Torture with love😍Part-53

#Torture_with_love😍
#Onisa_Esha ( অনু )
#Part_53

In varsity_____________

নীলা: ( এখনও কেউ আসেনি। মনে হলো কেউ টান দিলো তাকিয়ে দেখি নীল ) What the hell problem কি তোমার ?

নীল: Just shut up. গত দু দিন যাবত কত Sorry বলছি তোমাকে ? ঐ দিন মীম এর Behav এর জন্য ? তোমার কি Problem সেটা বলো ?

নীলা: আমার Problem তোমাকে নিয়ে ? আর আমি তোমাকে Just ঘৃণা করি। সামনে থেকে সরো আমি যাবো।

নীল: ( ওকে শক্ত করে দেয়ালে চেপে ধরলাম ) আমাকে কষ্ট দিতে তোমার এতো কেনো ভালো লাগে ?

নীলা: Because first time you hearting me. That’s why now তোমাকে কষ্ট দিয়ে আমি শান্তি পাই।

নীল: নীলা দু বছর আগে তুমি আমায় ভুল বুঝেছিলে।

নীলা: দু বছর আগে তুমি আমায় ভুল বুঝেছিলে।

নীল: আমি তোমাকে ঠিক বুঝেছিলাম আর তুমি এখনও সিফাত এর সাথে Relation এ আছো।

নীলা: তো আমিও তোমাকে ঠিক বুঝেছিলাম ছিঃ তুমি মীম এর সাথে এক Room এ। আমার ভাবতেও ঘৃণা লাগে ( বলেই ওকে ধাক্কা দিয়ে ওখান থেকে চলে আসলাম )

নীল: ( নীলা ধাক্কা দিয়ে চলে গেলো হঠাৎ Phone বেজে উঠলো দেখি সিফাত এর Call. Receive করলাম ) Hello সিফাত ?

সিফাত: ভাই তোর সাথে আমার কথা আছে Meet কর আমার সাথে ?

নীল: কোথায় বল ?

সিফাত: massage এ দিচ্ছি চলে আয়।

নীল: Ok ( আমি বেরিয়ে পড়লাম। সিফাত কেনো ডাকলো )

সিফাত: ( আর আমি নীলা কে কষ্ট পেতে দিবো না। আজ সব বলবো ঐ দিন এর ঘটনা )

নীলা: ( আমি দোড়ে আসছিলাম আর মনে হলো খালি Class room এ সায়েমা কথা বলছে। কিন্তু কার সাথে ? ( আমি দাড়িয়ে শুনলাম )

সায়েমা: শুনো আমার কেরাসিন তেল লাগবে Ok. 10 min এর মধ্যে দিয়ে যাও ( Phone এ )

অজানা: Ok mam.

সায়েমা: আজকে আমি Collage এর Stor room এ কেরাসিন তেল ঢেলে রাখবো আর অনু কে ঐ Room এ বেধে পুরো Room এ আগুল জ্বালিয়ে দিবো। অনু Good bye হবে আর মানিক আমার হবে ( বলেই হাসতে লাগলাম )

নীলা:( এ…এটা আ…আম…আমি কি শুনলাম কি করবো এখন ? অনু কে Call করে আমার কাছে ডেকে নেই ওকে আজ কোথাও যেতে দিবো না। দিলাম Call. Shit অনুর Phone of কেনো। মানিক কে Call করি ) Hello মানিক ?

মানিক: বল কি হলো তোর ?

নীলা: ( মানিক কে সায়েমার কথা সব বললাম )

মানিক: What? আমি এখনি আসছি। তুই অনু কে কলেজে খোজ। পেলে কোথাও যেতে দিবি না। আমি আসছি।

অজানা: মেম কেরাসিন তেল নিয়ে জান। কলেজের পিছন Side এ আছি। ( Phone এ )

সায়েমা: Ok ( আমো গিয়ে কেরাসিন তেল নিলাম তারপর সবার চোখের আরালে Stor room এ রেখে বের হতেই দেখি অনু )

অনু: ( মিহু,নীলা , নাদিয়া কেউ নেই । কোথায় গেলো সব। বলতেই সায়েমা সামনে এলো ) কোথায় যাচ্ছ অনু ?

অনু: আমার Friends দের খুজছি।

সায়েমা: তো আমি তোমার Friend না।

অনু: তুমিও তো আমার Friend .

