Torture with love 2😍Part-20

#Torture_with_love_season_2😍😍
#লেখিকা ( অনু )
#Part_20

রাতে মেঘের বাসায়________________________

মেঘ: মিহুহুহু?

মিহু: চেচাবা না। গরম কফি মাথায় ঢালবো কিন্তু ( রেগে )

মেঘ: সিরিয়াসলি তুমি আমার মাথায় গরম কফি ঢালবা ?

মিহু: মেঘ আগাবা না কিন্তু ? ( বলেই পিছাতে লাগলাম )

মেঘ: বলো কি করবা জেনো আমাকে ?

মিহু পিছাতে পিছাতে….বেড এর কুনায় পা লেগে…বেড এ পরে যায়….তারপর উঠে বেড এর উপর বসে….একটা বালিশ হাতে নেয়…..মেঘও একটা বালিস হাতে নেয়….তারপর দুজন মিলে সমানে বালিশ দিয়ে মারামারি শুরু করে দেয়….মারামারি করতে করতে…বালিশের তুলোগুলো সব বের হয়ে পুরো ঘর তলিয়ে গেছে…কিন্তু ওরা ওদের মত মারামারি করেই যাচ্ছে…..মেঘ বালিশ ফেলে দিয়ে…মিহুকে হাত ধরে এক টানে বেড এ ফেলে দেয়…..আর মেঘ মিহুর উপর উপুর হয়ে…. মিহুর দু হাত নিজের হাত দিয়ে শক্ত করে ধরে…..মিহু তো ছুটাছুটি করতে ব্যাস্ত….মেঘ তো ছাড়ছেই না…উল্টো আরো জোর করে ধরে আছে………

মেঘ: এখন করো মারামারি ?

মিহু: মে..মেঘ উঠো জলহস্তি একটা ( রেগে )

মেঘ: ( মিহুর আরো কাছে গিয়ে ) কি আমি ?

মিহু: নাইজেরিয়ান জলহস্তি তুমি একটা। সরো বলতেছি আমি।

মেঘ: যদি না ছাড়ি তো ?

মিহু: ( মেঘের প্রতিটা নিশ্বাস আমার মুখে লাগছিলো। আমি কথা অব্দি বলতে পারছিলাম না ) মেঘ সরো বলতেছি ( রেগে )

মেঘ আস্তে আস্তে মিহুর গলার দিকে আগাচ্ছিলো….আর মিহু তো চোখ বন্ধ করে ফেললো….মেঘ শুধু মিহুর দিকে তাকিয়ে ছিলো….কিছুক্ষন পর মেঘ ফিক করে হেসে উঠলো….মেঘের হাসার শব্দ শুনে মিহু চোখ মেলে তাকালো…………….

মিহু: হাসছো কেনো এভাবে ?

মেঘ: আমি বিয়ের আগে আমার বউ এর কাছ থেকে এত বেশি অধিকার চাই না। যতটুকু অধিকার পেয়েছি। ইনাফ ফোর মি।

মিহু: বাহ্ এতো ভালো আজকে তুমি ( মেঘের গলা জরিয়ে ধরে )

মেঘ: আচ্ছা মিহু এই বাসায় তুমি আর আমি একা। তোমার সাথে যদি….

মিহু: কি যদি ?

মেঘ: উল্টা পাল্টা কিছু করি তো ?

মিহু: কি বললা তুমি ( বলেই মেঘকে মারতে লাগলাম কিল ঘুশি )

মেঘ: আরে আরে মজা করলাম বেথা পাচ্ছি তো।

মিহু: ( মেঘকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলাম )

মেঘ: আরে ?

মিহু মেঘকে ধাক্কা দিয়ে সরে যেতে নিলেই….মেঘ উঠে মিহুর হাত টেনে….মিহুকে নিজের সাথে মিশিয়ে দেয়…….

মেঘ: এখন কোথায় পালাবা।

মিহু: পালাতেও চাইনা। ( বলেই মেঘ কে জরিয়ে ধরলাম )

মেঘ: ( আমিও মিহুকে শক্ত করে জরিয়ে ধরলাম )
________________________________________

সাগর: ( নাদিয়ার বাসায় গেলাম। তারপর বেল দিলাম )

নাদিয়া: ( মনে হলো বেল বেজে উঠলো। আমি সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে দেখি তুন্তা গেট খুলতে যাচ্ছে ) এই তুন্তা দাড়া ? কে নীল ভাইয়া তুই ??

সাগর: নাদিয়া আমি ?

