Torture with love 2😍Part-64

#Torture_with_love_season_2😍😍
#লেখিকা ( অনু )
#Part_64

সায়েমা: অফিসার আমাকে এখানে কেনো এনেছেন ?

সায়েমা এই কথা বলতে দেরি……কিন্তু সায়েমা নিজের গালে কিছু অনুভব করলো……মানিক সায়েমা কে একটা কষিয়ে চড় দিলো……ঠাসসসসস্…

মানিক: আর একটা কথাও না,,,

সায়েমা: তুমি আমাকে মারলে ? আর অফিসার আপনি সেটা দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখলেন ?

মানিক সায়েমা কে….আরো একটা কষিয়ে চড় দিলো…..ঠাসসসসসস্..

মানিক: একদম চুপ,,,আর একটা কথা বললে,,,তোকে আমি মেরে এখানেই পুঁতে ফেলবো।

পুলিশ অফিসার: মানিক স্যার এভাবে আইন নিজের হাতে তুলে নিবেন না আপনি।

মানিক: এরেস্ট করুন সায়েমা কে ? ( রেগে + চিল্লিয়ে )

সায়েমা: হো….হোয়াট,,,আমাকে এরেস্ট করবে ? তাও উনি ??( পুলিশ অফিসার কে দেখিয়ে )

মানিক: মিস সায়েমা কে,,,এটেম টু মাডার এর জন্য ধরে নিয়ে যান এবং সায়েমার সাথে যে তিনজন ছিলো তাদেরও ধরে নিয়ে যান। কারন ভুল যে করে,,,আর সেই ভুল এ যে তাকে সাহায্য করে,,,তারা সমান অপরাধী। এই সায়েমা অনুকে মাডার করার চেষ্টা করেছে,,,অনুকে আগুনে পুরিয়ে মারতে চেয়েছিলো। এমনকি আমাকেও মেরে ফেলেছিলো,,,কিন্তু আমি আর মেঘ বেঁচে আছি। আমাদের মারার জন্য গাড়িতে বম ফিট করে। দু দুবার মাডার করার চেষ্টা করেছে। আর সায়েমার সাথে জরিতো মীম,,, জান্নাত,,,রাদিকা ওরা ৩ জন। ওরা সায়েমা কে সব সময় সাহায্য করে। এমনকি এই মীম নীল_নীলা ওদের অনেক ক্ষতি করার চেষ্টা করেছে এমন কি গতকাল নীলাকে মেরে ফেলার চেষ্টাও করেছে মীম। আর জান্নাত সে মেঘ_মিহু তাদের ব্যক্তিগত ক্ষতি করার চেষ্টা করেছে,,,আর রাদিকা এবার ওদের সাথে মিলে অনু_মিহু_নীলা তাদের ক্ষতি করেছে। তাই আমি এদের সবার নামে এটেম টু মাডার কেস করলাম। যা যা জোবানবন্দি দিলাম তো লেখে নিয়েছেন,,,এদের নিয়ে জেলের ভেতর ঢুকান,,,আর যা যা করতে হবে আমি একটু পর থানায় গিয়ে করছি,,,আর হ্যাঁ এই কেস টা জেনো কোর্টে ওঠে,,,ওদের নিয়ে জান আমার সামনে থেকে।

সায়েমা: না,,,আমি জেলে যাবো না। আবির ভাইয়া তুই কিছু বল ?

আবির: আ’ম সরি,,,আমি অন্যায় কে মেনে নিতে পারবো না। আমার ঘৃণা হয় যে,,,তুই আমার বোন।

সায়েমা: ভাইয়া ওরা আমাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে কিছু কর,,,অফিসার মানিক সব মিথ্যে বলছে। আমি কিচ্ছু করিনি। সব ঐ অনু মিহু আর নীলা করেছে,,,আমরা কিছু করিনি।

পুলিশ অফিসার: সবকিছু থানায় গিয়ে বলবেন। আমরা আপনাকে এবং আপনার পুরো গ্রুপ কে এটেম টু মাডার কেসের দায়ে এরেস্ট করছি,,,ইউ আর আন্ডার এরেস্ট।

জান্নাত: অফিসার আমরা কিছু করিনি।

মেঘ: জাস্ট সাট আপ,,,আর একটা কথাও না। অফিসার জান্নাত কে আমার চোখের সামনে থেকে নিয়ে যান।

নিলয়: রাদিকা তুই এতটা নিচে নামতে পারলি ছিঃ,,,

পুলিশ অফিসার……… সায়েমা,জান্নাত,মীম আর রাদিকা কে নিয়ে গেলো…….একটু পর মানিক মেঘ নীল সাগর আবির নিলয় ওরা সবাই থানায় গেলো…….রাহুলও গেলো…..মীমের কিছু প্রমান দেওয়ার জন্য……কারন রাহুল নীলাকে নিয়ে এসেছিলো বাঁচিয়ে…………..

