The Hunted Lover💖part-12

#The_Hunted_Lover (A vampire love story)
#Tafsia_Meghla
#Part:12

হঠাৎ কেউ রুমে প্রবেশ করতেই দুজনে চমকে উঠে পিছনে তাকিয়ে দেখে রিওর মা, এঞ্জেলিনা সঙ্গে সঙ্গে মুখ ঢেকে চলে যেতে নেয় তখনি রিওর মা বলে,
— “দারাও!! কে তুমি?”

এঞ্জেলিনা পিছে ঘুরে আছে রিও কিছু বলবে এর আগেই আবার বলে,
— “কে ও রিও?”

এঞ্জেলিনা এসে রিওর মায়ের সামনে মাথা নিচু করে বলে,
— “কুইন আমি এঞ্জেলিনা প্রিন্সের,,,,৷ ”

এঞ্জেলিনা পুরো কথা শেষ করতে না দিয়েই থামিয়ে সব কথা বলে, রিওর মা এখনো এঞ্জেলিনার চেহারা দেখেনি৷ কুইন মুচকি হেসে বলে,
— “আমি তোমাকে দেখতে চাই৷ ”

এঞ্জেলিনা রিওর দিকে অসহায় ভাবে তাকায়৷ রিও এঞ্জেলিনাকে ইশারা করে বলে মুখ থেকে কাপরটা সরাতে এঞ্জেলিনা মাথা নিচু করে টান দিয়ে উরনাটা খুলে ফেলতেই ঝরঝর করে হাটু ছারানো চুল গুলো ছরিয়ে পরে ঘন কালো পাপড়ি গুলো কাপিয়ে এঞ্জেলিনা রিওর মায়ের দিকে তাকায় রিওর মা অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে৷
এঞ্জেলিনা কে দেখে বলে,
— “জান্নাতের হুররর,,,,,৷ ”

রিও ওর মায়ের কাছে গিয়ে মুচকি হেসে বলে,
— “পছন্দ হয়েছে?”
রিওর মা রিওর দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকায়, এ কাকে দেখছে রিও? রিও হাসছে?তার হিংস্র রক্ত খেকো ছেলে হাসছে?
রিও মা অবাক হয়ে বলে,
— “এ তো ভ্যাম্পায়ার নামক পরি৷ সত্যি সত্যি এঞ্জেল এর মতো দেখতে আর তার মায়ায় আমার রক্ত চোষা ছেলেটাকেও শান্ত করে দিয়েছে, কিন্তু এ রুপের রহস্য কী? আমি কখনোই এতো সুন্দরী সে কখনই দেখেনি৷ ”

রিও তাকে সব বলে আর এটাও বলে এই শক্তির কথা যে কেউ না জানে৷ রিওর মা এঞ্জেলিনা কে জরিয়ে ধরে কপালে ভালোবাসার পরশ একে দিয়ে বলে,
— “তাহলে তো তোমাকে আর বাইরে থাকতে দেওয়া যায় না আমি তোমাকে এই মহলে নিয়ে আসবো৷ ”

দরজার বাইরে রক্ত চক্ষু নিয়ে সব কথা শুনছিলো ইরিনা, আর রাগে ফুসছে ইরিনাও জেনে গেছে এঞ্জেলিনা ভ্যাম্পায়ার দের থেকে বেশি শক্তির অধিকারী৷

এঞ্জেলিনা এখানে কথা বলে নিজের বাড়িতে চলে আসে, এঞ্জেলিনার বাবা মা ছারাও আরেকজন জানতো এঞ্জেলিনার রুপের রহস্য তার কাছে এঞ্জেলিনা প্রতিদিন একবার করে যায় আজও এসেছে এসে খুশি হয়ে সবটা বলে,মহিলাটি দেখতে খুব ভয়ংকর বড় বড় অয়াকা চুল ভ্যাম্পায়ার দের থেকেও তাকে বেশি ভয়ংকর লাগে৷
এঞ্জেলিনা কালকের কথা সব বলার পর মহিলাটি চরকা ঘুড়াতে ঘুড়াতে বলে,
— “বিপদ খুব সন্নিকট হবে না মিলন,হবে না মিলন৷ ”
অস্ফুট স্বরে বলায় এঞ্জেলিনা কিছুই বুঝতে পারছে না মহিলাটি আড়চোখে তাকিয়ে আবার অস্ফুট স্বরে বলে,
— “শেষ হয়ে যাবে সব, কিন্তু ধ্বংস হবেনা সে ধ্বংস হবে না তার ভালোবাসা৷ ”

