Torture with love 2😍Part-62

#Torture_with_love_season_2😍😍
#লেখিকা ( অনু )
#Part_62

রাহুল: নীলা তোমার মাথা ঠিক আছে তো ?

নীলা: যে ছেলেটার একটু আগে আমার সাথে এনগেজমেন্ট হওয়ার কথা ছিলো,,,সে ছেলেটা অন্য একটা মেয়ের সাথে এনগেজমেন্ট করতে যাচ্ছিলো,,,আমি যে নেই,,,আমার যে কোনো বিপদ হতে পারে। সেই চিন্তা টাও নেই।

রাহুল : ভুল বুঝছো তুমি নীল কে। নিশ্চই কোনো কারন ছিলো।

নীলা: কি কারন থাকতে পারে ? একটা বারও আমার কথা মনে পরেনি,,,মীম এর সাথে এনগেজমেন্ট করতে যাচ্ছিলো।

নীল: নীলা মীম আমাকে বাধ্য করেছিলো,,,মীমের সাথে এনগেজমেন্ট করার জন্য। মীমের সাথে যদি এনগেজমেন্ট না করতাম তো,,, মীম তোমার ক্ষতি করে দিতো।

নীলা: ভালো তো যাও মীম এর সাথে এনগেজমেন্ট করো।

নীল: নীলা প্লিজ,,,আর যাই করো,,,আমাকে ভুল বুঝো না।

নীলা সবার চেহারার দিকে তাকালো…….তারপর নীলের দিকে তাকিয়ে দেখে…….কাঁদো কাঁদো চেহারা বানিয়ে দাড়িয়ে আছে…….নীলা তো মজা করছিলো……..সবার এমন অবস্তা দেখে ফিক করে হেসে দিলো……..সবাই খুব ভালো করে বুঝে ফেললো……নীলা অভিনয় করেছে এতক্ষন…….অনু মিহু নাদিয়া সবাই মিলে নীলা কে মারতে লাগলো……..নীল তো ” থ ” মেরে দাড়িয়ে আছে………নীলা বললো……………..

নীলা: ( নীলের দিকে হাত এগিয়ে দিয়ে ) এই যে,,,মিস্টার. আমাকে আংটি টা পরান,,,

নীল: ( নীলার কাহিনী দেখে হেসে দিলাম )

তারপর নীল আংটি নিয়ে…….নীলার অনামিকা আঙ্গুলে পরিয়ে দিয়ে…..নীলার হাতের উপরে আলতো করে একটা চুমু দিলো…..নীলের ঠোঁটের ছোঁয়া লাগতেই নীলা কেঁপে লজ্জা পেয়ে উঠলো সবার সামনে…….নীলাও নীলের হাতে আংটি পরিয়ে দিলো…….সবাই মজা করতে লাগলো…….আজ এতকিছুর পর তারা এক হলো…….

আংটি বদলের সময়……অনু মানিকের দিকে তাকালো…..কিন্তু মানিক অন্যদিকে ফিরে গেলো……অনুর বুঝতে বাকি রইলো না…..রাহুল অনুর দিকে এক নজরে তাকিয়ে আছে…..অনুও তাকিয়ে একটা মিষ্টি হাসি দিলো…….মেঘ মিহুর দিকে তাকালো…….মিহু চোখ নামিয়ে নিলো……সাগর নাদিয়ার দিকে তাকিয়ে একটা চোখ টিপ দিলো…….নাদিয়া একটা হাসি দিলো…….আবির লিসাকে ইশারা করে দেখালো সবটা……আর লিসা অন্যদিকে চলে গেলো…….নিলয় নদীকে ঠোঁট উঁচু করে চুমু দেখালো…..আর নদী থাপ্পর দেখালো…….এভাবে মজার মধ্যে সেদিন রাত টা ওদের কেটে গেলো………………

পরদিন সকালে পুলিশ স্টেশন________________

মানিক পুলিশ স্টেশনে গিয়ে ঢুকতেই……সব পুলিশ দাড়িয়ে গেলো……পুলিশ অফিসার ও ভয়ে ভয়ে দাড়ালো…….পুলিশ অফিসার মানিক কে দেখেই বুঝতে পারছে…..যে মানিক অনেকটা রেগে আছে……পুলিশ অফিসার নিজের চাকুরির ভয়ে এক ঢোক গিললো……মানিক বললো……………..

মানিক: কেমন আছেন অফিসার ?

পুলিশ অফিসার: আ…আরে মানিক স্যার আপ…আপনি ?

মানিক: অবাক হওয়ার কি হলো,,, আর এরেকুম তোতলানোর কি হলো ?

