Torture with love 2😍Part-34

#Torture_with_love_season_2😍😍
#লেখিকা ( অনু )
#Part_34

নাদিয়া: আন্টি সাগর কোথায় ?

সাগরের মা: আছে হয়তো নিজের রুমে দেখ,,,ঘুমাচ্ছে এখনও।

নাদিয়া: দেখাচ্ছি ঘুম কাকে বলে।( রেগে )

________________________________________
নাদিয়া: এই সাগররররর ( চিল্লিয়ে )

সাগর: সকাল সকাল আমার রুমে কে কাকের মত চেচাচ্ছে ( ভাঙ্গা গলায় )

নাদিয়া: কিইইই আমি কাকের মত চেচাই ? ( রেগে )

সাগর: নাদিয়া তুই ? ( ঘুমে )

নাদিয়া: দেখাচ্ছি মজা তোকে।

নাদিয়া গিয়ে ফ্রিজ থেকে…. দুটো বরফ এর টুকরা নিয়ে এলো….তারপর সাগরের মুখে সেই বরফের টুকরা গুলো….জোর করে ঢুকিয়ে দিলো….সাগর তো চোখ বড় বড় করে….উঠে বেড এ বসে পড়লো….নাদিয়া তো হাসতে হাসতে শেষ….সাগর ইচ্ছে করে নাদিয়ার পায়ে লেং দিলো….নাদিয়া তাল সামলাতে না পেরে সাগরের উপর পরে গেলো….সাগর নাদিয়ার কোমড় চেপে ধরলো…..

নাদিয়া: তোর লজ্জা করে না,,,হুট করে একটা মেয়েকে জরিয়ে ধরিস ?

সাগর: একটা মেয়ে মানে ? তুই আমার বেস্টফ্রেন্ড + বউ।

নাদিয়া: আমি তোরে জীবনেও বিয়ে করবো না।

সাগর: দেখবো তোরে কে বিয়ে করে ?

নাদিয়া: আমার হাজবেন্ড অনেক সুন্দর হবে। ( ভাব নিয়ে )

সাগর: বুঝতে হবে না,,,আমি কতটা সুন্দর।

নাদিয়া: ওলা বিলাই এর মত দেখতে তুই ?

সাগর: আচ্ছা তাই ?

নাদিয়া: সাগর ছাড়,,,

সাগর: সকাল সকাল আমার ঘুম নষ্ট করা ? এখন ছেড়ে দিবো ??

নাদিয়া: সকাল মানে ? কয়টা বাজে দেখছিস ?? Varsity যাবিনা তুই ???

সাগর: হুমম যাবো তো?

নাদিয়া: ওকে ফাইন তোকে যেতে হবে না। আমি চলে যাচ্ছি।

সাগর: আবার রাগ দেখাচ্ছিস ?

নাদিয়া: কোথায় রাগ দেখালাম ?

সাগর: এটা রাগ না তো কি ?

নাদিয়া: ছাড়বি তুই ? লেট হচ্ছে উঠ না ?

সাগর নাদিয়ার গালে একটা চুমু দিলো….আর নাদিয়া সেটা চোখ বন্ধ করে অনুভব করলো….তারপর সাগর নাদিয়া কে ছেড়ে দিলো….নাদিয়া নিচে চলে গেলো….সাগর ফ্রেস হয়ে….নিচে নেমে এলো….নাদিয়া_সাগর বেরিয়ে গেলো Varsity র দিকে……………
________________________________________
অনু: মানিক কে একটা ফোন দিবো,,,দেই ( দিলাম কল )

মানিক: ( ফোন বেজে উঠলো,,,রিসিভ করলাম ) হুমম হ্যাঁলো,,, ( একদম নরম গলায় )

অনু: গুড মনিং,,,মি. পারফেক্ট ( একটা মিষ্টি হাসি দিয়ে )

মানিক: গুড মনিং এংরি বাড,,, ( ভাঙ্গা গলায় বাচ্চাদের মত )

অনু: এখনো ঘুমাচ্ছো তুমি?

মানিক: হুমম এখন উঠবো ( ঘুমে ঘুমে )

অনু: হুমম উঠো,,,

মানিক: উহু একটু পর ( বাচ্চাদের মত করে )

অনু: এখন উঠো তুমি,,,

মানিক: আর একটু ঘুমাই তারপর।

অনু: না এখনি উঠো ( ঠান্ডা ভাবে )

মানিক: তারপর ?

অনু: আগে উঠো,,,তারপর ফ্রেস হও,,,ব্রেকফ্রাস্ট করো,,,Varsity আসো,,,আর সাবধানে আসবা কেমন ?

