Torture with love-2😍Part-1

#Torture_with_love_season_2😍😍
#লেখিকা ( অনু )
#Part_1

দেখতে দেখতে ৬ টা মাস কেটে গেলো…এখন সবাই অনেকটা স্বাভাবিক…কিন্তু এখন আর আগের মত আড্ডা হয়না…#মানিক_মেঘ কে ভুলে থাকার জন্য সবাই বিভিন্ন কাজে বিজি থাকে এখন পড়াশোনার পাশাপাশি…অনু তার ডান্স ক্লাস নিয়ে বিজি,,, মিহু তো এখন রেডিও তে শো করে সে তার রেডিও অফিস নিয়ে বিজি,,, নীলা তার গান নিয়ে বিজি,,, নাদিয়া তো একটা জব করে সে তার জব নিয়ে বিজি,,, নদী তার পড়াশোনা নিয়ে বিজি,,, লিসা তার জব নিয়ে বিজি,,, নীল তার বাবার বিজনেস নিয়ে বিজি থাকে,,, সাগর তার ডান্স ইস্টুডেন্টস নিয়ে বিজি,,, আবির তো কার রেস নিয়ে বিজি,,, নিলয় তার গান গিটার নিয়ে বিজি…. এভাবে এখন সবাই তাদের লাইফ চালাচ্ছে……………..

রাতে____________________________________

নীলা: ( ভালো লাগছে না বাসায়। অনেক রাত তো হয়ে গেছে। থাক কিছু হবেনা। গাড়ি নিয়েই তো যাবো। যাই একটু অনুদের সাথে দেখা করে আসি )

মিহু: ( বারান্দায় দাড়িয়ে তারা গুলো দেখতেলাম। এদের মধ্যে আমার মেঘ আছে। আজ অনেক বেশি মনে পড়ছে মেঘ তোমাকে।আই মিস ইউ সো মাছ। আই কান্ট লিভ উইদাউট ইউ। আই লাভ ইউ। আর কান্না আটকাতে পারছিলাম না )

মামি: ( পিছন থেকে গিয়ে মিহুর ঘাড়ে হাত দিলাম। মিহু আমার দিকে ফিরলো )

মিহু: ( মনে হলো ঘাড়ে কেউ হাত দিলো। চোখ মুছে পিছে ফিরলাম ) মামি তুমি ?

মামি: আর কতদিন এভাবে লুকিয়ে কাঁদবি তোরা বলতো ? তোরা যত যাই করিস। যতই সারাদিন কাজ,পড়াশোনা নিয়ে বিজি থাকিস। রাতে তো ঠিকই সবাইকে লুকিয়ে কাঁদিস তোরা ??

মিহু: ( মামি কে জরিয়ে ধরলাম ) মামি আমি আর পারছি না। আমাদের সাথেই কেনো সব সময় খারাপটা হয় বলতো ?

মামি: মেঘের ভাগ্য টাই খারাপ তুই এতো ভালোবাসিস আর মেঘ তোর ভালোবাসা পেলো না।

মিহু: আমি আর ভাবতেও পারবো না এগুলো ( বলেই কান্না করে দিলাম )

মামি: সামলা নিজেকে। এভাবে ভেঙ্গে পরিস না। সব ঠিক হয়ে যাবে দেখবি।

মিহু: ( আমি চোখ মুছে সায় দিলাম মাথা নারিয়ে )

মামি: লক্ষি মেয়ে। নিচে খেতে আয়। আর অনুকে নিয়ে নাম। আমি যাই কেমন ?

মিহু: হুমমম।

মামি: ( নিচে যেতেই দরযায় বেল বাজলো। এতো রাতে কে এলো। গেট খুলে দেখি নীলা ) আরে মা তুমি ? তাও এতো রাতে ??

নীলা: কেন সুইটি আমার আসা কি বারন ?

মামি: না আমার দুষ্টু বাবু আয় ভেতরে।

নীলা: অনু,মিহু কোথায় ?

মামি: দুজন দুজনের রুম এ আছে।

মামা: কে এলো ?

নীলা: এই বুরো ক্রাশ বয় আমি।

মামা: আয় খেতে বস আমাদের সাথে ?

নীলা: আগে উপর থেকে আসি। তারপর আসছি।

মামা: যা।

নীলা: ( আমি উপরে গেলাম )

অনু: ( মাথা নিচু করে বসে ছিলাম। মনে হলো কেউ ডাকলো। মাথা উঠিয়ে তাকিয়ে দেখি মানিক। সাথে সাথে চোখ দিয়ে গড়িয়ে পানি পরলো ) মানিক তুমি ?

