Torture with love 2😍Part-37

#Torture_with_love_season_2😍😍
#লেখিকা ( অনু )
#Part_37

পরদিন সকালে In varsity__________________

মানিক: গুড মনিং গাইজ।

মিহু: গুড মনিং।

অনু: তোদের চেহারার এই হাল কেন সবার ?

নীল: ( অনুদের সব বললাম গতকাল এর কথা )

নাদিয়া: কি বললি তুই ?

মেঘ: এমন টাই হয়েছে।

নীলা: এখন কি অবস্তা ওর ?

সাগর: ভালো আছে।

লিসা: আজকে নিলয় কে একবার দেখে আসা উচিত ?

অনু: আমারও তাই মনে হচ্ছে।

আবির: নদী কোথায় ? আসেনি আজ ??

নদী: এসেছি মাএ,,,

মানিক: এখন খুশি তো তুই ?

নীল: কাল‌ আর একটু দেরি হলে জানিনা কি হতো।

মেঘ: দেখ নদী,,,যা হয়েছে সব বাদ। বাট এখন তো নিলয় ও তোকে ভালোবাসে।

সাগর: আমার মনে হয় নিলয় কে তোর একবার মাফ করা উচিত।

আবির: তুই নিলয় কে ওর শাস্তি যতটুকু দেওয়া দরকার দিয়েছিস। এখন তো মাফ করাই যায় বল ?

নদী: বাহ্ তোরা এমন ভাবে বলছিস যেনো সব দোষ টা আমার। আমার জন্য সবটা হয়েছে। লাস্ট এক মাস হতে চললো,,,নিলয় আমার সাথে কি কি করেছে সেটা যদি তোরা ফিল করতি,,,আজকে তোরা এই কথাটা বলতে পারতি না আমাকে। তোর ওর কষ্টটা দেখলি,,,ওর দিকটা ভাবলি না। আর আমি ??? আরে তোরা বলছিস যে,,,ওকে অনেক উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হয়ে গেছে এখন জেনো মাফ করে দি। নিলয় না মাফ এর যোগ্য না বুঝলি। তোরা থাক তোদের নিলয় ফ্রেন্ড কে নিয়ে। আমার সাথে তোদের কোনো ফ্রেন্ডশিপ রাখতে হবে না। অনেক কষ্ট দিয়েছি,,,মেনে নিবো,,,মানে কি এগুলোর ? আমি কবে বললাম যে নিলয় কে আমি মেনে নিবো ?? আমি নিলয় কে মানতে বাধ্য না। আর কখনও মানবো ও না। আমার সাথে প্লিজ তোরা আর কখনও কথা বলিস না। ( বলেই যাচ্ছিলাম আর মানিক রাস্তা আটকে দিলো )

মানিক: ( নদী চলে যাচ্ছিলো। ওর সামনে গিয়ে দাড়ালাম ) আরে এতো রাগ কেনো করছিস তুই ? আমরা তোকে এমন কি বললাম।

নদী: নিশ্চুপ……..

অনু: নদী তুই তো নিলয় কে ভালোবাসিস।

নীল: নদী প্লিজ এমন রিয়েক্ট গুলো করিস না।

নদী: নিশ্চুপ………

নীলা: নদী যাকে ভালোবাসা যায়,,,তাকে ক্ষমা ও করা যায়। আমি নীল কে ক্ষমা করিনি ?

মেঘ: তুই কি চাস নিলয় এর কোনো ক্ষতি হোক?

নদী: নিশ্চুপ………

মিহু: একটা সুযোগ তো এমন কিছু না। একবার মাফ কর ?

সাগর: প্লিজ,,,আমি জানি তুই এখনও নিলয় কে ভালোবাসিস।

নদী: নিশ্চুপ……….

নাদিয়া: নদী কথা বল ?

আবির: নদী এভাবে শুধু শুধু নিজেকে কষ্ট দিস না প্লিজ।

নদী: নিশ্চুপ………..

লিসা: নিলয় কেও কষ্ট দিচ্ছিস। আর নিজেও কষ্ট পাচ্ছিস তুই।

নদী: আমি তোদের সাথে কোনো কথাই বলতে চাই না। ( বলেই হলরুম থেকে বেরিয়ে চলে এলাম )

মানিক: উফফ গড,,,এই মেয়েকে কে বোঝাবে বলতো।

অনু: তুমি আমাকে কি ভাবে বুঝাইছিলা মনে আছে কিছু ???

মানিক: ( অনুর দিকে হালকা রাগি দৃষ্টিতে তাকিয়ে ) হোয়াট ডু ইউ মিন ??

অনু: আই থিংক ইউ নো,,,

মানিক: আমার জান বের হয়ে গেছে,,,তোমাকে মানাইতে গিয়ে।

অনু: নিলয়ও এখন মানাবে নদীকে ঐ ভাবে।

মেঘ: এখন কি তোরা শুরু করে দিলি ঝগড়া ?

