THE BOOK পর্ব-২০

0
667

#THE_BOOK

#পর্ব_২০

#Ishita_Rahman_Sanjida(Simran)

রাতের আঁধার কেটে আলো এসে পড়েছে পৃথিবীর বুকে। ঘন গাছগাছালির ফাক দিয়ে সরু হয়ে সূর্যের আলো এসে রা’দের মুখের উপর পড়তেছে। সাথে সাথে রা’দের চোখটা কুঁচকে এলো। টিপটিপ করে চোখের পাতা খোলার চেষ্টা করলো কিন্তু পারছে না। এতোই ভারি হয়ে এসেছে চোখের পাতা যে খোলাই যাচ্ছে না। অনেক কষ্টে চোখ খুলতে সক্ষম হলো। দেখলো যে উপর হয়ে পাতার স্তুপের মধ্যে শুয়ে আছে। চোখের সামনে সবটাই ঝাঁপসা দেখছে। রা’দ অনেক কষ্টে উঠে বসলো। মাথায় প্রচন্ড ব্যথা হচ্ছে তার তাই দুহাতে মাথা চেপে ধরে। মাথায় আঘাত খাওয়ার কারণে অনেকখানি কেটে গেছে। রক্ত ও বেরিয়েছে কিন্তু এখন সেই রক্ত শুকিয়ে গেছে। হাতপা ও নানা জায়গায় ছড়ে গেছে। রা’দ মাথায় হাত চেপেই আকাশের দিকে তাকালো। ঘন গাছপালার কারণে পুরো আকাশ দেখা যাচ্ছে না। একটু একটু দেখা যাচ্ছে। রা’দ বুঝতে পারলো না যে ঠিক কত উঁচু থেকে ও নিচে পড়েছে?? কিন্তু এটা বুঝতে পেরেছে যে এই গাছপালা গুলো আর এই পাতার স্তুপের কারণেই ও বেঁচে গেছে।

মাটিতে হাতের ভর দিয়ে কোনমতে উঠে দাঁড়ালো রা’দ। বুঝতে পারলো যে পায়ে ব্যথা অনুভব হচ্ছে তারমানে পায়ে ও চোট লেগেছে। রা’দ খুড়িয়ে খুড়িয়ে হাঁটতে লাগলো। হাঁটতে কষ্ট হওয়াতে একটা শুকনো মোটা ডাল কুড়িয়ে নিয়ে লাঠি বানালো। তারপর লাঠির সাহায্যে হাঁটতে লাগলো। কিন্তু এত বড় জঙ্গল যে এখান থেকে বের হতে গেলে দিন ফুরিয়ে রাত হয়ে যাবে। তবুও রা’দ হাঁটছে আর বলছে”অভিনব পূর্ণাশা আর লাবন্য!! ওদের তো কালকে ভাম্পায়ারটা নিয়ে গেলো। ওরা কি আদৌ বেঁচে আছে?? নাকি ওই ভাম্পায়ারটা মেরে ফেলেছে??নাহ ওদের কিছু হয়নি আমি এসব কি ভাবছি?? ওদেরকে খুঁজে বের করতে হবে। কিন্তু কিভাবে বের করব?? আমি এই অবস্থায় না পারছি ঠিকমতো হাঁটতে না পারছি ঠিকমতো দাঁড়াতে। এভাবে তো ওদের খোঁজা সম্ভব নয়।
আর এই জঙ্গলটা ও ঠিকমতো লাগছেনা। কি জানি হিংস্র কোন জীবজন্তু আছে কি না??”

