The Hunted Lover💖part-6

#The_Hunted_Lover (A Vampire Love Story)
#Tafsia_Meghla
#Part:06

ছেলেটা সানগ্লাস পরে একটু পিছে তাকিয়ে আবার বাকা হাসি দিয়ে বলে,
— “সায়মন রিও৷ ”
বলে সেই এটিটিউড নিয়ে ভিতরে চলে যায়৷
মায়া এসে এক্সাইটেড হয়ে জেনিফা কে বলে,
— “ও মাই গড জেনি তোকে রিও ধরেছিলো৷ ”

মায়া ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বলে,
— “হুম৷ ”

সব মেয়েরা এসে জেনিফা কে ঝেকে ধরে এটা ওটা বলছে জেনিফা এক গাদা বিরক্তি নিয়ে আবার নিজের জায়গায় এসে বসে৷
এর মধ্যে স্যার ক্লাসে আসে, মেয়েরা এখনো রিও কে নিয়েই পরে আছে আর রিও কারো কথারই কোনো উত্তর দিচ্ছে না ভাব নিয়ে বসে আছে৷
জেনিফার সেই দাগটা জল জল করে উঠছে আবার এবার জেনিফা বুঝতে পারছে না এমন হচ্ছে কেন৷
— “আজ দাগটা আবার এমন করছে, আবার সেই একই অনুভূতি এমন হচ্ছে কেন?”

— “কি ভাবছিস এতো?”

মায়ার কথায় জেনিফা ভাবনার জগত থেকে ফিরে আসে৷ জেনিফা মুচকি হেসে বলে,
— “না কিছু না৷ ”
জেনিফার কেন জানি মনে হচ্ছে তার দিকে কেও তাকিয়ে আছে জেনিফা এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখে নাহ কেও না যে যার মতো বসে আছে৷

এতো মানুষের ভীরে একটা রক্ত খেকো ভ্যাম্পায়ার বসে কিন্তু সবারি অজানা, রিওর মাথা চিন চিন করছে রক্তের গন্ধ্যে, তাও কিছু করতে পারছে না৷ কিছুখন পর ক্লাস থেকে বেরিয়ে যায় রিও বের হতেই রয় এসে বলে,
— “প্রিন্স, কিং আপনাকে স্বরন করছে৷ সে চায় এখনি আপনি তার নিকট উপস্থিত হন৷ ”

রিও ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে ক্লাস শেষ হতে অনেক দেরি৷ রয়ের কথায় মাথা দুলিয়ে হাওয়ায় মিলিয়ে যায়৷

Vampire Kingdom………….

এঞ্জেলিনার তৈল চিত্রের সামনে দারিয়ে আছে ভ্যাম্পায়ার নামক এক অপরুপা নেকড়ে রাজকন্যা “ইরিনা তৌফা” ভ্যাম্পায়ার রাজ্যে সবার কাছে সে অপরুপা ভ্যাম্পায়ার কিন্তু সে একজন হিংস্র নেকড়ে যে ভ্যাম্পায়ার প্রিন্স সায়মন রিওর প্রেমে মাতাল কিন্তু রিও ইরিনা কে একটুও পছন্দ করে না৷

ইরিনা এঞ্জেলিনার তৈল চিত্রের সামনে দারিয়ে বলে,
— ” কাল ৫০০শত বছর পূর্ন হয়েছে কিন্তু আমি তো জানি তুমি আর ফিরবে না, এখন রিও শুধু আমার যেভাবেই হোক রিও কে নিজের করতেই হবে৷ তোমার জন্য এই ৫০০শত বছর ভ্যাম্পায়ার হিসেবে এই ভ্যাম্পায়ার রাজ্যে পরে থাকতে হয়েছে৷ এখন আমি আমার স্বপ্ন পুরোন করতে পারবো৷ ”

— “তা আর হওয়ার নয় ইরিনা ৷ ”

মেয়েলি কন্ঠ পেয়ে পিছে তাকাতেই দেখে ইরিনার বান্ধুবি জেস্ফি দারিয়ে আছে যে ভ্যাম্পায়ার হলেও ইরিনার খুব ভালো বান্ধুবি৷ ইরিনা ব্রু কুচকে বলে,
— “মানে?”

