Torture with love 2😍Part-27

#Torture_with_love_season_2😍😍
#লেখিকা ( অনু )
#Part_27

মানিক: ( অনু চলে যাচ্ছিলো টেনে দেয়ালে চেপে ধরলাম ) কোথায় যাচ্ছ তুমি ?

অনু: বাসায় আর কোথায় যাবো ?

মানিক: গতকাল রাতে কি বলেছিলে আবার বলো ?

অনু: ( এই রে। এর এখনও মনে আছে ) কি বলেছি আমি ?

মানিক: তুমি জানো ?

অনু: মানিক সরো না। আমি বাসায় যাবো ।

মানিক: আমি গতকাল বলেছিলাম না। আজকে তোমার খবর আছে। এতো সহজে ছেড়ে দিবো ?

অনু: আমি কিছু বলিনি কিন্তু ছাড়ো।

মানিক: কিছু বলনি তুমি ? ( রেগে )

অনু: হুমম ব্রেকআপ ব্রেকআপ ব্রেকআপ বলেছি তো ???

মানিক: হোয়াট ( রেগে )

অনু: ফুহ্,,,

মানিক: ( অনুর দিকে আগাতে আগাতে ) তোমাকে আজকে কেউ বাঁচাবে না।

অনু: মানিক না সরো বলতেছি ।

মানিক: শাস্তি তো তোমার পাওনা।

অনু: না না না।

মানিক: ( অনুর একদম কাছে গিয়ে ) নাও কিস মি।

অনু: হোয়াট,,,নেভার ( অন্যপাশ ফিরে )

মানিক: তুমি কি চাও এখন আমি কিছু করি ?

অনু: না…ন..না ( দিচ্ছি তোরে কিস। বলেই কানের কাছে গিয়ে দিলাম জোরে কানে কামড় )

মানিক: আহ্,,, ( অনুর থেকে একটু দুরে এলাম )

অনু: এএএএএ বাই বাই ( বলেই দোড় )

মানিক: তোমার তো খবর আছে। পাগলি একটা।
________________________________________
মেঘ: জাবের এর সাথে এতো কি তোমাদের ? ( কিছুটা করুন ভাবে )

মিহু: কেনো শুনলে না ?

মেঘ: তো ?

মিহু: তো মানে ? বাই দা ওয়ে আর ইউ জেলাস মেঘ ?

মেঘ: একদম ই না ( অন্যদিক ফিরে )

মিহু: আমার দিকে ফিরে বলো ( ফাজলামো করে )

মেঘ: কি বলবো ?

মিহু: এই যে তুমি জেলাস নাকি না এটাই।

মেঘ: জাস্ট সাট আপ মিহু ( হালকা রেগে )

মিহু: তার মানে ওদিন তুমি,,,আবির,,,মানিক তিন জনই জ্বলে পুড়ে গেছো ( জোরে হেসে দিয়ে )

মেঘ মিহুর হাসি দেখে…..আরো রাগ উঠে গেলো….মেঘ মিহুকে এক টানে নিজের সাথে মিশিয়ে নিলো….মিহু তো মেঘের রাগি চেহারা দেখে….মিহুর হাসি নিমিসে উধাউ…..মিহু মেঘের দু গাল ধরে টান দিলো……………….

মিহু: কি হলো ?

মেঘ: তুমি জানো না,,,আমি তোমাকে অন্য কারো সাথে দেখতে পারি না ?

মিহু: তো তুমি আগে শিকার করো যে ওদিন তুমি জেলাস ফিল করেছিলে ?

মেঘ: হুমম করেছিলাম অনেক বেশি। মন চাচ্ছিলো কি যে করি।

মিহু: আচ্ছা আচ্ছা ঠান্ডা হও। ও আমাদের ফ্রেন্ড ই তো। এতো রিয়েক্ট কেনো করছো ?

