The Hunted Lover💖part-26

#The_Hunted_Lover ( A Vampire Love story)
#Tafsia_Meghla
#Part:26

[সরি পাখিরা কালকে রিজভীর যায়গায় রিও লিখে দিয়েছিলাম আজকে ঠিক করে দিলাম]

রিজভী ধারালো এক ছুড়ি এনে জেনিফার সামনে আবার দাঁড়ায়, জেনিফার গলা চেপে ধরে ছুড়িটা জেনিফার পেটে ঢুকিয়ে দিয়ে পৈচাশিক হাসিতে মেতে উঠে ইরিনা আর রিজভী
মধ্য রাতের শেষ প্রহর চাঁদ লাল হতে শুরু করেছে ভ্যাম্পায়াররা পরিপূর্ণ শক্তি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে৷ হঠাৎ জেনিফা লাল রক্ত বর্ন চোখ নিয়ে চোখ খুলে তাকায় হাতের নখ গুলো বড় আকার ধারন করতে থাকে,
জেনিফার শরীরে একটুও ব্যাথা নেই হতভম্ব হয়ে উঠে বসে হাতের নখ দেখতে থাকে৷
হঠাৎ আবার দাঁত গুলো বাইরে বেড়িয়ে আসছে চাঁদের আলো বিদ্যুৎ গতিতে জেনিফার শরীরে এসে পরছে জেনিফা উত্তেজিত হয়ে একবার হাতের নখ দেখছে, একবার মুখে হাত দিচ্ছে জেনিফার চুল গুলো বড় হয়ে হাটুর অনেকটা নিচে পায়ের কাছ পর্যন্ত বড় হয়ে গেছে৷
শরীরের উজ্জ্বলতা আরো দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাচ্ছে জেনিফার এমন পরিবর্তন দেখে জেনিফা নিজেই ভয় পেয়ে যাচ্ছে৷
এমন হচ্ছে কেন?
তাহলে কী জেনিফাও ভ্যাম্পায়ার রুপ ধারন করছে?
জেনিফা পেট থেকে ধারালো ছুড়িটা বের করতেই সেই জায়গাটা আগের মতো ঠিক হয়ে যায়৷
জেনিফা এমনটা দেখে কান্না করে দেয়, সে চেয়েছিলো সে বাঁচুক কিন্তু এমন হচ্ছে কেন?
এর মধ্যেই রিও এসে হাজির হয়, রিও এঞ্জেলিনার দেওয়া শক্তি কাজে লাগিয়ে জেনিফার কাছে এসেছে৷
জেনিফা যখন ব্যাথায় কাতরাচ্ছিলো তখন রিও রিও বলে ডাকছিলো, সেই ডাক রিওর এঞ্জেলিনার দেওয়া শক্তির কারনে শুনতে পারছিলো৷
রিও এসে দেখে জেনিফা পুরোপুরি আগের জন্মের এঞ্জেলিনা হয়ে গেছে৷

ইরিনা ভিত হয়ে রিজভী কে বলে,
— ” জেনিফা তো মানুষ তাহলে ভ্যাম্পায়ার আর পরির মতো শক্তি আর রুপ বৃদ্ধি পাচ্ছে কি করে? একটু আগেই তো মেরে ফেললাম৷
তাহলে কি জেনিফাও ভ্যাম্পায়ার? আর ভ্যাম্পায়ার দের তো এই ছুড়ি দিয়ে মারা যায় না৷ ”

রিজভী হুংকার দিয়ে বলে,
— “না না এটা হতে পারে না এবারো এই এঞ্জেলিনা কে মেরে ফেলবো৷ ”

জেনিফা পুরোপুরি আগের জন্মের এঞ্জেলিনার মতো হয়ে গেছে ওর শক্তি আরো বাড়ছে সাথে সৌন্দর্য ও৷ রাত শেষ এর দিকে জেনিফা আরো বেশি হিংস্র হয়ে উঠছে যতনা শক্তি বাড়ছে বেশি হিংস্র হয়ে উঠছে রক্তের পিপাসা প্রখোপ হচ্ছে জেনিফার এখন রক্ত প্রয়োজন মাথা ঠিক নেই যাকে পাবে তার রক্ত পান করেই তার পিপাসা মেটাবে৷
এদিক ওদিক ছোটাছুটি করছে রক্তের জন্য কিন্তু পাচ্ছে না৷
এদিক ওদিক ছোটাছুটির কারনে বার বার পরে যাচ্ছে আরো বেশি হিংস্র হয়ে উঠছে৷

রিও জেনিফার কাছে এসে বলে,
— “এঞ্জেল,,৷ ”

জেনিফা রিওর কোনো কথা শুনতে চাইছে না কারন তার এখন রক্ত প্রয়োজন, জেনিফা রিওর দিকে হিংস্র হয়ে তাকিয়ে রিওর দিকে হামলা দিতে যায় জেনিফার মাথা ঠিক নেই সামনে কে আছে তাও দেখছে না৷
জেনিফা কিছুক্ষন পর পর চাইছে নিজেকে শান্ত রাখতে কিন্তু আবার হিংস্র হয়ে যাচ্ছে, কখনো কাঁদছে কখনো হিংস্র হয়ে উঠছে৷

রিও আবার বলে,
— “এঞ্জেল শান্ত হও এমন করো না৷ ”

