Torture with love 2😍Part-76

 

#Torture_with_love_season_2😍😍
#লেখিকা ( অনু )
#Part_76

মিহু মেঘের বাসায় ঢুকে……দেখে মেঘ রুমে নেই…..দৌড়ে ছাদে গেলো…..গিয়ে দেখে বসে সিগারেট খাচ্ছে……মিহু অবাক হয়ে গেলো……কারন মিহু কখনও দেখেনি মেঘকে কে সিগারেট খেতে…….মেঘ মিহুকে দেখে উঠে দাড়ালো……

মেঘ : তুমি ?

মিহু : ছিঃ মেঘ তুমি সিগারেট খাচ্ছ ?

মেঘ : এটা ছাড়া এখন আর কি আছে আমার লাইফে ?

মিহু : তুমি জানোনা এগুলো খাওয়া খারাপ ?

মেঘ : তো কি হলো ?

মিহু : কি হলো মানে ?

মেঘ : এমনিও বেঁচে থেকে কি লাভ ? তুমি তো খুশি,,,আমার কাছ থেকে দুরে সরে। তুমি ভালো থাকলেই হলো।

মিহু : মেঘ জাস্ট সাট আপ,,,ফেলে দাও সিগারেট টা।

মেঘ : মানিকের সাথে তো এবার ফিরে এসেছি। সামনে কখনো হয়তো আর ফিরে আসবো না। আমি বলেছিলাম আমার ভুল আমাকে মাফ করে দাও,,,কিন্তু তুমি ?

মিহু আর কিছু না বলে……মেঘকে গিয়ে জরিয়ে ধরলো……মেঘও মিহুকে শক্ত করে জরিয়ে ধরলো………………

মিহু : আই লাভ ইউ,,,ডেম ইট। ( কান্না করে )

মেঘ : আই লাভ ইউ টু,,,আমার নটানকিবাজ।

মিহু : তুমি একেবারে চলে যাবে মানে ?

মেঘ : সব কথাগুলো অভিনয় ছিলো,,,আমার নটানকিবাজ কে কাছে পাওয়ার জন্য।

বলেই মেঘ চোখ টিপ দিলো মিহুকে……মিহু রেগে দুরে যেতে চাইলে….মেঘ মিহুকে কোমড় টেনে নিজের সাথে মিশিয়ে দিলো……মিহুর ঠোঁটে নিজের ঠোঁট মিশিয়ে একটি গভীর চুমু দিলো……মিহু মেঘের কলার চেপে ধরলো……তারপর মেঘ মিহুর গালের এক পাশে আলতো করে একটা চুমু দিলো……..মেঘ মিহুকে জরিয়ে ধরলো আবার….

মেঘ : এই কতগুলো দিন যে আমি কিভাবে ছিলাম সেটা আমি জানি।

মিহু : তাই বলে তুমি সিগারেট খাবে ?

মেঘ : শুধু তোমার উপর জেদ করে খেয়েছি।

মিহু : প্রমিস করো,,,আর কখনো এসব পঁচা জিনিস খাবে না।

মেঘ : প্রমিস,,,আর কখনও এসব জিনিস খাবো না।

মেঘ বসে আছে…..মিহু মেঘের ঘাড়ে মাথা রেখে বসে আছে….আর মেঘ মিহুর কোমড় জরিয়ে ধরে বসে আছে……দু’জন মিলে গল্প করেই রাতটা পার করে দিলো………
___________________________________

পরদিন সকালে কলেজে____________________

অনু দেখলো রাহুল বসে আছে……গিটার নিয়ে…..অনু গিয়ে রাহুলকে ডাকলো……..

অনু : রাহুল ?

রাহুল : তুমি ??

অনু : একটা কথা ছিলো,,,

রাহুল : তো বলো ?

অনু : রাহুল আনিকা কে মেনে নিতে,,,তোমার সমস্যা কোথায় ?

রাহুল : অনু তুমি যদি এসব বিষয় এ কথা বলতে আসো,,,তো চলে যাও।

অনু : রাহুল আমি কিন্তু তোমাকে ফলো করি ? আমি জানি আনিকা কে তোমার ভালোলাগে।

রাহুল : ভালোলাগা আর ভালোবাসা এক না। একজন কে ভালো লাগতেই পারে,,,তার মানে এই না যে আমি আনিকা কে ভালোবাসি।

অনু : সেই ভালোলাগা টাকেই মেনে নাও ?

