the unlimited love part-8

#the_unlimited_love❤️
#part_8
#writer_nusrat

আদিলকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে আহিল দৌড়ে গেলো তারপর জড়িয়ে ধরে বললো,,,

হেই ব্রো কোথায় ছিলে তুমি৷ আমি কতক্ষন যাবৎ খুজছি তোমায়৷

তুই আমায় খুজছিলি৷ কিন্তু আমি যে দেখলাম তুই এতক্ষন মারামারি করছিলি৷

হইসে এবার বলো রুবা কোথায় ওকে তো দেখছিনা৷

ছোট ভাইয়া আমি এখানে৷

রুবা আহিল কে এসে জড়িয়ে ধরলো৷

কেমন আছিস ভাইয়া৷

ভালো খুব ভালো

তখুনি মা চলে আসলেন,এসে বললেন,,

একি রে তোরা এখনও দাড়িয়ে আছিস যে চল ব্রেকফাস্ট করবি৷

তারপর সবাই ব্রেকফাস্ট করায় বসে পরলো৷

কিছুক্ষন পর রুমে ঢুকলাম,ঢুকে দেখি উনি ল্যাপটপে কাজ করছেন৷ আমায় দেখে বন্ধ করে দিয়ে বললেন,,

খুব তো মানুষকে এডভাইস দিতে জানো৷ তুমি নিজে কি হ্যা৷ আমি তো জাস্ট সোহার সাথে দেখাই করেছিলাম৷ আর তুমিতো আমার ভাইকে জড়িয়েই ধরে ফেললে৷ এসব কিছুনা তাইনা৷ সব দোষ তো আমার৷

আমি আহিলকে জড়িয়ে ধরিনি৷ আহিল আমায় জড়িয়ে ধরেছে৷ আর আপনার বউ হিসেবে ধরে নাই৷ নিজের বেস্ট ফ্রেন্ড হিসেবে জড়িয়ে ধরেছে৷ আর কি যেন বলেছিলেন আপনি সোহানির সাথে জাস্ট দেখা করেছিলেন আর কিছু করেন নাই তাইনা৷

না আর কি করবো

তাহলে ওর কপালে কিস কে করেছিলো বলুন

আমিই করসি৷ ওয়েট ওয়েট তুমি কি করে জানলে আমি যে ওকে কিস করসি

এমা আমি কি থেকে কি বলে ফেললাম৷ এবার কি বলবো উনাকে৷

কি হলো বলো৷ তারমানে তুমি তখন লুকিয়ে আমাদের ফলো করছিলে৷ এটা নয়তো যে তুমিই কাল সোহানির চায়ের সাথে মরিচ গুঁড়ো মিশিয়ে ছিলে৷

না না আমি কিভাবে মিশাইবো৷ আমি তো তখন কিচেনেই যাইনি৷এইতো আপনার ফকিন্নির কসম খেয়ে বলছি৷

এই তুমি ওর নামে একদম কসম খাবা না বলে দিলাম৷

কথাটা বলে উনি আবার ল্যাপটপ নিয়ে বসে পরলেন৷

বিকেল ৩টা বাজে৷ ছাদে বসে সবাই আড্ডা দিচ্ছি৷ কিছু স্ন্যাকসের ও ব্যবস্থা করা হইসে৷

সন্ধ্যা ৬টায় আমাদের আড্ডা দেওয়া শেষ হলো৷ নামাজ পরে মাকে কিছু রান্নার কাজে হেল্প করলাম৷ একেবারে ডিনার করেই রুমে গেলাম৷গিয়ে দেখলাম উনি যেনো কি ভাবছেন৷

আচ্ছা এখন তো রাত ১১ঃ৪৫ বাজে উনি এখনো ঘুমাননা কেনো৷ এক মিনিট এক মিনিট উনি তো সোহানিকে বলে ছিলেন আজ উনি ক্লাবে যাবেন৷ আমিও কিছু একটা ভেবে শুয়ে পরলাম৷

কিছুক্ষণ পর ছোট ছোট চোখ করে তাকালাম উনার দিকে৷ উনি তখন শার্ট প্যান্ট পরে চুল ব্রাশ করছেন৷