মানিক: কেনো মিস করছিলে আমাকে ?

অনু: অনেক বেশি। এতোদিন কেনো কষ্ট দিলে আমাকে তুমি।

মানিক: দেখলাম তুমি আমাকে কতটা ভালোবাসো।

অনু: আই লাভ ইউ মানিক ( বলেই জরিয়ে ধরবো। আর হাওয়া হয়ে গেলো ) মানিককক,,,,মানিক কোথায় তুমি ( নিচে বসে পড়লাম কান্না করতে করতে )

নীলা: ( অনুর রুম এ এসে দেখি নিচে বসে কান্না করছে। আমার বুঝতে বাকি রইলো না মানিক এর জন্য কান্না করছে। গিয়ে ওর সামনে বসলাম ) সারপ্রাইজ ফইন্নি ? ( অনু উপরে মুখ তুললো ) আরে আমার ফইন্নি কান্নাও করতে জানে সিরিয়াসলি ?

অনু: ( আমি নিচে বসে কান্না করছিলাম। কেউ চেচিয়ে উঠলো। উপরে তাকিয়ে দেখি নীলা। ওর কাহিনী দেখে হেসে দিলাম ) তুই এতো রাতে ?

নীলা: ( অনুর চোখের পানি মুছে দিয়ে ) ছিঃ…তুই আমাকে এভাবে বলতে পারলি। আমার কি কোনো অধিকার নেই আসার ?

অনু: আমি কি বললাম তোকে ? তুই তো কখনও এতো রাতে আসিস না তাই ?

নীলা: আমরা এখন টাইম কোথায় পাই ? সারাদিন জব আর পড়াশোনা নিয়ে সবাই টাইম পাস করি।

মিহু: ( অনুর রুম এ এসে দেখি নীলা ) আরে তুই ?

নীলা: ( মিহুর সামনে গিয়ে ) ভাউউউউউ😆

মিহু: সর বান্দরনি।

নীলা: তুই কি শাকচুন্নি।

অনু: তোরা তো পেত্নি আর ডাইনি।

নীলা: কি বললি ? ( বলেই বালিস হাতে নিলাম )

অনু: বাসায় বালিশ এর অভাব নেই ( বলেই বালিশ হাতে নিলাম )

মিহু: আমারও হাত আছে ভুলিস না তোরা ( বলেই বালিশ হাতে নিলাম )

মিহু,অনু,আর নীলা বালিশ নিয়ে তিনজন মারামারি শুরু করে দিলো… বালিশের সব তুলাগুলো দিয়ে ঘরের অবস্তা খারাপ… তাও ওদের মারামারি শেষ হয়না…..তারপর রাতে নীলা বাসায় চলে গেলো…

সকালে__________________________________

মিহু: অনু উঠ আজ কিন্তু কলেজ আছে😒

অনু: তোর এই সকাল সকাল ষাড়ের মত চেচানোর অভ্যাস গেলো না😡

মিহু: কি আমি ষাড়ের মত চেচাই। দাড়া তুই😡 ( তারপর ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা পানির বোতল থেকে পানি নিয়ে ওর ওপর ঢেলে দিলাম। সাথে সাথে উঠে বেড এর উপর পেত্নির মত লাফাতে শুরু করলো )

অনু: ( আমি শুয়ে ছিলাম। দেখলাম আর চেচাচ্ছে না মিহু। হঠাৎ গায়ে কেউ জমের মত ঠান্ডা পানি ঢেলে দিলো। উঠে বেড এর উপর লাফাতে লাগলাম ) এএএএএএএএএ ঠান্ডা পানি। ও মা আমি জমে গেলাম। মিহুর বাচ্চা, তোর কপালে জামাই জুটবে না,, শালী শাকচুন্নি,,, তোর উপর টাটকা ঠাডা পরবে😭😭

মিহু: ( অনুর কাহিনী দেখে তো আমার অবস্তা খারাপ হাসতে হাসতে মাটিতে বসে পড়লাম ) তুই মইরা যা😂

অনু: তোরে তো আমি😡

মিহু: তার আগে আমি তোরে😡

অনু: যা রুম থেকে নাইলে তোর খবর আছে😡

মিহু: ( ভাগ মিহু ভাগ। একবার অনু নিচে নামলে আমার অবস্তা খারাপ করবে ) রেডি হয়ে নিচে আয়।

অনু: ( আমি ফ্রেস হয়ে নিচে নামলাম। আবির কল দিলো ) Hello…

আবির: কোথায় তুই ?

অনু: বের হচ্ছি এখন।

আবির : তাড়াতাড়ি আয়।

অনু: হুমমম আসছি।

মিহু: কে আবির ?

