The Hunted Lover💖part-5

#The_Hunted_Lover (A Vampire Love Story)
#Tafsia_Meghla
#Part:05

রয় ও এখন তাকে দেখলো রয় তো পুরো পুরি অবাক, এ যে সত্যি এটা কি করে হতে পারে? এটা কি সত্যি?
রিও কিছু একটা ভেবে চোখ মুখ শক্ত করে ওই দিকে যাবে তখনি রয় রিও কে আটকে দিয়ে বলে,
— “প্রিন্স কি করছেন এটা? এখন কি ওখানে যাওয়া ঠিক হবে?”

রিও রেগে বলে,
— “তুমি ওকে দেখেও আমাকে আটকাচ্ছো? কিন্তু কেন?”

— “প্রিন্স আপনি বলুন আগের পরিস্থিতি আর এখনকার পরিস্থিতি কি এক? স্বচোখে দেখেও বুঝতে পারছেন না? আগের সাথে এখন আকাশ পাতাল তফাত৷ ”

রিও কিছু একটা ভেবে বাকা হেসে হাওয়ায় মিলিয়ে যায়, রয় এখনো বোকার মতোন ড্যাব ড্যাব করে এদিক ওদিক তাকাচ্ছে৷

রাত গভীর, ব্যাস্ত শহর স্থব্দ হয়ে আছে হাতে গোনা বোধহয় কয়েকটা মানুষ জেগে আছে এর মধ্যে জেনিফা একজন৷ মাত্রই বারান্দা থেকে ঘরে এলো এতোখন বারান্দায় দাঁড়িয়ে থেকে চোখে ঘুম ভর করেছে মনটাও ঠিক লাগছে পানির গ্লাস থেকে পানিটা খেয়ে ঢাকনা টা লাগিয়ে বিছানার দিকে পা বারাবে তখনই জেনিফার মনে হলো ওর দোলনাটায় কেউ বসে আছে৷
জেনিফা “কে” বলে আবার বারান্দার দিকে পা বারাবে তখনই কেউ টান দিয়ে পিছন থেকে সামনে ঘুরায় জেনিফা ভয় পেয়ে কাপা কাপা গলায় আবার বলে,
— “কে? ”

সেই অদৃশ্য ছায়াটি দৃশ্যমান হয়ে অস্ফুটো স্বরে বলে,
— “The_Hunted_Lover. ”

সামনে থাকা ব্যাক্তি টি কে দেখে জেনিফা ভয় পেয়ে অজ্ঞান হয়ে নিচে ঢুলে পরে৷ রিও জেনিফাকে এমন দেখে বাকা হেসে বলে,
— “সবে তো শুরু এই এইটুকুতেই এমন?”

জেনিফা কে খাটে শুইয়ে দিয়ে গভীর দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে রিও, সে তার শত বছরের না দেখার তৃষ্ণা মেটাচ্ছে আজ দেখে৷ রিও চোখের পলক ও ফেলছে না সে গভীর ভাবে দেখছে৷ কিন্তু তা আর হলো না রক্তের গন্ধে নিজেকে কন্ট্রোল করতে চেয়েও পারছে না জেনিফার ঘারের কাছে গিয়েও আবার ফিরে আসছে৷
রিও আর কিছুখন থাকলে নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারবে না তাই ঝড়ের গতিতে বাইরে চলে আসে৷
বারান্দায়ই দারানো ছিলো রয় এতোখন সবটা দেখেছিলো রিও বাইরে আসতেই রয়ও রিওর সামনে দাঁড়িয়ে বলে,
— “প্রিন্স এটা না করলেও পারতেন, কতটা ভয় পেলো বেচারি৷ ”

