Torture with love 2😍Part-25

#Torture_with_love_season_2😍😍
#লেখিকা ( অনু )
#Part_25

লিসা: উফফ আন্টি চাউমিন টা যা ছিলো না।

আবিরের মা: হুমম তোর পছন্দের খাবার জানি তো।

লিসা: হুমম। দাও আমি সব গুছিয়ে রেখে আসছি ( আমি গিয়ে সব গুছিয়ে রান্নাঘর এ রেখে এলাম )

আবিরের মা: তুই বস আমি আসছি।

লিসা: হুমম ( সন্ধা হয়ে গেলো। বাসায় ফিরতে হবে )

আবিরের মা: এই ফ্রুট জুস টা আবিরের রুমে দিয়ে আয় তো। আমার একটু কাজ আছে।

লিসা: কেনো রোহিনী কোথায় ? ওকে তো আজ দেখলামি না আমি।

আবিরের মা: ও নিজের গ্রামে গেছে। পরিবার এর সাথে দেখা করতে।

লিসা: ( এখন আমাকে ঐ বাদর এর রুমে যেতে হবে। ধুররর ছাই )

আবিরের মা: কিরে কি ভাবছিস তুই ?

________________________________________
লিসা: না..না কিছু না। দাও আমি নিয়ে যাচ্ছি। ( তারপর জুস এর গ্লাসটা নিয়ে উপরে গেলাম। গিয়ে উঁকি দিয়ে দেখি কেউ নেই রুম এ )

লিসা ফ্রুট জুস এর গ্লাসটা…. বেড এর পাশের টেবিলে রেখে বের হবে….আর সামনে তাকিয়ে দেখে আবির….আবির লিসার দিকে আগাতে লাগলো…আর লিসা পিছাতে লাগলো‌…..

লিসা: দেখ তুই আগাবি না ( বলেই পাশ কেটে চলে যাচ্ছিলাম আর আবির হাত চেপে ধরলো পিছন থেকে। আমি চোখ বন্ধ করে ফেললাম )

আবির: আমার কথাটা তো শোন ?

লিসা: ( চোখ খুলে ঠান্ডা মাথায় ) কি হয়েছে ?

আবির: ওদিন তোকে আমি ইচ্ছে করে থাপ্পরটা মারিনি।

লিসা: হুমম তো আমি কি এগুলো নিয়ে বলেছি কিছু ?

আবির: বলিস নি। বাট তুই আমাকে এরিয়ে তো চলছিস ?

লিসা: আপনি ওদিন বলেছিলেন কিছু মনে করে দেখেন ?

আবির: আরে আমি তোকে না দেখে ১ মিনিট থাকতে পারি না। আর কোনোদিন তোর চেহারা দেখবো না বললাম আর হয়ে গেলো ?

লিসা: আমি এইসব বিষয় নিয়ে কোনো কথা বলতে চাইনা।

আবির: তুই কি চাস একটু বল ?

লিসা: আমি চাই আমার থেকে আপনি দুরে থাকেন। যদি পারেন ফ্রেন্ডশিপ টাও শেষ করে দেন।

আবির: লিসা প্লিজ ?

লিসা: আজব আপনি আমার পিছে কেনো বেজে আছেন। আপনার বউ নিয়ে থাকতে পারছেন না। দেখুন আমাকে আবার আগের মত রাগতে বাধ্য করবেন না।

আবির: বাহ্ তুই থেকে আপনি ? আমার কাছ থেকে দুরে যাচ্ছিস কেনো তুই ?? তুই কি একাই চালাক ??? আমি কি কিছুই বুঝি না ?

লিসা: ( আবির কি বলতে চাচ্ছে। ও কি সব বুঝে গেলো ) ক..কি..বল..বলতে চাচ্ছিস..ত..তুই ?

আবির: কি এখন কেনো ততলাচ্ছিস তুই ? এতক্ষন তো খুব বড় গলায় বলছিলি এখন কথা বল ??

লিসা: কি বুঝিস তুই? কি বলতে চাচ্ছিস তুই ??

আবির: তুই আমাকে ভালোবাসিস,,,সে জন্য তুই আমার লাইফ থেকে যেতে চাস,,,কি মিথ্যে বললাম আমি ???

লিসা: এগু..এগুলো তোর ভুল ধারণা। আমি ভালো..ভালোবাসি না তোকে।

বলেই লিসা ওখান থেকে চলে আসবে….আর আবির হাত ধরে টেনে…..লিসার দু হাতের বাহু শক্ত করে চেপে ধরলো রাগে….আবিরের এটাও খেয়াল নেই যে লিসার বাহু চেপে ধরেছে…..লিসা তো ব্যাথায় চোখ শক্ত করে বন্ধ করে ফেলেছে………..

