Torture with love 2😍Part-31

#Torture_with_love_season_2😍😍
#লেখিকা ( অনু )
#Part_31

রাতে মেঘের বাসায়________________________

মেঘ: আজকে দেখি নিলয় একা একা বকবক করে যাচ্ছিলো।

মিহু: কি নিয়ে ?

মেঘ: নদী কে নাকি সহ্য করতে পারে না। আবার নদী রোহান এর সাথে থাকলে রেগে বম হয়ে থাকে।

মিহু: ( গতকাল এর সব কাহিনী বললাম মেঘ কে। নদী যা যা বললো ) আমার মাথা এখন ঘরাচ্ছে এসব শুনে।

মেঘ: হোয়াট,,,এতকিছু ?

মিহু: হুমম। বাট নিলয় তো এমন না। তো নদীর সাথে এমন কেনো করে?

মেঘ: সেটাই তো। আমাদের সাথে থাকলেও তো নদীর সাথে কথাই বলে না। আবার এদিকে নদী অন্যকারো সাথে থাকলে রেগে যায়।

মিহু: তুমি কোন দিকে কম ছিলা শুনি ( রেগে )

মেঘ: আমি আবার কি করলাম ( অবাক হয়ে )

মিহু: মনে আছে আগের কথা গুলো ? আমাকে তো দেখতেই পারতা না,,,আমার সাথে কি কি করছো সব ভুলে গেলা,,,আবার নীল এর সাথে দেখলেই জ্বলে পুড়ে শেষ,,,সবচেয়ে বেশি হেইট করতা আমাকে তুমি ( কাঁদো কাঁদো ফেস বানিয়ে )

মেঘ: ( মিহুকে পিছন থেকে জরিয়ে ধরে ) হুমম যাকে সবচেয়ে বেশি হেইট করতাম,,,একদম দেখতে পারতাম না,,,তাকেই এখন সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি,,,তার মধ্যে এখন আমার জীবন।

মিহু: সব পাম হুহ ( নাক মুখ ফুলিয়ে )

মেঘ: ( মিহুকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে ) কি বললা তুমি ?

মিহু: হুমম জান্নাত তো তোমার সব লাগে,,,যাও এখন ওর কাছে।

মেঘ: আচ্ছা তো আমি সত্যিই যাচ্ছি,,,পরে কিন্তু আমাকে কিছু বলতে পারবা না ?

মিহু: ( দিলাম পায়ে পারা ) ঐ কি বললা,,,জান্নাত এর কাছে যাবা ?

মেঘ: উফফফ,,,তুমিই তো বললা যেতে ( ভাব নিয়ে )

মিহু: তোমাকে তো ঘুশি দিয়ে নাক ফাটানো উচিত ( রেগে )

মিহু রেগে লাল হয়ে আছে…মেঘ তো পারে না…হাসতে হাসতে মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছে…মিহু রেগে চলে যেতে নিলে…মেঘ টেনে নিজের কাছে নেয়…মিহু মুখ অন্যপাশে ঘুরিয়ে নেয়………………..

মেঘ: আচ্ছা তুমি জান্নাত কে নিয়ে এতো জেলাস কেনো বলো তো ?

মিহু: ( রাগি চোখে মেঘের দিকে তাকালাম )

মেঘ: না মানে,,,জান্নাত কে নিয়ে তুমি এতো কেনো জ্বলো,,,জাতি জানতে চায় ? ( হেসে দিয়ে )

মিহু: আর তোমার তো খুব ভালোলাগে ওর সাথে থাকতে তাইনা,,,যাও তুমি ওর কাছে,,,ছাড়ো আমাকে মেঘ।

মেঘ: ( মিহুর কানের কাছে গিয়ে ) ওকে ওকে জানু শান্ত হও।

মিহু: বজ্জাত কোথাকার,,,নাইজেরিয়ান এনাকন্ডা কোথাকার। ছাড়ো বলতেছি।

মেঘ: তুমি কি এই আজব আজব গালি দেওয়া বন্ধ করবা নাকি আমি ?

মিহু: ( মুখে হাত দিয়ে ) না না। আমি আর বলবো না।

মেঘ: গুড…

মিহু: ( তোরে যদি আমি আলুর তরকারি না বানাইছি রাক্ষস )
________________________________________

ওদিকে__________________________________

নদী: ( রোহানের কাছ থেকে তো নোট খাতাটা আনলাম। যাচ্ছি তো নিলয় এর বাসায় বাট যাওয়া টা কি ঠিক হবে। না গেলে তো আমার খবর করে দিবে )

নদী গেলো নিলয়ের বাসায়…দাড়োয়ান কে আগেই বলে রেখেছিলো নিলয়…যে সেদিন এর মেয়েটা যদি আসে তো ঢুকতে দিতে….দাড়োয়ান ও গেট খুলে দিলো….নদী বেল বাজাতেই….একজন মা এর বয়সি গেট খুললো….নদীর মনে পরে গেলো ওদিন এর কথা….নিলয় বলেছিলো যে ওর মা-বাবা ঢাকায় ফিরছে…..তাই নদী সালাম দিলো…………

নদী: আসলামুলাইকুম আন্টি।

নিলয়ের মা: মুলাইকুমসালাম,,,কে তুমি ?