তারপর আমার দিকে তাকিয়ে চলে গেলেন৷ আমিও উনি যাওয়ার সাথে সাথেই উঠে পরলাম৷ তারপর তারাতাড়ি করে একটা বোরকা পরে নিলাম৷ আর উনার পিছু নিলাম৷ উনি ক্লাবে গিয়ে কি করে সেটা দেখার জন্যে৷

বাসা থেকে চুপিচুপি বের হলাম৷ ভাগ্যিস তখন দাড়োয়ান চাচা ঘুমিয়ে পরেছিলেন৷ নাহলে তো যেতেই পারতাম না৷

আচ্ছা উনিতো উনার প্রাইভেট কারে করে চলে গেলেন৷ এখন আমি কি করে যাবো৷ পাশে তাকাতেই দেখলাম একটা সিএনজি যাচ্ছে৷ তারাতাড়ি উঠে পরলাম সেটাতে আর ড্রাইভার কে বললাম যাতে কারটাকে ফলো কর৷

এটলাস্ট ক্লাবে চলেই আসলাম৷ কিন্তু এখানে এসে পরলাম আরেক বিপদে কাপল ছাড়া নাকি ঢুকতে দিবে না৷ এখন আমি কাপল পাবো কই থেকি৷

পাশে তাকাতেই দেখলাম একটা ছেলে কোমড়ে দুইহাত গুজে দাঁড়িয়ে আছে৷ আমি ছেলেটার দিকে এগিয়ে গিয়ে বললাম,,,

“ভাই আপনার কি পার্টনার দরকার নাকি৷ আমারও একটা পার্টনার দরকার৷ এখন কাপল ছাড়াতো ঢুকতে দিবে না৷ তাই চাইলে আমি আর আপনি কাপল সেজে যেতে পারি৷

“এমা আপনি বোরকা পরেছেন কেনো৷ আর আমি আপনার সাথে যেতে পারবোনা৷ মানুষ হাসাহাসি করবে৷”

“দেখুন আপনিও যেতে পারবেননা আর আমিওনা৷ তাই এখন এসব না বলে তারাতাড়ি চলুন৷”

ছেলেটা কিছু একটা ভেবে বললো”,,

“আচ্ছা চলুন”

কোনো রকমে দাড়োয়ানকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে ক্লাবে ঢুকে পরলাম৷ ঢুকতেই দেখলাম মেয়েরা হেলিয়েদুলিয়ে ডান্স করছে আর হাতে পার্টি গ্লাসও আছে৷ বক্সে সুশান্ত সিং এর মাখনা গান বাজছে৷ মেয়েগুলা পার্টি ড্রেসও পরছে৷

“এমা ছি ছি ছি মেয়েগুলা এসব কি পরসে৷ এদের মা বাবা কিছু বলেনা৷ হাঁটুর উপরে যে ড্রেস পরে৷”

আমি আর এসব না দেখে উনাকে খুজতে তাকলাম৷ উনি কোথায় আছেন৷ আমি অন্ধকারে থাকার কারনে কেউ এতটা খেয়াল করছেনা৷ আমার চোখতো শুধু উনাকেই খুঁজছে৷

হঠাৎই চোখ পরলো কয়েকটা প্রাইভেট রুমের উপর৷ কিন্তু এখানে তো কেউ নেই৷ তবুও আমি এই রুমগুলোর দিকে চলে গেলাম৷ তারপর একটা রুমের দরজা হাল্কা করে ধাক্কা দিয়ে যা দেখলাম সেটা দেখে আমার পায়ের নিচ থেকে মাঠি সরে গেলো৷

সোহানি একটা ছেলের কোলে বসে আছে৷ আর ছেলেটার মাথার চুল ঠিক করে দিচ্ছে৷

হায় আল্লাহ এটাতো সেই ছেলেটা যাকে নিয়ে আমি ক্লাবে আসছিলাম৷কে এই ছেলে৷আর আদিল কোথায়৷ আর কিছু না ভেবে ফোনটা বের করে কয়েকটা পিক তুলে নিলাম৷ ভালো হইসিলো সেদিন রুবার ফোনে পিক দেখসিলাম৷ নাহলেতো চিনতেই পারতাম না একে৷ আমিও এগিয়ে গিয়ে বললাম,,