অনু: সবটা মাথার উপর দিয়ে গেলো আমার।

নীলা: সেটা তো আমারও। মানিক এতটা রেগে গেছে।

মিহু: মানিক কে গতকাল আমি সব বলেছি। তাই মানিক আরো বেশি রেগে গেছে।

নাদিয়া: যাক আপদ বালাই সব বিদায়,,,

লিসা: কোর্টে ওদের সব কাহিনী বলবো,,,যাতে সারা জীবন ওদের জেলে শাস্তি দেয়।

নদী: এই রাদিকার বেপার টা মাথায় ঢুকলো না।

অনু: রাদিকা তোমার নিলয় কে ভালোবাসে। আর নিলয় কে পাওয়ার জন্য সায়েমা দের সাথে হাত মিলিয়েছে। ভেবেছে সায়েমা তোকেও সরিয়ে দিবে।

নীলা: এদের মাথায় এতো কুটনামি বুদ্ধি,,,কি করে যে আসে কে জানে।

মিহু: আল্লাহ্ ওদের বাম হাত দিয়ে বানিয়েছে,,,তাই এতো নোংরা ওরা।

নাদিয়া: বাদ দে,,,এটেম টু মাডার কেস যে দিলো।

লিসা: ভালো হবে ওদের অনেক বছর এর জেল হয়ে গেলে।

নদী: তোর ননদ সায়েমা ( শয়তানি করে )

লিসা: এই থামবি তুই,,,আবির এর সাথে আমার ব্রেকআপ,,,তো ঐ কুঁটনি আমার ননদ হয় কি করে।

অনু: আবার ঝগড়া ?

লিসা: আবির আমাকে ভালোবাসে না,,,আবির ভালোবাসে ওর নিশিতা কে। বাদ দে তো। এসব এখন মাথায় ও নিতে চাচ্ছি না।

নীলা: গাইজ,,,,

মিহু: কিতা,,,

নাদিয়া: ওদের পুলিশ ধরে নিয়ে গেলো,,,

অনু: সেই খুশিতে একটা ডান্স হয়ে যাক ?

লিসা: সাথে ভালো খাওয়া দাওয়া হয়ে যাক ?

নদী: চল সবাই,,,

নীলা: চল কেনটিন এ গিয়ে,,,মন ভরে আজ অডার দিবো আর খাবো।

মিহু: আমার তো খুশির ঠেলায় অনেক খুদা লেগে গেছে চল।

অনু: ওয়ে বাল্লে বাল্লে,,,ওয়ে সাবা সাবা

অনু,নীলা,মিহু,নাদিয়া,লিসা,নদী…….সবাই মিলে নাচতে নাচতে গেলো…..কেনটিন এ গিয়ে…..ওদের খুশি কে দেখে……………….

অনু: ওদের‌ আমি পুলিশে দিতাম না।

নীলা: ওরা একটার পর একটা ক্ষতি করে যাচ্ছে।

মিহু: আর রিক্সস নেয়া যাবেনা এভাবে।

নাদিয়া: মানিক ঠিক সময় ঠিক কাজ টাই করেছে।

লিসা: আবিরও ঠিক করেছে।

নদী: হুমমম,,,

ওরা সবাই মিলে এভাবে…..এসব কথা বলতে বলতেই খেতে লাগলো………তারপর সবার মত সবাই বাসায় চলে গেলো……এদিকে সানিম অনুর থেকে মেঘের নাম্বার নিলো……মেঘ কে ফোন করে বললো…..দেখা করতে…..মেঘ গেলো দেখা করতে…………

সানিম: হেই ব্রো,,,

মেঘ: হ্যাঁলো,,,হঠাৎ আমাকে ডাকলে ? আর এই মেয়েটা কে ??

সানিম: আমার হবু বউ এটা,,,

মেঘ: আর,,,

সানিম : ( কথা থামিয়ে ) তুমি ভুল বুঝছো,,,মিহু আমার বেস্টফ্রেন্ড।

মেঘ: তো ঐ ছবিগুলো ?

সানিম: তুমি এখনও জান্নাত কে বিশ্বাস করো ? জান্নাত মিহুকে প্রতি নিয়ত ফলো করতো,,,আর জান্নাত মিহুকে তোমার কাছে খারাপ করার জন্য এমনটা করে। আর তুমি মিহুকে ভুল বুঝো।

মেঘ: সিট,,,এতটা বোকা কি করে হলাম আমি।

সুমাইয়া: গিয়ে মিহুর সাথে সব ঠিক করে নিন।

মেঘ: গাইজ,,, থ্যাংক ইউ সো মাছ। আমাকে সবটা পরিষ্কার করে বলার জন্য।

সানিম: কোনো সমস্যা নেই। তুমি যাও।

মেঘ ওখান থেকে গাড়ি স্টাট দিয়ে……সোজা অনুর বাসায় এলো……এসে কলিংবেল বাজাতেই মিহু গেট খুললো………….