তুন্তা: আপুনি সাগর ভাই এসেছে।

নাদিয়া: তো কি হলো ? গেট তোকে খুলতে হবে না। তুই যা রেস্ট নে নিজের রুম এ গিয়ে।

তুন্তা: কিন্তু আপনি ?

নাদিয়া: তোকে আমি কি বললাম ?

তুন্তা: সিওর সাগর ভাইয়ার সাথে ঝগড়া বাধাইছো তুমি।

সাগর: তুন্তা গেট টা খুল তুই ঐ বদ মেয়ের কথা শুনিস না।

নাদিয়া: তুন্তার বাচ্চি ( রেগে )

তুন্তা: সাগর ভাই তোমাদের টা তোমরা বুঝে নেও। আমাকে আপনি মেরে ফেলবে গেট খুললে।

সাগর: আচ্ছা তুই যা।

________________________________________
সাগর: নাদিয়া গেট টা খোল ?

নাদিয়া: তুই এখানে কেনো এসেছিস ?

সাগর: তুই আগে গেট খোল ?

নাদিয়া: না খুলবো না। নীল ভাইয়ার কাছে এসেছিস ? ভাইয়া তো বাসায় নেই ?? তো তুই ভাইয়া কে কল করে নে। বাট আমি গেট খুলবো না।

সাগর: আমি তোর ভাইয়ের কাছে আসিনি। তোর কাছে এসেছি গেট টা খুল তুই ?

নাদিয়া: আমার সাথে তোর কোনো কথা নেই তো আমি গেট খুলবো না। ( বলেই উপরে যাচ্ছিলাম )

সাগর: ওকে। তুই যতক্ষন গেট না খুলবি। আমি তো বেল বাজিয়েই যাবো। ( বলে ‌আমিও বেল বাজাতে লাগলাম )

নাদিয়া: ইসসস রে আমার কান খুলে পরে গেলো বেল এর আওয়াজ এ। সাগরের বাচ্চা দাগর ( বলেই নিচে গিয়ে গেট খুলে দিয়ে আমি আমার রুম এ এসে বসলাম )

সাগর: ( নাদিয়া এসে গেট খুলে দিয়ে চলে গেলো। আমিও গেলাম ওর রুম এ ) এহেম এহেম মেম।

নাদিয়া: ( আমি কোনো কথা বললাম না )

সাগর: ( নাদিয়ার ঘার এ ধাক্কা দিয়ে ) এই যে স্টাইলিস সুন্দরী ?

নাদিয়া: নিশ্চুপ…….

সাগর: ( সামনে গিয়ে কান ধরে ) সরি তো। কথা তো বল ?

নাদিয়া: নিশ্চুপ………

সাগর: বল না কথা। আমি আর থাকতে পারতেছি না। কথা না বলে। ( কাঁদো কাঁদো ভাবে )

নাদিয়া : ইট’স জাস্ট টু মাছ। ( বলেই উঠে চলে যাচ্ছিলাম অন্য রুম এ। আর সাগর হাত চেপে ধরলো ) সাগর লিভ মি।

সাগর: ( নাদিয়া উঠে চলে যাচ্ছিলো। ওর হাত চেপে ধরলাম ) একদম ই ছাড়ছি না আমি।

নাদিয়া: ( আমার রাগ উঠে গেলো ঝারা মেরে হাত সরিয়ে নিলাম ) তোর সাহস কি করে হয় আমাকে ছোঁয়ার ? ( চিল্লিয়ে )

সাগর: ( আমি পুরো অবাক ওর বিহেভ দেখে ) নাদিয়া আমার কথা তো শুন ?

নাদিয়া: ইলাফ। আর একটা কথাও‌ শুনতে চাইনা‌ আমি। আমার সাথে না তুই ব্রেকআপ করলি ? এখন কেনো এসেছিস বাসায় ??

সাগর: ওটা রাগের মাথায় বলে ফেলেছিলাম। আর তুই সত্যি সত্যি Varsity যাওয়া অফ করে দিলি ? আমার ফোন টাও রিসিভ করিস নি লাস্ট কতবার কল করেছি তোকে দেখ তো ?

নাদিয়া: আমি এতো কথার উওর দিতে বাধ্য না তোকে। আর ব্রেকআপ মানে সব শেষ। তো এখন আর এগুলো নিয়ে কোনো কথা উঠবে না। প্লিজ আমি আর এগুলো নিয়ে কথা বলতে চাই না।

সাগর: নাদিয়া প্লিজ আ’ম সরি।

নাদিয়া: আরে আমি কি খেলনা নাকি ? যখন ইচ্ছা হবে কাছে টেনে নিবি আর যখন মন চাবে লাথি দিবি আমাকে ( চিল্লিয়ে )

সাগর: নাদিয়া জাস্ট সাট আপ। ( রেগে )

নাদিয়া: কেনো চুপ করবো আমি। এই তুই আমাকে এতো বছরে চিনলি ? এই ভালোবাসিস আমাকে তুই যে বিশ্বাস অব্দি করতে পারিস না। ( চিল্লিয়ে )

সাগর: নাদিয়া তুই তো জানিস আমার রাগ উঠলে ?