রা’দ এসব ভাবছে আর হাঁটছে। কিছুদূর গিয়ে রা’দ বসে পড়লো আর পারছে না সে। হাঁটতে ভিশন কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু ওকে যে উঠতেই হবে।এই ঘন জঙ্গল থেকে বের হতেই হবে না হলে যে বিপদ হতে পারে। রা’দ আবার উঠে দাঁড়িয়ে হাঁটতে লাগলো। একটু গিয়ে আর পারলো না ঠাস করে মাটিতে পড়ে গেল। হাত পা মাথায় যন্ত্রনা করছে প্রচুর। চিৎ হয়ে শুয়ে পড়ল রা’দ। চোখজোড়া আপনাআপনি বন্ধ হয়ে এলো। চোখ বন্ধ করেই ওর তিন বন্ধুর কথা ভাবতে লাগলো। ভাবতে ভাবতেই ঘুমিয়ে পড়লো।

যখন রা’দ চোখ মেলে তাকালো ততক্ষণে রাত হয়ে গেছে। রা’দ চোখ খুলে অবাক হলো। এইতো একটু আগেই ঘুমিয়েছিল এর মধ্যেই রাত হয়ে গেল কিভাবে??দেখে তো মনে হচ্ছে অনেক রাত হয়ে গেছে। আকাশে গোলাকার চমৎকার চাঁদ উঠেছে। চাঁদের আলো সারা জঙ্গলে আলো ফেলছে। স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে সবকিছু। রা’দ আবার উঠে হাঁটতে লাগলো। দিনের বেলায় যেমনতেমন কিন্তু রাতের বেলায় জঙ্গলটা আরো ভুতুড়ে লাগছে। শুকনো পাতার উপর পা পড়তেই খসখস আওয়াজ হচ্ছে। এই খসখস আওয়াজ টা দিনের থেকে রাতে আরো তীব্র হচ্ছে। রা’দের কেমন যেন ভয় ভয় করছে। মনে হচ্ছে এক দৌড়ে জঙ্গল থেকে বের হয়ে যেতে। কিন্তু এতো বড় জঙ্গল তাছাড়া পায়ে ব্যথা। জঙ্গল থেকে বের হওয়া অসম্ভব।

রা’দের ভয়টা আরো বেড়ে গেল কিছু একটার আওয়াজ শুনে। কোন পশুর গোঙানির আওয়াজ এটা। হয়তো আশপাশে আছে যদি এখানে এসে পড়ে তবে ওর কি হবে??রা’দ হাটা বন্ধ করে দিলো। পায়ের আওয়াজ শুনে যদি এদিকে চলে আসে?? কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না কিছুক্ষণ পরেই বড়বড় পাঁচটা হায়না ওর সামনে এসে দাঁড়ালো। রা’দ যা ভেবেছিল সেটাই হয়েছে। বুকটা ধক করে উঠল রা’দের। এখন এদের হাত থেকে বাঁচবে কিভাবে?? চাঁদের আলোয় হায়নাগুলোর হিংস্র রক্তচক্ষু গুলো দেখা যাচ্ছে। লোভাতুর দৃষ্টিতে রা’দের দিকে তাকিয়ে আছে ওরা। দেখে মনে হচ্ছে কতদিন না খেয়ে আছে। তাই আজকে ওরা শিকারকে হাতছাড়া করবে না। ওদের দেখে মনে হচ্ছে আজকে রা’দকে দিয়ে ওদের তৃপ্তি মেটাবে।

রা’দ হায়নাগুলো দেখে দুকদম পিছিয়ে গেলো। শুস্ক ঠোঁটজোড়া জিভ দিয়ে ভিজিয়ে নিয়ে তাকালো। হায়নাগুলো জিহ্বা বার করে ওর দিকে তাকিয়ে আছে। লালা ঝরছে জিহ্বা থেকে। এতেই বোঝা যায় যে ওরা কতটা ক্ষুধার্ত। রা’দ‌ কি করবে বুঝতে পারছে না। হাতের সামান্য লাঠি দিয়ে এদের সাথে পারা যাবে না। দৌড়াতে ও পারবে না এই অবস্থায় তবু ও শেষ চেষ্টা তো করতে হবে। রা’দ হাতের লাঠি টা উঁচু করে ধরতেই একটা হায়না লাফিয়ে রা’দকে আক্রমণ করলো। রা’দ সাথে সাথে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। হায়নাটা ওকে কামড় দিতে চাইছে কিন্তু পারছে না। রা’দ দুহাতে হায়নটাটাকে আটকানোর চেষ্টা করতেছে। কিন্তু এতবড় হায়নার সাথে পেরে উঠছে না রা’দ ওদিকে বাকিগুলো ও ওদের দিকে আসছে।

