#Romantic_Devil🌼
#Imtihan_Imran
21.
চাচার কথা শুনে জরিনা বানু ভিষম খায়।
” তবা তবা, ওমা চাচা আন্নে এগিন কি গজবের কথা কন? চাচি লুঙ্গি পইড়বো কিল্লাই?
দেখছিন নি ভাইজান, চাচা এগিন কী কয়? চাচা কি হাগল হই গেছে নি.?
” বেশি কথা বলিস না জরিনা বানু। তুই কিন্তু বেশি কথা কইয়া ফালাইতেছস।যা নিজের কাজে যা।
” আমনের কান্ড কারখানা আর কিছু ভালো ঠেকছে না। কি যে সামনে হইবো,আল্লাহ’ই জানে।
জরিনা বানু নিজে নিজে বিরবির করে চলে যায়।
!¡!
আজকে ইমরান অফিসে যায় নি। আয়ানের বিয়ে আজকে।সবাই বিয়েতে যাবে।
” বউ থাকা স্বত্বেও প্রতিদিন একা একা গোছল করা লাগে। সিনহা, বল তো এটা কি, কোনোভাবে মানা যায়.?
ইমরানের কথা শুনে সিনহা কি উত্তর দিবে ভেবে পাচ্ছে না। সে ভ্রু উঁচিয়ে ইমরানের দিকে তাকিয়ে আছে।
” কী..?
” বউয়ের সাথে গোছলের সম্পর্ক কী? বুঝলাম না।
এখানে মানা আর না মানার কী আছে?
” উফ সিনহা? বাচ্চা একটা মেয়েকে বিয়ে করেছি মনে হয়। কিছুই বুঝে না।
” কী বুঝবো?
” গোছল আর রোমান্স দুইটাই একসাথে করবো। বুঝছো?
” আপনার মাথায় সবসময়ই এসবি চলে। লুচু একটা। আসলেই লুচু।
” লুচু হই আর যাই হই, কথা বলে সময় নষ্ট করতে চাই না। চলো।
” চলো মানে? কোথায় যাবো?
” কোথায় আবার? গোছল করবো একসাথে।
” এই তোমার লজ্জা শরম না থাকতে পারে। কিন্ত আমার আছে।
” জামাইয়ের কাছে এতো লজ্জা শরম রাখতে নেই। পরে বাচ্চা হবে না।( চোখ টিপ দিয়ে)
” তোমাকে আমি…
সিমহা বিছানা থেকে বালিশ নিয়ে ইমরানকে মারতে থাকে। মার থেকে বাঁচানোর জন্য ইমরান পালাতে থাকে।
” আরে এই মেয়ে এতো মারছো কেনো?
” মারবোই তোমাকে। সবসময় আমাকে লজ্জা দেওয়া।
ইমরান পালাতে পালাতে বিছানার উপর পড়ে যায়। সিনহা মারতে এলে ইমরান টান দিয়ে সিনহাকে নিজের উপর আনে।
তারপর সিনহাকে ঘুরিয়ে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে নিজে সিনহার উপর এসে ভর দেয়।সিনহার দুই হাত বিছানায় চেপে ধরে।
” কি সুন্দরী? অনেক তো মারছো? এভার আমার পালা।
” তোমার পালা মানে? কী করবা তুমি?
” রিভেঞ্জ নিবো আমি। তবে আমি মারের বদলে ভালোবাসা দিবো।
ইমরান এই কথা বলে সিনহার ঘাড়ে মুখ ডুবায়। সিনহা শিউরে উঠে চোখ বন্ধ করে ফেলে। ইমরান, সিনহার ঘাড় থেকে মুখ সরিয়ে সিনহার গালে চুমু খেয়ে উঠে আসে। সিনহার হাত ধরে সিনহাকে বিছানা থেকে উঠায়।
” আমার হাত ছেড়ে দিয়ে গোছল করতে যাও।
” বড্ড বেশি সময় নষ্ট করছো।
ইমরান, সিনহাকে কাঁধে তুলে নেয়।
” আরে পাগল হয়ে গেছে এই ছেলে.।
” চুপ।
ইমরান, সিনহাকে নিয়ে ওয়াশরুমে ভিতর প্রবেশ করে। ঝর্ণার সামনে দাঁড়িয়ে সিনহাকে নিচে নামায়।
সে ঝর্ণা ছেড়ে দিতেই পানি পড়ে দুজনকে ভিজিয়ে দিতে থাকে।
পানি ঠান্ডা হওয়ায় সিনহার শীত শীত অনুভূতি হয়। তার শরীর হালকা কাঁপছে। ইমরান, সিনহার দুই গালে হাত দিয়ে সিনহার মুখ উপরে তুলে। ইমরানের মুখ আছড়ে পানি সিনহার মুখে এসে পড়ছে।
সিনহার নেশা পেয়ে বসে ইমরানকে। সে দেরি করে না নেশায় আসক্ত হয়ে সিনহার গলায় ঘাড়ে অজস্র চুমুতে ভরিয়ে দিতে থাকে। ইমরানের এমন পাগলামি ভালোবাসায় সিনহাও পাগল হয়ে যাচ্ছে। সেও ইমরানের বুকে চুমুর খেলায় মেতেছে।
ইমরান, সিনহাকে ঘুরিয়ে সিনহার জামার চেইনে হাত দেয়। আস্তে আস্তে চেইন খুলতে থাকে। সিনহার মসৃন পিঠে সে মুখ ডুবায় সিনহা কেঁপে উঠে। সে ঘুরে ইমরানের বুকে মুখ লুকায়।
ইমরান সিনহার মুখে তুলে দুজনের কাঁপাকাঁপা ঠোঁট এক করে দেয়।
!¡!