মানিক: হুমম ( ঘুমে )

অনু: আবার ঘুমাচ্ছো তুমি ( রেগে + চিল্লিয়ে )

মানিক: ( অনুর চিল্লানিতে লাফ দিয়ে বেড এ উঠে বসলাম ) মা আমার আস্তে চিল্লাও,,,আমার কানের সবগুলা ইসক্সু নষ্ট হয়ে গেলো।

অনু: আচ্ছা আমার লক্ষি ছেলে,,,বাই।

মানিক: ছেলে মানে ? ( শকড হয়ে )

অনু: তুমিই তো বললা মা। তো আমি যদি তোমার মা হই,,,তুমি তো আমার ছেলেই হবা তাইনা ?

মানিক: অনুনুনু,,,আমি আসতেছি ওয়েট ( রেগে )

অনু: ঘোড়ার ডিম হবে ( ভেংচি দিয়ে )

মানিক: আসি আগে,,,তারপর বুঝাবো। আ’ম জাস্ট কামিং।

অনু: হুমম বাই ( বলেই ফোন কেটে দিলাম )

অনু তো মানিকের বাচ্চামি গুলো ভেবেই ব্লাসিং হচ্ছে….মানিক উঠে ফ্রেস হয়ে….রেডি হয়ে রওনা দিলো………….
________________________________________
মেঘ: ( আমি উঠে শাওয়ার নিতে গেলাম )

মিহু: ( দেখলাম মেঘ শাওয়ার নিতে যাচ্ছে। মাথায় কু বুদ্ধি এলো। বাইরে গিয়ে পানির মেইন সুইচ বন্ধ করে দিলাম )

মেঘ: ( গাঁয়ে সাবান দিয়ে শাওয়ার অন করলাম কিন্তু পানি পরছিলো না ) মিহু,,,

মিহু: কি হলো ?

মেঘ: বাইরের পানির মেইন সুইচ টা অন করো তো ?

মিহু: সুইচ তো অন করা ?

মেঘ: ( মিহু ইচ্ছে করে করছে না তো ) মিহু তুমি ইচ্ছে করে সুইচ বন্ধ করেছো ? ( রেগে )

মিহু: আস্তাগফিরুল্লাহ্ কি বলো এগুলো ( চোখ বড় বড় করে )

মেঘ: সুইচ অন করো ?

মিহু: আমি পারবো না। নিজে অন করে নাও।

মেঘ খুব ভালো করেই জানে….এখন মিহুর পা ধরলেও…মিহু পানির মেইন সুইচ অন করবে না….মেঘ টাওয়াল পেচিয়ে বাহিরে বের হলো….তারপর বাইরে গিয়ে…পানির মেইন সুইচ টা অন করে দিলো….আশেপাশে মেয়েরা মেঘকে এই অবস্তায় খালি গাঁয়ে শুধু টাওয়াল পেচানো দেখে হাসতে শুরু করলো….মেঘের তো রাগে মনে হচ্ছে মাথা ফেটে যাচ্ছে….এসে দেখে মিহু হাসতে হাসতে মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছে….মেঘ মিহুর হাত ধরে টেনে ওয়াশরুমে নিয়ে….শাওয়ার এর নিচে দাড়া করিয়ে শাওয়ার অন করে দিলো….মিহু সাথে সাথে পুরো ভিজে গেলো…..রাগে মিহুর মন চাচ্ছে মেঘের চুলগুলো ছিড়তে….মিহু মেঘকে পানি ছুড়ে মারলো…..মেঘও মিহুকে পানি ছুড়ে দিলো….এভাবে মেঘ_মিহু সমানে পানি ছুড়াছুড়ি করতে লাগলো….তারপর মেঘ মিহুর কোমড় টেনে নিজের সাথে মিশিয়ে দিলো….মেঘ মিহুর দিকে আগাচ্ছিলো….এমন সময় দু’জন একসাথে হাঁচ্চি দিয়ে উঠলো…….

মেঘ: হাঁচ্চু,,,

মিহু: হাঁচ্চু,,, মেঘ তোমার জন্য যদি ঠান্ডা লাগে না ( রেগে )

মেঘ: হাঁচ্চু,,,এর আগেও একবার তুমি সেম কাজ করছিলা,,,এই হাঁচ্চি হলো তোমার গিফ্ট শয়তানি করার ( ফাজলামো করে )

মিহু: হাঁচ্চু,,, তোমার যদি রাতে খবর না করি,,,

মিহু বলেই রাগে ফুলতে ফুলতে….চলে গেলো নিজের রুমে….. কাপড় বদলাতে….মেঘও শাওয়ার নিয়ে….ফ্রেস হয়ে বের হলো…..তারপর ওরাও Varsity র দিকে এলো….
________________________________________

In varsity_______________________________

রোহান: নদী দাড়া না,,,

নদী: তোর মাইর খাওয়ার জন্য দাড়াবো আমি ?