অনু: হুমম চল। ( তারপর আমরা Varsity র উদ্দেশ্যে বের হলাম )

In varsity_______________________________

নদী: কিরে লিসা তুই একা কেনো ?

লিসা: তো কি জামাই নিয়ে দাড়াবো এখানে।

নদী: মিহু,অনু,নীলা আসেনি ?

লিসা: আসতে দে আজকে ওদের। পায়ের জুতা খুলে যদি না পিটাই ওদের।

নদী: আমি তো কথাই বলবো না। বজ্জাতনী গুলার সাথে। অল টাইম লেট।

লিসা: ওদের জন্যই দাড়ায় আছি। আসতে দে। পায়ের জুতা খুলে পিটাবো।

নদী: তুই দাড়া আসছি আমি।

লিসা: যা।________________________________________
আবির: ( লিসা কে খুজতে খুজতে দেখি একা দাড়িয়ে আছে। গিয়ে ওর এক হাতের বাহু ধরে সামনে ঘুরালাম ) তুই এখানে কেনো ?

লিসা: ( হঠাৎ কেউ হাতের বাহু ধরে তার দিকে ঘুরালো তাকিয়ে দেখি আবির ) তুই ?

আবির: তো কাকে ভাবলি তুই?

লিসা: কাউকে না। তুই কখন এলি ?

আবির: আজ সকালে ফোন করে উঠালি না কেনো ?

লিসা: আমার কি ঠেকা তোকে আমি উঠাতে যাবো। নিজে উঠতে পারিস না। ( অন্যপাশ ফিরে )

আবির: কথাটা আমার দিকে তাকিয়ে বলতো ?

লিসা: নো নিড. আর কিছু বলবি ?

আবির: চল আমার সাথে ( বলেই হাত ধরলাম )

লিসা: আবির হাত ছাড়। আমি কোথাও যাবোনা। অনু,মিহু,নীলা,নাদিয়ার জন্য ওয়েট করছি আমি।

আবির: তোর প্রবলেম কি বলতো ? অলয়েজ আমাকে এরিয়ে কেনো চলিস তুই। এই আমি তোর বেস্টফ্রেন্ড ?

লিসা: আমি তোকে এরিয়ে কেনো চলবো।

আবির: ওকে ফাইন তুই থাক তোর মত। ( বলেই চলে এলাম )

লিসা: ( আবির আমি তোর উপর উইক হতে চাইনা। আমি জানি তুই অনুকে ভালোবাসিস। আমি তোর আর অনুর মধ্যে ঢুকতে চাইনা )
________________________________________
নদী: ( আমি যাচ্ছিলাম কেউ আমাকে ধাক্কা দিয়ে গেলো। আর আমার হাত থেকে সব বইগুলো পরে গেলো। তাকিয়ে দেখি ওই ছেলেটা। মাথাটাই গরম হয়ে গেলো )

নিলয়: ( আমি যাচ্ছিলাম কথা বলতে বলতে। কারো সাথে ভুলে ধাক্কা লেগে আমার হাত থেকে ফোন পরে গেলো। তাকিয়ে দেখি সেই স্টুপিড মেয়েটা। মাথায় রক্ত উঠে গেলো ) হোয়াট ইজ ইয়র প্রবলেম ( চিল্লিয়ে )

নদী: আপনার সমস্যা কি সেটা বলেন তো? দেখে চলতে পারেন না?? চোখ কি গ্রালফ্রেন্ড এর কোলে রেখে আসছেন নাকি ??? দিলেন তো বইগুলো ফেলে😡( এক নিশ্বাস এ বললাম )

নিলয়: আরে চুপ করো। তুমি দেখে চলতে পারোনা। তোমার চোখ কোথায় রেখে হাটো তুমি ?

নদী: নিজে দোষ করে আমাকে প্রশ্ন করছেন আপনি😡

নিলয়: জাস্ট সাট আপ ওকে। তোমার মত মেয়ের সাথে কথা বললে যে কেউ পাগল হয়ে যাবে হোয়াটএবার ( বলেই চলে গেলাম পাশ কেটে )

নদী: অদ্ভুত মানুষ তো। এই ছেলের প্রবলেম কি। আমাকে পাগল বললো। নিজের মাথায় কয়টা সিট আছে কে জানে😤

নিলয়: ( ওর কথাগুলো শুনছিলাম পিছে দাড়িয়ে ) আমার মাথায় সিট থাকলেও তোমার থেকে কম আছে স্টুপিড মেয়ে ( বলেই চলে এলাম। এসব মেয়ে যে কথা থেকে আসে। মুডটাই খারাপ করে দেয় )