ঠিক তখনই একটা সরু ধারালো তীর এসে হায়নার মাথায় লাগলো। তীরটা হায়নার কপাল ভেদ করে মাথার অপরদিক দিয়ে বের হয়ে গেছে। হায়নাটা মুহূর্তেই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে গড়াগড়ি করতে লাগলো। রা’দ এখন ও শুয়ে আছে ওঠার শক্তি নেই তার। কে তাকে এভাবে বাঁচালো সেটাও পিছন ফিরে দেখতে পারছে না। বাকি হায়নাগুলো একটু পিছিয়ে গেলো। সাথে সাথে দুটো হায়নার বুক ভেদ করে দুটো তীর ঢুকে গেল। তারাও মাটিতে লুটিয়ে পড়ল আর বাকি দুটো দৌড়ে পালালো। রা’দ এসব দেখে অবাক হলো কিন্তু কে করলো এগুলো??রা’দ ঘাড় ঘোড়ানোর চেষ্টা করলো কিন্তু সফল হলো না।

মাটিতে শুয়ে রা’দ নিষ্পলক হায়নাগুলোর মৃতদেহের দিকে তাকিয়ে রইল। রা’দের মনে হচ্ছে কেউ এদিকে আসছে কিন্তু ঘাড় ঘোড়ানোর শক্তি তার নেই। পাতার খসখস আওয়াজ আসছে তার মানে সেই ব্যক্তিটি এদিকেই আসছে। কিন্তু রা’দ এবার আর চোখ খোলা রাখতে পারলো না। এতো কিছু গেছে ওর উপর দিয়ে যে শরীর আর তার সামাল দিতে পারছে না। জ্ঞান হারায় রা’দ চোখজোড়া বন্ধ করার সময় পূর্ণাশা লাবন্য আর অভিনবের চেহারা ভেসে উঠলো। মন বলছে ওরা এখন কোথায়?? ওদের কাছে যাওয়াটা যে খুব জরুরি।

………………….

কাঠের জানালার ফাঁক দিয়ে সূর্যের তীক্ষ্ণ রশ্মি রা’দের মুখের উপর পড়তেই ঘুমটা ভেঙে গেল। আশেপাশে চোখ বুলিয়ে দেখলো কাঠের তৈরি একটা ছোটখাটো ঘরের একটা রুমে চৌকির উপর শুয়ে আছে। মাথায় হাত চেপে উঠে বসল সে। মাথায় হাত দিতেই বুঝলো যে মাথায় ব্যান্ডেজ করা। হাতের দিকে তাকিয়ে দেখলো কাপড়ের ব্যান্ডেজ করা। রা’দ পুরো রুমে চোখ বুলায়। রুমের ভিতর তেমন কিছু নেই। একটা কাঠের টেবিল তাতে কিছু আসবাবপত্র। এক কোণায় কিছু খড়ের স্তুপ। আর মেঝেতে কিছু থালাবাসন হাঁড়িপাতিল রাখা। রা’দ মনে মনে ভাবছে ও এখানে কিভাবে এলো?? তাহলে কি যে ওকে বাঁচিয়েছে সে-ই ওকে এখানে নিয়ে এলো??
রা’দ চৌকি থেকে উঠে দাঁড়ালো। পায়ে এখনও ব্যথা রয়েছে আর মাথায়ও। রা’দ আস্তে আস্তে বাইরে এলো। ঘরটা বাঁশের খুঁটির ভরে মাটি থেকে উপরে বানানো তাই কাঠের সিঁড়ি বেয়ে মাটিতে নেমে আসলো সে। কিছু একটার আওয়াজ শুনে খোড়াতে খোড়াতে সেদিকে গেল। দেখলো একটা মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে পেছন ফিরে। মুখটা দেখা যাচ্ছে না। পরনে তার লম্বা সাদা রঙের অদ্ভুত পোশাক যা আজ পর্যন্ত রা’দ কখনো দেখেনি। মেয়েটার চুলগুলো কোমড় ছাড়িয়ে পা অবধি পৌঁছে গেছে।