নদী: আব,,,আমি নিলয় এর ফ্রেন্ড। ওর একটা নোট খাতা আমার কাছে ছিলো,,,সেটাই দিতে এলাম।

নিলয়ের মা: এসো ভেতরে। নিলয় উপরে ওর রুম এ আছে যাও।

নদী: জি,,,

________________________________________
নদী: ( গিয়ে রুম এ উঁকি দিলাম )

নিলয়: ( তাকিয়ে দেখি নদী উঁকি দিচ্ছে রুমে ) উঁকি দিতে হবে না ভেতরে এসো।

নদী: ( নিলয় এর গলা শুনেই বুক কাঁপতে লাগলো ) ঐ তোমার নোট খাতাটা ?

নিলয়: দাও ?

নদী: ( সামনে খাতা এগিয়ে দিয়ে ) এই যে নোট খাতা ?

নিলয়: ( বেড থেকে উঠে দাড়িয়ে। খাতাটা নিলাম )

নদী: ( আমি কিছু না বলে চলে আসছিলাম আর নিলয়ের কথা শুনে থেমে গেলাম )

নিলয়: ( নদী চলে যাচ্ছিলো ) তো আজ রোহান এর বাসায় কেমন মজা হলো ?

নদী: মানে ?

নিলয়: মানে রোহান এর সাথে কেমন মজা করলে ?

নদী: আমি কোনো মজা করতে যাইনি। আমি নোট খাতাটা আনতেই গিয়েছিলাম। আর এগুলো না বললে খুশি হবো।

নিলয়: ( ওর কথা শুনেই রাগ উঠে গেলো। সাথে সাথে দেয়ালে চেপে ধরলাম ) এতো কি ঐ রোহান এর সাথে তোমার ?

নদী: ( আমি কথাও বলতে পারছিলাম না ) আজব তো,,,প্রবলেম কি তোমার ?

নিলয়: আমার প্রবলেম কি মানে ? যেটা প্রশ্ন করলাম তার উওর দাও।

নদী: এটা আমার ব্যাক্তিগত বেপার। আর আমার সাথে রোহান এর যাই থাকুক তাতে তোমার কি ?

নিলয়: লজ্জা করে না ? এতোগুলো ছেলেকে একসাথে নাচাতে ??

নদী: নিলয় নিজের বিহেভ ঠিক করো ?

নিলয়: তুমি আগে নিজের দিকে তাকাও। নিজেকে ঠিক করো তারপর অন্য কে বলবা। তোমার মত নষ্ট মেয়ে আমার লাইফে আমি দেখিনি ( রেগে + চিল্লিয়ে )

নদী: ( নিলয়ের কথা শুনে চোখ থেকে পানি পরে গেলো ) হুমম আমি খারাপ তো তোমার কি ? তোমার কাছে এসেছি আমি ?? আর আমি যার সাথে ইচ্ছা যা ইচ্ছা করবো,,,তোমার কি তাতে,,,তুমি আমাকে বলার কে ?

নিলয়: জাস্ট সাট আপ নদী ( চিল্লিয়ে )

নদী: ছাড়ো আমাকে ( বলেই ছুটাছুটি করতে লাগলাম )

নিলয়: আমি যেনো রোহানের সাথে নেকস্ট টাইম তোমাকে না দেখি। ( করুন ভাবে )

নদী: সেটা আমি বুঝবো,,,আমি আরো বেশি করে ওর সাথে মিশবো ( বলেই নিলয় কে ধাক্কা দিয়ে ওখান থেকে চলে এলাম )

নিলয়: কি হচ্ছে এগুলো আমার,,,নদী অন্যকারো সাথে থাকলে আমার কেনো এতো রাগ হয়,,,সারাদিন এখন নদী থাকে মাথার মধ্যে,,,যাচ্ছেই না মাথা থেকে নদী।
________________________________________

নিলয়ের মা: ( রুমে এসে দেখি কি ভাবছে ) কিরে কি ভাবছিস তুই ?

নিলয়: কোথায় কিছুনা মা।

নিলয়ের মা: ঐ মেয়েটা কে রে ?

নিলয়: কোন মেয়ে মা ?

নিলয়ের মা: একটু আগে যে চলে গেলো ?

নিলয়: এমনি ফ্রেন্ড। কেনো বলতো ?

