Torture with love-2😍Part-4

#Torture_with_love_season_2😍😍
#লেখিকা ( অনু )
#Part_4

সকালে In varsity_________________________

আবির: অনু তুই বলবি কি হয়েছে ?

অনু: আবির চল না আমার সাথে।

আবির: কোথায় বলবি তো ?

অনু: মানিকের বাসায়।

আবির: হঠাৎ মানিকের বাসায় কেনো ( অবাক হয়ে )

অনু: ( আগেই আবির কে কিছু বলবো না। পরে আমার উপর রাগ করবে ) তুই আমার সাথে যাবি নাকি যাবিনা ?

লিসা: কোথায় যাবি ?

অনু: একটু কাজ আছে। আমরা যাচ্ছি। এসে তোদের সব বলবো।

লিসা: ওকে যা। ( আমি আবিরের দিকে না তাকিয়েই চলে এলাম )

আবির: ( অনুর ঘারে দু পাশে হাত রেখে ) ওকে ফাইন চল।

অনু: ( তারপর আমরা ওখানে গেলাম যেখানে গাড়ি বোমব্লাস্ট হয়েছিলো )

আবির: এখানে কেনো এলি হঠাৎ তুই ?

অনু: আমি তো এখানে এলেই মানিক কে ফিল করতে পারি ( বলতেই চোখ থেকে পানি পরে গেলো )

আবির: ( অনু আবার কান্না করছিলো। যেটা আমি একদম সহ্য করতে পারিনা। অনুর চোখের পানি তো একদম না ) অনু তুই আবার কান্না করছিস ?

অনু: আমি চাইলেও নিজেকে সামলাতে পারিনা ইয়ার।

আবির: ( অনুকে জরিয়ে ধরলাম ) আমি আছি তো তোর সাথে। নীল,সাগর আমরা সবাই অলয়েজ তোর পাশে আছি তাও কেনো এমন করিস তুই।

অনু: ( আবিরের কাছ থেকে সরে আসতেই নিচে তাকিয়ে দেখি মাটিতে কিছু একটা পুতে রাখা ) আবির দেখ মাটিতে কিছু পুতে রাখা আছে।

আবির: ওয়েট দেখছি ( তারপর অনু আর আমি নিচে বসে মাটি খুচতে শুরু করলাম হাত দিয়ে )

অনু: ( মাটি খুচতে খুচতে একটা ব্রেসলেট পেলাম। জিনিসটা হাত দিয়ে তুললাম )

আবির: আরে এই ব্রেসলেট তো তোর হাতে অলয়েজ থাকে। ( বলেই অনুর হাতের দিকে তাকালাম। তাকিয়ে দেখি অনুর হাতে যেটা অলয়েজ থাকে ঐ ব্রেসলেট অনুর হাতেই আছে। তাহলে মাটিতে একই রকম ব্রেসলেট পুতে রাখলো কে। আর এটা কার ব্রেসলেট ) অনু এটা তো..

অনু: ( মনে পরে গেলো মানিকের কথা। নিজের হাতে আমাকে ব্রেসলেট পরিয়ে দিয়েছিলো। আর এই ব্রেসলেট আমি ওকে পরিয়ে দিয়েছিলাম ) এটা মানিকের ব্রেসলেট। মানিক দুটো একই রকম ব্রেসলেট কিনেছিলো। একটা মানিকের হাতে অলয়েজ থাকতো আর একটা আমার হাতে।

আবির: তোর ব্রেসলেট তো তোর হাতেই আছে। মানিকের ব্রেসলেট এভাবে মাটিতে পুতে রাখা কেনো। আর এটা এখানে রাখবে কে। পুলিশ ওদিন রাতে তো সব চেক করে মানিকের আর মেঘের সবকিছু দিয়ে দিয়েছিলো। পুলিশ Surch করার পরও এই ব্রেসলেট পেলো না ওদিন আজ তুই পেলি ?

অনু: এটাই তো আমার প্রশ্ন।ওদিন রাতে পুলিশ মেঘ আর মানিকের সবকিছু আমাদের হাতে দিয়ে দিলো। ওদিন পুলিশ এইটা পেলো না। আজ আমি কি করে পেলাম। আর আমার মন বলছিলো এখানে কোনো ঘাবলা আছে। আমার মাথায় কিচ্ছু ঢুকছে না।

আবির: Relax. আমি দেখছি। ( নীল আর সাগরের সাথে কথা বলতে হবে ) চল অনু ?