“বাহ বাহ কি সুন্দর কি সুন্দর”

হঠাৎ কারো কন্ঠ শুনে চমকে উঠলো সোহানি৷ আর জলদি করে ছেলেটার থেকে দুরে সরে গেলো৷

“আমার স্বামীকে ফাসিয়ে এভাবে লুকিয়ে প্রেম করা হচ্ছে বুঝি৷”

“কে আপনি???আর আমি কারো স্বামীকে ফাসাইনি”৷

“তা আদিলকে তো চিনো৷ আমি আদিলের স্ত্রী৷ আজ তোমার জন্য শুধু মাত্র তোমার জন্য আদিল আমায় মেনে নেয় নি৷ আর তুমি কি না এসব নোংরামী করে বেড়াচ্ছো৷ ছি ছি ছি”

“আদিল বিয়ে করে নিয়েছে৷???কবে, কখন,কোথায়,কীভাবে৷ আমি এসব বিশ্বাস করিনা৷ আদিল কথা দিয়েছে শুধু বিয়ে করলে আমায় বিয়ে করবে আর কাওকে না৷”

“বিশ্বাস হচ্ছেনা৷ না হওয়ারই কথা৷ ওকে ওয়েট বিয়ের পিক দেখাচ্ছি৷”

“আমি এক এক করে বিয়ে থেকে শুরু করে রিসিপশন পর্যন্ত সব পিক দেখালাম৷”

“আদিল এটা করতে পারেনা৷ আদিল শুধু আমার৷ (চিৎকার করে)”

“একি কি হচ্ছে এসব৷ আর সোহা তুমি না বলেছিলে আমায় ছাড়া আর কাওকে বিয়ে করবেনা তাহলে এখন আদিলের জন্য এত ডেস্পারেট কেনো হচ্ছো৷”

“ওহ জাস্ট সেটআপ রেহান৷ আমি তোমাকে নয় আাদিলকে ভালোবাসি”৷

“তাহলে আমার সঙ্গে যা করলে”,,,

“এসব ভুলে যাও৷ ”

এদের কথা শুনতে শুনতে আমিই বলে উঠলাম,,,

“অনেক হয়েছে সোহানি আর নয়৷ এবার আমি আদিলকে সবকিছু বলে দিবো৷ কিভাবে ঠকাচ্ছো তুমি ওকে৷”

কথাটা বলে চলে আসলাম সেখান থেকে৷ এখন যেভাবেই হোক বাসায় যেতে হবে৷ হঠাৎই চোখ পরলো আদিলের উপর তিনি হেসে হেসে একটা ছেলের সাথে কথা বলছেন৷ একটা ভেংচি কেটে চলে আসলাম৷

এদিকে,,,,,

“আমার একটা কাজ তোমাকে করে দিতে হবে রেহান”৷

“তুমি আমার সাথে যে বিশ্বাসঘাতকতা করেছো এরপর তোমার কোনো কথা শুনার প্রশ্নই উঠেনা৷”

“তাই নাকি৷ শুনো রেহান আমি যা বলবো তোমাকে তাই
করতে হবে নাহলে তুমি. আমার সাথে যা করেছো সেটা সবাইকে জানিয়ে দেবো আর বলবো তুমি জোর করে আমার সাথে এসব করেছো৷ আর একদম চালাকির চেষ্টাও করবানা৷ আমার কাছে এসব কিছুর প্রোফও আছে৷”

সোহানির এসব কথা শুনে রেহান ভয় পেয়ে গেছে৷সোহানি যে ডেঞ্জারাস ও সব করতে পারে৷ তাই রেহান কাপা কাপা গলায় বললো,,,

“বলো কী করতে হবে”??

চলবে,,,,,,,

(ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন৷ আর নাইস নেক্সট না লিখে গঠনমূলক মন্তব্য করুন৷ গল্প যখন দিয়েছি তখন নেক্সট পার্টও অবশ্যই দিবো)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here