Torture with love 2😍Part-79

#Torture_with_love_season_2😍😍
#লেখিকা ( অনু )
#Part_79

এদিকে রাতে মেঘের বাসায়_________________

মেঘের সাথে যখন মিহুর ঝগড়া ছিলো……তখনি মেঘের ফ্যামিলি ফোন করে বলে যে…..তারা আমেরিকা থেকে এক সপ্তাহ্ এর মধ্যে ঢাকা ফিরবে…..মেঘ মিহুকে জানায় দু’দিন আগে…..আজ তারা ফিরছে……এয়ারপোট এ পৌছে গেছে……মেঘ তার ফ্যামিলি কে আনতে গেছে……

মিহু আজ ইচ্ছে করেই শাড়ি পরেছে…..একটা গোলাপি কাতান শাড়ি…..মিহু বলেছিলো মেঘকে যে…..সে অনুর বাসায় চলে যাক….হঠাৎ মিহুকে দেখে খারাপ ভাবতেও পারে……তাছাড়া মিহুও লজ্জা পাচ্ছে খুব……কিন্তু মেঘ কোনো ভাবেই যেতে দিলো না মিহুকে…..মেঘের একটাই কথা…..মিহু তুমি বাড়ি থেকে কোথাও যাবে না…..তাই মিহু সবকিছু ঠিক ঠাক করছে…..এর মধ্যেই কলিংবেল বেজে উঠলো……মিহু গিয়ে গেট খুলে দিলো…..

মেঘের তো মিহুর দিকে তাকিয়েই চোখ আটকে গেলো…….” ” ” গোলাপি কাতান শাড়ি পরেছে,,,দু হাত ভরা চুড়ি,,,কানে ছোটো সাদা স্টোনের দুল,,,চুল গুলো কোমড় অব্দি ছাড়া,,,চোখে গাড়ো করে কাজল দেওয়া,,,কঁপালে ছোটো গোলাপি একটা টিপ দেওয়া……ঠোঁটে হালকা গোলাপি রং এর লিপিস্টিক দেওয়া……অপরূপ লাগছিলো মিহুকে…….

সবাইকে দেখে মিহু ছোট্টো করে একটা হাসি দিলো……আর সবাই মিহুকে দেখে কিছুটা অবাক হলো…..বিশেষ করে মেঘের মা-বাবা……তারা সবাই বাসায় ঢুকে ফ্রেস হয়ে নিলো…..মিহু টেবিলে সবার জন্য খাবার সাজালো…..সবাই রাতের খাবার খেতে নিচে নামলো…..মিহু সবাইকে খাবার বেরে দিলো……সবাই খেয়ে খুব প্রসংশা করলো মিহুর………………

মেঘের বাবা : মেঘ মেয়েটা কে ?

মেঘ : বাবা আমার ফ্রেন্ড,,,মিহুর প্রজেক্ট হয়নি,,,তো প্রজেক্ট টা কম্পিলিট করতেই এসেছিলো। আমি বললাম থেকে যেতে।

বৃষ্টি ( মেঘের বোন ) : হুমম খুব সুন্দর রান্না করো তুমি। তুমিও খেতে বসে যাও আমাদের সাথে।

মিহু : না না,,,তোমরা খাও। আমি পরে খেয়ে নিবো।

বিদ্যুৎ ( মেঘের ভাই ) : তোমার নাম মিহু রাইট ?

মিহু : হুমমম।

মেঘের মা : মেঘ খাওয়া শেষে একটু আমার রুমে আসিস তো।

মেঘ : আচ্ছা আম্মু।

খাওয়া শেষে….সবাই সবার রুমে চলে গেলো…….মিহু সব গুছিয়ে নিজের রুমে চলে গেলো….আজ খুব কাজ করেছে….তবে মিহুর ভালোই লাগছিলো…..মেঘ তার মা-বাবার রুমে গেলো…

মেঘ : আম্মু আসবো আমি ?

মেঘের বাবা : আয়,,,

মেঘ : আমাকে আসতে বললে যে ?

মেঘের মা : মেয়েটা কে সত্যি করে বলতো ?

মেঘ : না মানে আম্মু,,,

মেঘের বাবা : মিথ্যে বলিস না আবার।

মেঘ : বাবা তুমিও না। তোমাদের বলেছিলাম‌ না,,,ঢাকা আসলে তোমাদের কিছু বলবো আমি।

মেঘের মা : বল এখন শুনি ?

মেঘ : মাএ এলে তোমরা বাসায়।‌কয়েক দিন রেস্ট নাও। তারপর বলবো।

মেঘের বাবা : এখনি বল।

মেঘ : আসলে আম্মু,,,আমি মিহুকে পছন্দ করি। ( লজ্জা পেয়ে )

বৃষ্টি : আমার ভাই প্রেমে পড়লো তাহলে ?