মেয়েটার মুখ দেখতে ইচ্ছে করছে রা’দের। কিন্তু ডাকতে পারছে না। গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে যেন। মেয়েটার পাশেই একটা ময়ূর দাঁড়িয়ে আছে। পেখম তার ঝাপটানো,কারণ ময়ূর তখনই পেখম মেলে যখন সে আকাশে মেঘ দেখতে পায়। মেঘ দেখলেই সে পেখম মেলে মনের সুখে নৃত্য করে। মেয়েটার হাতে একটা তীর ধনুক। সে তার নিশানা করলো দূরের একটি গাছের দিকে যেখানে একটি ক্রস চিহ্ন দেওয়া। তীর ছোঁড়ার সাথে সাথে সেটা গাছে গিয়ে আঘাত হানে। একদম সঠিক নিশানায় তীর মেরেছে সে। হঠাৎ ময়ূরটা বিচলিত হয়ে মুখ দিয়ে অদ্ভুত শব্দ বের করলো। মূলত সে রা’দের উপস্থিতি টের পেয়ে এমনটা করছে। মেয়েটা সাথে সাথে পিছনে ঘুরে তাকালো রা’দের দিকে।

রা’দ অবাক হয়ে মেয়েটার দিকে তাকিয়ে আছে। চোখের পলক পড়ছেই না তার। নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছে না সে। এ কি করে সম্ভব??এই মেয়েটাই প্রতিনিয়ত রা’দের স্বপ্নে আসতো কিন্তু কখনোই ধরা দেয়নি। আজকে সেই মেয়ে বাস্তবে এসে ধরা দিলো!!আচ্ছা এটা কি রা’দের চোখের ভুল?? কিন্তু স্বপ্নে আসা মেয়েটা আর এই মেয়েটা হুবুহু একই রকম দেখতে। এতোটা মিল হওয়া তো সম্ভব না। সেই সাদা পোশাক, লম্বা চুল, গাঢ় বাদামী রঙের চোখের মণিজোড়া আর চোখে গাঢ় করে কাজল দেওয়া। রা’দের একটুও ভুল হচ্ছে না। এই সেই মেয়ে। মেয়েটার গায়ের রং এতোই সাদা যেন শরীর থেকে আলো ঝড়ছে। চোখ ধাঁধিয়ে যাচ্ছে তার। মুহূর্তেই শরীরে শিহরণ বয়ে গেল রা’দের। স্বপ্নে দেখা মেয়েটা যে এভাবে ওকে ধরা দেবে তা ও ভাবতেই পারেনি।
মেয়েটা এতক্ষণ অদ্ভুত দৃষ্টিতে রা’দকে দেখছিলো,সে বলল,”আপনি এখন ঠিক আছেন???”

কন্ঠটা এতটাই মধুর যে রা’দের কন্ঠনালি ধরে এলো। কথা বলতেই পারলো না। মেয়েটা হাতের ধনুকটা গাছের সাথে ঝুলিয়ে দিয়ে রা’দের দিকে এগিয়ে আসতে আসতে বলল,”আপনার শরীর ঠিক নেই। এভাবে উঠে আসা উচিৎ হয়নি আপনার। চলুন ভেতরে চলুন।”
মেয়েটার কথাগুলো রা’দের কানে ছন্দের মতো বাজতে লাগলো। মেয়েটা রা’দের দিকে নিজের হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলল,”একা যেতে পারবেন না আমার হাত ধরুন।”

রা’দ কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছে না যে মেয়েটা ওর সামনে। স্বপ্নে সে এভাবেই হাত বাড়িয়ে দিতো কিন্তু রা’দ ধরতে পারতো না। এখনও কি সেই একই ঘটনা ঘটবে??রা’দ হাতটা ধরতে গেলে সে কি পালিয়ে যাবে??রা’দ তার ঠোঁট জিভ দিয়ে হালকা ভিজিয়ে নিজের হাত বাড়িয়ে দিলো। কাঁপা কাঁপা হাতে হাত ধরলো মেয়েটার। সাথে সাথে যেন বিদ্যুৎ বয়ে গেল ওর সর্বাঙ্গে।