রাহুল : আমি কাউকে ঠকাতে পারবো না।

অনু : তোমার কাউকে ঠকাতে হবে না। শুধু আনিকা কে মেনে নাও। আমি জানি আনিকা ঠিক তোমার মনের মত হতে পারবে।

রাহুল : তোমার জায়গা অন্য কাউকে দেওয়া,,,আমার পক্ষে সম্ভব না কখনও।

অনু : আমার জায়গা দিতে হবে না। আনিকা তোমার মনে নতুন করে জায়গা করে নিবে। আনিকা আমারও বান্ধুবি। আমি আনিকার কষ্ট দেখতে পারবো না।

রাহুল : আমি জানিনা কি করবো।

হঠাৎ রাহুল অনুকে হালকা করে জরিয়ে ধরলো…….অনু কিছু বললো না……মানিক যাচ্ছিল হলরুম এর সামনে থেকে……অনু_রাহুলকে এই অবস্তায় দেখে….মানিকের মাথা পুরো গরম হয়ে গেলো……..আনিকা হলরুমে ঢুকছিলো….আর রাহুল অনুকে জরিয়ে ধরে রেখেছে…..এটা দেখে বেরিয়ে যেতে নিলো…..রাহুল দেখে ফেললো আনিকা চলে যাচ্ছে….হয়তো ভুল বুঝলো…….রাহুল ডাকলো আনিকা কে……আর অনুকে ছেড়ে দিয়ে দাড়ালো রাহুল………………

রাহুল : আনিকা দাড়াও ?

আনিকা : সমস্যা নেই,,,আমি পরে আসছি।

অনু : প্রেকটিস করতে এসেছিস তো ? নীলা রা কোথায় ??

আনিকা : বাহিরে আছে।

অনু : আচ্ছা তুই প্রেকটিস কর,,,আমি যাচ্ছি। উমমম তুমি প্রেম করো ওকে ( আনিকার কানের কাছে গিয়ে )

আনিকা : বের হো হলরুম থেকে তুই।

অনু : যাচ্ছি।

________________________________________
অনু চলে গেলো……আনিকা আর রাহুলের দিকে তাকালো না……আনিকা জানে রাহুল অনুকে এখনও অনেক ভালোবাসে……আর রাহুল কখনও মেনে নিবে না ওকে……..তাই শুধু শুধু মায়া বাড়িয়ে লাভ নেই………আনিকা এগুলো ভেবেই……চুপ করে প্রেকটিস এ বসে পরলো……..রাহুলের চোখ এড়ালো না……যে আনিকা আজ পুরো চুপচাপ……………..

রাহুল : এভাবে পিয়ানো বাজাতে হয় কি ?

আনিকা : সরি,,,আমি চেষ্টা করছি আবার।

রাহুল গিয়ে পিছন থেকে….আনিকাকে জরিয়ে ধরলো…….আনিকার হাতের উপর হাত রেখে……আনিকার দিকে তাকালো……..আনিকাও রাহুলের দিকে তাকালো……..আনিকা মনে হচ্ছে রাহুলের ছোঁয়া পেয়ে……..ঠান্ডা হয়ে গেছে……চুপ হয়ে গেছে……রাহুল যে শিখাচ্ছে……সেখানে আনিকার খেয়াল নেই…….রাহুল বুঝতে পেরে বললো…………

রাহুল : এভাবে তাকিয়ে না থেকে শিখো আগে,,,তাকানোর জন্য অনেক সময় পরে আছে।

আনিকা : আমি তোমার দিকে তাকিয়ে ছিলাম না।

রাহুল : তাই ?

আনিকা : হু,,,হুমমম।

রাহুল : আচ্ছা তাহলে হয়তো আমি ভুল দেখেছি।

আনিকা : নিশ্চুপ………

রাহুল : লুকিয়ে লুকিয়ে ভালোবাসতে পারো,,,আর সেটা বলতে পারো না। এমনি সময় তো ঝগড়া করতে পারো ?

আনিকা : মেয়েরা কখনো মুখ ফুটে কিছু বলে না।

রাহুল : আর লুকিয়ে লুকিয়ে কষ্ট পেতে ভালোলাগে ?

আনিকা : হয়তো।

রাহুল : তুমি জানো আমি অনুকে ভালোবাসি। তাও আমাকে ভালোবাসলে?

আনিকা : কাউকে ভালিবাসতে তো কোনো দোষ নেই।

রাহুল : আচ্ছা,,,একটু আগে ওভাবে চলে যাচ্ছিলে কেনো ?

আনিকা : ক…কখন ?