নিলয়ের মা: না মেয়েটা বেশ মিষ্টি দেখতে। দেখে তো মনে হচ্ছিলো খুব ভালো মেয়েটা।

নিলয়: হুমমম। এখন থামো।

নিলয়ের মা: তোর জন্য তো এমন মেয়েই দরকার। ( হেসে দিয়ে )

নিলয়: হয়ে গেলো ? যাও ডিনার রেডি করো। আমার প্রচন্ড খুদা লেগেছে।

নিলয়ের মা: আমি তোকে ডাকতেই এসেছিলাম।

নিলয়: তুমি যাও নিচে আমি আসছি।

নিলয়ের মা: হুমম আয়।

নিলয়ের মা চলে গেলো….নিলয় মানিক দের ফোন করলো….আর বললো আজ রাতে সবাই আড্ডা দিবে…..মেঘ মিহুকে অনুর বাসায় দিয়ে গেলো…..মেঘ,,,মানিক,,,নীল,,,সাগর,,,আবির,,,নিলয়…..সবাই মানিকের বাসায় গেলো………………

মেঘ: গাইজ অনেক দিন পর একসাথে আমরা।

মানিক: হুমমম।

নীল: তো নিলয় হঠাৎ তুই আজ এতো রাতে আড্ডা ?

নিলয়: ভালো লাগছিলো না বাসায়। তাই ভাবলাম আজ আড্ডা দেই।

সাগর: কিছু হয়েছে মনে হচ্ছে।

আবির: মনে প্রেমের রং লাগছে।

নিলয়: তোরা না মজা করিস না।

মেঘ: ওকে ফাইন বল কি হয়েছে তোর ?

নিলয়: গাইজ আমি কিছু বুঝতে পারছি না কি হচ্ছে এগুলো আমার সাথে।

মানিক: রোহান এর সাথে নদী কে দেখলেই তো তুই জ্বলে যাস ?

নিলয়: আমি একদম ই সহ্য করতে পারিনা।

নীল: তুই তো রাদিকার সাথে মনে হয় রিলেশন এ আছিস তাইনা ?

নিলয়: আরে না,,,ও তো জাস্ট ফ্রেন্ড।

সাগর: তোর নোট খাতা দিতে গিয়েছিলো আজ তোর বাসায় নদী ?

নিলয়: তুই কি করে জানলি ?

আবির: নদী ফোন করেছিলো। তখন বললো।

মেঘ: তুই নাকি নদীকে অনেক অপমান করেছিস ?

নিলয়: ইচ্ছে করে বলিনি কিছু। রাগ উঠে গিয়েছিলো,,,কতবার বললাম রোহান এর সাথে কথা না বলতে। ও শুনতে রাজি না। ও নাকি আরো বেশি করে মিশবে ওর সাথে।

মানিক: তো আর কি করবে। তুই তো ওকে মেনে নিবি না ?

নিলয়: আমি দিন দিন নদীর উপর উইক হয়ে যাচ্ছি ইয়ার। ইট’স_লাভ💖

নীল: রাইট এটাই ভালোবাসা। যাকে তুই অন্যকারো সাথে সহ্য করতে পারিস না,,,উইক হয়ে যাচ্ছিস ওর উপর আর কোনো প্রমান লাগে বল ???

নিলয়: তোরা কি করে ওদের প্রেমে পরলি বলতো ?

মেঘ: জানিস আমি তো মিহুকে দেখতেই পারতাম না,,,অনেক #Torture করেছি ওকে,,,অনেক হেইট করতাম বাট এখন দেখ মিহুকে ছাড়া থাকতেই পারি না।

মানিক: আমি অনুকে সবচেয়ে বেশি #Torture করতাম। প্রতিদিন ওকে কাঁদিয়ে ছাড়তাম। আর আমরা মজা নিতাম ওর কান্না নিয়ে। বাট দিন যত যেতে লাগলো অনেক উইক হয়ে পড়লাম ওর উপর। এখন দেখ যতবেশি হেইট করতাম তার চেয়ে অনেক বেশি ভালোবাসি ওকে।

নীল: আমি তো প্রথম দেখায় শেষ। বাট মাঝে অনেক কিছু হয়। আমি নীলাকে ঘৃণা করতে শুরু করি । অনেক #Torture ও করেছি। বাট এখন দেখ সব আগের মত। আমার কলিজা ও।

নিলয়: তোরা বলতে চাচ্ছিস আমি নদীকে ভালোবাসি ?

সাগর: নিজেই ভেবে দেখ।

নিলয়: আই থিংক আই লাভ নদী ?

আবির: বুঝলাম না আমার ফ্রেন্ডস গ্রুপে সবগুলা ছিলাম বেস্টফ্রেন্ড। আর হয়ে গেলাম এখন সবগুলা বেস্ট কাপুল’স।

আবিরের কথা শুনে সবাই হাসতে লাগলো…..সবাই রাতে আড্ডা দিয়ে…..মানিকের বাসায় ই রয়ে গেলো…………

চলবে………………

বি.দ্র: কেমন লাগলো জানাবেন কিন্তু😊