Torture with love 2😍Part-23

#Torture_with_love_season_2😍😍
#লেখিকা ( অনু )
#Part_23

মানিক: গাইজ আই থিংক আমাদের বাসায় যাওয়া উচিত এমনিও অনেক লেট হয়ে যাচ্ছে। ( আবির কে চোখ মেরে )

লিসা: আমি আসলাম আর তোরা চলে যাবি ?

নীল: তুই তো লেট করে আসলি।

লিসা: ওকে তো আমিও বাসায় চলে যাচ্ছি।

মেঘ: তুই যাবি মানে ?

লিসা: তোরা কেউ থাকবি না। আমি একা একা কি ঘোড়ার ডিম পারবো নাকি ?

সাগর: তুই ঘোড়ার ডিম ও পারিস আগে তো জানতাম না।

লিসা: দেখ সাগর রাগাবি না। তোর জন্য ভালো হবে না কিন্তু ( রেগে )

নিলয়: ওকে ফাইন। তোর আর আবিরের মধ্যে কি হয়েছে সেটা বল এখন।

লিসা: আমাদের আবার কি হবে। ( অবাক হয়ে )

অনু: কিছু হয়নি তো আবিরের সাথে কথা কেনো বলিস না ?

লিসা: এমনি আমার ভালো লাগেনা তাই। তাছাড়া কথা তো বলা হয় ই।

নীলা: দু দিন কলেজে এলি না কেনো তুই ?

লিসা: অসুস্ত ছিলাম তাই।

মিহু: তো ফোন কেনো রিসিভ করলি না ? অন লাইনে ছিলি বাট নো রিপ্লে কেনো ?

লিসা: হয়তো খেয়াল করিনি। কেনো দরকার ছিলো ?

নদী: তুই তো নানু বাসায় ছিলি। তো অসুস্ত কি করে হলি ?

লিসা: আজব তো। তোদের সমস্যা কি ? তোরা এভাবে আমাকে আদালত এর মত প্রশ্ন কেনো করে যাচ্ছিস ?? আর আসার পর থেকে এমন অদ্ভুত অদ্ভুত কথা কেনো বলে যাচ্ছিস তোরা ??? তোদের সমস্যা তো আমি থাকলে( রেগে + চিল্লিয়ে ) ওকে ফাইন আমি আড্ডা দিচ্ছি না তোরা দে আড্ডা বাই ( বলেই হলরুম থেকে বেরিয়ে চলে এলাম )

অনু: যাহ রেগে গেলো তো ?

মেঘ: আবির তুই যা।

আবির: আমি ওর এই রুপ টা কখনও দেখিনি।

মানিক: তুই যা।
________________________________________
আবির: লিসা দাড়া ?

লিসা: ( আবির ডাকলো মনে হলো। আমি ওর কথা কেনো শুনবো )

আবির: লিসা আমি কিন্তু তোকে দাড়াতে বলেছি।

লিসা: ( আমি যাচ্ছিলাম আর সামনে এসে দাড়ালো। আমি মাথা নিচু করে দাড়িয়ে রইলাম )

আবির: ভালোভাবে কিছু বললে তোর কানে যায়না নাকি ? কতবার বললাম দাড়াতে ??

লিসা: আমি কোনো কথা শুনতে চাচ্ছি না। আমার পথ ছাড় তুই।

আবির: এতো রাগ কার উপর দেখাচ্ছিস তুই ?

লিসা: ( আমার রাগ উঠে গেলো। সাথে সাথে আবিরের বুকের দু পাশে হাত দিয়ে গেঞ্জি আকড়ে ধরলাম ) এই তোর লজ্জা করে না,,,তুই না আমার চেহারাও দেখতে পারিস না,,,আমার সাথে সব শেষ করতে চাস,,,তো বার বার কি জ্বালাতে আসিস,,,তুই তোর নিশিতা কে নিয়ে থাকতে পারিস না,,,আমার কাছে কেনো আসিস তুই,,,আমি তোর সাথে কোনো কথা বলতে চাই না,,,আমার সামনে থেকে সর ( চিল্লিয়ে )

আবির কি বলবে….বুঝতে পারছিলো না….লিসা গেঞ্জি আকড়ে ধরতেই…আবির তো ওর দিকেই তাকিয়ে ছিলো….আর লিসা কথাই বলতে পারছিলো না….ওর চোখ দিয়ে পানি পরে যাচ্ছিলো….আবির আস্তে করে লিসার কোমড়ে হাত দিয়ে টেনে….লিসাকে নিজের সাথে মিশিয়ে দিলো…..তারপর লিসার চোখের পানি দু হাত দিয়ে মুছে দিলো….আর লিসার দু গালে হাত রেখে….লিসার কপালে আলতো করে একটা চুমু দিলো….লিসার শরীর সাথে সাথে ঝাঁরা দিয়ে উঠলো….লিসা আবির কে ধাক্কা দিয়ে….সেখান থেকে চলে গেলো…..আবির ডাকলো তাও শুনলো না..

