The Hunted Lover💖part-15

#The_Hunted_Lover (A vampire love story)
#Tafsia_Meghla
#Part:15

কিছুক্ষন পর চোখ বন্ধ করেই কোলবালিশ টা খুজতে থাকে তখনি আচপায় কোলবালিশ টা পিঠের কাছে নেওয়ার জন্য চোখ খুলে ওমনি এক ভয়ংকর চেহারা সামনে আসে ভয় পেয়ে ওখানেই অজ্ঞান হয়ে পরে যায়, তখনই রয় দৃশ্যমান হয় মুখে তার বাকা হাসি সে যেন এটাই চেয়েছিলো৷
মায়াকে ঠিক করে শুইয়ে চুল গুলো খুলে দেয় রয় আর বাকা হেসে বলে,
— “মানুষের প্রতি নেশাটা আমার অনেক প্রিন্স এর মতো কোনো মানুষের প্রেমে পাগল এই প্রথম দেখলাম যদিও সে তার এঞ্জেলিনা কিন্তু তোমার প্রতি ও আমার নেশাটা বেরে গেছে তা রক্তের না প্রিন্স এর মতো অন্য কিছুর নেশা চরে গেছে আমার৷ কিন্তু আমার রক্ত ও চাই তোমাকেও চাই৷ ”

বলে ঘারের কাছে মুখটা নিয়ে রক্তের ঘ্রান নিয়ে ঘারে দাত বসিয়ে দেয়৷ কিছুটা রক্ত পান করে সরে আসে, বাকা হেসে ঘারে হাত দিয়ে দাগ টা গায়েব করে দেয়৷

সকালে ভোরের আলো ফুটতেই চোখ মেলে তাকায় জেনিফা আজকে শরীরটা একদম ভালো কিছুদিন বিশ্রামের চক্করে মাস খানিকই কলেজে যাওয়া হয় নি৷ উঠে ফ্রেস হয়ে ব্রেকফাস্ট করে কলেজে চলে আসে৷
কলেজে আসার পর থেকেই এদিক ওদিক তাকিয়ে কাউকে খুজছে জেনিফা হঠাৎ রিও সামনে এসে বলে,
— “আমাকে খুজছো৷ ”

জেনিফা হাত ভাজ করে বলে,
— “আপনাকে খুজবো কেন?”

জেনিফাকে টান দিয়ে নিজের সামনে এনে বলে,
— “সত্যি আমাকে খুজছিলে না?”

— “না তো৷ ”

রিও কিছুক্ষন তাকিয়ে চলে যেতে নিলেই জেনিফা বলে,
— “থ থ্যাংক ইউ৷ ”

রিও পিছনে তাকিয়ে মুচকি হেসে চলে যায়, জেনিফা ব্রু কুচকে একা একাই বলে,
— “কেন থ্যাংক ইউ বললাম তাও জিগ্যেস করলোনা? অদ্ভুত মানুষ একটা৷ ”

মায়া ক্লাসে গিয়ে জেনিফাকে না পেয়ে এদিক ওদিক খুজতে লাগে সিড়ি দিয়ে নামতে যাবে না দেখেই দুই সিড়ি নিচে পারা দিয়ে পরে যেতে নিলেই কেও একটা কোমর চেপে ধরে৷ মায়া এখনো চোখ বন্ধ করে আছে৷ সকাল থেকেই মায়ার শরীর টা নিশক্তি লাগছিলো ভেবে ছিলো এখন একেবারে পরেই যাবে কারো স্পর্শ অনুভব করে তাকিয়ে দেখে একটা সুদর্শন ছেলে বাকা হেসে তাকিয়ে আছে৷
মায়াকে উঠিয়ে ছেলেটি বলে,
— “দেখে চলতে পারো না? এখনি তো পরতে আমাকেও ফেলতে৷ ”

মায়া বলে,
— “সরি আমি দেখিনি৷ ”

ছেলেটি এখনো মায়ার দিকে তাকিয়ে আছে৷ মায়ার দিকে হাত বারিয়ে বলে,
— ” আমি রয় কলেজে নতুন৷ ”

মায়াও মুচকি হেসে বলে,
— “আমি মায়া৷”
মায়ার হাত পা কাপছে হঠাৎ পরে যেতে নিলেই রয় বলে,
— “হেই আর ইউ অকে?”