চৌকিতে রা’দকে বসিয়ে দিয়ে সে কাঠের টেবিলটার দিকে এগিয়ে গেল। সেখানে একটা বাটি রাখা। বাটিটা নিয়ে সে রা’দের মুখোমুখি হয়ে বসলো তারপর কাপড়ের ব্যান্ডেজ খুলতে খুলতে বলল,”কাল রাতে আপনি আঘাত পেয়েছিলেন তাই আমি এখানে নিয়ে এসেছি। এভাবে আপনি বাড়িতে ফিরতেও পারবেন না। কিছুদিন এখানে থেকে সুস্থ হন তারপর না হয় ফিরে যাবেন।”

রা’দ এখনও ধ্যানের ভেতরে আছে। বুঝতে পারছে না কিছু। মেয়েটা আবার বলে ওঠে, “আপনি এতো রাতে এই জঙ্গলে কিভাবে এলেন??”

রা’দ অন্যমনস্ক হয়ে বলে,”হু??? আপনার নাম???”
রা’দের প্রশ্ন শুনে মেয়েটার ভ্রু জোড়া কুঁচকে এলো বলল,”প্রশ্নের জবাবে প্রশ্ন??” বলেই সে মুচকি হাসলো। সেই ঘায়েল করা হাসি রা’দের নিজেকে সামলাতে বেশ কষ্ট হচ্ছে। মেয়েটা বলে,”নূরজাহান আমার নাম।”
এবার রা’দ ও একটু হাসলো বলল,”আমি রা’দ।”

নূরজাহান রা’দের হাতের ব্যান্ডেজ খুলে নরম হাত দিয়ে ওষুধ লাগিয়ে দিলো রা’দের হাতে। নূরজাহান এর প্রতিটি স্পর্শ রা’দকে কাঁপিয়ে তুলছে তা নূর বেশ ভালো করেই বুঝতে পারছে। সে ব্যান্ডেজ করে দিয়ে আবারও বলল,”বললেন না যে এখানে কিভাবে এলেন??”
রা’দ নূরের দিকে তাকিয়ে বলে,”সে অনেক কথা, কিন্তু এখন মনে হচ্ছে এখানে এসে আমার কোন ভুল হয়নি!!”

নূর তার আখিজোড়া ছোট ছোট করে বলে,”কেন??”

“এখানে না এলে আপনার মতো এতো সুন্দরী রমণীর দেখা পেতাম না।”
বিনিময়ে নূর হাসলো। রা’দ বলে,”আপনার হাসিটা খুব সুন্দর ইভেন আপনি ও খুব সুন্দর। আমার জীবনে দেখা সবচেয়ে সুন্দর নারী।”
নূর তার মুখে হাসি বিরাজমান রেখে বলল, “আপনি এতো লাগাম ছাড়া কথা বলছেন কেন??”

“আপনার মতো সুন্দরী দেখে আমি কেন যে কেউ এভাবেই কথা বলবে। কিছু মনে করবেন না আমি ওভাবে বলতে চাইনি।”

নূর উঠে দাঁড়িয়ে হাতের বাটিটা টেবিলের উপর রেখে আবার রা’দের দিকে তাকিয়ে বলে,”যদি হায়নাগুলো আপনাকে খেয়ে ফেলতো তাহলে?? কিভাবে দেখতেন আমাকে??”

“আপনাকে দেখার জন্য সৃষ্টিকর্তা আপনাকে শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে পাঠিয়েছে। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে আপনাকে দেখার জন্য যদি ওই হায়নার দল আমাকে খেয়ে ফেলে তাতে আমার কোন আফসোস নেই। আপনাকে তো দেখতে পেয়েছি এটাই আমার কাছে অনেক।”

নূর কিছু বলল না। বিনিময়ে মুচকি হেসে বাইরে চলে গেল। রা’দ অপলক দৃষ্টিতে নূরের যাওয়ার পানে তাকিয়ে রইল। মেয়েটার হাটাচলা সবকিছু মুগ্ধ করে রা’দকে।

চলবে,,,,,,,,,,,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here