মিহু: তোমার সাথেও আমার এখন ঝগড়া লাগবে ( রেগে )

আবির: বেস্টফ্রেন্ড ছিলাম সবাই কত ভালো ছিলাম। বেস্ট কাপুল’স হয়ে এখন নিজের মাথায় নিজের বারি দিয়ে মরতে ইচ্ছা করতেছে। চুপ কর মা-বোন গুলা আমার।

লিসা: ঢ়ং যতসব,,,

নীল: গাইজ মনে হচ্ছে নদী নিলয় কে মাফ করেই দিবে।

নীলা: তুমি থাকো তোমার মনে হচ্ছে নিয়ে।

সাগর: নিলয় এর বাসায় যাবি তো তোরা নাকি ?

নাদিয়া: হুমম চলো।

সবাই মিলে গেলো নিলয়ের বাসায়…..তারপর সবাই কিছুক্ষন আড্ডা দিলো…..সবাই সবার মত আড্ডা দিয়ে বাসার দিকে রওনা দিলো…….

________________________________________আবির: লিসা চল,,,আমি তোকে বাসায় দিয়ে আসছি।

লিসা: নিশ্চুপ……..( চুপ করে সাইড কেটে চলে যাচ্ছিলাম )

আবির: কি বললাম আমি তোকে ?

লিসা: ( আমি যাবো না ওর সাথে আজকে ) আল্লাহ্ আমার পা দিসে,,,তাও দু টা। আমি হেটেই যেতে পারবো। আর হুমমম,,,তুই তোর নিশিতাকে সাথে নিয়েই ঘোর। আমার কথা এতো না ভাবলেও তোর চলবে।

আবির: ( রাগে মাথা ফেটে যাচ্ছিলো ) আমি কিন্তু অনেক বার বারন করেছি,,,যে নিশিতা কে নিয়ে তুই কখনও কিছু বলবি না।

লিসা: ওপস সরি,,,ব্যাক্তিগত বেপারে কথা বলার জন্য।

আবির: লিসা জাস্ট সাট আপ।

লিসা: আমাকে কিছু না বললেই তো,,,আমি আর তোর নিশিতা কে নিয়ে কিছু বলি না। আমি তো আমার মতই যাচ্ছিলাম,,,তুই ই তো কথা কাঁটাকাঁটি করে যাচ্ছিস। আর কিছু বলবি।

আবির: ( লিসার হাত চেপে ধরে ) কি সমস্যা তোর ?

লিসা: আবির হাত ছাড়,,, ( রেগে )

আবির: আজ দু দিন ধরে এমন করছিস কেনো তুই ? নিশিতা কে নিয়ে তোর কি সমস্যা ??

লিসা: আমার নিশিতা কে নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। তুই তোর মত থাক না। আমাকে কেনো তোর মধ্যে ঢুকাচ্ছিস তুই।

আবির: নিশিতার বেপারে তোর মুখ থেকে আমি যেনো কোনো কথা শুনতে না পাই লিসা,,,লাস্ট বারের মত বললাম তোকে আমি।

লিসা: ১০০ বার বলবো,,,যত ইচ্ছা বলবো। কি করবি তুই আমাকে ? মেরে ফেলবি। তুই আমাকে থ্রেট দিচ্ছিস ??

আবির: লিসাআআআআ ? ( রেগে + চিল্লিয়ে )

লিসা: ওকে ফাইন আমি নিশিতা কে নিয়ে কিচ্ছু বলবো না। বাট তার বদলে তুই আমার সাথে কোনো কথা বলতে পারবি না। আমি তোকে আটকে ছিলাম তো। ছেড়ে দিলাম যা নিশিতার কাছে। আর আমার সামনে কখনও কিছু বলতে আসবি না। তাহলে আর তোকে কিছু শুনতে হবে না নিশিতার বেপারে ( হাতটা ছাড়িয়ে নিয়ে চলে এলাম )

আবির: সিট,,,কি হচ্ছে এগুলো। ( বলেই গাড়িতে একটা ঘুশি দিলো )
________________________________________
অনু: মানিক,,,

মানিক: বলো ?

অনু: তুমি কোথায় তাকিয়ে গাড়ি চালাচ্ছো ??

মানিক: কেনো ?

অনু: কতবার বারন করেছি এভাবে গাড়ি না চালাতে ( রেগে )

মানিক: আমার কিছু হবে না ইনশাল্লাহ্। তুমি জানো,,,? তোমাকে দেখে গাড়ি চালানোর মজাই আলাদা।

অনু: ( রাগি চোখে মানিকের দিকে তাকিয়ে আছি )

মানিক: মনে তো হচ্ছে এখনি খেয়ে ফেলবা।

অনু: তুমি গাড়ি ব্রেক করো। আমি যাবো না তোমার সাথে।

মানিক: উহু,,,আমার সাথেই যেতে হবে।

অনু: ব্রেক করো মানিক ?

