Torture with love 2😍Part-30

#Torture_with_love_season_2😍😍
#লেখিকা ( অনু )
#Part_30

আবির লিসার চোখের পানি দেখে….লিসার দিকে এগিয়ে গেলো….লিসা পিছিয়ে গেলো….আবির আরো আগালো….লিসা আরো পিছিয়ে গেলো….এবার আবির লিসাকে টেনে কাছে নিয়ে এলো….লিসা কিছু বললো না…..আবির লিসার চোখের পানিগুলো দু হাত দিয়ে গালে হাত রেখে মুছে দিলো….তারপর আবির ফিক করে জোরে জোরে হাসতে লাগলো….লিসা অবাক হয়ে আবিরের দিকে তাকালো….আর আবির তো হেসেই যাচ্ছে…..লিসা কিছুই বুঝলো না……………

আবির: লিসা এতদিনে এই বিশ্বাস করলি তুই আমাকে,,,আর এই ভালোবাসিস আমাকে,,,যে একটা কথা বললাম আর হুট করে বিশ্বাস করে নিলি।

লিসা: আমি কিছু বুঝতে পারলাম না। ( নরম গলায় )

আবির: আমি মজা করছিলাম। পাগলি তুই জানিস না আমি তোকে কতটা ভালোবাসি।

লিসা: তুই এইভাবে আমাকে কাঁদালি,,,আমি তো ভেবেছি।

আবির: ( কথা থামিয়ে ) তুই ভেবেছিলি সত্যিই আমি তোর সাথে লাস্ট ২ দিন মজা নিলাম তাইতো।

লিসা: তোর সাথে কথা বলাই উচিত না।

বলেই লিসা চলে যাচ্ছিলো….আর আবির লিসাকে জরিয়ে ধরলো…লিসা কিছু বললো না……………

লিসা: আবির ছাড়।

আবির: আ’ম সরি,,,আমার এমন মজা করা উচিত হয়নি।

লিসা: আমার এক মিনিটের জন্য মনে হচ্ছিলো,,,আমি সব হারিয়ে ফেললাম।

আবির: সরি আর এমন মজা করবো না।

লিসা: ( আমিও আবির কে জরিয়ে ধরলাম চোখ বন্ধ করে )
________________________________________

পরদিন In varsity_________________________

অনু: গাইজ #গানের_টিচার আসছে নতুন কলেজে শুনলাম। আমি কিন্তু উনার কাছে প্রেকটিস করবো।

নীলা: আমি জানি। নিড ক্লাসিকাল গান প্রকটিস করবো আমি উনার কাছে।

মিহু: তো আমি কেন বাদ যাবো। এমনি এখন তেমন একটা প্রেকটিস করা হচ্ছে না গান।

নাদিয়া: সেই জন্যই তো।

লিসা: তো ?

নদী: আমরা সবাই প্রেকটিস করবো।

অনু: ওকে।

________________________________________
মানিক: গতকাল কোথায় ছিলে তুমি ?

অনু: কোথায় থাকবো,,,বাসায়।

মানিক: ফোন বেজে বেজে কেটে যাচ্ছিলো বাট কেউ রিসিভ করলো না।

অনু: হয়তো ঘুম ছিলাম। খেয়াল করিনি।

মানিক: কিছু ভাবছো তুমি ?

অনু: উহু,,,কিছু না তো।

মানিক: মিথ্যে ?

অনু: সত্যিই কিছু ভাবছিলাম না।

মানিক অনুকে টেনে…নিজের সাথে মিশিয়ে দিলো….

অনু: মানিক প্লিজ ?

মানিক: বলো কি হলো তোমার ?

অনু: বললাম না কিছুই না।

মানিক: আমি এতো কথা শুনতে চাইনি। যা বললাম তার উওর চাই শুধু।

অনু: মানিক আমার সায়েমা কে নিয়ে একটু টেনশন হচ্ছে।

মানিক: ওকে নিয়ে টেনশন করার কি আছে। ওকে তো জায়গা মত বুঝাবো তারপর জেলে ঢুকাবো।

অনু: সায়েমা যেমন মেয়ে। ও তো জানে তুমি ফিরে এসেছো। তাও চুপচাপ বসে আছে। আমার জিনিসটা মটেও ভালোলাগছে না।

মানিক: আরে ও কিচ্ছু করবে না।

অনু: তুমি অলয়েজ এতো ফ্রি কি করে হও।

মানিক: এসব কথা বাদ। গতকাল আমাকে কামুড় দিয়েছিলো কে যেনো ( অনুর কোমড় টেনে আরো কাছে এনে )