মায়া নিজেও বুঝতে পারছে না এমন লাগছে কেন এতোটা ক্লান্ত আর নিশক্তি লাগছে কেন৷
জেনিফা এসে মায়াকে এভাবে দেখে উত্তেজিত হয়ে বলে,
— “কি হয়েছে তোর?”

— “জানি না সকাল থেকেই কেমন যেন লাগছে৷ ”

সবার আরালে রয় বাকা হাসে এই হাসি রিওর চোখ এড়ায় নি, কিন্তু রিও বুঝতে পারছে না রয় দৃশ্যমান কেন? কি মতলব? জেনিফা মায়াকে পানি খাওয়াচ্ছিলো দূর থেকে রক্ত চক্ষু নিয়ে কেও জেনিফার দিকে তাকিয়ে আছে হাতে ছুরি তার উদ্দেশ্য জেনিফাকে শেষ করে দেওয়া৷ জেনিফা ঠিক হয়ে দারাতেই সেই ব্যাক্তিটি ধারালো ছুড়িটা জেনিফার পিঠ বরাবর ছুড়ে হাওয়া হয়ে যায়৷
ছুড়িটি জেনিফার পিঠের কাছে আসতেই ছুড়িটি রিও ধরে ছুরে ফেলে জেনিফাকে জরিয়ে ধরে৷
আর রয় দৌড়ে কোথায় একটা যায় রিওর দিকে তাকিয়ে দেখে মুখে ভয়ের ছাপ স্পষ্ট আর রয় এভাবে দৌড়ে কোথায় গেলো তা মায়া আর জেনিফার অজানা৷
জেনিফা এক দৃষ্টিতে রিওর দিকে তাকিয়ে আছে আর ভাবছে৷
— “ওর মুখে ভয়ের ছাপ কেন? ও এমন করছে কেন?”

রিও উত্তেজিত হয়ে বলে,
— “তুমি ঠিক আছোতো? কিছু হয়নিতো তোমার?”

রিওর চোখ প্রচন্ড লাল হয়ে আছে উত্তেজিত হলেও বেশ বোঝা যাচ্ছে খুব রেগে আছে, কিন্তু রাগের কারন কী? তা জেনিফা জানে না৷ রাগলেও মানুষ কে এতটা সুন্দর দেখতে লাগে তা জেনিফার অজানা ছিলো৷
অদ্ভুত সুন্দর রিও চেহারাটা লাল হয়ে আছে আর চোখটাও অনেকটা লাল হয়ে আছে আর সময় নীলাভো রঙের থাকে৷
এতো সুন্দর কেন উনি? একটু কম সুন্দর হলেও পারতেন৷
আনমনে ভাবছে জেনিফা, হঠাৎ মায়ার কথায় হুস আসে মায়া বলে,
— “জেনি তুই ঠিক আছিস তো?”

মায়া মাথা দুলিয়ে হ্যা বলে,কিন্তু বুঝতে পারছে না কে ছুড়িটা মারলো?
ক্লাস শুরু হতেই সবাই ক্লাসে চলে আসে৷
রয় এসে রিওর পাশে বসতেই রিও ফিস ফিস করে বলে,
— “তুমি এখানে এসেছো কেন?”

রয় বলে,
— “আপনার এখানে অনেক বিপদ হতে পারে তাই আসলাম৷ ”

রিও বলে,
— “আমাকে কেউ কিছু করবে না আর করলেও আমি নিজেরটা নিজেই মোকাবেলা করতে পারি আর এর জন্য তোমার দৃশ্যমান হওয়ার প্রয়োজন ছিলো না৷ ”

মানাবে এটাই ভাবছে৷
ক্লাস শেষ হতেই জেনিফা বেরিয়ে কি যেন একটা ভাবছে তখনি কারো সাথে ধাক্কা খায় সামনে তাকিয়ে দেখে মায়া দারিয়ে আছে ঠোটে রহস্যময় হাসি৷ মায়া কলেজের পিছন দিকটা দেখিয়ে বলে,
— ” জেনি কলেজের পিছনটায় সুন্দর একটা ফুল ফুটেছে দেখবি?”