মেঘ: বুঝিয়ে দিচ্ছি রিয়েক্ট কেনো করছি আমি।

মিহু: আবার শয়তানি শুরু। ছাড়ো বলছি। ( বলেই মেঘের থেকে দুরে সরে এলাম )

মেঘ: বাসায় চলো দেখবো দুরে কোথায় যাও তুমি।

মিহু: হুহ্,,,

মেঘ: ফুহ্,,,,
________________________________________
সাগর: নাদিয়া দাড়া বলছি।

নাদিয়া: উহু আমি তোর সাথে কোনো কথাই বলবো না।

সাগর: আমি ধরতে পারলে কিন্তু খবর আছে।

নাদিয়া: আগে তো ধর আমাকে।

সাগর: আচ্ছা ওয়েট।

নাদিয়া সাগরের রুমে এসে পিছন পিঠ করে লুকিয়ে ছিলো….সাগর এসে নাদিয়া কে দেখে…গিয়ে নাদিয়া কে পিছন থেকে জরিয়ে ধরলো….আর নাদিয়ার হাতের নিচ থেকে Slide করতে লাগলো….নাদিয়া তো জোরে জোরে নিশ্বাস নিতে লাগলো….আর সেই প্রতিটা নিশ্বাস এর শব্দে তো সাগরের নেশা আরো দশ গুন বেরে যাচ্ছিলো…নাদিয়া সামনে ঘুরে সাগর কে জরিয়ে ধরলো….আর নিজের ঠোঁট দিয়ে সাগরের গলায় আলতো করে একটা চুমু দিলো….সাগর তো শকড….তারপর নাদিয়া দোড়ে চলে যাবে সাগর হাত চেপে ধরে ফেলে….

নাদিয়া: ( সাগর হাত ধরতেই আমি চোখ বন্ধ করে ফেললাম ) সাগর ছাড়। আমি নিচে আন্টির কাছে যাবো।

সাগর: আমাকে কিস করে চলে যাচ্ছিস। এতো ভালো হলি কি করে তুই ?

নাদিয়া: এমনি এমনি ভালো হয়ে গেছি।

সাগর: ( আমি টান দিয়ে নাদিয়া কে নিজের কাছে নিয়ে আসলাম ) এখন পালা ?

নাদিয়া: সাগর আন্টি ?

সাগর: ( আম্মুর কথা শুনেই নাদিয়া কে ছেড়ে দিলাম ) কোথায় আম্মু ?

নাদিয়া: ( দোড়ে বাহিরে চলে এলাম ) মিথ্যে কথা টাটা। আমি নিচে গেলাম।

সাগর: তোরে তো,,,
________________________________________

নীলা: ( নাদিয়ার বাসায় এসে দেখি কেউ নেই ) তুন্তা ?

তুন্তা: জি আপু,,,কেমন আছো তুমি ?

নীলা: এইতো ভালো তুই কেমন আছিস ?

তুন্তা: ভালো। নাদিয়া আপু তো সাগর ভাইয়ার বাসায় গেছে।

নীলা: ওহ্,,,

তুন্তা: নীল ভাইয়া নিজের রুমে আছে। যাও তুমি।

নীলা: আচ্ছা তুই যা।

________________________________________
নীলা: ( নীলের রুমে গিয়ে দেখি লেপটপ নিয়ে বসে আছে ) এই যে লাক সাহেব ?

নীল: তুমি ? ( লেপটপ রেখে )

নীলা: কার সাথে কথা বলছিলে তুমি ? ( রেগে )

নীল: কারো সাথে কথা বলছিলাম না। একটা কাজ করছিলাম।

নীলা: করি না বিশ্বাস ? ( ভেংচি দিয়ে )

নীল: সিরিয়াসলি তুমি আমাকে বিশ্বাস করো না ? ( নীলার দিকে আগাতে আগাতে )

নীলা: না করি না। ( পিছাতে পিছাতে )

নীল: আচ্ছা কেনো ?

নীলা: তুমি মীম এর সাথে কথা বলছিলে তাইনা ?

নীল: হোয়াট ???

নীলা: কি এখন রেগে কেনো যাচ্ছ ?

নীল: আমি কার সাথে কথা বলছিলাম ?

নীলা: মীম এর সাথে আমি জানি ?

নীল: হুমম মীম এর সাথেই কথা বলছিলাম ( ফাজলামো করে )

নীলা: কিইইইই?

নীল : জিইই। নীলা তুমি তো জানো মীম কতো সুন্দর। কতো হট দেখতে উফফফ।

নীলা: তো যাও না মীম এর কাছে। আমার কাছে কি। আমি তো সুন্দর না। হট না।তো আমার কাছে আসা লাগবে না।

নীলা বলেই…রাগে হন হন করতে করতে….রুম থেকে বের হয়ে যাচ্ছিলো…..নীল আগে গিয়ে গেট লক করে দিলো…নীলা তো গেট খোলার চেষ্টা করেই যাচ্ছে….নীলের হাসতে হাসতে অবস্তা খারাপ…..

