The Hunted Lover💖part-22

#The_Hunted_Lover (A vampire love story)
#Tafsia_Meghla
#Part:22

এখানে এসে যা দেখলো তা দেখার জন্য হতো প্রস্তুত ছিলো না কী হিংসে রুপ রিওর ঠোঁটের আশেপাশে রক্ত আর পৈচাশিক হাসি ঝুলে আছে৷ রক্ত পান করেছে বিড়ালটাও বিড়াল নয় হিংস্র অন্যরুপ৷ রিও শান্ত নয় অনেকটা হিংস্র লাগছে৷
আচমকা এমন অবস্থায় দেখে অনেকটা ভয় পেয়ে যায় রিও কে, জেনিফাকে এখানে দেখে কোন ভাবান্তর নেই রিওর মুখে পৈচাশিক হাসিটা খুলে আছে সে যেন এটাই চেয়েছিলো৷
জেনিফা এখনো ওখানেই দাড়িয়ে আছে থম মেরে, রিও আস্তে আস্তে উঠে মুখে বাকা হাসির রেখা রেখেই জেনিফার দিকে এগিয়ে যায় রিও৷
জেনিফা রিও দেখে কাপা কাপা গলায় বলে,
— “ক কে আ আপনি?”
তখনই রিও অদৃশ্য হয়ে যায়, আর জেনিফা এদিক ওদিক খুজতে লাগে জেনিফা আবার বলে,
— “রিও? কোথায় গেলেন? ”
তাও রিওর কোনো সারা শব্দ নেই৷ জেনিফা ধপ করে নিচে বসে পরে, হঠাৎ করে রিও কে এমন রুপে দেখে ঝটকাটা সামলাতে পারেনি৷ কি চায় রিও? একজন ভ্যাম্পায়ার হয়ে মানুষের কাছে কেন এসেছে? রিও কি আদৌ ওকে ভালোবেসেছে?
তাহলে ওই ভয় গুলো রিওই দেখাতো?
এমন হাজারো প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে জেনিফার মাথায়৷

জেনিফা আবার বলে,
— “রিও প্লিজ সামনে আসুন, কি চান আপনি? ”

হঠাৎ রিও অদৃশ্য হয়েই জেনিফাকে দাড় করিয়ে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে বলে,
— “তোমাকে,,,,৷ ”

জেনিফার রিওর এমন করাতে ভয় পাচ্ছে, জেনিফা কিছুক্ষন চুপ করে থেকে বলে,
— “আমি যদি দূরে সরে যাই, সবাইকে বলে দেই আপনি একজন রক্তখেকো কাউকে ছাড়বেন না তাহলে?”

রিও জেনিফাকে গভীর ভাবে জড়িয়ে ঘাড়ে ঠোঁট ছুইয়ে বলে,
— “তুমি এসব করবে না আমি জানি, আর দূরে যাওয়া? সে তুমি কখনো পারবে না যেখানেই থাকো আমি তোমার কাছে পৌছে যাবো৷ একজন ভ্যাম্পায়ার আশিকের নজরে পরেছো তুমি মৃত্যু ছাড়া নিস্তার নেই৷ আর মৃত্যু? হার মানিয়ে তোমায় ছিনিয়ে নিয়ে আসবো৷ সারা জীবন আমার ভালোবাসার আগুনে তোমায় জ্বলতে হবে, যে আগুন প্রতিনিয়ত তোমাকে পোড়াবে খুব করে পোড়াবে কিন্তু ঝলসাবে না৷ আমার হিংস্র ঝালে পরেছো তুমি আমার জাল থেকে বেরোনোর রাস্তা নেই এঞ্জেল,,,,,তোমাকে আমার হিংস্রতায় ভিতু করে তুলবো আমার ভালোবাসায় সাজিয়ে দেবো৷ তুমি শুধু আমার পাগল করা ভালোবাসা না তুমি আমার নেশা যে নেশা থেকে বের হওয়া যায় না আমিও বের হতে চাই না৷ আমার ভালোবাসার শাস্তি খুবই ভয়ংকর তা তুমি ধিরে ধিরে বুঝবে৷ ”

রিওর কথাগুলোতে মায়া, ভালোবাসা,হিংস্রতা মিশে ছিলো জেনিফার ঘারে ঠোঁট স্লাইড করতে করতে নেশাক্ত কন্ঠে কথাগুলো বলছিলো রিও৷