বিদ্যুৎ : আমার ভাই লজ্জাও পায়। তুই নাকি কখনও প্রেম করবি না।

বৃষ্টি : আমি দেখেই বুঝেছিলাম।

বিদ্যুৎ : মিহু ভাবি কিন্তু ঝাক্কাস দেখতে।

বৃষ্টি : আম্মু রাজি হয়ে যাও।

মেঘ : তোরা এত রাতে উঁকি মারছিলি কেনো আম্মুর রুমে ?

বিদ্যুৎ : জানতাম কোনো ঘাবলা আছে তাই।

মেঘের মা : আমার কিন্তু মেয়েটা কে বেশ ভালো লেগেছে। ( হেসে )

মেঘের বাবা : বুঝতে হবে ছেলেটা কার। দেখে শুনে একটা ফুল তুলেছে বাগান থেকে।

বিদ্যুৎ : ওয়েট ভাবিকে ডেকে আনি।

বিদ্যুৎ গিয়ে…মিহুকে ডেকে….মেঘের মা-বাবার রুমে নিয়ে এলো……মিহু এত লজ্জা পাচ্ছে যে কি বলবে…..মেঘের মা উঠে মিহুর মুখে হাত রেখে বললো…………

মেঘের মা : তোমার কোনো সমস্যা না থাকলে,,,তোমার ফ্যামিলির সাথে আমরা দেখা করতে চাই।

মিহু মেঘের দিকে তাকালো…..মেঘ ছোট্ট একটা হাসি দিলো……মিহু মাথা নাড়িয়ে সম্মতি দিলো……সবাই মজা করে রাতে সবার রুমে সবাই চলে গেলো……..

________________________________________
মেঘ রাতে মিহুর রুমে গেলো…..গিয়ে দেখে মিহু পায়চারি করছে…..মেঘ গিয়ে মিহুকে আচমকা জরিয়ে ধরলো…..মিহুও জরিয়ে ধরলো মেঘকে……….

মিহু : মেঘ,,,

মেঘ : আমি ভাবিনি,,,বাবা-মায়ের তোমাকে এতটা পছন্দ হবে।

মিহু : আমি তো লজ্জা পাচ্ছিলাম,,,তাও এতোগুলো।

মেঘ : কই আমার সামনে তো লজ্জা পাওনা। শুধু পারো ঝগড়া করতে আমার সাথে।

মিহু : কিইইইই।

মেঘ : জিইইইইই।

মিহু মেঘের থেকে সরে যেতে চাইলে….মেঘ টেনে মিহুকে নিজের সাথে মিশিয়ে নেয়……মিহু আর কিছু বলে না….মেঘ মিহুর কানের কাছে গিয়ে বললো……………..

মেঘ : আজ তোমার উপর থেকে চোখ সরাতে পারছিলাম না। শাড়িতে তোমায় এতটা সুন্দর লাগছিলো।

মিহু : শেষ পাম মারা ?

মেঘ : উহু,,,পাম না সত্যি বলছি।

বলেই মেঘ মিহুর ঠোঁটে নিজের ঠোঁট দিয়ে আলতো করে একটা চুমু দিলো…..মিহু চোখ বন্ধ করে ফেললো…..মেঘ মিহুর গালের দিকে আগাতে নিলে….মিহু দুরে সরে যায়……আর মেঘকে ধাক্কা দিয়ে রুম থেকে বের করে দেয়….আর দরজা বন্ধ করে….জোরে জোরে নিশ্বাস নিতে থাকে মিহু……লজ্জায় শেষ মিহু……বেচারা মেঘ আর কি করবে……চলে গেলো নিজের রুমে……
________________________________________

ওদিকে__________________________________

রাহুল বেশ কিছুদিন ধরে লক্ষ করছে…..রাহুল আনিকার উপর অনেকটা ঝুকে গেছে……আনিকার পাগলামি গুলো জেনো রাহুলের মনে গেথে রয়েছে…….রাহুল কি সত্যিই আনিকার প্রেমে পরে গেলো…….আনিকা কি সত্যি রাহুলের মনে জায়গা করে নিলো…..নিজের মত করে…..

রাহুল এবার স্পষ্ট বুঝে ফেললো….যে আনিকা কে একটু হলেও ভালোবেসে ফেলেছে…..কিন্তু এখন আনিকার সঙ্গে কি করে দেখা করবে……রাত তো অনেক…..প্রায় ১২ টা বাজতে চললো…..অনুকে ফোন করলো রাহুল…..আর অনু ফোন ধরতেই অনুকে সব খুলে বললো রাহুল…….অনু তো খুশিতে এক লাফ দিলো……..অবস্য রাহুল যখন অনুকে ফোন করে….অনু মানিকের সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলো…..তাই কল এ রাহুল কেও এড করে নিলো অনু……কনফারেন্স কল এ মানিক_অনু_রাহুল কথা বললো……………..

