The Hunted Lover💖part-7

#The_Hunted_Lover (A Vampire Love story)
#Tafsia_Meghla
#Part:07

অন্ধকার রুমে বন্ধ হয়ে আছে জেনিফা হাত মুখ বাধা চারোপাশে চাশের ছরাছরি লাশ গুলো যেমন কাছে যাওয়ার জন্য জেনিফাকে টানছে আর হুডি পরা কেও জেনিফার সামনেই মাথা নিচু করে বসে আছে ভয়াবহ তার চেহারা সামনের দাত গুলো অনেক বড় বড় চোখ গুলো হলুদ৷ হঠাৎ লোকটা দারিয়ে জেনিফাকে টানদিয়ে উঠিয়ে কোথাও একটা নিয়ে চলে যায়৷

— “না”
বলে চেচিয়ে উঠে, শরীর থেকে ঘাম ঝরছে ঘড়িতে তাকিয়ে দেখে তিনটা বাজে তার মানে এতোখন স্বপ্ন দেখছিলো৷
জেনিফা উঠে পানি খেয়ে গুটিয়ে বসে আছে স্বপ্নে সেই লোকটার চেহারা এতোটাই ভয়ংকর ছিলো জেনিফা এখনো কাপছে৷ জেনিফা মাঝে মাঝেই এই স্বপ্ন টা দেখে কিন্তু একই স্বপ্ন কিছুদিন পর পর কেনই বা দেখে তার অজানা৷

হঠাৎ কিছু পরার শব্দ পেয়ে আতকে উঠে, কাপা কাপা পায়ে বিছানা ছেরে নেমে বারান্দায় গিয়ে দেখে সজোরে দোলনাটা দুলছে৷
— “বাতাস ও নেই এভাবে এটা দুলছে কেন?”
ভয়ে ভয়ে দোলনাটায় হাত দিতেই আচমকা দোলনার উপর বসে পরে৷ আর জেনিফা বসার পর দোলনাটা আরো বেশি করে এদিক ওদিক দোলাচ্ছে৷
জেনিফা উঠেতে চাইলেই উঠতে পারছে না, মনে হচ্ছে কেউ জোরে চেপে ধরে আছে৷
কাপা কাপা গলায় বলে,
— “কে?”
কিন্তু কোন কিছুরি সারা পাচ্ছে না৷

দোলনার পিছনে অদৃশ্য হয়ে রিও দারিয়ে বাকা হাসছে আর জোরে জোরে দোলাচ্ছে৷ জেনিফা আবার বলে,
— “কে? কেন এমন করছে? প্লিজ ছেরে দিন আমায়৷ ”

এইটুকু বলেই ফুপিয়ে কাদতে থাকে, রিও জেনিফার কথা শুনে রেগে রক্ত চক্ষু ধারন করে দোলনাটা আরো জোরে জোরে দোলাতে থাকে আর বলে,
— “ছেরে দিবো মানে? এই শত বছর অপেক্ষা করে আছে ছারার জন্য? না না অনেক হিসেব বাকি আছে, অনেক প্রশ্নের উত্তর বাকি আছে৷ ”

রিও এতো কথা বললেও কোনো কথাই জেনিফার কান পর্যন্ত পৌছাচ্ছে না৷ রিও পিছনে থেকেই দৃশ্যমান হয় দোলনাটা দোলানো ও থামিয়ে দিয়েছে৷
জেনিফা এখনো ফুপিয়ে কাদছে, হঠাৎ করে রিও পিছন থেকে চুলের ক্লিপটা খুলে দেয় আর চুল গুলো পুরোটা খুলে যায়৷ আচমকা এমন চুল খুলে যাওয়ায় আরো ভয় পাচ্ছে রিও ধীর পায়ে জেনিফার সামনে এসে দারায় এবার পুরোপুরি দৃশ্যমান৷ আজ আবার সেই ভ্যাম্পায়ার হিংস্র রুপে এসে দারায়, জেনিফা এমন ভয়ংকর চেহারা দেখেই জ্ঞ্যান হারায়৷
রিও জেনিফা কে তুলে নিয়ে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে আবার দেখায় ব্যাস্ত হয়ে যায়, কিছুখন পর চোখমুখ শক্ত করে বলে,
— “তুমি নিজেই আমার জীবনে এলে আবার নিজেই পালালে এভাবে? কেন? অনেক প্রশ্ন যে আমার অজানা রয়ে গেছে, ভ্যাম্পায়ার হয়ে নেকড়ের জন্য আত্মহত্যা করেছিলে?
আবার নিজেই ফিরে আসার বার্তা দিয়ে গিয়েছিলে? অনেক কিছুযে রহস্য হয়ে আছে৷ তুমি কি সত্যি আত্মহত্যা করেছিলে? আর আত্মহত্যা যদি করেই থাকো কেনই বা সেই রক্ত দিয়ে লিখে গিয়েছিলে আমি আবার আসবো?
তুমি যদি সত্যি আত্মহত্যা করে থাকো ওই নেকড়ের জন্য তাহলে তোমার শাস্তি হবে ভয়ানক আমার কাছে রেখে তোমাকে শাস্তি দিবো৷ আর যদি এটা কোনো সরজন্ত্র হয় তোমাকে কেও তোমাকে যদি মেরে থাকে তাহলে সে পার পাবে না আর তুমিও শাস্তি পাবে এতোদিন আমার থেকে দূরে থাকার শাস্তি, আমাকে ভুলে যাওয়ার শাস্তি৷ ”