অনু: কে কামুড় দিলো ? ( ভয়ে ভয়ে )

মানিক: কেউ একজন কানে অনেক জোরে কামুড় দিয়েছিলো তার প্রতিশোধ নিবো এখন আমি।

অনু: মানে,,,ঐ ছাড়ো আমাকে কামড় দিবা না।

মানিক: গতকাল তো খুব দোড় দিয়েছিলে। এখন দেও দোড়।

অনু: মানিক না প্লিজ,,,আমি ব্যাথা পাবো এএএএএএএএ।

মানিক: আবার সেই ফাঁটা বাসের মত চেচাচ্ছ। চুপ একদম চুপ। নয়তো আরো জোরে কামড় দিবো কিন্তু।

মানিকের কথা শুনে…অনু চুপ হয়ে গেলো….মানিক অনুর দিকে আগাতে লাগলো….আর অনু ছুটাছুটি করতে লাগলো…মানিক অনুর একদম কাছে চলে গেলো….অনু চাইলেও এখন সরতে পারবে না….তাই চোখ বন্ধ করে ফেললো….মানিক অনুর গলার কাছে গিয়ে….অনুর গলায় এক কামড় বসিয়ে দিলো…আর অনু চেচিয়ে উঠলো……………..

অনু: এএএএএএএ আহ্ আমার গলা টা মরে গেলো রে,,,আমি আর কথা বলতেই পারবো না,,,আল্লাহ আমার কি হবে । তুমি আসলেই মানুষ না। আমি ব্যাথা পেলাম না। কথা বলবা না সরো বলতেছি।

মানিক: একদম চুপ ( ধমক দিয়ে ) তো আমি গতকাল ব্যাথা পাইনি।

অনু মানিকের দিকে…করুন ভাবে তাকালো….আর মানিক একটা চোখ টিপ দিলো ঠোঁট কামড়ে ধরে…..মানিক দেখলো যেখানে একটু আগে কামড় দিলো….ঐ জায়গা লাল হয়ে আছে…অনু ছুটে চলে যাবে…..আর মানিক অনুকে টেনে….গলায় ঐ কামড়ের জায়গায়… আলতো করে একটা চুমু দিলো…..অনু চোখ বড় বড় করে মানিকের দিকে তাকালো…..মানিক একটা মুচকি হাসি দিলো….যেই হাসিটা মানিকের মুখে দেখলে…অনু সবকিছু ভুলে যায়….এমনকি অনুর রাগটাও চলে যায়..

অনু: শেষ শোধ নেয়া। এখন সরো না।

মানিক: তোমার কাজই তো এটা। আমাকে দুরে দুরে রাখা।

অনু: হুমম অন্তত সেফ তো থাকা যায়। তাও‌ সেফ আর কই থাকতে পারি হুহ্।

মানিক: ফুহ্
________________________________________

রোহান: নদী আমার একটা ভুল হয়ে গেছে।

নদী: আবার কি ভুল করলি।

রোহান: নিলয় এর নোট খাতাটা ভুলে বাসায় রেখে এসেছি।

নদী: কিইইইই ( আল্লাহ এখন কি বলবো আমি নিলয় কে )

রোহান: নিলয় কে কাল দিলে কি অনেক প্রবলেম হবে ?

নদী: না..না। আজ যাওয়ার সময় তোর কাছ থেকে আমি নোট টা নিয়েই বাসায় যাবো।

রোহান: ওকে। চল।

রোহান আর নদী…. কথাগুলো যখন বলছিলো….তখন নিলয় এর চোখ এরায় নি….নিলয় রেগে ক্লাস এ গিয়ে…..বেঞ্ছে একটা জোরে বারি দিলো…….

________________________________________
নদী: ( এই রোহান গেলো কোথায় বলতেই দেখি সামনে নিলয় )

নিলয়: ( সামনে যেতেই দেখি নদী। পাশ দিয়ে চলে যাচ্ছিলো। বাহ্ এখন আর আমার দিকে তাকানোর প্রয়োজন ও করে না ) আমার নোট খাতা কোথায় ?

নদী: ( পাশ কেটে যেতে গিয়েও থেমে গেলাম ) মা…মানে রোহান না আনতে ভুলে গেছে। কাল আমি তোমাকে দিয়ে দিবো।

নদীর কথা শুনে…নিলয় এতটা রিয়েক্ট করে নি…কিন্তু রোহান হলো মেইন প্রবলেম….নিলয় টেনে নদীকে দেয়ালে চেপে ধরলো শক্ত করে….নদী তো ভয়েই শেষ….আর ছুটাছুটি করে যাচ্ছে……

নিলয়: আমার কাছে গতকাল কি বলেছিলে ?