নাদিয়া: ব্যাস আর কোনো কথা না। তোর রাগ উঠলো আর আমার সাথে সবকিছু শেষ করে দিলি ? একবার ভাবলিও না আমার কেমন লাগতে পারে ? ব্রেকআপ করে চলে এলি ( চিল্লিয়ে )

সাগর: নাদিয়া তুই তো জানিস আমি তোকে অন্য কারো সাথে সহ্য করতে পারি না।

নাদিয়া: আমি আর একটা কথাও শুনতে চাইনা। এখন যেমন আছিস তেমনি থাক। আর ভুলেও আমার কাছে আসার চেষ্টা করিস না। তুই আমার সাথে ব্রেকআপ করেছিলি না ? আজ আমি তোর সাথে ব্রেকআপ করলাম সব কিছু শেষ তোর সাথে আজ আমার।

সাগর: ( নাদিয়ার কথাগুলো শুনে রাগে মাথা ঠিক রাখতে পারছিলাম না )

নাদিয়া কথাগুলো বলে চলে যাচ্ছিলো….আর সাগর নাদিয়ার হাত ধরে টেনে নিজের সাথে মিশিয়ে দিলো….নাদিয়া কিছু বলার আগেই….নাদিয়ার ঠোঁটের সাথে নিজের ঠোঁট মিশিয়ে দিলো….নাদিয়ার কোমড় চেপে ধরে…..নাদিয়া তো ছুটাছুটি করছে সরে যাওয়ার জন্য….কিন্তু সাগর আরো শক্ত করে নাদিয়ার কোমড় চেপে ধরলো……নাদিয়া হাজার চেষ্টা করার পরও নিজেকে সাগরের থেকে ছাড়াতে পারলো না….শেষে শান্ত হয়ে সাগরের Shirt এর কলার চেপে ধরলো……কিছুক্ষন পর নাদিয়া কে সাগর ছেড়ে দিলো…..

সাগর: আর একটা কথা বললে এর থেকেও বেশি খারাপ হবে আমি বলে দিলাম ( রেগে + চিল্লিয়ে )

নাদিয়া: হুমম যা ইচ্ছা করে যা আমার সাথে। আমি আর কিছু বলবো না।

সাগর: যা ইচ্ছা করে যাবো মানে ? ( দেখলাম ওর চোখে পানি )

নাদিয়া: শেষ তো ? এখন ছাড় আমাকে।

সাগর: ( নাদিয়ার চোখের পানি মুছে দিয়ে ) আমার ভুল ছিলো ওদিন তোকে ভুল বোঝা। আ’ম সরি। আই প্রমিস আর কখনো তোকে ভুল বুঝবো না। আর কখনও কষ্ট দিবো না।

নাদিয়া: তুই আমাকে কখনও ই বুঝবি না।

সাগর: কতবার সরি বললাম একবার তো মাফ কর। আমি তোকে ছাড়া থাকতে পারবো না। ( বলেই নাদিয়া কে জরিয়ে ধরলাম )

নাদিয়া: ( আমিও সাগর কে জরিয়ে ধরলাম ) তুই কেনো এমন করিস আমার সাথে।

সাগর: আর কখনও করবো না প্রমিস। দু টো দিন তোকে ছাড়া ‌আমি কিভাবে ছিলাম আমি জানি।

নাদিয়া: হুহ্

সাগর: ফুহ্…
________________________________________

আবির: লিসার প্রবলেম টা কি।আমার সাথে কেনো এরেকুম করছে ও। আজ Varsity এলো না। আমার মেসেজ এর রিপ্লে দিচ্ছে না। ফোন ধরছে না। ও কি চায় আমার আছে। সব আমার মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে। কিচ্ছু ঢুকছে না আমার মাথায় সব গুলিয়ে যাচ্ছে আমার। লিসা একবার তো ফোন টা ধর। একবার শুধু তুই Varsity আয় )

________________________________________

চলবে………………..

বি.দ্র: কি সব লিখলাম। জানি খারাপ হইছে। কেমন খারাপ হলো জানাবেন Plz😊