সায়েমা: চলো গল্প করি।

অনু: Ok চলো।

সায়েমা: অনু Just a min. আমি একটা Cold drinks নিয়ে আসি।

অনু: Ok.

সায়েমা: ( Cold drinks কিনে বোতল খুলে ভেতরে 3 টা ঘুমের Medicine মিশালাম। তারপর ওর কাছে গেলাম ) হুমম এখন বলো।

অনু: তুমি কি এই কলেজে পড়বে ?

সায়েমা: হুমম। ( Cold drinks ওকে এগিয়ে দিয়ে ) খাও।

অনু: No thanks. এখন এগুলো ভালো লাগছে না।

সায়েমা: As like friend একটু।

অনু: Ok ( তারপর Just সায়েমার জন্য খেলাম অল্প । গল্প করতে করতেই মাথা ঘুরে উঠলো। সায়েমা আমাকে নিয়ে Stor room এ গেলো। কিন্তু আমি কিছু বলার মত শক্তি তে ছিলাম না। আমাকে চেয়ারে বসিয়ে বেধে দিলো। আমার এতো মাথা ঘুরাচ্ছিলো ঘুমে তাকাতে পারছিলাম না )

সায়েমা: ( ওদের কাছ থেকে রুমালে অঞ্জান হওয়ার Medicine নিয়ে রেখেছিলাম ঐ রুমাল ওর নাকের সামনে ধরতেই অঞ্জান হয়ে গেলো )

অনু: ( সায়েমা কে কিছু বলবো তখনি যেনো নাকের সামনে কি ধরলো আর কিছুই বলতে পারবো না আমি )

মানিক: নীলা অনু কোথায় ?

নীলা: Yaar ওকে কোথাও খুজে পেলাম না।

সায়েমা: ( আমি ওর পুরো শরীরে কেরাসিন তেল ঢেলে দিলাম। পুরো Stor room এ কেরাসিন তেল ঢেলে দিলাম )

নীলা: চল Stor room এ যাই ?

মানিক: তুই Sure, stor room এর কথা বলেছিলো ?

নীলা: হুমম চল ( তারপর আমরা ( stor room এর সামনে যেতেই যা দেখলাম )

সায়েমা: ( আমি একটা মেছের কাঠি ফেলে বের হতে যাবো আর মানিক নীলা সামনে। আর এদিকে আগুন লেগে গেছে )

মানিক: সায়েমা তুমি কি পাগল ( চিল্লিয়ে ) ( গিয়ে দেখি Stor room এ আগুন জ্বলছে আমি দোড়ে Stor room এর ভেতরে ঢুকলাম। পুরো Room এ আগুন জ্বলছে অনুর ওড়না তেও আগুন লেগে গেছে কিন্তু ওর ঞ্জান নেই। আমি অনুর গায়ে বেধে রাখা দড়ি গুলো খুলতে লাগলাম তাড়াতাড়ি )

নীলা: ( আল্লাহ আগুন তো পুরো লেগে গেছে ওরা 3 জন ভেতরে আর একটু লাগলে তো একজন ও বের হতে পারবে না। পুরো কলেজ Stor room এর সামনে, সায়েমার বাবা,মানিক এর মা ও।

মেঘ: Ohh my god.

মিহু: ( আমি তো অনুর এ Obostha দেখে অঞ্জান )

নাদিয়া: ( আরে মিহু চোখ খোল। সাগর ও তো অঞ্জান ?

সাগর: ওকে নিয়ে দুরে দাড়াও।

সায়েমা: মানিক তুমি শুধু আমার। তুমি ওকে বাঁচাবে না ( ওকে দড়ি খোলা থেকে আটকাচ্ছিলাম ।আমি অনু কে বাঁচাতে দিবো না ) চলো মানিক ( মানিক কে টানতে লাগলাম )

মানিক: ( এদিকে আগুন এর ধোয়া দম বন্ধ হয়ে আসছে। অনুর দড়িটা খুলতেই দিচ্ছে না সায়েমা আগুন বেড়েই যাচ্ছে যা করার তাড়াতাড়ি করতে হবে। কিছু দেখাও যাচ্ছে না )

সাগর: মেঘ মানিক কে অনুর দড়ি খুলতেই দিচ্ছে না সায়েমা চল সায়েমা কে বের করে আনি ?