অনু: ( আমার সবকিছু গুলিয়ে যাচ্ছে। আমাকে এর রহস্য বের করতেই হবে। মিহু আর নীলা আর নাদিয়ার সাথে কথা বলতে হবে ) চল Varsity র ক্লাস শুরু হয়ে গেলো নাকি কে জানে।

আবির: ( আমরা Varsity গেলাম )

In varsity_______________________________

রিমন Sir : ( মাইকে ) Varsity র সকল ইস্টুডেন্টস দের উদ্দেশ্যে বলছি। Varsity তে আবার নতুন বছরে নতুন করে অনুষ্ঠান হবে। আর বিদেশ থেকেও অনেকে আসবে অনুষ্ঠানে। তোমরা যারা এ বছর Performance করতে চাও। তারা অফিস রুম এ এসে নাম দিয়ে যাও।

নীলা: আমাদের তো গ্রুপ টাই নেই ( বলেই সব মনে করতে লাগলাম আগের সৃতি মানিক আর মেঘের সাথে )

সাগর: ( এক পা এক পা করে পিছিয়ে গেলাম। আর আগের সৃতিগুলো মনে হচ্ছিলো সব )

নাদিয়া: ( আমি গিটার ধরতেই মানিক আর মেঘের কথা মনে পরলো সাথে সাথে চোখ থেকে পানি গরিয়ে পরলো )

মিহু: ( মেঘের সবকিছু শুধু চোখের সামনে ভাসছিলো । সামনে তাকিয়ে দেখি মেঘের জায়গাটা খালি। সাথে সাথে বুকে মোচড় দিয়ে উঠলো )

অনু: ( আমি কিছু ভাবতে পারছিলাম না। আবির আমার হাত শক্ত করে চেপে ধরলো। আমি আবিরের দিকে তাকালাম )

আবির: ( অনু আবার কান্না কান্না ভাব তখনি আমি অনুর হাত শক্ত করে চেপে ধরলাম। চোখ বন্ধ করে সায় দিলাম অনুকে )

হ্যাঁ আবির যখন অনুর হাত শক্ত করে চেপে ধরলো….চোখ বন্ধ করে অনুকে সায় দিলো…তখন অন্য কেউ জিনিসটা খেয়াল না করলেও লিসার চোখ এরাতে পারেনি। এমনি লিসার খারাপ লাগছিলো মানিক আর মেঘের জন্য কিন্তু আবির যখন অনুর হাত শক্ত করে চেপে ধরলো তখন লিসার চোখের পানি পরেই গেলো…আর হুট করে আবিরের চোখ লিসার দিকে যেতেই…লিসা চোখ সরিয়ে হাত দিয়ে চোখের পানি মুছতে লাগলো….আর আবির সেই জিনিসটাও খেয়াল করলো। কিন্তু লিসা কেনো আবিরের সাথে এমনটা করছে সেটা আবির কে অনেক বেশি ভাবাতো…কিন্তু আবির কিছুতেই বুঝে উঠতে পারেনা লিসা কেনো এমনটা করে…………

নদী: নীলা নিজেকে সামলা।

নীলা: কি করে সামলাবো বলতো।

অনু: ( চোখের পানি মুছে যেই কিছু বলবো আর ঐ কথাটাই নীল বলে উঠলো )

নীল: ( চোখে বন্ধ করে মানিকের কথা ভেবেই বললাম ) তোরা এইবারও Performance করবি।

সাগর: কিভাবে Performance করবো ? আমাদের শক্তিটাই তো নেই।

আবির: আমি তোদের সাথে Performance করবো।

মিহু,অনু,নীল,নীলা,নদী,নাদিয়া,সাগর,লিসা অবাক চোখে আবিরের দিকে তাকালো…………….

অনু: তুই ?

আবির: আমি মেঘের জায়গায় Performance করবো ( চোখ বন্ধ করে মেঘের কথা ভেবে )

মিহু: ( আমি আবিরের দিকে চোখ তুলে তাকালাম ) তুই মেঘের জায়গার গান করবি ?

আবির: হুমম আমি।

নীলা: মানিকের জায়গায় ( চোখের পানি মুছে )

সাগর: কিভাবে সম্ভব।

মিহু: আমি মানতে পারবো না ( চোখ বন্ধ করে )

অনু : ( মিহুর সামনে বসে ) Performance তো করতেই হবে। নয়তো Fab 5 হেরে যাবে মিহু একটু ভাব প্লিজ ?