— “মানে, এঞ্জেলিনা বেচে আছে কিন্তু সে মানুষ তার ক্ষমতা খুবই কম৷ আর প্রিন্স সায়মন রিও তার জন্যই এখন সেই মানুষের রাজ্যে থাকে৷ ”

ইরিনা রেগে বলে,
— “না এটা হতে পারে না, এঞ্জেলিনা কি করে ফিরে আসতে পারে? এটা কখনো হওয়ার নয়৷ ”

— “মানুষ হলেও তার ক্ষমতা খুবই কম তাকে যেকোনো সময় মেরে ফেলা যায় কিন্তু এবার তার আশে পাশে থাকছে প্রিন্স সায়মন রিও৷ ”
ইরিনা রেগে নেকড়ে রুপ নিয়ে কোথাও একটা চলে যায়৷

কিং জ্যাক এর সামনে দারিয়ে আছে প্রিন্স সায়মন রিও কিং গম্ভীর ভাবে বলে,
— “যা করছো তা কি ঠিক হচ্ছে? রিও এ কি করে সম্ভব সে তো আর নে, সে আর ফিরবে কি করে? আর তুমি এতোগুলো মানুষের ভীরে কি করে আছো৷ ”

রিও বলে,
— “বাবা আমি জানি সে আমার এঞ্জেলিনা৷”

— “সে এঞ্জেলিনার মতো দেখতে হয়তো কিন্তু সে এঞ্জেলিনা নয়, একজন মানুষ কি করে এঞ্জেলিনা হতে পারে? এটা তোমার ভুল, এমন চলতে থাকলে কি করে হয়?”

— “ও আমার এঞ্জেলিনা এটা আমি জানি৷ আর কারো জানা বা মানার প্রয়োজন নেই৷ ”
বলেই রিও রেগে বাইরে চলে আসে৷

—————————

একা একা রাস্তা দিয়ে হাটছে জেনিফা, মায়া কিছু কাজে অন্য কোথাও গিয়েছে তাই৷ একা একা হাটছে আর সেই দাগটার দিকে তাকিয়ে আছে আর কাল রাতের কথা ভাবছে৷
জঙ্গলের বাইরের রাস্তা সচারাচর বেশি মানুষ এখান দিয়ে আসে না কিন্তু মায়া আর জেনিফা প্রায়ই এই রাস্তা দিয়ে আসে৷ আজ মায়া নেই জেনিফা একাই, হঠাৎ দুইটা ছেলে জেনিফার সামনে এসে দারায়৷ জেনিফা পাস কেটে সরে যেতে চাইলে আবার সামনে এসে দারায়৷
জেনিফা রেগে বলে,
— “What’s ur problem?”

ছেলে দুটো কিছু না বলেই জেনিফার হাত ধরে টেনে নিয়ে যেতে থাকে একটা খালি জায়গায় নিয়ে ধাক্কা দিয়ে ফেলে ওরনাটায় হাত দিবে তখনই ঝড়ের গতিতে কেউ এসে জেনিফার সামনে দারায়৷
জেনিফা উপরে তাকিয়ে দেখে রিও, রিও কে দেখে সস্থির নিশ্বাস ছেরে উঠে দারায়৷ ছেলে দুটো রিও কে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে আবার সামনে যেতে চাইলেই রিও রক্ত চক্ষু দিয়ে তাদের দিকে তাকায় ছেলে দুটো ভয়ে পালিয়ে যায়৷
জেনিফা কিছুই বুঝতে পারছে না ছেলে দুটো এভাবে পালালো কেন? জেনিফা উরনা টা ঠিক করে রিও কে বলে,
— “Thanks”

রিও অন্য দিকে তাকিয়ে সানগ্লাস পরতে পরতে বলে,
— “its ok ধন্যবাদ এর প্রয়োজন নে৷ ”

জেনিফা মুচকি হেসে বলে,
— “আপনি ব্যাঙ্গলি?”