— “শাস্তি টা কী দেওয়া ঠিক হবে?”

পুরুষালি কন্ঠ পেয়ে পিছনে তাকিয়ে দেখে রয় দারিয়ে আছে, রিও বলে,
— “মানে?”

— “মানে আগে সে ছিলো একজন ভ্যাম্পায়ার আর এখন সে মানুষ আগের সাথে এখন আকাশ পাতাল তফাত৷ কি করবেন আপনি? নিয়ে গিয়েই বা কোথায় রাখবেন? ভ্যাম্পায়ার রাজ্যে একটা মানুষ কে?
যেখানে হাজারো রক্ত খেকো দের বসবাস সেখানে?প্রিন্স যা করছেন ঠিক না, এখন আপনার রাস্তা আর তার রাস্তা ভিন্য আর এটা যে এঞ্জেলিনা না আপনি কেন বুঝতে পারছেন না? ও একটা মানুষ আপনার এঞ্জেল নয়৷ ”

রিও এবার ভয়ংকর রেগে গেছে রিও রেগে গিয় রয় কে গলা ধরে দেওয়ালের সাথে চেপে ধরে৷
কিছুখন পর হুস আসায় দূরে সরে নিজেকে শান্ত করে হুংকার দিয়ে দিয়ে বলে,
— “ও আমার এঞ্জেল আমি জানি আর এটা আমি প্রমান করবই৷ ”

রয় মাথা নিচু করে দারিয়ে আছে বুঝতে পারেনি রিও এমন করবে, যত যাই করুক রিও কখনো রয়ের উপর হাত তুলেনি কিন্তু আজ গলা চেপে ধরেছে৷ রয় জানে রিও এটা তার এঞ্জেল এর জন্য করেছে জাকে সে সবচাইতে বেশি ভালোবাসে৷ তাও রয়ের খারাপ লাগছে৷
রিওর ও বুঝতে পারার পর খারাপ লাগছে কখনো এমন করেনি, কিন্তু এঞ্জেলিনা কে নিয়ে কথা বলেছে তাই৷

রয় বলে,
— ” আমি জানি আপনি ইচ্ছে করে করেননি, আপনি খারাপবোধ করবেন না আমি বুঝতে পেরেছি কিন্তু একটাই কথা যা করবেন ভেবে চিনতে সে মানুষ এভাবে ভয় দেখানোটা খারাল পর্যায়ে যেতে পারে আর তার বয়সটাও অনেকটা কম৷”

রয়ের উত্তরে রিও বাকা হাসে আর রয়ও জানে রিও কখনো কোন কথা শুনবে না ওর যা মাথায় আসে তাই করবে৷

______________________

জেনিফা ঘুম থেকে উঠেই নিজেকে বিছানায় আবিষ্কার করে কিন্তু কাল রাতের কথা মনে পরতেই ভয়ে কুকরে উঠছে কিন্তু বিছানায় কি করে এলো বুঝতে পারছে না৷
— “ওইটা কি তাহলে স্বপ্ন ছিলো? স্বপ্নই যদি না হয় ওই ভুতটা কি বিছানায় দিয়ে যাবে নাকি? সাথেতো নিয়েই যেতো৷ সালা ভুত প্রতিদিন আমার স্বপ্নে এসে আমাকে ভয় দেখিয়ে যাস আজকে ঝারু নিয়ে ঘুমাবো স্বপ্নেই তোকে ঝাড়ু পেটা করবো৷ ”

জেনিফার কথা শুনে রয় অদৃশ্য হয়ে জোরে জোরে হাসছে৷ রিও ও পাশেই দারানো রয় হাসতে হাসতে বলে,
— “প্রিন্স আপনাকে সালা ভুত বলছে, আপনি নাকি ভুত৷ ”