মিহু: তুমি ?

মেঘ: এমনি এলাম,,,

মামি: আরে মেঘ তুই ? ভেতরে আয় ??

মেঘ: তোমার মেয়ে তো ঢুকতে দিচ্ছে না। ( মিহুকে চোখ মেরে )

মিহু: যতসব ঢং হুহ্,,,( বলেই উপরে চলে গেলাম )

মামি: কিছু হয়েছে নাকি ?

মেঘ: কিছু না হলে কি তোমার মেয়ে নিজের বাড়ি ছেড়ে এখানে আসে বলো ?

মামি: তোদের নিয়ে আর পারিনা বুঝলি । যা উপরে ওরা আছে,,,অনু প্রতিক মিহু। আমি খাবার নিয়ে আসি।

মেঘ: যথা আঙ্গা,,,

________________________________________
মেঘ উপরে গিয়ে দেখে…..মিহু বেলকানি তে দাড়িয়ে আছে……মেঘ গিয়ে পিছন থেকে মিহুকে জরিয়ে ধরে……মিহু কিছুটা কেঁপে উঠে…….

মেঘ: আজ ৪ দিন পর,,,এভাবে জরিয়ে ধরলাম।

মিহু: লজ্জা করে না,,,একটা মেয়েকে এভাবে জরিয়ে ধরতে ?

মেঘ: আমি তো আমার বউকে জরিয়ে ধরেছি,,,অন্য…

মেঘ কিছু বলার আগেই….মিহু সামনে ঘুরে…..মেঘের থেকে দুরে সরে……মেঘকে সজোরে একটা চড় দেয় গালে…….মেঘ গালে হাত দিয়ে দাড়িয়ে থাকে……………….

মিহু: তোর সাহস কি করে হলো আমাকে জরিয়ে ধরার,,,তোর সাহস কি করে হয় আমাকে বউ বলার,,,কে তোর বউ ? আমি মিহু,,,আমি কারো বউ না,,,তোকে আমি একদিন বলেছিলাম আমি সব সহ্য করেছি এতদিন কিন্তু আমার রাগ উঠলে তোর খবর হয়ে যাবে। আর সেই দিন এসে গেছে। তুই এখনি এই বাসা থেকে চলে যাবি,,,আমার সাথে তোর সব শেষ।

মেঘ: মিহু তুমি এতটা চেইঞ্জ ?

মিহু: আমি আর কোনো কথা শুনতে চাই না। তুই কি ভেবেছিলি ? তুই মাফ চাবি আর আমি সব ভুলে যাবো ? আমি তোকে আর কখনও ই মাফ করবো না। সব ভুলে যা তুই ? সব কিছু শেষ।

মেঘ মিহুর এমন রাগ…..এমন ব্যবহার দেখে অনেকটা অবাক হয়ে যায়……মিহুর এমন রুপ আগে কখনও দেখেনি মেঘ…………

মেঘ: মিহু আমার কথাটা শুনো ?

মিহু: আর একটা কথাও না। কে তুই ? যে আমি তোর কথা শুনবো ??

মেঘ: মিহু একটু বেশি হচ্ছে কিন্তু সবটা ?

মিহু: তুই যাবি ? নাকি এই রাতে আমি এই বাসা ছেড়ে চলে যাবো ? কোনটা চাস তুই ?

মেঘ: নাহ্,,,তোমাকে যেতে হবে না। আমি যাচ্ছি। কিন্তু তুমিও ভুলে যেও না,,,আমি মেঘ। তোমাকে আমি নিজের করেই ছাড়বো।

মিহু: কখনো পারবি না। আমি তোর কাছে যাবো না।

মেঘ: দেখা যাক কি হয় ? ( বলেই আমি চলে এলাম )

মিহু: আমি কিছুতেই তোর কাছে ফিরবো না।

মিহু কান্না করতে লাগলো…….মেঘ গাড়ি স্টাট দিয়ে চলে গেলো…….অনু এসে মিহুকে জরিয়ে ধরলো…..অনু জানে মিহুর রাগ উঠলে এমনটা করে…..মিহুকে শান্ত করার জন্য জরিয়ে ধরলো………………

চলবে………………

বি.দ্র: কেমন লাগলো জানাবেন কিন্তু😊