পুলিশ অফিসার: বসুন স্যার,,,

মানিক: আমি বসতে আসিনি অফিসার,,,

পুলিশ অফিসার: তা…তাহলে আপনি হঠাৎ,,,

মানিক: সেদিন আমাকে কে এরেস্ট করতে বলেছিলো ? সত্যি কথা বলবেন ?? ( চিল্লিয়ে )

পুলিশ অফিসার: কবে,,,?আর কি বলছেন আপনি ?

মানিক : একদম মিথ্যে বলবেন না,,,আমি আর জিজ্ঞাসা করবো না কিন্তু ?

মানিকের মুখে এ কথা শুনে…..পুলিশ অফিসার গিয়ে মানিকের পা জরিয়ে ধরলো……আর বললো……………..

পুলিশ অফিসার: স্যার প্লিজ,,,আমার চাকুরি টা শেষ করে দেবেন না। আমার এই চাকুরি টা খুব দরকার। আমাকে মাফ করে দিন। আমি ওদিন ইচ্ছে করে অনু মেডাম কে ফাসাই নি। আমাকে জোর করেছিলো সায়েমা মেডাম,,,আর বলেছিলো অনু মেডাম কে যদি আপনার কাছে না ফাসাই তো,,,সায়েমা মেম আমার চাকুরি শেষ করে দিবেন।

মানিক: পুরো ঘটনা খুলে বলুন এখনি ? ( রেগে + চিল্লিয়ে )

পুলিশ অফিসার: ( আমি সেদিন সায়েমা মেডাম এর সব কাহিনী খুলে বললাম উনাকে,,,অনু মেডাম কে কি করে ফাসালাম তাও বললাম ) আমাকে মাফ করে দিন মানিক স্যার,,,

মানিক: ( অনুর কোনো দোষ ছিলো না,,,তাও আমি অনুকে ভুল বুঝলাম ) একটা কাজ করলে আপনার চাকুরি আপনি বাঁচাতে পারেন,,,তবে সৎ পথে কাজটা করতে হবে।

পুলিশ অফিসার: আমি কথা দিচ্ছি যা বলবেন সব করবো এবং সৎ পথে করবো।

মানিক: কাল সকালে আপনি আমাদের মিউজিক কলেজে যাবেন। বাকিটা ওখানেই বলবো।

পুলিশ অফিসার: আচ্ছা স্যার আমি যাবো।

মানিক: যদি আবার উল্টা পাল্টা কিছু করেন তো,,,?

পুলিশ অফিসার: না না কোনো ভুল করবো না।

মানিক: গুড,,,

মানিক গাড়ির চাবি ঘুড়াতে ঘুড়াতে……বেরিয়ে গেলো বাহিরে……তারপর গাড়ি স্টাট দিয়ে চলে গেলো………………গাড়ি গিয়ে থামালো অনুর বাসার সামনে……গেট এ কলিংবেল দিতেই মিহু গেট খুললো……গেট টা খুলেই দেখলো….মানিক……

মিহু: তুই ?

মানিক: ভেতরে তো আসতে দিবি নাকি ?

মিহু: ( আমি সরে দাড়ালাম,,,মানিক ভেতরে ঢুকলো ) কি হলো তোর ?

মানিক: ভাবিস না,,,তোর বান্ধুবি কে মানাতে এসেছি। আসলে কি বলতো তোর অনু বাবুই আমার কাছে আসবে ( মিহুর কানের কাছে গিয়ে )

মিহু: আহাহাহা আমার লাখ সাহেব রে,,,উনার কাছে আমার বান্ধুবি যাবে,,,তুই এখনও এত মজা করিস কি করে।

মানিক: আ’ম অলয়েজ কুল বেবি। অনুকে যতটুকু কষ্ট দিয়েছি,,,একটু একটু করে আমার ভালোবাসা দিয়ে সেই কষ্ট আমি মুছে দিবো।

মিহু: তোকে আমি অনুর ধারেও যেতে দিবো না ( রেগে )

মানিক: আমি ভুল বুঝেছিলাম। প্লিজ আমাকে তুই অন্তত ভুল বুঝিস না।

মিহু: ইনাফ মানিক,,,তুই ভুল বুঝিস তোর ফ্রেন্ড ভুল বুঝে। খালি তোরাই ভুল বুঝতে পারিস বাহ্ ? আরে তোদের কি এতটুকুও ভালোবাসার প্রতি বিশ্বাস নেই ? এই ভালোবাসিস আমাদের তোরা ?

মানিক: আমি কসম দিচ্ছি,,,আর কখনো অনুকে আমি ভুল বুঝবো না। কিন্তু অনুকে আমি হারাতে পারবো না। আমি অনুর সাথে মন থেকে ব্রেকআপ করিনি।

মিহু: আর কিছু ?

