The Hunted Lover💖part-10

#The_Hunted_Lover (A vampire love story)
#Tafsia_Meghla
#Part:10

ঝুম ঝুম ঝরনাধারা বইছে আর সেই ঝরনার পানির সাথে খেলছে এঞ্জেলিনা৷
শত হিংস্রতার ভিরে একটুকরো গোলাপ ফুটেছিলো ভ্যাম্পায়ার রাজ্যে, ভ্যাম্পায়ার রাজ্যের সাধারণ প্রজার ভ্যাম্পায়ার কন্যা এঞ্জেলিনা৷ সে যেন লাখো রুপের অধিকারীনি, এঞ্জেলিনা ভ্যাম্পায়ার হলেও খুব ভালো ছিলো৷

তার মধ্যে বাকি সবার মতো হিংস্রতা বিরাজ করতো না৷ এঞ্জেলিনার হাতেই একটা চোখের তৈল চিত্র এই চোখটা যে প্রতিদিন রাতে স্বপ্নে দেখে৷
সে জানে এই চোখটা কার তাকে এখনো একবারো নিজের চোখে দেখতে পায়নি, কিন্তু তার সম্পর্কে সব কিছুই জানে৷
সে জানে এই চোখটা তাদের রাজ্যের প্রিন্স এর, তার সাথে সহজে কেউ দেখা করতে পারে না তাও সে যেভাবেই হোক দেখা করতে চায় এবং তার মনের সব কথা বলতে চায়৷
ঝড়নার পানিতে পা ডুবিয়ে বসে আছে চিত্রটার উপর হাত বুলাচ্ছে৷ এই চোখ দুটোর প্রেমে যে সে গভীর ভাবে পরে গেছে৷ কিন্তু প্রিন্স তা জানলে কি এঞ্জেলিনা কে পাত্তা দেবে?

হিংস্র রক্ত খেকোদের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর রক্তখেকো ভ্যাম্পায়ার প্রিন্স সায়মন রিও৷ যাকে দেখলে ভ্যাম্পায়াররাও ভীত হয়ে যায়, রিও যার কাছে মেয়েদের কোনো স্থানই নেই মেয়েদের আসে পাশেও সে যায় না তার মা ছাড়া৷
মাত্রই মানুষের জঙ্গল থেকে রক্ত খেয়ে ফিরে এলো তার প্রতিদিন একটা করে শিকার চাইয়ই তাকে কেউ আটকাতে পারে না৷

এঞ্জেলিনা বসে বসে ভাবছিলো কি করে রিওর কাছে যাওয়া যায়, এই ঝরনাটার সামনে প্রতিদিন একবার করে আসে এই সময় কেও আসে না কিন্তু হঠাৎ করে পিছন থেকে কারো আসার শব্দ পেয়ে এঞ্জেলিনা হাওয়ায় মিলিয়ে যায়৷
এঞ্জেলিনা একটা গাছের আড়ালে গিয়ে দারায় সামনে তাকিয়ে দেখে সেও নেই
পলকেই কোথায় গেলো?
এঞ্জেলিনা এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখে কোথাও নেই৷
হঠাৎ করে পিছন থেকে এঞ্জেলিনা কে কেউ একটা গলায় ছুরি চেপে ধরে এঞ্জেলিনার হাতের উরনাটা খুলে মাথায় আর মুখে পেচিয়ে নেয় শুধু চোখ দুটোই দেখা যাচ্ছে৷ চোখ বন্ধ করে আচমকা এঞ্জেলিনা সেই ব্যাক্তিটির কলার চেপে ধরে সকল শক্তি দিয়ে উঠিয়ে ওর মাথার উপর দিয়ে ওর সামনে নিয়ে এসে হাত মুচরিয়ে ধরে, এঞ্জেলিনা এখনো তার চোখ খুলেনি৷
রিও এসেছিলো ঝরনার সামনে গাছের আড়ালে কাউকে দেখে শত্রু ভেবে পিছন থেকে ছুরি ধরেছিলো গলায় রিও ও এখনো দেখেনি রিও এঞ্জেলিনার চোখ দেখেই হতভম্ব ডাগর ডাগর তার চোখ খিচে বন্ধ করে আছে৷ পরক্ষনে হুস আসতেই এঞ্জেলিনার থেকে

নিজেকে ছারিয়ে এঞ্জেলিনাকে ঘুরে হাত মুচড়ে পেছনে করে বলে,
— “একটা মেয়ে হয়ে এতো সাহস? তোমাকেতো আজ ছাড়বো না৷ ”