রিও বাকা হেসে বলে,
— ” ওকে তো এভাবেই প্রতিদিন ভয় পেতে হবে, আমি ওকে আমার হিংস্র রুপে ভিত করবো মুগ্ধ রুপে ঘায়েল করবো৷
ওকে আবার আমি আমার কাছে ফেরাবো তুমি তো জানো প্রিন্স সায়মন রিও সহজে কিছুর দিকে তাকায় না আর যে দিকে তাকায় তা ভালো লাগলে নিজের করে ছারে ভালো না লাগলে ধ্বংস করে দেয়৷ আমি শত বছর আগেও এমন ছিলাম শত বছর পরেও একই আছি, আমার শহরে প্রবেশ করেছিলো ও বিনা নোটিশে আর এ শহর থেকে বের হওয়া যে কখনই যায় না হোক সে সুগন্ধি রক্তের মানুষ হোক সে ভ্যাম্পায়ার৷ ”

রয় রিওর দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে এ সে কোন রিও কে দেখছে? কোন হিংস্র রক্ত খেকো ভ্যাম্পায়ার? যার কথা সব সময় হিংস্রতা দেখতে পায় সে আজ এই কথা বলছে? কথার মাঝে হিংস্রতা থাকলেও ভালোলাগাও রয়েছে অফুরন্ত৷

রয় বলে,
— “তাহলে আপনি কি করতে চাইছেন?”

রিও আবার বাকা হেসে রয়ের দিকে তাকায়, রয়ও কিছু খন রিওর দিকে তাকিয়ে বলে,
— “প্রিন্স যা ভাবছে তা কি ঠিক হবে? না মানে আপনি ঠিক থাকতে পারবেন?”

রিও পৈশাচিক হেসে বলে,
— “আমি ভ্যাম্পায়ার প্রিন্স সায়মন রিও, আমার দ্বারা সব সম্ভব এটা সবাই জানে আর তুমিতো ভালো করেই জানো আর কিছুদিন একটু সমস্যা হবে কিন্তু আমি পারবো৷ ”

_______________

ভোরের আলো চোখে পরতেই ঘুম ভাঙে জেনিফার৷ চোখ খুলেই দরফরিয়ে উঠে জেনিফা,
— “কে ছিলো ওইটা? কি ভয়ানক তার চেহারা, আর আমি বিছানায় বা এলাম কি করে?”

দরজায় নক পরায় ভাবনার জগত থেকে বেরিয়ে আসে জেনিফা, বিছানা ছেরে উঠে দরজা খুলে দেখে ওর মা মুচকি হেসে কফি নিয়ে মুচকি হেসে দারিয়ে আছে৷ জেনিফার কাছে কফি টা এগিয়ে দিয়ে বলে,
— “গুড মর্নিং প্রিন্সেস৷ ”

জেনিফা মুচকি হেসে ওর মা কে জরিয়ে ধরে বলে,
— “মর্নিং মা৷ ”

জেনিফা কফিটা নিয়ে রুমে আসে, কফিটা রেখে ক্লিপটা নিয়ে মাথা বাধার সময় জেনিফার মা কিছু একটা দেখে ব্রু কুচকে বলে,
— ” তোমার এই দাগটা এমন উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে কি করে?”

জেনিফা একবার হাতের দিকে তাকিয়ে কফিটা নিয়ে খেতে খেতে বলে,
— “জানি না, কাল থেকে এমন হচ্ছে৷ ”

জেনিফার মা কিছুখন দাগটার দিকে তাকিয়ে নিচে চলে যায়৷
নিচে এসে মাদার কে ফোন করে৷ মাদার ফোন তুলতেই বলে,
— “মাদার জেনিফার সেই জন্ম দাগ টা উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে কেন?”

মাদার জেনিফার মায়ের কথা শোনার পর থর থর করে কাপতে লাগে হাত থেকে ফোনটা পরে যায় আর কেদে বলে উঠে “প্রিন্স এসে গেছে তার এঞ্জেল কে নিতে৷ ”
ফোনটা নিচে পরে ছিলো আর জেনিফার মা মাদার এর কথা শুনে ফেলে৷
জেনিফার মা ও ডুকরে কেঁদে ওঠে আর বলে,
— “তাহলে সত্যি আমাদের মেয়ে এঞ্জেলিনা?কিন্তু এ কি করে হয়? ও তো আমার মেয়ে৷ ”