মানিক: আচ্ছা তোর আর মেঘের কি হলো,,,?

মিহু: ( মানিক কে সব বললাম ) আমি আর মেঘের কাছে ফিরবো না।

মানিক: কাল সকালে এর শেষ দেখে ছাড়বো আমি।

মিহু: কি করে ?

মানিক: আমি সব জেনে গিয়েছি। আমি গিয়েছিলাম পুলিশ অফিসার এর কাছে।

মিহু: তারপর ?

মানিক: আমি সব জেনে ফেলেছি। কিন্তু অনুর ভুল আছে মিহু ?

মিহু: অনু তোকে বাঁচানোর জন্য মিথ্যে বলেছিলো।

মানিক : মানে ?

মিহু: সেদিন পুলিশ যখন এসেছিলো,,,অনু যখন না বলতে যাবে,,,তখনি অনুর ফোনে সায়েমা মেসেজ করে। যে ” মানিক কে বাঁচাতে হলে,,,বলো যে তুমি সব করেছো ইচ্ছে করে,,,আর মানিকের থেকে প্রতিশোধ নেয়ার জন্য নয়তো গতবার তো মানিক বেঁচে ফিরেছে,,,এবার মানিক আর ফিরবে না ” । এসব বলেছিলো সায়েমা অনুকে। তাই অনু মিথ্যে বলতে বাধ্য হয়।

মানিক: তুই তো সব জানতি,,,এমন কি নীলাও সব জানতো ? তো আমাকে তোরা এতদিন কেনো বলিস নি ? ( করুন গলায় )

মিহু: অনু বারন করেছিলো তাই।

মানিক: এতকিছু হয়ে গেলো,,,আর আমি কিছু জানতেও পারলাম না। আরে সায়েমা আমার কি করবে ? সায়েমা কে ভয় পাওয়ার কি হলো ?? সায়েমা আমার কোনো ক্ষতিই করতে পারতো না। ওগুলো সব সায়েমার চাল ছিলো অনুকে আমার কাছে খারাপ বানানোর জন্য। সবটা সায়েমার প্লেন ছিলো। আমি সায়েমা কে ভয় পাই নাকি,,,উল্টো সায়েমা আমাকে ভয় পায়। আর এবার সায়েমার সময় শেষ,,,কাল সায়েমার জীবনের শেষ দিন।

মিহু: কি করবি তুই ?

মানিক: উহু শুধু সায়েমা বললে ভুল হবে,,,আমি জানি জান্নাত আর মীম সায়েমার সাথে জরিতো।

মিহু: সেটা আমিও জানি। কিন্তু কি করবি তুই ?

মানিক: কাল ই দেখতে পারবি তোরা,,,কি হাল হয় ওদের সবার। ( অনেকটা রেগে )

মিহু: হুমম,,,

মানিক: অনু কোথায় ?

মিহু: উপরে আছে,,,কিন্তু তোকে আমি যেতে দিবো না।

মানিক: ঘুশ নিবি ?

মিহু: কি দিবি ?

মানিক: অনেক গুলো চকলেট,,,

মিহু: আমি এক পায়ে রাজি।

মানিক: ওকে,,,তো আমাকে যেতে দে,,,শুধু দেখবো অনুকে একটু,,,জানি এখন জিবনেও আমার কথা শুনবে না অনু। অনেক রেগে আছে।

মিহু: আগে চকলেট তারপর সব।

মানিক: আমার গাড়িতে গিয়ে দেখ আছে,,,

মিহু: মিথ্যে বললি না তো তুই ? তাইলে তোর ঠেং ভেঙ্গে তোর গাড়িতে রেখে আসবো আমি ।

মানিক: তোদের এসব আজব কথা + গালির জন্য প্রাইজ দেওয়া দরকার। মানিক কখনও মিথ্যে বলে না।

মিহু: ওকে তুই উপরে যা। আমি চকলেট নিয়ে আসি।

মানিক: ওহ্ একটা আলাদা প্যাকেট আছে,,,ওটার ভেতরে অনুর জন্য সব চকলেট আছে। ঐ প্যাকেট টা অনুকে পরে দিস। কিন্তু বলিস না আমি এনেছি। নয়তো একটাও চকলেট খাবে না। আর বাইরের বাকি চকলেট সব তোর।

মিহু: ওরে ভালোবাসা,,,এতদিন যে কই ছিলো। ওকে।

মানিক উপরে গেলো অনুর কাছে…….মানিক জানে অনু কখনও মানবে না……তাই মানিকের মনটাও ভালো না……মিহু চকলেট নিতে গেলো…….মানিক উপরে গিয়ে দেখে…….

চলবে………………

বি.দ্র: কেমন লাগলো জানাবেন কিন্তু😊