আবির : ( নীলা আর নাদিয়ার সামনে যেয়ে ) Fab 5 হেরে যাবে এভাবে ? আমরা সবাই থাকতে ? শুধু এই Performance টা করবো আমরা।

নীলা: নিশ্চুপ…………

নদী: আমার মনে হচ্ছে আবির আর নীল ঠিক বলছে ?

সাগর: নিশ্চুপ………..

আবির: গাইজ Fab 5 হারতে পারেনা।

নীল: রাইট তোরা হারতে পারিস না সাগর।

নাদিয়া: নিশ্চুপ……….

লিসা: আবির Performance করবে নীলা,সাগর আর নাদিয়ার সাথে।

আবির: ( আমি অবাক চোখে লিসার দিকে তাকালাম )

অনু: ( চোখ মুছে ) রাইট আবির তুই মেঘের জায়গায় গান করবি। মানিকের Fab 5 গ্রুপ এইবারও ফ্রাস্ট হবে। হতেই হবে। ( নীলার কাছে গিয়ে ) প্লিজ তোরা কিছু ভাবিস না আর।

নাদিয়া: কিন্তু মানিকের জায়গায় কে গাবে ? ওর মত রক মিউজিক তো কেউ বাজাতে পারে না।

নদী: সাগর গাবে মানিকের জায়গায়। ও Practice করবে।

সাগর: আমি মানিকের মত রক মিউজিক বাজাতে পারবো না। শুধু শুধু আমার উপর ভরসা করিস না।

নীল: তোকে পারতে হবে সাগর। চেষ্টা কর পারবি।

অনু: না করিস না তোরা।

নাদিয়া : আমরা রাজি।

নীলা: চল নাম দিয়ে আসি।

নদী: ( আমরা সবাই গেলাম অফিস রুম এ )

Office room____________________________

রিমন Sir : আরে তোমরা ? কি নীল ! তুমি অনু আর মিহু এবারও নাম দিবে নাকি।

নীল: না আমরা এবার Performance করছি না। Fab 5 নাম দিবে।

রিমন Sir অবাক চোখে ওদের দিকে তাকালো…..মানিক,মেঘ ছাড়া Fab 5 গান করবে…..মজা করছো তোমরা আমার সাথে…..

আবির: আমরা মজা করছি না Sir.

সাগর: ( সামনে এগিয়ে ) Fab 5 Performance করবে এবারও। তাই নাম দিতে এসেছি।

রিমন Sir : কি করে সম্ভব Fab 5 এর জায়গায় Fab 3 গান করবে ? তোমরা এবার গান করতে পারবে না। কারন মেঘ,মানিক ছাড়া Fab 5 পুরোন করা সম্ভব না। তাই Fab 5 এ বছরে এলাও না Performance এ। তোমরা যেতে পারো সবাই।

মিহু,নদী,অনু,নীল,নীলা,আবির,লিসা,নাদিয়া,সাগর সবাই অবাক চোখে রিমন Sir এর দিকে জিজ্ঞাসা চিহ্ন তে তাকালো…….আর রিমন Sir শয়তানি হাসি দিলো……………….

নীলা: কিন্তু কেনো আমরা পারবো না Performance করতে ?

মিহু: আমরা Fab 5 নিয়েই গান করবো………….

রিমন Sir : সেটা কখনও সম্ভব না তোমরা যেতে পারো। Fab 5 এবার নাম দিতে পারবে না। কারন মেঘ,মানিক নেই।

নীল: কিন্তু Sir আমরা সব ঠিক করে দিবো।

অনু:( Sir এর কথা ভালো লাগছে না। মনে হচ্ছে কোনো গোলমাল আছে )

নাদিয়া: আমি জানতাম এমন কিছু হবে।

সবাই ক্লাস এ এসে বসলো……সবার মাথায় বিভিন্নরকম চিন্তা…..কি করবে তারা…..অনু ভাবছে কি করা যায়…..এর মধ্যেই মানিকের গলা পাশের ক্লাস রুম থেকে শোনা গেলো……….সবাই অবাক হয়ে স্তব্দ হয়ে গেলো………………

চলবে………………

বি.দ্র: সত্যিই কি মানিক ফিরে এলো😒আমি Confused নিজেই😬😬কেমন লাগলো জানাবেন Plz😊