রাহুল : আমি অনুকে জরিয়ে ধরেছিলাম তখন।

আনিকা : এমনি,,,দেখলাম এখনও কেউ আসেনি। তাই চলে যাচ্ছিলাম।

রাহুল : মিথ্যে কথা।

আনিকা : মিথ্যে কেনো বলতে যাবো আমি।

রাহুল : তুমি এখনও কষ্ট পাচ্ছিলে ?

আনিকা : এক মিনিট,,,

রাহুল : কি হলো ?

আনিকা : আমি নাহয় তোমায় ভালোবাসি। তুমি তো আমাকে ভালোবাসো না,,,তুমি তো আমাকে পছন্দ করো না। তুমি আমার মনের কথা বুঝলে কি করে???

রাহুল : একটা কথা ভুল বললে,,,

আনিকা : কি কথা ??

রাহুল : কে বললো তোমাকে আমার ভালোলাগে না ??? তোমাকে আমার ভালোলাগে,,,বিশেষ করে তোমার কাঁজল মাখা টানা টানা দু চোখ,,,আর তোমার হাসি। তোমার এই দুটো জিনিস,,,চোখ আর হাসি দেখে যে কেউ সারা জীবন কাটিয়ে দিতে পারবে।

বলেই রাহুল আনিকার নাকে এক আঙ্গুল ছঁয়ে দিলো………আনিকা কিছুটা হাসলো…….আর বললো……………..

আনিকা : আর তুমি ?

রাহুল : জানিনা। আর তোমার মনের কথা বুঝি কি করে সেটাও জানিনা।

আনিকা : বাহ্ খুব ভালো। কিন্তু এটা কোনো উওর ছিলো না।

রাহুল : কোনো দিন যদি সময় হয়,,,সেদিন উওর টা দিবো তোমায়। ( টেডি ইসমাইল দিয়ে )

আনিকা : সেদিন হয়তো কখনও আসবে না।

রাহুল : সেই দিনটা আসতেও পারে।

আনিকা : সেদিন তো আমি নাও থাকতে পারি।

রাহুল : জাস্ট সাট আপ।

আনিকা : ইসসসস্ তোমাকে ভয় পাই নাকি আমি ( ভেংচি দিয়ে )

রাহুল : তুমি আমাকে ভয় পাও‌ না ?

আনিকা : না ভয় পাই না আমি।

অনু উঠে দাড়ালো রাহুল কে সরিয়ে……রাহুলও আনিকা কে ছেড়ে দিলো……..রাহুল উঠে আনিকার দিকে আগাতে লাগলো…….আনিকা পিছাতে লাগলো…….রাহুল এক পা আগাচ্ছে……আর আনিকা এক পা পিছাচ্ছে……পিছাতে পিছাতে আনিকা দেয়ালে আটকে গেলো……রাহুল দেয়ালের দু পাশে হাত রেখে আনিকার অনেকটা কাছে চলে গেলো……..আনিকা চোখ বন্ধ করে ফেললো…….

রাহুল : এখনও ভয় পাচ্ছনা তুমি ?

আনিকা : না,,,নাহ্।

রাহুল : এখন যদি অন্যকিছু করে ফেলি ?

আনিকা : না,,,নাহ্ প্লিজ রাহুল।

রাহুল : এখন কেনো ভয় পাচ্ছো ?

আনিকা : জানিনা।

আনিকা জোরে জোরে নিশ্বাস নিতে লাগলো……আর সেই নিশ্বাস এর শব্দ রাহুলকে মাতাল করে দিচ্ছে……রাহুল যে কখন আনিকার এতটা কাছে চলে ‌গেছে…..রাহুল নিজেই জানেনা……রাহুল আর আনিকার ঠোঁটের মাঝে হয়তো আর এক ফোটাও দুরত্ব নেই…….আনিকা চোখ খুলে দেখে রাহুলকে ডাকলো……তখন রাহুলের ঘোর কাটলো…..রাহুল দুরে সরে দাড়ালো…………

আনিকা : রাহুল,,,

রাহুল : আ’ম সরি ( দুরে সরে দাড়িয়ে )

আনিকা : নিশ্চুপ………

আনিকা আর কিছু না বলে চলে গেলো দৌড়ে হলরুম থেকে…….রাহুল ভাবতেই পারছে না যে কি হচ্ছিলো একটু আগে ওর সাথে এগুলো…………………………….
________________________________________

চলবে…………………..

বি.দ্র : কেমন লাগলো জানাবেন কিন্তু😊