মেঘ: চল নয়তো 3 জন ই মরবে ( আমরা ভেতরে ঢুকলাম )

সাগর: ( সায়েমা কে টেনে বাহিরে নিয়ে আসলাম )

মেঘ: ( এই মেয়ে বের হতেই চায় না মানিক কে ছাড়া।অনেক কষ্টে বের করলাম )

নীলা: ( সায়েমা কে এক থাপ্পর দিলাম ) তোমার এতো বড় সাহস তুমি অনু কে মারতে চাও ?

মেঘ,সাগর: মানে ?

নীলা: ( ওদের সব বললাম )

সাগর: ( মন চাচ্ছে ওকে মেরে ফেলি )

মানিক: ( অনুর দড়ি খুলে ওকে কোলে তুলে বাহিরে নিয়ে এলাম আর একটু দেরি হলে বাঁচাতে পারতাম না )

মিহু: ( ঞ্জান ফিরতেই দেখি নাদিয়ার বাসায় আমি ) অনু কোথায়?

নাদিয়া: ও ঠিক আছে চল ওর কাছে যাই। ( আমরা বেরিয়ে গেলাম )

মেঘ: ( নাদিয়া কে Call দিলাম ) মিহুর কি Obostha ?

নাদিয়া: আমরা আসছি মানিক এর বাসায় ?

প্রফেসর: নীলা তোমার সাহস কিভাবে হয় আমার মেয়ের গায়ে হাত দেয়ার ?

নীলা: আপনার মেয়ের সাহস কিভাবে হয় আমার Friend কে মেরে ফেলার ?

প্রফেসর: তুমি জানো কার সাথে কথা বলছো ?

সাগর: হ্যাঁ জানি। এই কলেজের প্রফেসর এর সাথে।

প্রফেসর: তাহলে ?

মেঘ: আপনার মেয়ে একজন খুনি ?

সায়েমা: মানিক শুধু আমার। ওকে আমি অনুর হতে দিবো না।

অনু: ( আমার জ্ঞান ফিরতেই দেখি মানিক পাশে বসা। ওকে জরিয়ে ধরে কাদতে শুরু করলাম )

সায়েমা: ( দেখলাম ওর জ্ঞান ফিরেছে আর মানিক কে জরিয়ে ধরেছে আমার রাগ উঠে গেলো মানিক এর সামনে গিয়ে অনু কে টেনে দাড়া করালাম )

মানিক: ( আমার আর রাগ Control করার মত Obostha ছিলো না ) ঠাসসসসসস এটা অনু কে মারার Plan করার জন্য, ঠাসসসসসস এটা আমার আমার অনুর গায়ে Touch করার জন্য, ঠাসসসসসস আমার কলিজায় হাত দেওয়ার জন্য, ( আর একটা থাপ্পর মারতে যাবো তার আগেই নীল এসে থাপ্পর বসিয়ে দিলো )

নীল: ( আমি কলেজে এসে সবার কাছে সব শুনে তাড়াতাড়ি মানিক এর বাসায় গেলাম আর গিয়ে দেখি মানিক ওকে ৩ টা থাপ্পর মেরেছে আমার রক্ত মাথায় উঠে গেলো আমি গিয়ে বসিয়ে দিলাম এক থাপ্পর ) ঠাসসসসসসসস আমার Best friend কে তোর মারার সাহস হয় কিভাবে ইডিয়েট।

প্রফেসর: Ms. চোধুরি আপনার কলেজের ছেলে/মেয়েরা এভাবে আমার মেয়েকে মারার সাহস পায় কিভাবে ? আপনি কি কিছুই বলবে না ?

মানিকর মা: আমার কিছু বলার নেই দোষ টা আপনার মেয়ের। আমার ছেলে কে পাওয়ার জন্য তার Girlfriend কে মারতে চায় ?

প্রফেসর: সায়েমা চলো।

সায়েমা: ( আমি মানিক কে আমার করেই ছাড়বো । সব কটার প্রতিশোধ নিবো আমি )

মিহু: ( প্রফেসর সায়েমা কে নিয়ে যাচ্ছে আর সায়েমা অনুর দিকে তাকিয়ে আছে গিয়ে চুলের মুঠি ধরে বাসা থেকে বের করে দিলাম ) তোর লজ্জা থাকলে আর আসবি না তুই।

সায়েমা: ( আমি সবাই কে দেখে নিবো এতো বড় অপমান চুলের মুঠি ধরে বাসা থকে বের করে দিলো আমি তো অনু কে মারবই )

নীল: তুই ঠিক আছিস অনু?