জেনিফা হুংকার দিয়ে রিও কে ফেলে দেয়, রিজভী একটা রুপার ছুড়ি এনে জেনিফার দিকে এগোচ্ছে জেনিফা রিজভীর হাতে রুপার ছুড়ি দেখে আরো রেগে হুংকার দিয়ে রিজভী আসার আগেই রিজভীর সামনে গিয়ে হাত ধরে ধাক্কা দিয়ে ফেলে ঝাপিয়ে পড়ে রিজভীর উপর৷ সবটা এতো তারাতারি ঘটায় রিজভী কিছুই করতে পারেনি৷
জেনিফা রিজভীর সব রক্ত শুষে নিতে থাকে৷
ইরিনা রিজভী থেকে ছুরিটা নিয়ে জেনিফার পিছন দিয়ে মারবে তখনই রিও ঝড়ের গতিতে এসে ইরিনাকে ছিটকে ফেলে৷
রিও হুংকার দিয়ে বলে,
— “বিশ্বাস ঘাতক এতোদিন ভ্যাম্পায়ার সেজে ভ্যাম্পায়ার রাজ্যে ছিলে আর বুঝতেও পারলাম না৷ ”

ইরিনা বলে,
— “কিং প্লিজ আমায় মারবেন না আমি তো আপনাকে ভালোবাসি তাই৷ ”

— “তাই মানে কি? তোকে তো আজ শেষ করবই৷ ”

ইরিনা ছুটে পালাতে নিবে তখনই রয় এসে ছিটকে ফেলে ইরিনা কে৷
ইরিনা তাও হার মানেনি উল্টো রাগে গর্জন করে বলে,
— “তোদের এক একটা কে শেষ করবো আমি৷ ”

জেনিফা রিজভীর কাছ থেকে উঠে হুংকার দিয়ে ইরিনার গলা চেপে ধরে জেনিফার চোখ লাল রক্ত বর্ন হয়ে আছে এই মূহুর্তে সব চেয়ে ভয়ংকর ভ্যাম্পায়ার লাগছে জেনিফাকেই৷
আকাশ যখন কালো মেঘে ছেয়ে যায় তখন আকাশ পরিষ্কারের জন্য বৃষ্টি প্রয়োজন হয় আর বৃষ্টি শেষ হয়ে আকাশ যেমন পরিষ্কার হয়ে যায় আজ তেমন জেনিফা আর রিওর সব কিছু পরিষ্কার পথে কোনো বাধা নেই ভালোবাসা আর মিলনে কোনো বাধা নেই৷
রিজভী ইরিনার রক্ত খেয়েও জেনিফা শান্ত হয় নি তার আরো রক্ত প্রয়োজন মাথা আরো চরে উঠছে রিও শান্ত করতে পারছে না৷ জেনিফা দিশা না পেয়ে রিওর ঘাড়ে দাত বসিয়ে দেয়৷
রিও চোখ বন্ধ করে থাকে সে জানে একটু পরই তার এঞ্জেল ঠিক হয়ে যাবে জেনিফা কিছুটা রক্ত শুষে আস্তে আস্তে মাটিতে লুটিয়ে পরে৷
।
।
আকাশ পুরো থম থমে হয়ে আছে লাল হয়ে আছে আকাশটা আশ্রমের পুরোনো ঘন্টাটা এখনই থামা বন্ধ হলো কখনো এই ঘন্টাটা এভাবে বিকট আওয়াজে বাজে নি৷
মাদার চোখ বন্ধ করে দাঁড়িয়ে আছে৷ একটু আগেই ছুটে মাদারের কাছে এসেছে জেনিফার মা, তখনই মাদার জানায় জেনিফা আর তাদের জেনিফা নেই পুরো পুরি এঞ্জেলিনা হয়ে উঠেছে ভ্যাম্পায়ার রুপ ধারন করেছে৷
জেনিফার মা মাদারের পায়ের কাছে বসে আছে৷

মাদার চোখ খুলে বলে,
— “ভাগ্য আজ অদ্ভুত খেলা দেখিয়েছে, নিয়তি আজ কারো জীবনের অদ্ভুত পরিবর্তন ঘটিয়েছে৷
একজন মানুষ কন্যা পূর্ব জন্মের মতো ভ্যাম্পায়ার রুপ ধারন করেছে, ইতিহাস আজ বদলে গেছে,
কি হবে এদের ভবিষ্যত? মানুষ কন্যা ভ্যাম্পায়ার রুপে পরিবর্তন কি করে? এ উত্তর কার কাছে রয়েছে?”

জেনিফার মা ডুকরে কেঁদে উঠে বলে,
— “আমার মেয়েটার সাথেই কেন এমন হলো?
কেন? কি দোষ ছিলো আমাদের?
আমি আমার মেয়ে কে চাই মাদার, আমি আমার মেয়ে কে চাই যেমনি হোক মেয়ে তো আমারই৷”

চলবে,

[ বাবা গো বাবা যা কান্না জুড়ে বসেছিলা তোমরা😑আর কেউ কেউ তো মারার, গুম করে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছিলো😒নাও দিলাম ঠিক কইরা, এখন খুশিতো? গঠনা মূলক কমেন্ট কইরা জানায়ো প্লিজ৷ আজকে অনেক অনেক ব্যাস্ত কালকে নানু বাড়িতে ছিলাম সকালেই ফোন করে কলেজ থেকে, কলেজে কিছু প্রয়োজন আছে কলেজে যেতে হবে সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা না করেই নানু বাড়ি থেকে আমাদের বাড়িতে আইসা আবার কলেজে আসছি কলেজ থেকে এসে ফ্রেশ হয়ে উসখুস লাগছিলো তাই লিখে ফেললাম এখন একটু ঘুমাবো আর ঘুম থেকে উঠে কখনই লিখতে ইচ্ছে করতো না ছোট বলে কিছু বইলো না☹️আমি বাচ্চা মানুষ কিছু বইলো না প্লিজ😒 by the রাস্তা কেমন হইছে জানায়ো ]