Torture with love 2😍Part-66

#Torture_with_love_season_2😍😍
#লেখিকা ( অনু )
#Part_66

নীল : তুই,,,?

মেয়েটি : তোদের কাউকে বলিনি সারপ্রাইজ ছিলো এটা ( বলেই একটা মিষ্টি হাসি দিলো )

মেঘ : হোয়াট এ সারপ্রাইজ ইয়ার,,,?

সাগর : এভবে চমক টা দিলি তুই ?

মেয়েটি : এহেম,,,মানিক কিছু বলবি না ?

মানিক : আমার সাথে কোনো কথা বলবি না তুই।

আবির : আমাকে তো কারো চোখেই পরছে না মনে হয় ( করুন গলায় )

মেয়েটি : তুই কবে ফিরলি ?

আবির : হুহ থাক,,,

নীলা আর নাদিয়া গিয়ে মেয়েটি কে জরিয়ে ধরলো……মেয়েটিও নীলা আর নাদিয়া কে জরিয়ে ধরলো…….তারপর নিজের চেহারা থেকে ওড়না টা সরিয়ে দিলো……রাহুল অবাক হয়ে গেলো মেয়েটি কে দেখে…….মেয়েটি গিয়ে মানিকের সামনে দাড়ালো…………….

মেয়েটি : সরি,,,আর রাগ করে থাকিস না আমার সাথে বাবু,,,

মানিক : কোনো কথাই বলবি না,,,নীলা নাদিয়া তোর সব লাগে,,,আমরা তো তোর কিছুই লাগি না,,,তাই বলার প্রয়োজন মনে করিস নি আমাদের,,,যে তুই বাংলাদেশে ফিরছিস ?

মেয়েটি : এই কান ধরলাম,,,আমি শুধু তোদের সবাইকে চমক দিতে চেয়েছিলাম,,,আর কিছুই না।

মিহু : অনু কি বাচ্চি,,, ( গুতা দিয়ে )

অনু : ধুর ঘোড়ার ডিম,,,গুতা দিচ্ছিস কেন ( রেগে )

লিসা : তোর মানিক কে,,,মেয়েটা বাবু বললো রে ?

নদী : কে মেয়েটা ?

অনু : আমি কি করে জানবো কে মেয়েটা,,,আজকেই তো প্রথম দেখলাম আমি।

মানিক,নীল,মেঘ,আবির,সাগর…..পাঁচ জন মিলে……মেয়েটিকে গোল করে জরিয়ে ধরলো………তারপর নীলা বললো………….

নীলা : ওহ্ হো,,,গাইজ তোদের বলা হয়নি। খুশিতে সব ভুলেই গিয়েছি আমি। এই শুন,,,অনু,মিহু আমার বেস্টু,,,লিসা নদীও আমার বেস্টফ্রেন্ড। এটা হলো রাহুল,,,,আমাদের গানের নিউ টিচার,,,এটা নিলয় আমাদের বেস্টফ্রেন্ড। আর গাইজ,,,এটা আমার একমাএ খালাতো বোন তার চেও আপন,,, ওর নাম আনিকা। আনিকার কথাই তোমাকে সেদিন বলতে চেয়েছিলাম রাহুল।

আনিকা : হ্যাঁলো গাইজ,,,দেখো আমি কিন্তু অনেক সহজে সবার সাথে মিশে যাই। তো,,, ফ্রেন্ড’স হবে আমার ? ( মিষ্টি হাসি দিয়ে )

অনু : অবস্যই,,,

মিহু : ফ্রেন্ড’স,,,

আনিকা গিয়ে অনু,মিহু,লিসা,নদীকে জরিয়ে ধরলো……ওরাও জরিয়ে ধরলো……আনিকা গিয়ে নিলয় এর সাথে হাত মিলালো……তারপর রাহুল এর কাছে গিয়ে হাত বারিয়ে দিলো………..

আনিকা : হেই,,,ফ্রেন্ড’স ( মিষ্টি হাসি দিয়ে )

রাহুল : ( আমিও হাত বারিয়ে দিলাম ) অবস্যই,,,

রাহুলের সাথে আনিকা হাত মিলালো……রাহুল না চাওয়া সত্বেও বার বার আনিকার হাসির দিকে চোখ যাচ্ছে…….রাহুল ভাবতে লাগলো……একটু আজব ধরনের মেয়েটা…….একটু সময়ের মধ্যে এসে সবার সাথে মেতে উঠলো….

মানিক : তো আজকে আমার বাসায় চল সবাই ? অনেক দিন একসাথে আড্ডা হয়না।

নীলা : হুমম বুদ্ধি টা মন্দ না।

মেঘ: আগে তো কোর্টের কাজ টা শেষ হোক ?

অনু : সেটাই,,,আগে ঐ কাজটা শেষ হোক।

নীল : তারপর রাতে আড্ডা হবে।

মিহু : রাহুল তুমিও কিন্তু যাচ্ছ ?

আবির : হুমম রাহুল,,,আমরা জানি তুমি আমাদের টিচার,,,কিন্তু অনুর ফ্রেন্ড তাই ?