জেনিফা ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে নিচে আসে, আজ দেরি হয়ে গেছে তাই ব্রেকফাস্ট করে বের হয় নি৷
আজ কলেজে যেতে বারন করেছিলো তাও গেছে৷ কলেজে এসে দেখে অনেকটা লেট হয়ে গেছে, অন্যান্য ক্লাস শুরু হয়েও গেছে কিন্তু ওর ক্লাসের সামনে যেতেই দেখে মেয়েদের ভীর জমে আছে এর মধ্যে মায়াও আছে কিন্তু কি নিয়ে কথা হচ্ছে এখানে? ক্লাসে ঢুকে দেখে ক্লাস এখনো শুরু হয়নি৷
জেনিফা গিয়ে বসতেই মায়া পাশে এসে বসে বলে,
— ” উফফ জেনি জানিস, আজ কলেজে যা হ্যান্ডসাম একটা ছেলে এসেছে আমি তো ক্রাস খেয়ে বসে আছি৷ ”

জেনিফা ব্রু কুচকে বলে,
— “আচ্ছা মায়া এটা কি তোর রেগুলার খাওয়ার রুটিন এর মধ্যে পরে? মানে রেগুলারি কারো না কারো উপর ক্রাশ খাচ্ছিস তাই বলছিলাম আর কি৷ ”

মায়া আর চোখে তাকিয়ে বলে,
— “এটা বলছিস তো? দেখিস তুই আবার ক্রাশ খেয়ে বসে থাকিস না যেন৷ ”

জেনিফা কিছু না বলেই বিরক্ত নিয়ে উঠে চলে যায় কিন্তু ক্লাসে সব যায়গায় ওই ছেলেকে নিয়েয় কথা হচ্ছে৷
জেনিফা বিরক্ত নিয়ে একা একা কথা বলছে আর বাইরে যাচ্ছে,
— “কে সে জাকে নিয়েই পুরো ক্লাস মেতে আছে? বিরক্ত লাগছে কিছু একটা পেলেই সবাই ওইটা নিয়ে পরে থাকে৷ ”
না দেখেই যাচ্ছিলো হঠাৎ কারো সাথে ধাক্কা খেয়ে পরে যেতে নেয় আর চোখ বন্ধ করে ফেলে আর বলে,
— “ইসস গেলো বোধহয় কোমরটা৷ ”

কিন্তু না কিছুখন পর মনে হলো কেও ধরে আছে চোখ মেলে তাকাতেই সামনে থাকা ব্যাক্তিটি কে দেখে হা হয়ে গেলো৷ ছেলেটা বেশ সুদর্শন লালচে ফর্সা বর্ন তার মুখ ছো ছোট চোখ মনিটা হলদেটে লাল চোখের মনি সিল্কি চুল হালকা হালকা চাপ দাড়ি মুখে বাকা হাসি ছেলেটা জেনিফার কোমর ধরে আছে ছেলেটা অনেকটা লম্বা তাই মাথা উচু করে দেখতে হচ্ছে৷ বাকা হাসির কারন জেনিফার অজানা কিন্তু অজান্তেই জেনিফাও ছেলেটাকে দেখে ক্রাশ নামক বাশ খেয়ে বসে আছে৷

ছেলেটা জেনিফা কে ছেরে দিয়ে একটু দূরে যেতেই মেয়েগুলো ঝেকে ধরে জেনিফা পিছে তাকায় ছেলেটা এটিটিউড নিয়ে সামনে যেতেই মায়া এসে বলে,
— ” hey what’s ur name?

ছেলেটা সানগ্লাস পরে একটু পিছে তাকিয়ে আবার বাকা হাসি দিয়ে বলে,
— “সায়মন রিও৷ ”

চলবে,,,

[ ছোট বলে লজ্জা দিও না, কালকে সকাল দশটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত ফুপ্পির বিয়ের শপিং করছি এতো এতো শপিং ব্যাগ ক্যারি করতে করতে হাত ব্যথায় ফুইলা গেছে তাই কালকেও দিতে পারি নাই৷ যাই হোক কেমন হইছে জানায়ো৷]