Romantic_Devil পাঠ-৩

#Romantic_Devil🌼
#Imtihan_Imran
03.

ইমরানের কথা শুনে সিনহা খুশিই হয়। সে বলে,

” একটা না দুইটা করতে হবে।

” সমস্যা নেই, আপনি বলেন।

” প্রথমত এখন কান ধরে উঠবস করতে হবে।
দ্বিতীয়ত বিকালে আমাকে নিয়ে ঘুরতে যেতে হবে।

সিনহার কথা শুনে ইমরান হা হয়ে যায়। এই মেয়ে পাগল হয়ে গেছে। তাকে কান ধরে উঠবস করতে বলছে।

“সিনহা, কী বলছিস?🙄আমি কান ধরে উঠবস করবো? সিনিয়রের প্রতি তোর দেখি কোনো রেস্পেক্ট’ই নাই। এতো অধঃপতন হয়েছে তোর?

” হুম করবি। চোখ এরকম করার কী আছে? শুধু কান ধরেই তো উঠবস করতে বলছি। ভয়ানক কিছু বলি নাই।

” আমি তোর সিনিয়র সিনহা.।

” এ্যাঁ আসছে সিনিয়র, সিনিয়র যখন জুনিয়র কে রাস্তায় একা ফেলে চলে যায়, তখন সিনিয়রের মনে থাকে না রেস্পেক্ট পাওয়ার কথা।

” ফর ইউর কাইন্ড ইনফরমেশন তোমার একটা কথাও শোনা হবে না। তাই অযথা ফটর ফটর করিস না।

” শুনতে হবে না তোর। যা তো আমার সামনে থেকে।

এই কথা বলে সিনহা ইমরানের দিকে পিঠ দিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়ে।ইমরান আর উপায় না দেখে বলে,

” ( কিছু হলে গাল ফুলিয়ে রাগ করে বসে থাকে। এই একটা জিনিস এই মেয়েটা খুব ভালোই পারে)

কান ধরে কি উঠবস করতেই হবে?

” (এইতো চান্দু লাইনে আসছে। আমি তো জানি এই সিনহা গাল ফুলিয়ে বসে থাকলে,ইমরান তার কথা শুনবেই)

হ্যাঁ করতেই হবে।

” আচ্ছা করবো। কিন্তু আজকে বিকালে তোকে ঘুরতে নিয়ে যেতে পারবো না।

এই কথা শুনে সিনহা শোয়া থেকে বিছানায় লাফিয়ে উঠে,

” কেনো?

” বিকালে ফুটবল ম্যাচ আছে আমার। খেলতেই হবে।

” না না ফুটবল খেলতে হবে না। ফুটবল খেলতে গিয়ে হাত পা ভেঙে বসে থাকিস।

” না ভাঙবো না।

” ভাঙবি তুই জানি আমি। আগেও একবার পায়ে ব্যাথা নিয়ে এক সপ্তাহ রুমে বসে ছিলি,পরে আমার সেবা করতে হয়েছে।

” এবারও সেবা করবি।তাই তো নিশ্চিন্তে খেলতে যাচ্ছি।

” আমি কি তোর কাজের লোক হ্যাঁ? বিয়ে করতে বলছি তখন তো রিজেক্ট করে দিলি? তোর বউ বানা আমাকে, তাহলে তো সেবা করি।

” এই তোর লজ্জা শরম নাই ?বারবার বিয়ে বিয়ে করে মরছিস।

” না আমার লজ্জা শরম নাই।তুই খেলতে যা, বা মর আমার কী? আমি আর কিচ্ছু বলব না। এখন আপাতত কান ধরে উঠবস কর।