জেনিফা এখানে মায়াকে দেখে অবাক কারন মায়া চলে গেছে৷
জেনিফা ব্রু কুচকে বলে,
— “তুই না চলে গেলি?”

জেনিফার উত্তরে মায়া বাকা হাসে মায়া কিছু না বলেই জেনিফার হাত ধরে টেনে কলেজের পিছনে নিয়ে যেতে থাকে৷
কলেজের পিছন দিকে শুকনো পুকুর পারে এনে জেনিফাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে জোরে জোরে হাসতে থাকে মায়া৷

জেনিফা উঠে হাত ঘষতে ঘষতে বলে,
— “মায়া এখানে ফেললি কেন আমায়?”

মায়া কিছু না বলে আবার জোরে জোরে হাসতে থাকে আর জেনিফার দিকে এগোতে থাকে, জেনিফা কিছু বলবে এর আগেই জেনিফার ঘারে দাত বসিয়ে দিবে তখনি রিও এসে ছিটকে দূরে ফেলে মায়া কে মায়া হিংস্র দৃষ্টিতে তাকায় রিওর দিকে৷
রিও বলে,
— “কে তুই?”

জেনিফা কিছুই বুঝতে পারছে না মায়া জোরে জোরে হেসে বলে,
— “জেনিফা রিও ভ্যাম্পায়ার রক্ত খেকো ও তোর রক্ত পান করতে এসেছে তুমি আমার কাছে এসো৷ ”

রিও বলে,
— “না এঞ্জেল তুমি যাবে না ও মায়া না ও অন্য কেও মায়ার রুপ ধারন করে আছে৷ ”

মায়া আবার জোরে জোরে হেসে বলে,
— “আমি মায়া জেনি আয় আমার কাছে, প্লিজ জেনি আমায় বাচা সরি এতোক্ষন মজা করছিলাম জানিসই তো আমি কতটা রসিক৷ ”

রিও হুংকার দিয়ে বলে,
— “এঞ্জেল তুমি যাবে না৷ ”

মায়ার তখনি মাদারের বলা গল্পের কথা মনে পরে যায় তার মানে সত্যি রিও ভ্যাম্পায়ার? কিন্তু আমাকে এঞ্জেল বলছে কেন? আর ও ভ্যাম্পায়ার হয়ে মানুষের রাজ্যে কি করছে?
জেনিফার ভাবনা ছেদ করে মায়া বলে,
— “জেনি প্লিজ হেল্প মি৷ ”

মায়া জেনিফার বেস্ট ফ্রেন্ড হলেও জেনিফা আর মায়া বোনের মতো একে অপরকে ভালোবাসে মায়া এভাবে নিচে পরে আছে তাই জেনিফা ওখানে যেতে থাকে৷ জেনিফার মুখে রহস্যময় হাসি রিও না করছে তাও জেনিফা মায়ার কাছেই যাচ্ছে৷ জেনিফা একেবারে সামনে যেতেই হু হু করে হেসে জেনিফাকে নিচে ফেলে গলা চেপে ধরে৷
রিও আবার এসে ছিটকে ফেলে মায়াকে রিও নিজের রুপই আছে কারন রিও চায় না এখন জেনিফা তাকে ভ্যাম্পায়ার রুপে দেখুক তাহলে জেনিফা রিওর কাছে আর আসবে না৷
কিন্তু কিছু আর করার নেই জেনিফাকে রক্ষার জন্য হলেও ভ্যাম্পায়ার রুপ ধারন করতে বলে৷ রিও আস্তে আস্তে ভ্যাম্পায়ার রুপ ধারন করতে থাকে রিও কে এমন দেখে জেনিফা থমকে যায়৷
আস্তে আস্তে রিও ভয়াবহ রুপ ধারন করে যাতে জেনিফা অনেক ভয় পেয়ে যায়৷ মায়ার রুপ ধারন কারি যতটাই শক্তিশালী হোক না কেন রিওর থেকে বেশি নয় রিও ছিটকে দূরে ফেলতেই সেই ব্যাক্তিটি হাওয়া হয়ে যায়৷

রিও এদিক ওদিক খুজে না পেয়ে স্বাভাবিক রুপ ধারন করে জেনিফার কাছে এসে দারাতেই,,,

–
চলবে,

(কেমন হয়েছে জানায়ো)