The Hunted Lover💖part-3

#The_Hunted_Lover (A Vampire Love Story)
#Tafsia_Meghla
#Part:03

হঠাৎ হাত কেউ জোরে চেপে ধরায় ভাবনার জগত থেকে ফিরে জেনিফা৷ সামনে তাকাতেই সামনে থাকা ব্যাক্তি টি কে দেখে কেপে উঠে জেনিফা,,,,,,
ব্যাক্তি টি জেনিফার অচেনা কেমন ভয়ংকর চেহারা বড় বড় চুল দাড়ি নখ গুলোও বড় বড়৷ জেনিফার হাত চেপে ধরে হাসছে আর বলছে,
— “সে আসবে!! সে আসবে৷ ”

এতো চেপে ধরায় জেনিফা ব্যাথা পাচ্ছে লোকটি কে দেখে খুব ভয়ও পাচ্ছে৷ দূর থেকে মাদার আর জেনিফার মা দেখে তারাতারি করে ছুটে আসছে বাচ্চারাও খুব ভয় পাচ্ছে৷ ভয় পাওয়ারই কথা যে কেও লোকটা কে দেখে ভয় পেয়ে যাবে, মাদার আর জেনিফার মা এসে সরাতে চাইলেই লোকটি রেগে যাচ্ছে আরো৷
লোকটি জেনিফার মায়ের দিকে তাকিয়ে বলে,
— “তাকে আর কেও আটকাতে পারবে না, সে আসবে তাকে নিয়ে যেতে৷ ”

জেনিফার মা লোকটির কথা শুনে কেদে দেয়, মাদার ওখানে দারিয়ে লোকটিকে ছারাতে থাকে৷ আশ্রম থেকে কিছু লোক এসে এই ব্যাক্তিটিকে ছারিয়ে বাইরে নিয়ে যেতে থাকে৷
ব্যাক্তিটি যাওয়ার সময় জেনিফা দিকে তাকিয়ে আঙুল নারিয়ে বলে,
— “আপনি আপনার কথা ভুলে গেলেও সে কিন্তু ভুলেনি, সে আসবে আর সে যখন আসবে তাকে কেউ আটকাতে পারবে না৷ আপনি আপনার কথা রাখেন নি, আপনি আপনার কথা রাখেননি৷ সে আসবে৷ ”

জেনিফা কিছুই বুঝতে পারছে না কি বলছে এই লোকটা? কেনই বা বলছে? কেই বা আসবে?
জেনিফা মাদার এর সামনে গিয়ে বলে,
— “কে এই লোক মাদার? কার কথা বলছে? কে আসবে?”

জেনিফার প্রশ্ন শুনে মাদার জেনিফার মায়ের দিকে তাকায়, তারপর কিছু বলবে এর আগেই জেনিফার মা জেনিফার হাত ধরে বলে,
— “চলো আমরা বাড়ি যাবো৷ ”

— “বাড়ি যাবো এখন?”

জেনিফার মা চোখ মুখ শক্ত করে বলে,
— “হ্যা এখনই যাবো৷ ”

জেনিফার বাবা এসে কিছু বলবে তখনই বলে,
— “তুমি আমার কথা শুনবে না? তাহলে আমি আমার মেয়ে কে নিয়ে চলে যাবো একা৷ ”

জেনিফার বাবা আর কিছু বললো না জেনিফা গিয়ে গাড়িতে বসতেই জেনিফার মা কে মাদার ডেকে বলে,
— “এভাবে আর কত দিন? আর তো একটা বছর তখন তো সব জেনে যাবে, তখন কি করবে?”

জেনিফার মা রেগে বলে,
— “তখন যা হবার হবে, এখন আমার মেয়ে কে আমি কিছুই জানাতে চাই না৷ আর মাদার আমরা এখানে আসবো না আপনিও আমার মেয়ের সাথে যোগাযোগ করার বা এগুলো বলার চেষ্টা করবেন না৷ এটা আপনার কাছে আমার অনুরোধ৷ ”