নীল: তুমি যতক্ষন চুপ না হবা এই গেট খুলবে না বুঝলা ?

নীলা: সরো তুমি। আমার আজকে এই বাসায় আসাই ভুল ছিলো। আমি যাবো সরো তুমি বললাম।

নীল: এই গেট তো খুলবে না।

নীলা: তুমি যাও না তোমার মীম এর কাছে। আমার সাথে কেনো বাজাবাজি করো তুমি ?

নীল: বি’কজ আই লাভ ইউ ( বলেই চোখ টিপ দিলাম )

নীলা: ইউ ডোন্ড লাভ মি। ইউ লাভ মীম। আই নো দেট।

নীল নীলাকে টেনে…বুকে জরিয়ে ধরলো….নীলা ঠান্ডা হয়ে গেলো…একদম চুপ হয়ে গেলো নীলা….নীল নীলার কপালে আলতো করে একটা চুমু দিলো………

নীল: তুমি জানোনা আমি তোমাকে ভালোবাসি ?

নীলা: মিথ্যে কথা ??

নীল: নীলা তোমার কিন্তু খবর আছে। আমি জাস্ট মজা করলাম। বাট তুমি মীম কে নিয়ে এতো জেলাস কেনো হুমম ( শয়তানি করে )

নীলা: ( নীল কে কিল ঘুশি মারতে লাগলাম ) তো আমার জেলাস ফিল হবে না।

নীল: আচ্ছা আচ্ছা সরি আর বলছি না আমি। পোরা পোরা গন্ধ একদম ভরে গেছে রুমে।

নীলা: ( নীলের কলার ধরে ) তুমি শুধু আমার। আর অন্য কোনো মেয়ের কাছে গেলে একদম মেরে ফেলবো গুলি করে।

নীল কিছু না বলে….হুট করে নীলার ঠোঁটে আলতো করে একটা চুমু দিয়ে দিলো….নীলা তো রাগে মনে হয় নীল কে খুন করে ফেলবে….আর নীল সেটা বুঝতে পেরে বাচ্চাদের মত চেহারা বানিয়ে ফেললো……নীলা হেসে দিলো……………….

নীলা: সো,,,আমাকে ছেড়ে অন্য কারো কাছে যাওয়ার চেষ্টাও করবা না।

নীল: যো হুকুম বউ।
________________________________________
লিসা: সব কম্পিলিট। আবির কে এখন কল করবো। হুমম এখনি করি। ( বলেই আবির কে কল দিলাম )

আবির: ( কি করে লিসাকে মানাবো। বলতেই লিসার ফোন ) হ্যাঁলো,,,

লিসা: কোথায় তুই ?

আবির: বাসায় আর কোথায়। বাট আমি স্বপ্ন দেখছি না তো ?

লিসা: কেনো ?

আবির: তুই ফোন করলি তো তাই।

লিসা: হুমম।

আবির: আ’ম সরি,,,লিসা প্লিজ তুই এভাবে আমাকে কষ্ট দিস না। আমি নিতে পারবো না।

লিসা: যা হওয়ার হয়ে গেছে। আমি এগুলো নিয়ে কোনো কথা বলতে চাই না।

আবির: লিসা প্লিজ ?

লিসা: তুই কি চাস আমি তোর সাথে একদম কথা,,,দেখা অফ করে দি ?

আবির: উহু,,,আমি থাকতে পারবো না।

লিসা: তো এগুলো নিয়ে আর কখনও কথা বলবি না।

আবির: নিশ্চুপ……

লিসা: আমার বাসায় আসতে পারবি এখন ?

আবির: পারবো বাট এখন তো অনেক রাত ?

লিসা:তো ?

আবির: আসছি আমি ওয়েট।

লিসা: হুমম ( আমি ফোন কেটে দিলাম )

আবির: ( লিসা হঠাৎ যেতে বললো কেনো। কিছু ঠিক লাগছে না। আজ সকাল অব্দি আমার দিকে তাকায় ও নি। আর এখন নিজে ফোন করলো‌ আমাকে। কি যে বলবে এখন আবার কে জানে )
________________________________________

চলবে………………..

বি.দ্র: কেমন লাগলো জানাবেন কিন্তু😊