—————————–
বর্তমান,
এইটুকু বলেই থেমে যায় মাদার আর বলতে পারছে না, নিজে ইচ্ছে করে না কিন্তু কেন বলতে পারছে না তা মাদার এর অজানা৷ থর থর করে কাপছে মাদার৷ নিজেকে শান্ত করার জন্য কিছু সময় চুপ করে থাকে চোখ বন্ধ করতেই কিছু একটা ভেবে চুপসে যায়৷ কিছুটা শান্ত হয়ে জানালার ধারে যায়৷
আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে গেছে বড় বড় বাজ পরছে আতকে উঠছে সব কিছু যেন কিছু হয়ে যাবে৷ প্রকৃতি যেন তার হিংস্র রুপ দেখাচ্ছে, কিন্তু কেন এমন হচ্ছে? প্রকৃতির এমন উতালপথনের রহস্য যেন মাদার ও বুঝতে পারছে না৷ কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে পিছে তাকিয়ে দেখে জেনিফা ভিত হয়ে বসে আছে মাদার জেনিফার কাধে হাত দিয়ে বলে,
— “ভয় পেয়ো না মাই চাইল্ড, প্রকৃতি তার হিংস্র খেলায় মেতে উঠেছে শুধু, এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই৷”
জেনিফা মাথা দুলিয়ে “হ্যা” বলে৷ জেনিফা বলে,
— “এরপর?”

মাদার আকাশের দিকে তাকিয়ে বলে,
— “সেটা না হয় অন্য একদিন বলবো৷”

কিন্তু জেনিফার এখনি শুনতে ইচ্ছে করছে, গল্পটা শুনে যেমন চোখের সামনে নিজের মতো দেখতে পেলো যেন নিজের সাথে এইসব ঘটে গেছে ওর মনে হচ্ছে৷ কিন্তু নাম গুলো রিও,ইরিনা৷
জেনিফা কে এমন ভাবতে দেখে মাদার বলে,
— “কি ভাবছো?”

জেনিফা মাদারকে রিও আর ইরিনার কথা বলে৷ মাদার কিছু একটা ভেবে হকচকিয়ে বলে,
— “হতেই পারে রিও, ইরিনা তো অনেকেরই নাম আছে তাই না?”
জেনিফাও ব্যাপারটা নিয়ে আর মাথা ঘামায় না৷ কিছুক্ষন মাদারের কথা বলে বাড়িতে চলে আসে৷

রয় রিওর সামনে দাঁড়িয়ে আছে রয় হিংস্র হয়ে হুংকার দিয়ে উঠছে রয় বলে,
— “প্রিন্স প্লিজ শান্ত হন কিছু হয়নি তো তার আমি ছিলাম সে ঠিক আছে৷ ”

রিও হুংকার দিয়ে বলে,
— “যদি গাছটা পরে যেতো তাহলে? কে সেই ছায়া খবর নাও তাকে আমি শেষ করে দেবো সে যেই হোক না কেন৷ ইরিনা করেনি তো? ইরিনা কোথায়?”

— “না প্রিন্স ইরিনা ছিলো না সে অন্য কেউ ছিলো সে পুরুষ ছিলো৷ ”

— “কে সেই ছায়া তারাতারি জানার চেষ্টা করো৷ ”
বলেই রিও অদৃশ্য হয়ে যায়৷

চলবে,,,,

[যানি অনেক ছোট হইছে☹️আজকে দিকে লিখতে বসি নাই এখন লিখে দিলাম কেমন হইছে নিজেও জানি না তাও কেমন হইলো জানায়ো☹️☹️]