মাদার দীর্ঘ শ্বাস ফেলে গির্জার দিকে চলে যায়, আর জেনিফার মা গাড়িতে গিয়ে বসে৷

_____________________

এক অন্ধকার ঘরে ঠক ঠক করে শব্দ করে হাটছে এক হিংস্র নেকড়ে রুমটা খুবি অন্ধকার কিন্তু তার চোখ গুলো শুধু আলোর মতো দেখা যাচ্ছে৷ হাত দিয়ে কিছু গুনছে আর ঠক ঠক করে হাটছে অন্ধকার এই পুরো বাড়িটিতে অন্ধকার এক ঘরে হাটছে৷
হাত দিয়ে কিছু একটা গুনার পর হঠাৎ করে জোরে হু হু করে হেসে উঠে তার হাসির শব্দ বন্ধ ঘরে বারি খেয়ে আরো বিকোট মনে হচ্ছে৷ অনেকক্ষন যাবৎ হেসেই যাচ্ছে জোরে জোরে বাড়িটা পুরোনো আর অনেক বড় বাড়িটার ভিতর কালো পাখি এদিক থেকে ওদিক উরছে৷ নেকড়ের বিকট হাসির আওয়াজে পাখি গুলো ডাকা ডাকি শুরু করে দিয়েছে৷
নেকড়েটা হাসি থামিয়ে একটা হারিকেন নিভু নিভু আলো জ্বালিয়ে একটা বড় ডাইরি বের করে ডাইরিটা বের করতেই হঠাৎ করে চারোদিক আলো হয়ে যায়, আর ডাইরিটার উপর থাকা কারো ছবি জল জল করে উঠে৷ ডাইরিটা খুলে একেবারে শেষ পাতাটা বের করে আবার সেই পৈচাশিক হাসি দিতে থাকে৷

হাসতে হাসতে অস্পষ্ট সরে বলে,
— “শত বছর পেরিয়ে গেছে তার দেওয়া কথাও তাচ্ছিলো হয়ে গেছে, সে আর ফিরবে না, সে আর ফিরবে না৷”

বলেই আবার জোরে জোরে হাসতে থাকে ডাইরিটা বন্ধ করে জানালার সামনে গিয়ে ছুরে ডাইরিটা জঙ্গলে ফেলে দেয়৷

তারপর দাতে দাত চেপে বলে,
— “আসলেও আমি বাঁচতে দিতাম না, আর ওই প্রিন্স সায়মন রিও তাকে তো আমি দেখে নিবো৷ ”
বলে আবার পৈচাশিক হাসি দেয়৷

Vampire Kingdom,,,,,,,

বাইরে তিক্ষ্ম দৃষ্টি দিয়ে বসে আছে প্রিন্স সায়মন রিও সাথেই রয় দারিয়ে৷
রিও বিরক্ত নিয়ে বলে,
— “রয় আমাকে যেতে দাও৷ ”

— “প্রিন্স প্লিজ মাথাটা ঠান্ডা করুন এভাবে মাথা গরম করবেন না৷ আর এখন আমি আপনাকে যেতে দিবো না এখন বের হলেই আবার ওই মানুষ দের জঙ্গলে যাবেন আর আরো বেশি হিংস্র হয়ে উঠবেন৷ ”

রয় বলতে বলতেই রিও হাওয়ায় মিলিয়ে যায়, রয় দীর্ঘ শ্বাস ফেলে বলে,
— ” কে কার কথা শুনে? আমিও গাধা এভাবে আটকিয়ে রাখছিলাম প্রিন্স কে৷ কিন্তু এখন আবার সেই জঙ্গলে যাবে৷ ”
রয়ও ঝড়ের গতিতে জঙ্গলে যায়৷

রিওর মন অন্য কথা ভাবছে আজ সে গভীর ভাবনায় মগ্ন, কোন ভ্যাম্পায়ার ও ভাবনায় মগ্ন থাকে যে তা রিও কে দেখলে বুঝা যায়৷ রিও এসে একটা শুকিয়ে থাকা পুকুরের সামনে দারায়৷ পুকুরে রিও হাত দিয়ে ছোয়া দিতেই পুকুরটিতে যেমন প্রান ফিরে আসে পুরো পুকুর পানিতে ভরে যায়৷
রিও এখানে দারিয়ে অদৃশ্য হয়ে যায়, কারনটা এখন মানুষের চলা ফেরার সময় সচারাচর এখানে মানুষ আসে না তাও বলা যায় না৷
কাল রাতে এভাবে অদৃশ্য হয়েই মানুষ গুলোকে শিকার করেছিলো, অদৃশ্য হয়ে পুকুরে গভীর দৃষ্টি দিয়ে তাকিয়ে বসে আছে রিও৷ আজও পিপাসূ হয়ে আছে খুব বেশি পিপাসা আজ তার সে মনের পিপাসাও শরীরের ও পিপাসা আপাদত মন কে শান্ত করতে হলেও তার রক্ত চাই তাজা রক্ত৷