নদী: রোহান আনতে ভুলে গেলে আমি কি কর…করবো ?

নিলয়: সেটা তো আমার জানার কথা না ?

নদী: বললাম তো কাল পেয়ে যাবে তোমার নোট খাতা।

নিলয়: আমার আজকেই লাগবে নোট খাতাটা ( নদীর আরো কাছে গিয়ে )

নদী: এখন কি করে দিবো আমি ?

নিলয়: আই ডোন্ড নো। আজকে রাতে আমার বাসায় গিয়ে ঐ নোট খাতাটা দিয়ে আসবে।

নদী: আচ্ছা ঠিক আছে।

নিলয়: আর যদি আজ আমার বাসায় খাতাটা না যায় তো ?

নদী: ব..বললাম না দিয়ে আসবো। নিলয় লিভ মি।

নিলয়: ( নদীকে ছেড়ে দিলাম )

নদী: ( নিলয় ছাড়তেই দেখি রোহান আসছে )
________________________________________

রোহান: চল বাসায় ?

নদী: হুমম চল। বাট আগে তোর বাসায় যাবো। নোট খাতাটা নিতে।

রোহান: তো আমি কি বললাম। আমার বাসায় যাওয়ার কথাই তো বললাম।

নদী: হুমম চল।

নিলয়: ( নদী রোহানের বাসায় যাবে। হোয়াট দা হেল। নদীর দিকে তাকালাম )

নদী: ( যাওয়ার সময় নিলয়ের দিকে চোখ গেলো। এখনও আমার দিকে রাগি চোখে তাকিয়ে আছে )

________________________________________

নিলয়: আমার মাথা আটকে যাচ্ছে। প্রবলেম কি আমার। ও রোহানের সাথে থাকলে আমার কি।

মেঘ: সেটাই তো । নদী রোহানের সাথে থাকলে তোর কি বল ( ঘাড়ে হাত দিয়ে )

মানিক: এতো জেলাস কেন নদীকে নিয়ে তোর।

নীল: ভালোবেসে ফেললি নাকি।

সাগর: ঐ যে আমি সব সময় বলি না,,,

আবির: ( কথা থামিয়ে ) ভালোবাসার প্রথম দিক তাইতো সাগর ?

মেঘ,মানিক,নীল,আবির,সাগর….সবাই ফিক করে হেসে উঠলো…..সবাই মিলে নিলয় কে ভালো মতো করে চেতাতে ব্যস্ত..

নিলয়: হোয়াট দা হেল গাইজ,,,তোরা কি পাগল হয়ে গেলি নাকি ? আমি আর ভালোবাসবো ঐ ফালতু মেয়েকে ইমপসিবল।

মানিক: তুই একটু বেশি বললি না ?

নীল: নদী আমাদের ফ্রেন্ড।

মেঘ: ইট’স টু মাছ নিলয়।

নিলয়: আমার ওকে সহ্য ই‌ হয়না ইয়ার। আমি কি করবো বল ?

সাগর: তো তুই যখন ওকে দেখতেই পারিস না। নদী যার সাথে ইচ্ছা মিশুক তোর কি ?

আবির: আমার বেলায় তো খুব বড় বড় কথা বলছিলি। এখন নিজের বেলায় বুঝতে পারছিস না ?

নিলয়: দেখ তুই লিসা কে ভালোবাসতি আর লিসা তোকে ভালোবাসতো। বাট আমি নদী কে দেখতেই পারিনা ভালোবাসা তো দুরেই থাক।

মানিক: ওকে দেন,,,নদী কি করলো কার সাথে থাকলো এইটা তোর জানার বিষয় না।

নীল: রাইট। তোর এতো এগুলো নিয়ে ভাবতে হবে না।

মেঘ: তুই তোর মতো থাক এটাই ভালো।

সাগর: বাদ দে তো এসব কথা।

আবির: নদীকে নিয়ে,,, এই বিষয় নিয়ে আর কোনো কথা না।

নিলয়: ( রাইট আমি এগুলো নিয়ে কেনো ভাবতেছি,,,তাও এই ইডিয়েট মেয়েকে নিয়ে )

চলবে………………

বি.দ্র: কেমন লাগলো জানাবেন কিন্তু😊