” আমি মনে করেছিলাম, ভুলে গেলি।🙂

” না ভুলি নি। শুরু কর।

ইমরান,সিনহার সামনে কান ধরে উঠবস করছে। আর সিনহা তা দেখে মজা মারছে।

” হইছে ভাইয়া আর উঠবস করতে হবে না। তোর কষ্ট দেখে আমারো কষ্ট লাগতেছে।

ইমরান, সিনহার কাছে এসে দুই হাত দিয়ে সিনহার দুই গাল টিপে দিয়ে বলে,

” হইছে তোমারে আর দরদ দেখাতে হবে না।

” আউচ…এটা কী হলো?😦

ইমরান জবাব না দিয়ে রুম থেকে বের হয়ে যায়। সিনহা চিৎকার দিয়ে বলে,

” ওই ভাইয়া,ওই সাইয়া এইটা কী হলো.?

|

ইমরান, সিনহার রুম থেকে বের হতেই চাচার সামনে পড়ে।ইমরান পাশ কেটে চলে যেতে চাইলে চাচা সামনে এসে দাঁড়ায়।

” কী,সমস্যা কী?

” কালকে যে তোর চাচীরে দেখতে যাইয়ুম মনে আছে?

” মনে আছে,আর ওইটা চাচী না তোমার জন্য পাত্রী দেখতে যাবো।বিয়ার জন্য দেখি একেবারে উঠেপড়ে লাগছো?

” অনেকদিন হইছে বিয়া করিনা৷ তাই মাইয়া দেখার ফিলিংস হচ্ছে।

” হইছে থাকো তুমি তোমার ফিলিংস নিয়া, এবার সামনে থেকে সরে দাঁড়াও।

চাচা সামনে থেকে সরে দাঁড়ালে,ইমরান নিজের রুমের দিকে পা বাড়ায়।

‌___

সন্ধ্যার পর ইমরান বাসায় ফিরে আসে। তবে স্বাভাবিক ভাবে না,পায়ে ব্যান্ডেজ নিয়ে খুড়িয়ে খুড়িয়ে হেটে এসে হাজির। হাটতেও পারছে না ঠিকভাবে।

সবাই ড্রয়িংরুমেই ছিল,ইমরানকে এভাবে খোড়াতে দেখে সিনহা চিল্লাপাল্লা শুরু করে দেয়।

” দেখো ফুফি দেখো ফুফু তোমাদের ছেলে আজকেও পা ভেঙে এসেছে। আজকে যদি ওর আরেক পা তুমি ভেঙে না দেও তাহলে আমিই ওর আরেক পা ভেঙে দিবো।

কতোবার মানা করছি খেলতে না যেতে, বলে কিনা আমার কিছু হবে না। এখন ঠিকি ভাঙা পা নিয়ে আমাদের দেখাতে আসছে।

” এই তুই চুপ থাক তো। পা ভাঙছে কখন দেখলি?পা ভাঙলে তো হেতে এতোক্ষনে হাসপাতালে থাকতো, বাসায় বইসা এসির বাতাস খাইতো না। মাইয়া বেশি কথা বলস,এতোই যখন হেতের লাগি দরদ লাগে,তো হেতেরে কোলে নিয়া বইসা থাকতে পারস না?বাইরে যাইতে দেস ক্যান?

চাচার কথা শুনে সিনহার অবস্থা,

” 😦😦।

চাচা তুমি তোমার ভাতিজারে কথা না শুনাইয়া, আমারে শুনাইতেছো?

” কথা শোনানোর দরকার কী? পা ভাঙলে, ভাঙুক। পা একবার ভাঙবে, আবার জোড়া লাগবে। আবার ভাঙবে,আবার জোড়া লাগবে। এই আর এমন কী?

এমন সময় জরিনা বানু মুখ খুলল,

” হ পা তো ঠিকি জোড়া লাগবো,কিন্তু আমনের লুঙ্গির গিট্টুর জোড়া কোনোদিন লাগবে না। ওই লুঙ্গি খুলতেই থাকবো।😐

চলবে…

~ ইমতিহান ইমরান

সবাই পেইজে লাইক বা ফলো দিয়ে গল্পের সাথে থাকবেন আশা করি❤️

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here