নদী: নিজে একটা ফালতু হুহ….
________________________________________

সাগর: কিরে আবার ঝগড়া করলি😂

নদী: সাগর মজা নিসনা প্লিজ😒

সাগর: ভালোবাসার প্রথম দিক এটা😬

নদী: তোরে তো ( বলেই বই দিয়ে ওকে মারতে গেলাম। ও দোড় আমিও ওর পিছে দোড় )

লিসা: ( দেখলাম ওরা আসছে )

মিহু: তুই এভাবে দাড়িয়ে কি দেখছিস😒

লিসা: দেখছি না। তোদের জুতা দিয়ে পিটাবো সেটার জন্য জুতা বের করতেছি।

অনু: কই জুতা তোর😁

লিসা: ওয়েট বের করি জুতা।

নীলা: তোর জুতা আমরিকা থেকে বাংলাদেশে ল্যান্ড করতেছে এখন😎

লিসা: তোরেই সবার আগে পিটামু দাড়া তুই ( বলেই জুতা নিয়ে ওর পিছে দিলাম দোড় )

সাগর: ( সাগর দোড়াতে দোড়াতে এসে দেখি নীলা দোড়াচ্ছে ) কিরে এভাবে দোড়াচ্ছিস কেন তুই ?

নীলা: পিছে দেখ ?

লিসা: সাগর জুতার বারি না খাইতে চাইলে সর।

নদী: এতোক্ষন এ তোদের আসার সময় হলো ?

মিহু: অনু আর নীলার জন্যই লেট।

নাদিয়া: Hello গাইজ……….

সাগর: আপনি কোথায় ছিলেন এতোক্ষন ?

নাদিয়া: বস্ এর সাথে একটা কাজ ছিলো । তো ওটা কম্পিলিট করে এলাম।

অনু: তোর গুনোধর ভাই কোথায় ?

নীল: ( অনুর মাথায় বারি দিয়ে ) এখানে আমি।

নীলা: ঢ়ং দেখলে বাঁচি না।

নীল: তাই ( চোখ টিপ দিয়ে )

সাগর: আবির কই ?

অনু: বললো তো কলেজে ও।

আবির: আমি আছি।

তারপর মিহু,অনু,নীল,নীলা,সাগর,নাদিয়া,লিসা,আবির,নদী আড্ডা জুড়ে দিলো…..আজ অনেক দিন পর ওরা আড্ডা জমালো………তারপর সবাই আড্ডা শেষে বাসায় চলে এলো…………..

রাতে____________________________________

নীল: ( নীলার বাসার নিচে গিয়ে ওকে Call দিলাম )

নীলা: ( ফোন বেজে উঠলো। তাকিয়ে দেখি নীলের কল কেমন সন্ধেহ হলো। জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখি বাসার নিচে। উফফফ এতো রাতে বাসার নিচে কি করে ও। নিচে গিয়ে বাহিরে গেলাম ) তুমি ?

নীল: কতবার কল করেছি ?

নীলা: তো তোমার কল আমি কেনো ধরবো ?

নীল: তুমি আমার কল কেনো ধরবা সিরিয়াসলি নীলা ?

নীলা: হোয়াট ? তুমি এতো রাতে আমার বাসার নিচে কি করো ??

নীল: তোমাকে দেখতে ইচ্ছে করছিলো তাই এসেছি ?

নীলা: শুধু বাসায় সবাই আছে তাই এসেছি। কারন না আসলে তুমি চেচাবা। নীল আমি কিন্তু ( কিছু বলার আগেই নীল টেনে নিজের সাথে মিশিয়ে দিলো )

নীল: তুমি আমার গ্রালফ্রেন্ড + ভবিষৎ বউ। আমার যখন ইচ্ছে হবে আমি আসবো। যখন যা ইচ্ছা করবো ( বলেই ওর দিকে আগাচ্ছিলাম )

নীলা: ( নীল কে ধাক্কা দিয়ে দুরে সরিয়ে দিলাম ) তুমি যদি ভেবে থাকো আমি তোমাকে মাফ করে দিবো। আর তোমার কাছে বেক করবো তাহলে সেটা তোমার ভুল ধারোনা নীল। আমি এখনও তোমাকে Hate করে। আই জাস্ট হেইট ইউ নীল ( বলেই চলে যাচ্ছিলাম। নীল হাত ধরে টান দিলো )

নীল: ( নীলা চলে যাচ্ছিলো হাত ধরে টান দিলাম ) বাট আমি তোমাকে এখনও ভালোবাসি আর সারা জিবন বাসবো ( বলেই ওর দু গালে হাত রেখে নীলার কপালে একটা ভালোবাসার পরস দিলাম😘 )