রিও বিরক্ত নিয়ে বলে,
— “কি আজব মেয়েরে বাবা দুদিন যাবত একই ঘটনা ওর কাছে স্বপ্ন মনে হচ্ছে? মানুষরা বুঝি এমনই হয় কিছুই সিরিয়াস নেয় না৷ ”

রয় হাসতে হাসতে গরাগরি খাচ্ছে রিও চোখ গরম করতেই হাসি থামিয়ে দেয়৷
জেনিফা ফ্রেশ হয়ে ব্রেকফাস্ট করে কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়, আজ বাস বা কোনো কেব এর দেখা মিলছে না বাড়ি থেকে ফোন ও নিয়ে আসে নি যে কেব বুক করবে৷
একা একা হাটছে আর ঘড়ি দেখছে হঠাৎ করে ওর সামনে একটা কার এসে থাকে ভালো করে তাকিয়ে দেখে ভিতরে রিও৷ রিও গ্লাসটা খুলে বলে,
— “এঞ্জেল,,,,৷ ”

জেনিফা অবাক হয়ে বলে,
— “কি বললেন?”

রিও সামনের দিকে তাকিয়ে বলে,
— “কলেজে গেলে উঠতে পারো আমিও যাচ্ছি৷ ”

জেনিফা মুচকি হেসে গাড়িতে উঠে বসে, সারা রাস্তা কেও কোন কথা বলেনি জেনিফা এটা ওটা জিগ্যেস করেছে কিন্তু রিও চুপই ছিলো৷
কলেজের সামনে গাড়ি থামতেই জেনিফা বলে,
— “আপনি এমন এটিটিউড নিয়ে থাকেন কেন? এমন পেচার মতো মুখ করে থাকেন সব সময়৷ এতোটাও নিরামিষ হওয়া ভালো না৷ ”
বলে রিওর দিকে তাকিয়ে দেখে চোখ গরম করে তাকিয়ে আছে, জেনিফা হাল্কা শুকনো ঢোক গিলে গাড়ির দরজা খুলে জোরে দৌড়ে কলেজের ভিতর চলে যায়৷
রিও জেনিফার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে বাকা হাসে৷

রয় দৃশ্যমান হয়ে রিও কে বলে,
— “প্রিন্স এই মেয়ে তো আপনার থেকেও ডেঞ্জারাস, না মানে ভ্যাম্পায়ার প্রিন্স এর সামনে বসে তাকেই “পেচা” “নিরামিষ ” পদবি দিয়ে চলে গেলো৷”

জেনিফা কলেজের ভিতরে গিয়ে দেখে ক্লাস পুরো ফাকা কেউ নেই৷ জেনিফা বের হয়ে আসবে তখনই আচমকা হেচকা টান দিয়ে দেয়ালের সাথে মিশিয়ে ফেলে৷ উপরের দিকে তাকিয়ে দেখে রিও বাকা হাসছে এক হাত ওর কোমরে আরেক হাত উপরের দেয়ালে৷
রিও বাকা হেসে বলে,
— “কি যেনো বলছিলে?”

জেনিফা কাপা কাপা গলায় বলে,
— “ক,কই? কি বলছিলাম?”

— “ওই যে পেচা, নিরামিষ৷ ”

জেনিফা জোরপূর্বক হাসি টেনে বলে,
— “আরে এমনি বলেছিলাম৷ ”

— “এমনি বলো আর যাই বলো, বলেছিলে তো? আমি যে নিরামিষ না তার তো প্রমান দিতে হবে তাই না?”
বলেই কোমর ধরে নিজের আরেকটু কাছে আনে৷
জেনিফা বলে,
— “ক কিসের প্রমান?”

রিও মুখটা জেনিফার দিকে এগোতে এগোতে কিছু বলবে এর আগেই নিচ থেকে চেচানোর আওয়াজ পায়৷ জেনিফা রিও কে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে বেরিয়ে নিচে চলে আসে৷
জেনিফা নিচে এসে দেখে কলেজের পিছন থেকে চেচানোর আওয়াজ আসছে এসে দেখে মানুষের ভীর৷ ভীর ঠেকে এসে দেখে সেই ছেলে দুটোর লাশ শরীরটা খত বিক্ষত হয়ে আছে খুব বাজে করে ঘাড়ের কাছে দাতের ছাপ৷

জেনিফাএকটু সাহস জুগিয়ে লাশের সামনে যেতে দেখে হাতের উপর লেখা,
— ” #The_Hunted_Lover. “