এঞ্জেলিনা তো নিজেকে বাচানোর জন্য এতোক্ষন এসব করেছিলো আর ব্যাক্তিটিকে এঞ্জেলিনা জানেও না এখন সেও ভয় পাচ্ছে৷ রিও এঞ্জেলিনার মুখ থেকে হাত দিয়ে ওরনাটা খুলে, কিন্তু হাত পেচিয়ে এঞ্জেলিনাকে পিছনে মুরে রেখেছে তাই দেখতে পারছে না৷ এঞ্জেলিনার উরনাটা খুলতেই এঞ্জেলিনার হাটু ছড়ানো চুল খুলে যায় রিও যেমন ঘোরের মধ্যে চলে যাচ্ছে৷
বুঝতে পারছে না এমন কেন হচ্ছে? সেতো মেয়েদের পছন্দই করে না, নিজেকে শান্ত করে হুট করে জেনিফা কে সামনে ঘুরিয়ে থমকে যায়৷
ডাগর ডাগর হরিণি তার চোখ গোলাপের পাপড়ির মতো ঠোঁট ধবধবে ফর্সা কিন্তু রিও থেকে একটু কম মোট কথা মেয়েটা চোখ ধাধানো সুন্দরী৷ রিও যেন তার মধ্যেই হারিয়ে যাচ্ছে তার উপর বাচ্চাদের মত মুখ করে চোখ খিচে বন্ধ করে আছে৷

রিও কিছু একটা ভেবে বাকা হেসে বলে,
— “চোখ খুলো৷ ”

এঞ্জেলিনা চোখ আরো খিচে বন্ধ করে মাথা দুলিয়ে না করে৷ রিও হেসে আবার ধমক দিয়ে বলে,
— “চোখ খুলো বলছি৷ ”

রিওর ধমক শুনে এঞ্জেলিনা বাচ্চাদের মতো মুখ করে আস্তে আস্তে চোখ খুলে সামনে থাকা ব্যাক্তিটিকে দেখে অবাক হয়ে যায়৷ একবার চোখ বন্ধ করে চিত্রটির কথা মনে করে আরেকবার ও চোখের দিকে তাকিয়ে বলে,
— “প্রিন্স সায়মন রিও৷ ”

রিও মুখ গম্ভীর করে বলে,
— “কে তুমি?”

এঞ্জেলিনা মাথা নিচু করে বলে,
— “এঞ্জেলিনা ৷ ”

রিও নামটা শুনেই অস্ফুট স্বরে বলে,
— “এঞ্জেল,,,৷ ”

রিও আবারো মুখ গম্ভীর করে বলে,
— “আমার সাথে মানে ভ্যাম্পায়ার প্রিন্স সায়মন রিওর সাথে এমন করলে শাস্তিতো তোমায় পেতেই হবে৷”

শাস্তির কথা শুনে এঞ্জেলিনার মুখটা ছোট হয়ে যায়৷ এঞ্জেলিনা বলে,
— “কী শাস্তি?”

রিও কেন জানেনা এঞ্জেলিনার সামনে দারাতে পারছে না তার কেমন অনুভূতি হচ্ছে ছুয়ে দিতে ইচ্ছে করছে তাই রিও কিছু না বলে হাটা শুরু করে৷
— “এর সামনে থাকলে এমন হচ্ছে কেন? আজই তো দেখলাম তাও ছুয়ে দিতে ইচ্ছে করছে৷ ”

— “কি শাস্তি বলুন না?”

আবার এঞ্জেলিনার কন্ঠ পেয়ে দেখে মেয়েটাও ওর সাথে আসছে৷ রিও রেগে বলে,
— “তুমি আমার সামনে আসবে না৷ ”

— “কেন?”

— “এটাই শাস্তি না মানলে খারাপ হয়ে যাবে অনেক৷ ”
বলেই রিও হাওয়ায় মিলিয়ে যায়৷

এঞ্জেলিনা কিছুই বুঝতে পারছে না কিন্তু রিওর সামনে তো সে যাবেই তাকে যে অনেক কথা বলার আছে, তাকে যে এঞ্জেলিনা ভালোবাসে তা যে জানানো আছে৷

——————————
মুখ বেধে ঝড়ের গতিতে হাটছে এঞ্জেলিনা মূলত উদ্দেশ্য রিওর কাছে যাবে প্রেম নিবেদন বললে ভুল হবে তার ভালোবাসার কথা জানাতে৷
রিওর বারান্দা দিয়ে রুমে প্রবেশ করে দেখে রিও শুয়ে আছে রিওর সামনে গিয়ে বসতেই আচমকা গলা চেপে ধরে বিছানায় শোয়ায় রিও ভেবেছিলো অন্য কেও

এসেছে এঞ্জেলিনাকে দেখে ছেড়ে দিয়ে ব্রু কুচকে বলে,
— “তুমি এখানে?”

জেনিফা উঠে বলে,
— “আমার আপনাকে অনেক কথা বলার আছে৷ ”

— “তোমাকে বলেছিলাম আমার সামনে আসতে না তাও এসেছো?”