আবির: কি এখন কথা বল ? ( চিল্লিয়ে )

লিসা: আহ্হ্হ্ আবির ছাড় হাতে লাগছে আমার,,,ব্যাথা পাচ্ছি আমি। ( চোখে ছলছল পানি নিয়ে )

আবির: লাগুক,,,আমার লাগছে আজ ৩ দিন ধরে তুই দেখতে পাচ্ছিস না ( রেগে + চিল্লিয়ে )

লিসা: আবির,,,প্লিজ।

আবির: তুই আমাকে কখনও বলেছিস তুই আমাকে ভালোবাসিস ( রেগে )

লিসা: ( আবিরের কথা শুনে আমি চুপ হয়ে গেলাম। ও এতো সিওর ভাবে বলছে কি করে যে আমি ওকে ভালোবাসি। ও জানলো কি করে ) তুই এগুলো জানলি কি করে ?

আবির: তুই কি ভাবলি আমি কোনোদিন জানতে পারবো না তুই আমাকে ভালোবাসিস ? কেনো বলিস নি আমাকে তুই এতদিন ??

লিসা: তুই অনুকে ভালোবাসতি,,,আর আমি তোকে বললে যদি তুই আমার থেকে দুরে সরে চলে যেতি,,,আমি তোকে ছাড়া থাকতে পারতাম না,,,তাই আমি তোকে কখনও বুঝতে দেইনি যে আমি তোকে ভালোবাসি,,,তারপর তুই নিশিতার সাথে রিলেশন এ গেলি,,,যাক এসব কথা বাদ দে। আবির ছাড় আমাকে,,,আমি ব্যাথা পাচ্ছি।

আবির: তুই আমাকে ভালোবাসিস এটা বললে আমি তোকে আমার লাইফ থেকে বের করে দেবো তুই এটা কি করে ভাবলি ?

লিসা: আবির আমি এগুলো নিয়ে কোনো কথা বলতে চাই না। দেখ ছাড় আমাকে। ( বলেই ছুটাছুটি করতে লাগলাম )

আবির: ( লিসাকে জরিয়ে ধরলাম ) ভালোবাসি আমি তোকে। তুই কেনো বুঝিস না।

লিসা: ( হুট করে আবির জরিয়ে ধরলো। কি বলছে এগুলো ও ) নিশিতা ?

আবির: আমি অনুর প্রতি উইক ছিলাম,,,অনুর প্রতি একটা আলাদা মায়া কাজ করতো,,,কিন্তু অনু অন্যকারো আমানত,,,আর নিশিতা কে যাস্ট ভালো লেগেছিলো কিন্তু ওকে আমি ভালোবাসিনি,,,তোকে আমি ভালোবাসি।

লিসা: ( ধাক্কা দিয়ে আবির কে সরিয়ে দিলাম ) আমি তোকে ভালোবাসতাম।

আবির: কি বলতে চাচ্ছিস তুই ?

লিসা: এখন ভালোবাসি না আমি তোকে। তাই আমি চাইনা আমাদের মধ্যে আর কোনো কথা হোক এগুলো নিয়ে। তুই তোর পথে থাকবি আর আমি আমার পথে।

আবির: লিসা ভুল তোর,,,আমার না। হ্যাঁ এটা বুঝতে হয়তো আমার সময় লেগে গেছে যে আমি তোকে ভালোবাসি। কিন্তু তুই ? তুই আমাকে না বলে এতোদিন নিজের মধ্যে সবটা লুকিয়ে রেখেছিলি। আমাকে যদি মানিক,নীল,সাগর,নিলয়,মেঘ কিছু না বলতো হয়তো আজও আমি কিছুই জানতাম না। কিন্তু একদিন ঠিকই বুঝতাম।

লিসা: আমি আর এগুলো নিয়ে কোনো কথা বলতে চাইনা।

বলেই লিসা চলে যাবে….সে সময় আবির আবার টেনে…লিসাকে নিজের সাথে মিশিয়ে দিলো….আর লিসা ছুটাছুটি করতে লাগলো…

আবির: তোর সাহস কি করে হয় আমাকে ছেড়ে যাওয়ার ?

লিসা: তোর কোনো অধিকার নেই আমার উপর। ছাড় আমাকে।

আবির: আলবাদ আমার অধিকার আছে। আমার অধিকার নেই তো কি ঐ জাবের এর অধিকার আছে তাইনা ?