_____________

আশ্রম থেকে আসার পর থেকেই মন খারাপ করে বসে আছে জেনিফা ওর মা আর বাবা হাজারো কথা বলে মন ভালো করার চেষ্টা করছে কিন্তু কিছুই হচ্ছে না৷ তখনি জেনিফার ফ্রেন্ড মায়া আসে৷
মায়া কে দেখে কুশল বিনিময় করে জেনিফার মা বাবা নিচে চলে যায়৷ মায়া জেনিফার সামনে এসে বলে,
— “জেনু কি হয়েছে তোর? বার্থডের দিনও কেও মন খারাপ করে থাকে? আমি তো চলে আসলাম তোর থেকে ট্রিট নিতে কিন্তু তোর তো মন খারাপ কি করি বলতো৷ ”

মায়াও কথা বলার চেষ্টা করছে কিন্তু জেনিফাই মন খারাপ করে বসে আছে৷ মায়া কিছু একটা ভেবে বলে,
— “হেই জেনু চল একটু ঘুরে আসি৷ ”

জেনিফা মন খারাপ করে বলে,
— “তুই যা আমি যাব না৷ ”

— “আচ্ছা তাহলে একাই চলে যাই? তুই ওই জঙ্গলের পাশে পার্কটায় যাবি বলেছিলি ওইদিন আমি ভয়ে যাই নি ভাবলাম আজ যাবো থাক তাহলে৷ ”

মিনিটেই জেনিফার মন ভালো হয়ে গেলো কিন্তু কিছু একটা ভেবে বলে,
— “মা কে কি বলবো?”

মায়া মুচকি হেসে বলে,
— “মে হু না৷ ”

মায়া জেনিফার মা কে মানিয়ে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে বের হয়, প্রথমত যেতে দিতে চায় নি পরক্ষনে বেশি জোরাজুরিতে ছেরেছেন৷
মায়া আর জেনিফা পার্কে আসে, পার্কটা বেশ সুন্দর কিন্তু অদ্ভুত অদ্ভুত জিনিস মেইন গেটের সামনেই অদ্ভুত একটা মূর্তি ভিতরে তো আছেই মায়া ভয়ে ভয়ে হাটছে আর জেনিফা বেশ উপভোগ করছে৷ অনেকটা ভেতর আসার পর মায়ার ফোন আসে তাই দারিয়ে যায় আর জেনিফা একা একাই হাটতে হাটতে অনেক দূর এসে পরে প্রায় জঙ্গলের কাছাকাছি৷

এখনো এক দৃষ্টিতে পানির দিকে তাকিয়ে আছে রিও, হঠাৎ করে এমনি এমনি দৃশ্যমান হয়ে গেলো৷ রিও নিজ থেকে হয়নি কিন্তু এমনটা হলো কেন? রিও অবাক হয়ে আবার অদৃশ্য হওয়ার চেষ্টা করছে কিন্তু পারছে না৷
হঠাৎ করে রিওর বাম হাতের কবজির নিচে উল্কিটা কেমন জ্বলে উঠলো রিও অবাক হয়ে উল্কির দিকে তাকায়৷ (উল্কি মানে ট্যাটু)

জেনিফা হাটতে হাটতে প্রায় অনেক দূর এসে পরেছে হঠাৎ করে জেনিফা ডান হাতের কব্জির কিঞ্চিত নিচে হাত দিয়ে দাঁড়ায় জন্ম দাগটার জায়গা কেমন জলছে এটা তো এমন হয় না আজ এমন জলছে কেন?

চলবে,,,,

[ জানি না কেমন হচ্ছে কিন্তু ভ্যাম্পায়ার স্টোরি লিখতে আমার খুব ভালো লাগে তোমাদের কেমন লাগছে জানায়ো প্লিজ❤️]