ইমরান হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। জরিনা বানুর এই অবস্থায়ও কপালে হাত চলে যায়।
” ইয়া আল্লাহ, এখানেও চাচা লুঙ্গি খুলি ফালাইছে।
চলবে…
~ ইমতিহান ইমরান।