রোহান : কিছু বলবো না সত্যি,,,

নদী: উহু তোরে দিয়ে বিশ্বাস নেই।

রোহান_নদী,,,মারামারি করতে করতে,,,দ’জন ই মাঠে পড়ে গেলো…আর হাসতে লাগলো…..নিলয় Varsity তে ঢুকবে….দেখে রোহান আর নদী হেসে হেসে কথা বলছে…..নিলয়ের রাগে মন চাচ্ছে রোহানের ১২টা বাজাতে…..হঠাৎ নদীর চোখ গেলো নিলয় এর দিকে….নদী চোখ সরিয়ে নিলো……………….

রোহান: অনেক বাদরামি করছিস এখন ক্লাস এ যা।আমার ক্লাস শেষ হলে আমি তোকে নিয়ে আসবো।

নদী: যা ভাগ বজ্জাত পোলা।

রোহান : তুই কি বজ্জাতনী,,,

________________________________________
নদী: ( রোহান চলে গেলো। আমি আমার ক্লাসে যাচ্ছিলাম। মনে হলো কেউ টান দিলো )

নিলয়: ( নদী যাচ্ছিলো টেনে খালি ক্লাস রুমে নিয়ে এলাম তারপর ওকে দেয়ালে চেপে ধরলাম )

নদী: ( তাকিয়ে দেখি নিলয় ) তোমার সাহস তো কম না ?

নিলয়: হোয়াট ?

নদী: এখানে কেনো আনলে ( রেগে )

নিলয়: তোমাকে আমি বারণ করিনি ? রোহান এর থেকে দুরে থাকার জন্য ? ( দাঁতে দাঁত চেপে )

নদী: এটা আমার লাইফ,,,আমি যা ইচ্ছা করবো। তোমার কাছ থেকে সব শুনতে কেনো যাবো আমি ? ( রেগে )

নিলয়: জাস্ট সাট আপ নদী ( রেগে + চিল্লিয়ে )

নদী: ( নিলয়ের চিল্লানো তে চুপ হয়ে গেলাম ) আমাকে ছাড়ো? আমি কিন্তু গতকাল রাতে বলেছি ? আমার কাছে তুমি আসবে না ?

নিলয়: ( নদীর দু হাতের বাহু ধরে ) আমি কতবার ক্ষমা চাইলাম তোমার কাছে ? বললাম না আমার ভুল হয়ে গেছে।

নদী: তো এখন আমি কি করবো। তুমি শুনতে পেলে না। আমি ভালোবাসি না তোমাকে ( চোখে ছলছল পানি নিয়ে )

নিলয়: তো কাকে ভালোবাসো ? ঐ রোহান কে ভালোবাসো ?

নদী: হ্যাঁ রোহান কে ভালোবাসি,,,তাই তুমি আমার কাছ থেকে প্লিজ দুরে থাকো ?

নিলয় এর রাগ উঠে গেলো…..নদী কথা শুনিয়েই যাচ্ছে….নিলয় আর রাগ সামলাতে না পেরে….নদীকে কাছে টেনে….জোর করে নদীর ঠোঁট গুলো নিজের ঠোঁট দিয়ে আকড়ে ধরলো….নদীর সারা শরীর কেঁপে উঠলো….নদী নিলয় এর থেকে ছুটে আসতে চাইলে….নিলয় আরো শক্ত করে নদীর ঠোঁট আটকে ধরে….নদী আগের নিলয়ের করা অপমান গুলো মনে পড়তেই….নদীর চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পড়ে…..নিলয় সেটা বুঝতে পেরে….কিছুক্ষন পর নদীকে ছেড়ে দেয়….তারপর নদীকে জরিয়ে ধরে……নদী কিচ্ছু না বলে দাড়িয়ে থাকে……………….

নিলয়: আ’ম সরি,,,প্লিজ নদী।

নদী: ( ধাক্কা দিয়ে নিলয় কে সরিয়ে দিলাম ) তোমার লজ্জা করে না ছিঃ……আমি কখনও তোমাকে মেনে নিবো না। ( বলেই হলরুম থেকে দোড়ে বের হয়ে গেলাম )

নিলয়: ন…নদী দাড়াও… সিট। সব ভুল আমার।
________________________________________

চলবে………………

বি.দ্র: কেমন লাগলো জানাবেন কিন্তু😊