নীলা: ( কপালে নীলের ঠোঁটের ছোয়া লাগতেই আমার চোখ দিয়ে গরিয়ে পানি পরে গেলো। আমি দোড়ে বাসায় এসে পড়লাম )

নীল: ( আমি আমার সমস্ত ভুল শুধরে নিবো। তোমার সব কষ্ট আমি মুছে দিবো নীলা I প্রমিস বলেই গাড়ি স্টাট দিলাম )
________________________________________
নাদিয়া: ( সাগরের বাসায় গিয়ে বেল বাজালাম )

সাগরের মা: ( বেল বেজে উঠলো গেট খুলে দেখি নাদিয়া ) আরে তুই ? কতদিন পর এলি ??

নাদিয়া: হুমম ( বলেই জরিয়ে ধরলাম ) সাগর কোথায় ?

সাগরের মা: রুম এ বসে গিটার বাজাচ্ছে। আর কোথায় থাকবে।

নাদিয়া: ( আন্টি কে ছেড়ে দিয়ে ) আচ্ছা ওর সাথে কথা বলে আসি।

সাগরের মা: যা।

নাদিয়া: ( আমি উপরে গেলাম সাগরের রুম এ। দেখি গিটার বাজাচ্ছে ) আমি আজ কতবার কল করলাম তোকে ?

সাগর: ( আমি দেখলাম নাদিয়ে রুম এ ঢুকলো। আমি গিটার বাজাতে লাগলাম। ওর কোনো কথার কোনো উওর দিলাম না )

নাদিয়া: সাগর আমি তোর সাথে কথা বলছি কিন্তু ?

সাগর: ( গিটার রেখে দিয়ে ) কেনো বাসায় এসেছিস ?

নাদিয়া: মানে ?

সাগর: আমি বললাম কেনো এসেছিস তুই ?

নাদিয়া: লাস্ট ২ দিন ধরে তুই আমার সাথে কোনো কথা বলছিস না…ইগনোর করে যাচ্ছিস….কি সমস্যা তোর ? ( কান্না কান্না ভাব করে )

সাগর: গতকাল তুই তোর বস্ এর সাথে কোথায় গেছিলিস ? আমি রাতে কতবার কল করলাম বিজি দেখাচ্ছিলো। এতো রাতে তুই কার সাথে কথা বলছিলি ?

নাদিয়া: সাগর তুই আমাকে সন্ধেহ করছিস ?

সাগর: এনাফ নাদিয়া। অফ কর ইমোশনাল নাটক তোর ( রেগে + চিল্লিয়ে )

নাদিয়া: সাগর আমার কথাটা শুন তুই ?

সাগর: আমি কোনো কথা শুনতে চাচ্ছি না। আমার রুম থেকে যা তুই।

নাদিয়া: ( সামনে গিয়ে সাগর কে জরিয়ে ধরলাম ) প্লিজ এরেকুম করিস না। আই লাভ ইউ সাগর।

সাগর: ( আমি অনেক কষ্টে নাদিয়া কে কথাগুলো বললাম। নাদিয়া এসেই জরিয়ে ধরলো। আমি আর রাগ দেখাতে পারলাম না। আমিও জরিয়ে ধরলাম ) আই লাভ ইউ টু।

নাদিয়া: আমি জাস্ট একটা ইমপ্রোটেন্ট কাজ ছিলো তাই ওনার সাথে একটা কম্পানির কথা হয়েছিলো ওখানে গেছিলাম আর কিচ্ছু না। তুই আমাকে বিশ্বাস করিস না।

সাগর: আমি তোকে অন্যকারো সাথে সহ্য করতে পারিনা।

নাদিয়া: ( ওকে ছেড়ে দিয়ে ) তুই আমার ফোন ধরিস নি কেনো😡

সাগর: রাগ করে😡

নাদিয়া: তুই থাক তোর রাগ নিয়ে। আমার সাথে কথা বলতে আসলে খবর আছে😡 ( বলেই‌ নিচে চলে গেলাম )

সাগর: আরে দাড়া তো…. একে নিয়ে আর পারিনা😤
________________________________________

চলবে………………

বি.দ্র: আপুরা আমি আবার সবাইকে বলছি #Torture_with_love_season_1 না পড়লে #Torture_with_love_season_2 পড়ে গল্পের কিছুই বুঝবেন না😊তাই সবাইকে অনুরোধ করবো পড়ার জন্য Season 1. নয়তো কিছু না বুঝলে আমাকে কিছু বলতে পারবেন না কেউ😊আর কেমন লাগলো জানাবেন Plz Season 2 এর First part😊