মানিক : সিরিয়াসলি আমি ভাবতে পারছি না।

অনু : রাহুল তুমি এখনি আনিকা কে প্রপোজ করো।

রাহুল : কিন্তু অনেক রাত এখন,,,কিভাবে আনিকার কাছে যাবো আমি ?

অনু : নীলাকে ফোন করো। কোনো একটা রাস্তা বের হয়েই যাবে।

মানিক : ঠিক,,,রাহুল তুমি নীলাকে ফোন করো।

রাহুল : আচ্ছা। যা হবে,,,রাতে ফোন করে জানাচ্ছি। কিন্তু মানিক তোমার সামনেই বলছি আমি।

মানিক : বলো,,,

রাহুল : আমার মনে অনুর জন্য যে জায়গা টা ছিলো,,,সেটা সারা জীবন থাকবে।

অনু : তো আনিকা ?

রাহুল : আনিকা নিজের জন্য আমার মনে আলাদা জায়গা করে নিয়েছে। তোমার মত।

মানিক : আমি জানি,,,প্রথম ভালোবাসা ভুলা যায় না।

রাহুল : রাখছি গাইজ,,,

অনু : হুমমম।

রাহুল নীলাকে ফোন করলো….নীলা তো খুশিতে পারছে না…..বাড়ি মাথায় তুলতে……নীলা বললো তুমি আসো…..আমি সবটা মেনেজ করে নিবো….রাহুল গাড়ি নিয়ে….নীলা দের বাসায় চলে গেলো……নীলা আনিকা কে বলেনি যে রাহুল আসছে বাসায়……নীলা আনিকার রুমে রাহুলকে ঢুকিয়ে দিলো…..নীলা বাইরে বসে নীলের সাথে ফোনে কথা বলতে লাগলো……………..

________________________________________
আনিকা বারান্দায় বসে গান শুনছিলো……আনিকার মনে হলো…..রুমে আনিকা নিজে ছাড়াও অন্য কেউ আছে…….আনিকা তাকিয়ে দেখে…..ডিম লাইটের আলোতে দেখা যাচ্ছে……রাহুল দেয়ালে হেলান দিয়ে দাড়িয়ে….টেডি ইসমাইল দিচ্ছে…….আনিকা ভাবলো হয়তো ভুল দেখছে…..তাও আনিকা উঠে গেলো সামনে…..গিয়ে দেখলো সত্যিই রাহুল তার রুমে…..আনিকা চিৎকার দিতে নিলেই রাহুল আনিকা কে টেনে…..নিজের সাথে মিশিয়ে নিলো….আর আনিকার মুখ চেপে ধরলো………………

রাহুল : চুপ করো,,,কেউ যদি জানতে পারে,,,আমি তোমাদের বাসায়,,,তোমার রুমে। তো খবর হয়ে যাবে।

আনিকা : উমমমম উমমমম।

রাহুল আনিকার মুখ ছেড়ে দিলো…..আনিকা জোরে জোরে নিশ্বাস নিতে লাগলো…..তারপর বললো……………..

আনিকা : তুমি এত রাতে,,,আমার বাসায় কি করো ?

রাহুল : ভালোবাসা জিনিসটা খুব খারাপ। তাই চলে আসলাম।

আনিকা : রাহুল তোমার জ্বর আসেনি তো ? ঠিক আছো তো তুমি ??

রাহুল : হুমম কেনো ?

আনিকা কিছুই বুঝলো না…..রাহুলের কথা….আনিকা বাচ্চাদের মত মুখ করে….রাহুলের দিকে তাকিয়ে রইলো……রাহুল আনিকার কাছে গেলো…..আনিকার দু গালে হাত রেখে…..আনিকার কঁপালের সাথে কঁপাল লাগালো……আনিকার মনে হচ্ছে সব স্বপ্ন…….

রাহুল : আই লাভ ইউ পাগলি,,,জানিনা এই কয়দিনে তুমি এসে কি করে ফেললে আমাকে,,,আর আমি ভালোবেসে ফেললাম তোমাকে,,,তোমাকে ছাড়া সবকিছু উলট পালট হয়ে যাচ্ছিলো আমার। প্লিজ আনিকা আমাকে তুমি কষ্ট দিও না। ( অভিমানী ভাবে )আমি সারা জীবন আমার পাগলির পকপক শুনতে রাজি। ( টেডি ইসমাইল দিয়ে )

আনিকা : নিশ্চুপ………

রাহুল : কিছু বলো তুমি ?