রাহুল : কোনো সমস্যা নেই,,,

নদী : যাচ্ছো তো ?

নাদিয়া : যাবে তাইতো,,,

রাহুল : ভাবতে হবে,,,

লিসা : কিছু ভাবতে হবে না।

মানিক : রাহুল সরি সেদিনের ব্যবহার এর জন্য। আসলে আমি রাগ সামলাতে পারিনি।

রাহুল : তোমাকেও সরি,,,আর সরি বলার কিছুই নেই।

নিলয় : সব মিটে গেলো,,,তো আজ‌ রাতে আড্ডা হচ্ছে।

আনিকা : চুটিয়ে আড্ডা হবে,,,

আনিকার কথা শুনে সবাই হেসে উঠলো…….আনিকার হাসতে হাসতে চোখ গেলো রাহুলের দিকে……রাহুলেরও চোখে চোখ পরে গেলো…..দু’জনেই চোখ সরিয়ে নিলো……আনিকা একটু লজ্জা পেলো…………

বিকেলে ইন কোর্ট_________________________

মানিক_অনু,,,নীল_নীলা,,,মেঘ_মিহু,,,আবির_লিসা,,,নিলয়_নদী,,,নাদিয়া_সাগর রাহুল_সানিম…….ওরা সবাই কোর্টে গিয়ে বসলো……সবাই এলো কোর্টে……কিছুক্ষন পর পুলিশ……সায়েমা,জান্নাত,মীম আর রাদিকা কে……কোর্টে উঠানো হলো…….তারপর এক এক করে সবার কাছ থেকে সাক্ষী নেওয়া হলো……..প্রমান ও দেওয়া হলো সব কিছুর…….তারপর জর্জ বললেন……….

জর্জ : অডার অডার অডার,,,মিস সায়েমা দু’ বার মাডার করার চেষ্টা করেছে,,, মিস্টার মানিক এবং মিস. অনুকে বিভিন্ন ভাবে বিপদে ফেলতে চেয়েছে। সবকিছু সাক্ষী এবং প্রমানের উপর ভিত্তি করে,,,মিস.সায়েমা কে ১৪ বছরের সস্যম কারাডন্ডে ডন্ডিত করা হলো। মিস. সায়েমা কে ১৪ বছরের জেল দেওয়া হলো। আর মিস. সায়েমার সঙ্গে মিস. জান্নাত, মিস. মীম এবং মিস. রাদিকা হাত মিলিয়ে,,,তাদের সকলের মাডার করার চেষ্টা করেছে,,,দোষ যে করে এবং যে সাহায্য করে সকলে সমান অপরাধী। তাই মিস. সায়েমা,জান্নাত,মীম এবং রাদিকা কে,,,মাডার করার আপরাধে,,,তাদের সবার ১৪ বছরের জেল দেওয়া হলো। আজ এখানেই শেষ করা হলো।

জর্জ উঠে চলে গেলেন……সবাই উঠলো……আবির সায়েমার দিকে না তাকিয়েই বাহিরে বের হয়ে গেলো……..অনু আবিরের পিছে পিছে দোড়ে গেলো…………

অনু : আবির দাড়া,,,

আবির : ( আমি দাড়িয়ে গেলাম )

অনু : ( আমি গিয়ে পিছে থেকে আবিরের ঘাড়ে হাত রাখতেই,,,আবির সামনে ঘুরে আমাকে জরিয়ে ধরলো ) আবির নিজেকে সামলা,,,তুই এভাবে ভেঙ্গে পরলে,,,তোর বাবা-মা কে সামলাবে কে।

আবির : ( আমি অনুকে জরিয়ে ধরলাম,,,আর সামলাতে পারলাম না নিজেকে ) অনু আমি পারছি না,,,যেই ছোট্ট বোনটা কে নিজের হাতে মানুষ করলাম,,,এখন তাকে ছাড়া ১৪ বছর থাকতে হবে,,,কি করে সায়েমা কে না দেখে থাকবো আমি। আমি সায়েমার উপর যতই রাগি না কেনো,,,আমার বোন তো।

অনু : আবির আমি বুঝি সবটা,,,আমি তোর কষ্টটা বুঝতে পারি। মানিক রাগের মাথায় হুট করে যে এমন কিছু করবে আমি ভাবতেই পারিনি।

আবির : না,,,মানিক যা করেছে ঠিক করেছে,,,আমি আমার বোন নয়,,,বন্ধু কেই সায় দিবো। হয়তো সায়েমা জেলের বাইরে থাকলে,,,আরো বড় কোনো ক্ষতি করে দিতো। মানিক ঠিক করেছে।

অনু : আমি জানি আবির,,,১৪ টা বছর জেলে থাকা কম কিছু নয়,,,আর সায়েমা তোর বোন,,,তোর কষ্ট হওয়া টা স্বাভাবিক। প্লিজ আবির নিজেকে সামলা তুই।

আবির : আমি পারছি না।

অনু : আবির তোকে তোর ফ্যামিলি,,,লিসা,,,আমাদের সবার জন্য পারতে হবে। আচ্ছা আমি তোর বেস্টফ্রেন্ড হই তাইতো,,,?