— “জ্বলতে চাই আমি খুব করেই জ্বলতে চাই আপনার ভালোবাসার আগুনে, আর আপনার হিংস্রতা? হ্যা আমি আপনার হিংস্রতায় ভীতু হতে চাই আপনার ভয়ংকর হিংস্র রুপ কেও ভালোবাসতে চাই, আপনার জাল থেকে বের হওয়ার রাস্তা খুজতে চাই না আপনিও যে আমার নেশা৷ ভালোবাসি খুব বেশি ভালোবাসি, যে ভালোবাসা এ কালে শেষ হওয়ার নয়৷ আপনার প্রতিটা রুপ কে ভালোবাসতে চাই, আপনার প্রতিটা রুপে ঘায়েল হতে চাই৷ ”

রিও জানতো জেনিফা এই কথা গুলোই বলবে কারন জেনিফা রিও কে সত্যি ভালোবেসেছিলো৷ রিও বাকা হেসে জেনিফার ঘাড়ে দুটো দাঁত বসিয়ে দেয়৷ জেনিফায় পরম আয়েশে চোখ বন্ধ করে নেয় রিওর এ কাজে জেনিফার শত কষ্ট হলেও সয়ে যেতে হবে কারন জেনিফা জানে সে কোন সাধারান মানুষ কে ভালোবাসেনি একজন রক্তখেকো কে ভালোবেসেছে এইসব ব্যাথা মাঝে মাঝেই সহ্য করে নিতে হবে৷ এ কষ্টের অবসানও রিওই ঘটাবে তাও যানে৷

————————————–

রাত গভীর সবখানেই পিনপতন নীরবতা, কোন সারা শব্দ নেই দুদিন আগেও রয়ের ভয়ংকর জ্বালাতন গুলো সহ্য করতে হয়েছিলো মায়ার৷ আজও খালি খালি লাগছে সেই রাত দশটা থেকে ঘুমানোর চেষ্টা করছে কিন্তু ঘুম আসছেই না মায়ার৷
মায়া বিছানা ছেড়ে এসে বারান্দায় রকিং চেয়ারে বসে এদিক ওদিক তাকাতে থাকে৷

দীর্ঘ শ্বাস ফেলে বলে,
— “রয়? আপনি আছেন?”

ভালো লাগছে না মায়ার, আজ সেই ভয়টাই মায়ার পেতে ইচ্ছে করছে মায়া আবার বলে,
— “রয়? রয় একবার সামনে আসুন প্লিজ৷ ”

তাও কোনো সারা শপব্দ কাউকে অনুভব করতে পারছে না মায়া এবার কেদে দিয়েই বলে,
— “প্লিজ রয় আমার সামনে আসুন, প্লিজ একবার আসুন৷ আপনার সেই ভয়ংকর জ্বালাতন গুলো যে মিস করছি, আপনি যে আমার অভ্যাস হয়ে দাড়িয়েছেন এখন কেন আসছেন না৷ আমার সব রক্ত শুষে নিন তাও একবার সামনে আসুন৷ ”

বলে ডুকরে কেঁদে ওঠে মায়া ফুপিয়ে কাঁদতে কাঁদতে আবার বলে,
— “রয় প্লিজ সামনে আসুন, আপনি তো আমায় ভালোবাসেন তাহলে দূরে কেন আছেন? আমি যখন দূরে যেতে বলেছিলাম আপনার হিংস্রতা দেখিয়ে জোর করে কেন আমার কাছে থাকেননি মিস করছি খুব আপনাকে, আপনার হিংস্রতা কে প্লিজ সামনে আসুননা আমি যেতে বলেছি আমি আবার ডাকলাম প্লিজ আসুন৷ ভালোবাসি যে খুব খুব করে ভালোবাসি৷ ”
বলেই ফুপিয়ে কেদে উঠে মায়া৷

হঠাৎ পেটে কারো শীতল হাতের স্পর্শ পেয়ে কেপে উঠে এ স্পর্শ যে মায়ার চেনা অজান্তেই মায়ার মুখে এক চিলতে হাসি ফুটে উঠে৷ রয় দৃশ্যমান হয়ে মায়ার পেটে হাত দিয়ে আচমকা টান দিয়ে সামনে ঘুরিয়ে মায়ার ঠোঁট দুটো আবদ্ধ করে নেয়৷ মায়া পরম আয়েশে চোখ বন্ধ করে ফেলে৷

চলবে,

[কি হবে পরবর্তীতে এভাবেই ওরা ভালো থাকতে পারবেতো? নাকি অন্য কিছু হবে🙄আমি জানি না😑 by the রাস্তা কেমন হইছে জানায়ো
ছোট বলে লজ্জা দিও না 🙂]