অনু: হুমম।

নীলা: মানিক ওকে বাসায় পৌছে দে ?

মিহু: Problem নেই আমি ওকে নিয়ে যাচ্ছি।

নাদিয়া: হুমম সাবধানে নিয়ে যাস।

মানিক: ( অনু কে জরিয়ে ধরে ) তুমি বাসায় যাও আমি তোমার সাথে সন্ধায় দেখা করছি।

সাগর: মানিক তুই Fresh হয়ে নে ? আমরাও যাই।

মেঘ: মিহু তুমি কি বাসায় আসবা নাকি আমি রাতে আমি গিয়ে নিয়ে আসবো ?

অনু: এতো Care ? তুমি গিয়ে রাতে নিয়ে এসো ( বলেই চোখ টিপ দিলাম )

মেঘ: ( অনুর কান্ড দেখে হেসে দিলাম )

নীলা: ( সবাই চলে গেলো। আমার আজকের কাহিনী ভেবেই ভয় করছে। আর একটু Late হলে কি হতো ?

নীল: ( নীলার সামনে যেয়ে ) সিফাত আমায় ডেকেছিলো। ও সব বলেছে আমায়।

নীলা: কি…বলেছে ?

Flashback______________________________

সিফাত: নীল তুই দু বছর আগে দেখেছিলি যে আমি নীলা কে Ring পরাচ্ছি Propose করছি তাইনা ?

নীল: তো এখন কি হয়েছে ?

সিফাত: আসলে Ring টা কিনেছিলাম আমার Girlfriend এর জন্য। আর আমার Girlfriend কে কিভাবে Propose করবো তা নীলা কে দিয়ে Try করছিলাম আর ঐ Time এ তুই এসে দেখে ফেলিস আর ভুল ভেবে নিস।

নীল: মানে কি ?

সিফাত: ( নীল কে ঐ দিনের সব কাহিনী বললাম )

নীল: সিফাত নীলাও আমাকে ভুল বুজেছে। আমি আর মীম একটা কাজ করছিলাম আর ঐ কাজটার জন্য মীম আমার বাসায় এসেছিলো নীলা দেখে ভুল ভেবেছে । বাদ দে।

সিফাত: আমি ওকে বুঝাবো। আর তোকে ও বলতে বলেছিলো যে আমার সাথে ওর Relation এটাও মিথ্যে।

নীল: Thanks দস্ত এতোদিন আমি ওকে ভুল বুঝেছিলাম।

Present________________________________

নীলা: ভালো তো আমি কি করতে পারি ?

নীল: Sorry তোমাকে এতোদিন ভুল বোঝার জন্য ( বলেই আগাতে নিলাম নীলা বলে উঠলো )

নীলা: আমি কিছু শুনতে চাই না ( বলেই চলে এলাম । হঠাৎ সিফাত এর Call ) hello বল ?

সিফাত: এভাবে কথা কেনো বলছিস ?

নীলা: তুই আমার সাথে কোনো কথা বলবি না

সিফাত: নীলা শোন ( তারপর নীল আর মীম এর ঐ দিনের সব কথা ওকে বললাম ) তুই নীল কে ভুল বুঝিস না Plz. আর আমি তোর সাথে দেখা করতে আসছি সন্ধায় । জানি আমার নীলা আমার উপর রাগ। তাই রাগ ভাঙ্গাতে আসবো Tata bbu.

নীলা: ( সিফাত Phone কেটে দিলো। আমি নীল কে এতোদিন ভুল বুঝলাম। ধুর ফালতু কথা ভেবে এখন আর মাথা নষ্ট করবো না। আগে যা হয়েছে ভালো But এখনও মীম নীল এর সাথেই থাকে ভুলি কিভাবে আমি )

চলবে……………..

বি.দ্র: গল্পে সামনে অনেক খারাপ কিছু হতে যাচ্ছে। কেউ আমাকে বকো না Plz আমি নিস্পাপ😶আর কেমন লাগলো জানাবেন Plz😊