মানিক: উহু,,,

মানিক তো অনুর সাথে… মজা নিয়েই যাচ্ছে‌….আর অনু চোখ মুখ লাল করে রেগে বসে আছে…..শেষে অনু মুখ অন্যপাশ করে বসলো…..জানালার ধারে দু হাত রাখলো….আর হাতের উপর মুখ টা রেখে…..চুপচাপ বসে রইলো…. মানিক গাড়ি চালাচ্ছে…..আর একটু পর পর সামনে ঝুকে অনুকে দেখছে…..কলেজ শেষে নিলয়ের সাথে দেখা করে বাসায় যেতে যেতে প্রায় সন্ধা হওয়ার মুখে….তাই হঠাৎ ঠান্ডা বাতাস ছাড়লো….অনু চোখ বন্ধ করে সেই পরন্ত বিকেলের ঠান্ডা বাতাস অনুভব করতে লাগলো…..আর অনুর সামনের ছোটো ছোটো চুলগুলো এলোমেলো হয়ে গেলো….মানিক তো তার অনুকে পলকহীন ভাবে দেখেই যাচ্ছে.‌‌‌‌…মানিক ভেবে পাচ্ছে না কি করবে….যত দিন যাচ্ছে…তত বেশি অনুর প্রেমে পরে যাচ্ছে……মানিক অনুর চুলের ঝুটি টা খুলে দিলো….অনু কিছু একটা বুঝতে পেরে…..চোখ খুলে চুলে হাত দিলো….দেখলো চুলগুলো খোলা…..মানিক এর দিকে তাকিয়ে দেখলো….গাড়ি চালাচ্ছে আর মুচকি মুচকি হাসি দিচ্ছে…..অনুর অজান্তেই ঠোঁটের কোনে হাসি চলে এলো……হাসি থামিয়ে……………..

অনু: আমার চুল খুললো কে।

মানিক: আমি কিন্তু গাড়ি চালাচ্ছি। আমি কিছু করিনি কিন্তু ?

অনু: আমি কিছু বলেছি তোমাকে ? কথায় আছে না ? যার মনে যা,,,ফাল দিয়া উঠে তা।

মানিক: হোয়াট,,,

অনু: আমার চুল কেনো খুললে তুমি ( রেগে )

মানিক: কারন আমার এংরি বাড কে চুল আটকানো থাকলে দেখতে ভালো লাগেনা।

অনু: তুমি ইচ্ছে করে করছো এটা ( রেগে )

মানিক: উমমমম,,,আচ্ছা যদি আমি বলি আই হেইট ইউ ?

অনু: তাহলে আমি বলবো আই হেইট ইউ টু ( এক গাল হাসি দিয়ে )

মানিক অনুর এমন কথা শুনে…..সাথে সাথে গাড়ি ব্রেক করলো…..অবস্য অনুর বাসার সামনেই ব্রেক টা করলো…..অনু একটা মুখ ভেংচি দিয়ে….বের হয়ে চলে যাচ্ছিলো…মানিক গাড়ি থেকে নেমে অনুকে ডাকলো…………….

মানিক: এংরি বাড শুনো,,, ( মুচকি হেসে দু পকেটে দু হাত রেখে )

অনু: বলো ?

মানিক: সামনে এসো ?

অনু: ( আমি গেলাম সামনে ) এখন বলো ?

মানিক: ( অনুকে হাত ধরে টেনে,,,জরিয়ে ধরলাম ) আই লাভ ইউ।

অনু: ( আমিও মানিক কে জরিয়ে ধরলাম ) হুহ,,,

মানিক: আমি জানতাম মনে মনে রেগে ফুলে বম হয়ে ফুটে যাবা,,,তাই এখনি আদর দিতে হবে।

অনু: আচ্ছা সব জানো তুমি ?

মানিক: আমার এংরি বাড,,,আমি জানবো না ?

অনু: ( মানিকের থেকে সরে এসে ) বাই বাসায় যাও এখন ?

মানিক: আমার উওর নাই ?

অনু: উহু,,,নাই।

মানিক: ওকে ফাইন বাই।

অনু বাসায় চলে যাচ্ছিলো…..মানিক ও গাড়িতে উঠবে…..অনু পিছে ফিরে মানিক কে ডাকলো….মানিকও পিছে ফিরে তাকালো…..

অনু: মানিকককক,,,

মানিক: ( আমি পিছে ফিরে তাকালাম )

অনু: আই হেইট ইউ টু ( বলেই হেসে সামনে ফিরে বাসায় ঢুকে গেলাম )

মানিক: পুরাই পাগলি ( মুচকি হেসে )
________________________________________

এদিকে সন্ধার পর….নদী ঘরে বসে পায়চারী করছে….কি করবে বুঝতেই পারছে না….নিলয় কে আজ দেখতেও পারলো না….ভেবেছিলো নিলয় আজ Varsity আসবে….কিন্তু নিলয় মনে হচ্ছে অনেক কি অসুস্ত তাই আসতে পারেনি….এখন আরো বেশি নদীর ভয় করছে….মনে হচ্ছে গিয়ে নিলয় কে একবার দেখে আসি….কিন্তু সব ভুলে নিলয় কে মেনে নিতেই পারছে না….নদী কিছু আর না ভেবেই বাসা থেকে বের হয়ে গেলো…..নিলয় এর বাসার দিকে….নিলয় কে না দেখে আর থাকতেই পারছিলো না…………

চলবে…………………………

বি.দ্র: কেমন লাগলো জানাবেন কিন্তু😊