আবির : হুম,,,

অনু: আমার জন্য তোকে পারতে হবে। সামলা নিজেকে।

আবির : হুমমম,,,

এদিকে মানিক দোড়ে বাইরে এলো……আবির অনুকে ছেড়ে দিলো…..অনুও দুরে সরে দাড়ালো…….মানিক এসেই আবির কে জরিয়ে ধরলো………………

মানিক : বাডি,,,ঠিক আছিস তুই ?

আবির : হুমম,,,আমি একদম ঠিক আছি।

মানিক : আবির নিজেকে সামলা,,,নয়তো আন্টি-আংকেল কে সামলাবে কে।

আবির : আমি ঠিক আছি এখন।

মানিক : এটা সায়েমার উপযুক্ত শাস্তি,,,

আবির : আমিও জানি,,,আমার সায়েমাকে বোন হিসেবে ভাবতেও ঘৃণা হয়। কিন্তু বোন তো,,,ছোটো থেকে নিজ হাতে মানুষ করেছি কিন্তু এরেকুম অমানুষ হলো কি করে জানিনা আমি।

মানিক : বাদ দে এসব,,,তুই এসব নিয়ে প্লিজ ভাব্বি না।

আবির : হুমম,,,

তারপর মানিক,নীল,মেঘ,সাগর,নিলয়,রাহুল……….সবাই মিলে আবির কে শান্তনা দিলো……..বুঝালো…..সবাই মিলে আবির কে জরিয়ে ধরলো…….নীলা তো আবিরের সাথে ফাজলামো করছে,,,সবাই মিলে আবির কে হাসানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে…….শেষে আবির হেসেই দিলো……কিছুটা স্বাভাবিক হলো আবির…..সবাই তা বুঝতে পারলো……..সবাই চলে গেলো……রাহুল অনুকে ডাকলো……..মানিক রাহুল_অনুকে একসাথে কথা বলতে দেখে দাড়িয়ে গেলো………………

রাহুল : অনু,,,

অনু : বলো,,,

রাহুল : তোমার মন খারাপ ? মানিক কিছু বলেছে ??

অনু : না রাহুল,,,আমি একটা মেয়ে হয়ে,,,আজ ৪ টা মেয়ের জীবন নষ্ট করে দিলাম নিজের হাতে। কি করে পারলাম আমি ?

রাহুল অনুর সামনে এসে……নিজের হাত অনুর এক গালে রাখলো…..তারপর বললো……………..

রাহুল : একদম ই না। তুমি কিচ্ছু করনি,,,সায়েমা নিজের দোষে নিজের জীবন শেষ করলো। এতে তোমার কোনো দোষ নেই,,,নিজেকে এভাবে দোষ দিও না।

অনু : নিশ্চুপ………….

রাহুল : আমি আমার নাচুনি বুড়ির এই গোমরা চেহারা টা দেখতে চাচ্ছি না।

অনু : ( রাহুলের মখে আবার সেই নাচুনি বুড়ি নামটা শুনে হেসে দিলাম ) তুমি এখনও ভুলনি ?

রাহুল : নিজের ভালোবাসা কে কখনও ভুলা যায় না।

অনু : হুমম বুঝলাম,,,এখন যাও রাতে কথা হচ্ছে।

রাহুল : তুমি একা যাবে ? আমি দিয়ে আসছি চলো ??

অনু : সামনে মিহুরা আছে।

রাহুল : আচ্ছা সাবধানে যেও কেমন ?

অনু : হুমম,,,

রাহুল গাড়িতে উঠে…..গাড়ি স্টাট দিয়ে চলে গেলো……অনু সামনে ফিরতেই কারো বুকে ধাক্কা খেলো……উপরে তাকিয়ে দেখে মানিক…..মানিকের চোখ লাল হয়ে আছে রাগে……………….

মানিক : এত কি নতুন গানের টিচারের সাথে তোমার ? ( রেগে )

অনু : ওটা তোমাদের গানের টিচার,,,আমার না।

মানিক : ওহ্,,,তোমার রাহুল ওটা তাইনা ? ( চিল্লিয়ে )

অনু : হু,,,আমার রাহুল। তোমার কি তাতে ?

মানিক : না,,,আমার কি হবে ? আমার কিছু না।

অনু : তো আমার পথ আটকে দাড়িয়ে আছো কেনো তুমি ?

মানিক : তোমার রাহুল,,,তুমি যা ইচ্ছা করো রাহুলের সাথে,,,আমার কিছু যায় আসে না।

অনু : ভালো তো,,,আমার যা ইচ্ছা করবো। এখন বাই,,,তোমার সাথে আমার কথা বলার ইচ্ছে নেই। ( বলেই ওখান থেকে চলে এলাম )

মানিক : তোমাকে তো আমি দেখে নিবো অনু ( রেগে )

চলবে………………

বি.দ্র: কেমন লাগলো জানাবেন কিন্তু😊