লিসা: তুই থাক তোর নিশিতা কে নিয়ে। তোকে কে আমার কাছে আসতে বললো। হ্যাঁ আমার উপর জাবেরের অধিকার আছে। তোর কি তাতে।

লিসার মুখে জাবেরর এই কথা শুনেই….আবিরের মাথা গরম হয়ে গেলো….লিসা আরো কিছু বলবে তার আগেই….লিসার হাত দুটো পিছনে শক্ত করে ধরে….নিজের ঠোঁট দিয়ে লিসার ঠোঁট শক্ত করে চেপে ধরলো…..সাথে সাথে লিসা কাঁপতে শুরু করলো….নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে…কিন্তু কিছুতেই আবিরের থেকে দুরে যেতে পারছে না….লিসা চোখ বন্ধ করে…জোরে জোরে নিশ্বাস নিতে শুরু করলো…..কিছুক্ষন পর লিসাকে আবির ছেড়ে দিলো……………….

লিসা: ছিঃ…আমি ভাবতে পারছি না তুই এতটা নিচে নামতে পারিস।

আবির: জাস্ট সাট আপ। আর একটা কথাও তুই বলবি না ( রেগে + চিল্লিয়ে )

লিসা: আমার তোর সাথে কথা বলতেও ঘৃণা করছে। ( আবির আমার দিকে আগাচ্ছিলো ) খবরদার তুই আমার কাছে আর একবারও আসবি না।

আবির: তুই একটু বেশি করছিস না লিসা ?

লিসা: কখনও না। ( বলেই দোড়ে ওখান থেকে চলে এলাম। আর সামনেই দেখি সায়েমা ) তুমি ?

সায়েমা: তোমার সাহস কি করে হয় এই বাসায় পা রাখার ?

লিসা: ( নাহ্ আমি আজকে আর ঝগড়া করতে পারবো না। আমি কান্না আটকাতে পারছি না )

সায়েমা: আর তুমি কোন সাহসে আমার ভাই এর রুমে এসেছো ? ( চিল্লিয়ে ) তোমার লজ্জা করে না নাকি ( বলেই ওকে চড় মাড়তে যাবো আর কেউ হাত ধরে ফেললো )

লিসা: ( আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই সায়েমা আমাকে চড় মারতে যাবে। আমি চোখ বন্ধ করে ফেললাম )

আবির: ( আমি গিয়ে সায়েমার হাত ধরলাম ) তোর সাহস কি করে হয় আমার বউ এর গায়ে হাত দেওয়ার,,,ভাবির সাথে কি করে সম্মান দিয়ে কথা বলতে হয় সেটাও কি তুই ভুলে গেছিস,,,আমি তোকে কিছু বলছি না শুধু মানিক দের জন্য নয়তো আমি তোকে জেলে পুরে দিতাম।

সায়েমা: ভাইয়া তুই এই মেয়ের জন্য আমাকে কথা শুনাচ্ছিস ? আর এই মেয়ে হবে আমাদের বাড়ির বউ ? আমি মানি না।

আবির: সাট আপ। আমার বউকে অপমান করার কোনো রাইট নেই তোর ? আর তুই যদি ওর সাথে কখনও এমন বিহেভ করিস না ? আমি ভুলে যাবো তুই আমার বোন। ( সায়েমার দিকে আঙ্গুল তুলে )

সায়েমা: ( আমি লিসাকে এই বাড়ির বউ হয়ে কিছুতেই আসতে দেবো না )

আবির: চল লিসা ( লিসার হাত ধরে টেনে ওখান থেকে নিয়ে এলাম )

লিসা: আবির আমার হাত ছাড়। আমি একা চলে যাবো।

আবির: লিসা আমার মাথা প্রচন্ড গরম। মাথা গরম করিস না চল গাড়িতে বস।

লিসা: ( কিছু না বলে গাড়িতে বসে পরলাম )

আবির: ( লিসার বাসার সামনে এসে গাড়ি থামালাম। লিসা নেমে চলে যাচ্ছিলো ) দাড়া লিসা ?

লিসা: ( আমি দাড়িয়ে গেলাম ) কি হলো ?

আবির: আ’ম সরি তোকে অনেক জোরে হাত চেপে ধরেছিলাম। ( লিসার দু গালে হাত রেখে ) প্লিজ আমার কাছ থেকে দুরে যাস না।

লিসা: অনেক রাত হয়ে গেছে বাসায় যা।

আবির: আই লাভ ইউ,,,

লিসা: বাট আই হেইট ইউ। ( বলেই দোড়ে বাসায় চলে এলাম)

আবির: লিসা তুই ‌কেনো এমন করিস। এখন সব ঠিক কিন্তু শুধু তুই ?

আবির গাড়ি স্টাট দিয়ে চলে এলো……আর লিসা বেলকানি তে দাড়িয়ে চোখের পানি ফেলতে লাগলো….কারন আজ লিসা বুকে পাথর রেখে আবির কে কষ্ট দিলো….কিন্তু আবির কে কষ্ট দিয়ে…..এখন নিজেই কষ্ট পাচ্ছে…….

চলবে………………..

বি.দ্র: কেমন লাগলো জানাবেন কিন্তু😊