আনিকা লজ্জায় কি বলবে বুঝতে পারছিলো না…..আনিকা কখনও কল্পনাও করেনি….যে রাহুল কখনও তাকে এতটা ভালোবাসবে…..আনিকা কিছু না বলে রাহুলকে ছাড়িয়ে বারান্দার দিকে যেতে নিলে রাহুল আনিকার হাত ধরে ফেলে….আনিকা পিছে ফিরে তাকায়…………

রাহুল : ফিরিয়ে দিচ্ছ আমায় ? আমি জানতাম তুমি আমাকে ভালোবাসো,,,তাও তোমাকে তখন মেনে নেই নি বলে ?আজ আমাকে ফিরিয়ে শাস্তি দিচ্ছ তুমি ?

আনিকা : যাকে এতটা ভালোবাসি। সে যখন আমাকে ভালোবাসে,,,এখন তাকে আমি ফিরিয়ে দিবো ? রাহুল আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি। ( নরম ভাবে )

আনিকার চোখ থেকে পানি পরে গেলো……যে আনিকা আজ তার ভালোবাসা কেই পেলো…….রাহুল এক টান দিলো…..আনিকা গিয়ে রাহুলের বুকের উপর পরলো……রাহুল শক্ত করে আনিকা কে জরিয়ে ধরলো…..আনিকাও রাহুলকে জরিয়ে ধরলো……তারপর রাহুল আনিকাকে উঠিয়ে….আনিকার চোখের পানি মুছে দিলো……

আনিকা চোখ বন্ধ করে ফেললো…..রাহুল চোখ বন্ধ করে….আনিকার দু’চোখের পাতায় নিজের ঠোঁট ছুঁয়ে আলতো করে চুমু দিলো…..আনিকা রাহুলের কলার শক্ত করে চেপে ধরলো…..রাহুল আনিকার ঠোঁটের দিকে আগাতে লাগলো……আনিকার ভয়ে ঠোঁট গুলো কাঁপতে লাগলো……………..

আনিকা : রা…রাহুল,,,

রাহুল : হুমমম,,,

আনিকা : রাহুল প্লিজ স্টপ ( কাঁপা গলায়,,,চোখ বন্ধ করে )

রাহুল : হুসসসসস্,,,একটা কথাও না।

আনিকা আর কিছু বললো না…..চুপ করে রাহুলকে আকড়ে ধরলো…..রাহুল আনিকার ঠোঁটের সাথে নিজের ঠোঁট মিশিয়ে দিলো….আনিকা কেঁপে উঠলো কিছুটা…..কিছুক্ষন পর রাহুল আনিকা কে ছেড়ে দিলো…..আনিকা মাথা নিচু করে আছে…..রাহুল বাঁকা হাসি দিয়ে বললো…

রাহুল : তোমার এত লজ্জা এটা জানা ছিলো না।

আনিকা : কিইই ? কি বলতে চাচ্ছ তুমি ( রেগে )

রাহুল : এটাই আর কি। যে আমার বউ অনেক লাজুক।

আনিকা : তুমি বাসায় যাও এখনি ( রেগে )

রাহুল : ওহ্ যেই কাছে আসতে চাই,,,অমনি দুরে ঠেলে দিচ্ছ আমাকে ? সত্যি চলে যাবো ? ( আনিকার কাছে গিয়ে )

আনিকা কিছু না বলেই রাহুলকে জরিয়ে ধরলো…..রাহুল ও আনিকা কে জরিয়ে ধরে….আনিকার ঘাড়ে নিজের ঠোঁট ছুয়ে আলতো করে একটা চুমু দিলো…………..

আনিকা : আই লাভ ইউ রাহুল। অনেক ভালোবাসি তোমায়।

রাহুল : আমিও ভালোবাসি অনেক আমার পাগলি কে।

আনিকা : রাহুল অনেক রাত হয়ে গেছে,,,দেখো রাত ১:৫০ বাজে।

রাহুল : আমি যাবো না।

আনিকা : রাহুল পাগলামো করো না। তুমি বেশি রাত করে বাসায় গেলে আমার চিন্তা হবে।

রাহুল : আচ্ছা তোমার জন্য যাচ্ছি। কাল কলেজে তাড়াতাড়ি যাবে কিন্তু।

আনিকা : আচ্ছা যাও এখন।

অনেক সাবধানে রাহুলকে….নীলা আর আনিকা মিলে বাসা থেকে বের করে দিলো…..রাহুল আনিকার দিকে তাকিয়ে হেসে….নীলাকে বাই দিয়ে চলে গেলো…..

আনিকা তো মনের আনন্দে….নীলাকে ঘুরাতে শুরু করলো …..নীলার মাথা ঘুরে উঠলো….কিন্তু আনিকা তো থামছেই না…পুরো রাত আনিকা নীলা কে জালিয়ে ছাড়খার করে দিলো…..নীলার ঘুম নষ্ট করে ছাড়লো আনিকা…..এভাবে রাত চলে গেলো…………..

চলবে………………

বি.দ্র : কেমন লাগলো জানাবেন কিন্তু😊