সিনহা ড্রেসিং টেবিলের সামনে বসে তোয়ালে দিয়ে চুল শুকাচ্ছে। ইমরান যে সিনহার দিকে তাকিয়ে হাসছে। তা সিনহা আয়নায় দেখছে।
” কি এতো হাসি কেনো?
ইমরান, সিনহার পিছনে এসে দাঁড়ায়। সিনহার থেকে তোয়ালে নিয়ে চুল মুছে দিচ্ছে
” অনেক ভালোবাসা পেয়েছি আজকে। তাই অনেক আনন্দ লাগছে।(হেসে)
সিনহাও লজ্জামিশ্রিত হাসি দেয়।চুল মুছা শেষ হলে ইমরান, সিনহার গালে চুমু দিয়ে রুম থেকে বের হয়ে যায়।
!¡!
” চাচা আজকেও নিশ্চয় তুমি লুঙ্গি পড়ে বিয়েতে যাবা?
” লুঙ্গিই তো পড়ুম। এটা আবার জিজ্ঞেস করা লাগে?
” তুমি আর ঠিক হলে না। সোহাগী বেগম তোমারে যদি একটু ঠিক করতে পারে।
” আমি ঠিকই আছি। আমার লুঙ্গি পড়া নিয়া তোমাগো চিন্তা করতে হইবো না।।
” তোমারে নিয়া তো চিন্তা করতেছি না। তোমার যে লুঙ্গি খুইলা যায়। ওইটা নিয়াই চিন্তা করতেছি।
” আজকে খুলবো না। আজকে ভালা করি গিট্টু দিয়া রাখমু।
” দেখা যাবে।
!¡!
ইমরান রুমের দরজায় এসে দেখে ভিতর থেকে দরজা লক করা।
” সিনহা.. দরজা বন্ধ করলে কেনো?
” পরে আসুন। আমি এখন ব্যস্ত।
” সিনহা সবাই রেডি হয়ে বসে আছে। আমাকে রেডি হতে হবে। তুমি দরজা খোলো, দেখি কী ব্যস্ত তুমি।
ইমরানের জোরাজোরিতে সিনহা দরজা খুলতে বাধ্য হলো। ভিতরে প্রবেশ করে সিনহার অবস্থা দেখে ইমরান ভ্রু কুচকায়। সিনহা শরীরে শাড়ি পেঁচিয়ে নিয়েছে।
” এই অবস্থা কেনো?
” শাড়ি পড়ার চেষ্টা করতেছি। পারছি না।😒
” শাড়ি একটা পড়তে পারো না। এইদিকে আসো আমি পড়িয়ে দিচ্ছি।
” আপনি শাড়ি পড়াতে পারেন?
” সব পারি আমি।
সিনহা, ইমরানের কাছে আসতেই ইমরান সিনহার শরীর থেকে শাড়ি টা টান দিয়ে খুলে ফেলে। ইমরান,সিনহার উপর থেকে নিচে একবার চোখ বুলিয়ে নেয়।
” লুচু একটা।
ইমরান হেসে সিনহাকে শাড়ি পড়িয়ে দিচ্ছে। কুচি গুলো ভাজ করে সিনহার নরম মসৃন পেটে গুজে দেয়। সিনহা আবেশে চোখ বন্ধ করে নেয়। ইমরান, শাড়ির আঁচল একপাশ করে সিনহার সাদা মসৃণ পেটে চুমু খায়। সিনহা কেঁপে উঠে একটু সরে যায়।
ইমরান আঁচল ঠিক করে দিয়ে উঠে দাঁড়ায়। ইমরান সিনহার শাড়ির সাথে ম্যাচিং করে পাঞ্জাবী পড়ে। সিনহা নিজের হাত দিয়ে, তার ডেভিলের চুল গুলো ঠিক করে দেয়। দুজনে হাত ধরে রুম থেকে বের হয়।
!¡!
চাচা লুঙ্গি পড়েই নিচে নেমেছে। তা দেখে জরিনা বানু নিজের কপাল থাপড়ায়।
” চাচা আন্নে লুঙ্গি খুলি প্যান্ট পড়ি আইয়েন, যান। বিয়া বাড়িতে লুঙ্গি খুলি আমগো মান ইজ্জত ডুবাইয়েন না।
” লুঙ্গি খুইলতো নো জরিনা বানু, তুই টেনশন লিস না।
” না চাচা আমি আন্নেরে বিশ্বাস করতে পাইত্তেছিনা। আন্নে যান লুঙ্গি খুলি আইয়েন। না হইলে আইজকাও বিয়া বাড়িতে লুঙ্গি খুলি বিরাট কেলেংকারী হই যাইবো।
চলবে…
~ ইমতিহান ইমরান।