রিও ফোন স্ক্রল করতে করতে বলে,
— “ব্যাঙ্গলি হলেই বাংলা জানা যায়?”
কথাটা বলেই রিও সামনে হাটতে থাকে৷

জেনিফা কোমরে হাত দিয়ে দারিয়ে বিরবির করে বলে,
— “জাক বাবা এত্তো এটিটিউড দেখতে সুন্দর হলেও খরুশ একটা কি ভাব ইসস৷ ”

জেনিফা সামনে তাকিয়ে দেখে রিও নেই, একবার এদিক ওদিক তাকিয়ে হাটতে থাকে৷

সন্ধ্যা নেমে এসেছে লন্ডনে খুব একটা আজানের ধ্বনি শোনা যায় না৷ আসে পাসে বেশিরভাগই গির্জা জেনিফা খ্রিস্টান না হলেও গির্জায় যেতো মাদারের কাছে কিন্তু এখন জেনিফার মা যেতে, তাই মোন খারাপ করে বসে আছে বারান্দার দোলনাটায়৷
আর অদৃশ্য হয়ে তাকে এক দৃষ্টিতে দেখে মনের তৃষ্ণা মেটাচ্ছে রিও৷
শত বছর পর তার প্রেয়সীকে পেয়েছে তাই প্রতিটা মূহুর্ত তাকে দেখে কাটাতে চায় এমন মোনমরা হয়ে আছে তাই রিওর ও ভালো লাগছে না কিন্তু রিওর মাথায় এখন সয়তানি বুদ্ধি ঘুরছে রিওর পাশেই রয়ও দারিয়ে ছিলো রিও বাকা হেসে সামনের দিকে এগোবে তখনি রয় বলে,
— “প্রিন্স এখন এই সন্ধ্যা বেলা কি করছে? মেয়েটার এমনি মোন খারাপ আবার এমন করবেন?”
রিও কিছুখন ভেবে রয়কে নিয়ে সেখান থেকে চলে আসে৷

_________________________

ভালোবাসার জন্য কি না করে? একজন ভ্যাম্পায়ার কেও হার মানিয়ে দেয় ভালোবাসা, যতই সে তার প্রেয়সীকে পাওয়ার জন্য মানুষ হয়ে মানুষের ভীরে থাকুক না কেন দিন শেষে সে একজন ভ্যাম্পায়ারই৷ রক্তের পিপাসা বেকুল হয়েই থাকে রিওর মাথায়ও এখন রক্তের নেশা চরে বসেছে৷
ঘড়ির কাটায় রাত ১২টা সেই দুটো ছেলে হাইওয়ে রোড দিয়ে ড্রাইভ করছে ড্রিংক করে মাতাল হয়ে৷ মাঝ রাস্তায় যেতেই গাড়ি ব্রেক ফেইল হয়ে গাড়ি জঙ্গলের ভিতর ঢুকে যায় গাছ সামনে থাকায় উল্টো হয়নি৷ গাড়ির সাথে ধাক্কা লেগে মাথাটা অনেকটা কেটা যায় কারনে রক্ত পরতে থাকে৷
রাতে জঙ্গলে রক্ত খেকো দের আনা গোনা মানুষের রক্তের ঘ্রান পেয়ে এইদিকেই ছুটছে৷ জঙ্গলে জন্তু জানোয়ার দের ডাক ভয় পেয়ে দৌরাতে থাকে হঠাৎ করে কেও তার ভয়ংকর রুপ নিয়ে সামনে এসে দারায় এমন ভয়ংকর রুপ দেখে ভয় পেয়ে পালাতে চাইলেই সে আরো ভয়ংকর হয়ে দাঁড়ায় ছেলে দুটো ভয়ে ভয়ে বলে,
— ” who are you?”

সে ফিস ফিস করে বলে,
— ” #The_Hunted_Lover. ”

চলবে,
[কেমন হচ্ছে জানায়ো]