আবির: ( আজকে আম্মুকে দিয়ে ফোন করায় তোকে বাসায় আনবো আমি )
________________________________________
অনু: ( সবাই হলরুম থেকে বের হয়ে গেলো। আমি ব্যাগটা রেখে দেখি মানিকের গিটার। হাতে নিয়ে বাজাতে লাগলাম। হঠাৎ মনে হলো পিছে থেকে কেউ আমার হাতের উপর হাত রাখলো। আমি তাকিয়ে দেখি মানিক ) তুমি ?

মানিক: তো কি ভাবলে তোমাকে রেখে চলে যাবো ? বাই দা ওয়ে এভাবে বাজাতে হয়না গিটার। ( তারপর আমি অনুর হাতের উপর হাত রেখে বাজাতে লাগলাম )

অনু: আল্লাহ জানে ওদের মধ্যে সব ঠিক হয় নাকি ?

মানিক: এখন তোমার সাথে আমার ঝগড়া লাগবে।

অনু: ( গিটার রেখে সামনে দাড়িয়ে ) আমি কি করলাম ?

মানিক: ঐ ছেলেটা কে ( রেগে )

অনু: কোন ছেলে ?

মানিক: ঐ তো লিসাকে যে নিয়ে গেলো ?

অনু: ওহ্ আর ইউ জেলাস মনস্টার মানিক ( মানিকের গলা জরিয়ে ধরে )

মানিক: ( অনুর কোমড় দু হাত দিয়ে ধরে ) ওভিয়েসলি আমি জেলাস ( রেগে )

অনু: আমার ২ নম্বর বয়ফ্রেন্ড ( মজা নিয়ে )

মানিক: ( অবাক হয়ে ) হোয়াট ??

অনু: তুমি তো ছিলে না। তো ওর সাথে রিলেশন এ ছিলাম আমি এতদিন।

মানিক: মজা নিচ্ছ তুমি ?

অনু: আমি তোমার সাথে কেনো মজা নিবো ?

মানিক: নিশ্চুপ…..

অনু: এনিওয়ে তুমি এমন লাল টমেটোর মত ফুলতেছো কেন ?

মানিক: বি’কজ আমি তোমাকে অন্যকারো সাথে একদম সহ্য করতে পারিনা।

অনু: ( মানিকের কানের কাছে গিয়ে ) আই হেইট ইউ।

মানিক: ( অনুকে আরো কাছে টেনে ) বাট,,,আই লাভ ইউ টু।

অনু: ( মানিককে জরিয়ে ধরলাম ) ওটা আমার বেস্টফ্রেন্ড জাবের।

মানিক: ( আমিও অনুকে জরিয়ে ধরলাম ) তো,,,এই জন্য তুমি ওকে জরিয়ে ধরবা ?

অনু: মানিককককক । এই বিশ্বাস তোমার আমার উপর ?

মানিক: উহু। নিজের চেও বেশি বিশ্বাস করি তোমাকে।

অনু: তো ?

মানিক: তো,,,সামথিং সামথিং ( ঠোঁট দাঁত দিয়ে কামড়ে ধরে )

অনু: মানিক ডোন্ড ডু দিস ? ছাড়ো আমি বাসায় যাবো।

অনু ছুটাছুটি করতে লাগলো….আর মানিক তার এংরি বাড এর পাগলামি দেখতে লাগলো….অনু কিছু বলবে তার আগেই মানিক…..অনুর ঠোঁটে আলতো করে একটা চুমু দিলো….অনু তো রেগে বম….মানিক একটা মুচকি হাসি দিলো……..

মানিক: চলেন মেম আপনাকে বাসায় পৌছে দি ?