— “আমার আপনাকে কিছু বলার আছে৷ ”

রিও উঠে যাবে তখনই জেনিফা রিওর হাত চেপে ধরে রিওর সামনে যায়৷ রিওর আবার কেমন অনুভূতি হচ্ছে যেমন এই মেয়ের কাছে দুর্বল হয়ে পরছে৷ রিও না চাইতেও এঞ্জেলিনার কোমরে হাত চলে যায় নিজের সাথে মিশিয়ে নেয় মুখের সামনে পরে থাকা চুল গুলো কানের পিঠে গুজে দিয়ে কপালে ঠোট ছোয়ে দিবে তখনই হুস আসে কি করছিলো এটা৷
ছিটকে জেনিফাকে নিচে ফেলে জেনিফার চুল ধরে বলে,
— “এই তুমি কোন জাদু জানো বলো? তোমার সামনে এলেই এমন হয়ে যাই আসবে না আমার সামনে তুমি, পরবর্তীতে আসলে তোমার রক্তপান করে পিপাসা মেটাবো৷ ”

বলে চলে যেতে নিলেই এঞ্জেলিনা বলে,
— “ভালোবাসি৷ ”

রিও “ভালোবাসি” কথাটা শুনেই দাড়িয়ে যায়৷ কিছু একটা ভেবে এঞ্জেলিনার সামনে এসে বলে,
— “ভালোবাসা? হুহহ এই ভালোবাসা বলে কোন ভ্যাম্পায়ার এর জীবনে কিছু নেই৷ ”

এঞ্জেলিনা কিছু বলবে এর আগেই রিও এসে বলে,
— “এখান থেকে চলে যাও নয়তো খারাপ কিছু হয়ে যাবে৷ ”

এঞ্জেলিনা দীর্ঘ শ্বাস ফেলে বলে,
— “আমি আজ যাচ্ছি কিন্তু আমি আবার আসবো৷ আমার সব কথা এখনো শেষ হয় নি৷ ”
বলেই এঞ্জেলিনা চলে যায়৷

আজ পূর্নিমা আকাশ অন্ধকারেও আলো ছেয়ে আছে চাঁদ আজ পরিপূর্ণ দেখাচ্ছে এই পুর্নিমায় ভ্যাম্পায়ার জাতী আরো হিংস্র হয়ে যায় কেও বা ভালোবাসায় মেতে থাকে, ভ্যাম্পায়ার রাজ্য আরো বেশি হিংস্র হয়ে পরেছে৷
ভ্যাম্পায়ার কিং জ্যাক আর মানুষ কন্যা যে এখন ভ্যাম্পায়ার কুইন মানে রিওর মা এর ভালোবাসার সুচনা ঘটেছিলো ও এই পূর্নিমা থেকে৷ হ্যা মানুষ আর ভ্যাম্পায়ার এর ভালোবাসার ফসল ভ্যাম্পায়ার প্রিন্স সায়মন রিও৷ যার কারনে তার মাঝে ভালোবাসাও আছে হিংস্রতাও আছে, কিন্তু রিও ভালোবাসা বহিঃপ্রকাশ হতে দেয় না কিন্তু মাঝে মাঝে যা এমনি হয়ে যায়৷
রিও এই পূর্নিমায় তার হিংস্রতা বের করতে পারছে না বার বার এঞ্জেলিনার চেহারা ভেসে উঠছে, অনেক চেষ্টা করেও তা পারছে না৷
— “কেন এমন হচ্ছে?কেন ওই মেয়ের চেহারাটা চোখে ভাসছে?”

— “আপনি যে তার ত্বরে মুগ্ধ হয়ে পরছে৷ ”
কারো কন্ঠ পেয়ে তাকিয়ে দেখে রয় এর মধ্যেই মাইন্ড পরে নিয়েছে রিওর৷ রিও বিরক্ত নিয়ে বলে,
— “আমার অগোচরে আমার মাইন্ড পড়াটা কি তোমার অভ্যাস হয়ে দারিয়েছে?”

— “ধরে নিন তাই৷ কিন্তু প্রিন্স ভুলে যাবেন না৷ ”
আর কিছু বলতে পারলো না রিও রক্ত চক্ষু হয়ে তাকিয়ে আছে৷

এঞ্জেলিনার সৌন্দর্য আরো বেরে উঠছে এই পূর্নিমায়, পুকুর পারে বসে আছে এঞ্জেলিনা মাথায় শুধু রিওই ঘুরছে৷ এঞ্জেলিনা কিছুক্ষন আকাশের দিকে তাকিয়ে হাওয়ায় মিলিয়ে যায়৷
রিও রেগে দারিয়ে আছে এঞ্জেলিনার দিকে, এঞ্জেলিনাও মাথা নিচু করে দারিয়ে আছে৷
রিও হুংকার দিয়ে বলে,
— “তোমাকে বলেছিলাম পরবর্তীতে আমার সামনে আসলে তোমার রক্তপান করে পিপাসা মেটাবো ভুলে যাবো তুমিও একজন ভ্যাম্পায়ার৷ ”

এঞ্জেলিনা কেদে দিয়ে বলে,
— “হ্যা তাহলে তাই করুন৷ ”

এঞ্জেলিনা বলার পরই রিও হুংকার দিয়ে এঞ্জেলিনার ঘারে দাত বসিয়ে দেয়৷

চলবে,,

[ এঞ্জেলিনা আর রিওর অতীতের প্রেম কাহিনি৷ কি হয়েছিলো এঞ্জেলিনার সাথে কেও কি জানো? আমি তো জানি না🙄আচ্ছা মাদার থেকে গল্পটা শোনার পর কি মনে পরবে সব? আমি জানি না😑 by the রাস্তা কেমন হচ্ছে জানায়ো আর ভালোবাসা নিও ❤️]