অনু: তুমি একটা,,,হুহ।

মানিক: ( একটা চোখ টিপ দিলাম )

অনু রাগে হন হন করতে করতে….হলরুম থেকে বের হয়ে গেলো….মানিক ও মাথার চুল নারাতে নারাতে….এক পকেটে হাত রেখে….অনুর পিছে পিছে গেলো…..মুচকি হাসি দিয়ে……………

________________________________________

রাতে মেঘের বাসায়________________________

মিহু সমানে মেঘের কানের সামনে পক পক করেই যাচ্ছে…..আর মেঘ নিজের কাজ করে যাচ্ছে….মিহু আবার জ্বালাতে শুরু করলো মেঘকে….আর মেঘের তো অভ্যাস হয়ে গেছে….মিহুর জ্বালাজন সহ্য করতে করতে….কিন্তু মিহু ভেবে পাচ্ছে না….এই মেঘের হঠাৎ হলো টা কি..

মিহু: মেঘঘঘঘঘ ( চিল্লিয়ে )

মেঘ: কি হলো এরেকুম কাকের মত কা কা করছো কেনো ( করুন ভাবে )

মিহু: ( পিছন থেকে গিয়ে মেঘের ঘাড়ে দু হাত রেখে ) কি সমস্যা তোমার?

মেঘ: কিচ্ছু না।

মিহু: ওহ্ জান্নাত এর সাথে সব ঠিক হলো নাকি ( মজা নিয়ে )

মেঘ: হুমম হতেই পারে।

মিহু: তো আমি কাল এই বাসা থেকে চলে যাই।

মেঘ: তো যাও বারন কে দিলো।

মিহু: ( মেঘের কথাগুলো কেমন অন্যরকম লাগছে ) সত্যি সত্যি যাবো কিন্তু আমি।

মেঘ: তো আমি কখন বললাম তুমি মজা করছো। ( মজা নিয়ে )

মিহু: ( আমি আমার রুম এ এসে পরলাম )

মেঘ: ( আমার তো হাসতে হাসতে অবস্তা খারাপ। এতো ইজিলি সব বিশ্বাস করে। রুমে গিয়ে দেখি বারান্দায় দাড়িয়ে আছে )

মেঘ গিয়ে পিছে থেকে…. মিহুকে জরিয়ে ধরলো…মিহু কিছুটা অপ্রস্তুত ছিলো…তাই কেঁপে উঠলো….আর মেঘ তার ঠোঁট দিয়ে মিহুর ঘাড়ে একটা চুমু দিলো….আর মিহু সামনে ফিরে মেঘের বুকে মাথা রাখলো…..মেঘ মিহুকে জরিয়ে ধরলো……….

মেঘ: এত রাগ কোথায় রাখো তুমি ?

মিহু: তুমি ওভাবে কেনো বললে তখন। এখন যাও জান্নাত এর কাছে। আমার কাছে কেনো আসলা।

মেঘ: ওটা তো মজা করে বললাম আমি। বাট ঐ ছেলেটা কে ছিলো ? লিসাকে যে নিয়ে গেলো ??

মিহু: কেনো শুনলা না। আমাদের ফ্রেন্ড।

মেঘ: তো ?

মিহু: ( মেঘের থেকে সরে এসে ) তুমি কি জেলাস মেঘ ?

মেঘ : তা নয়তো কি ?

মিহু: তো তুমি যখন জান্নাত এর সাথে থাকতা তখন ?

মেঘ: আচ্ছা তো তুমিও জ্বলতা। সে জন্য রুমে একা একা পকপক করতা। আচ্ছা আমি জান্নাতের সাথে কাল দেখা করতে যাই কি বলো ?

মিহু: কি বললা তুমি ( বলেই মেঘ কে কিল ঘুসি মারতে লাগলাম )

মেঘ: আরে ব্যাথা পাচ্ছি তো মিহু। আচ্ছা আমি শুধু তোমার ওকে ( বলেই জরিয়ে ধরলাম মিহুকে ) নটানকিবাজ একটা।

মিহু: চুপ। বজ্জাত ছেলে কোথাকার। পঁচা বিলের কুমির ( নাক মুখ ফুলিয়ে )

মেঘ: শুরু হইছে আজব আজব গালি দেওয়া।

মিহু: আরো বাকি আছে।

এভাবে মেঘ_মিহু ঝগড়া করতে লাগলো…..আর মেঘ মিহুর হাতের মাইর খেতে খেতেই…..আলুর তরকারি হয়ে গেলো…..

________________________________________

চলবে………………

বি.দ্র: কেমন লিখলাম জানিনা। মাথায় কিচ্ছু আসতেছে না…যে কি লিখবো আমি😖আর কেমন লাগলো জানাবেন Plz😊