Torture with love 2😍Part-80 last prat

#Torture_with_love_season_2😍😍
#লেখিকা ( অনু )
#Last_Part_80

দেখতে দেখতে সাগর আর নাদিয়ার বিয়ের বেপারেও কথা চলছে……কয়েক দিন এর মাঝে…..সাগরের ফ্যামিলি থেকে সবাই নাদিয়া কে দেখতে যাবে…..সাগরের মায়ের সাথে তো নাদিয়া সব সময় ই দুষ্টুমির মধ্যে থাকে…..

ইন ভার্সিটি_______________________________

কতক্ষন হয়ে গেলো…..রাহুল আর আনিকা দুষ্টুমি করেই যাচ্ছে…..মারামারি করেই যাচ্ছে…………

রাহুল : আনিকা থামো না,,,

আনিকা : তুমি এতো দেরি করে আসলে কেনো ?

রাহুল : আচ্ছা বাবা,,,আমি মাফ চাচ্ছি,,,আর দেরি করে আসবো না। গতকাল কত রাতে আমি তোমার বাসা থেকে নিজের বাসায় গেলাম বলো। ঘুমোতে প্রায় ৩:০০ টা বেজে গেছে। তো সকালে উঠতে তো দেরি হবেই।

আনিকা : আচ্ছা তো,,,তোমাকে যেতে কে বলেছিলো আমার বাসায়।

রাহুল : আচ্ছা আর যাবো না। অন্য মেয়েদের ফোন করে বাসায় ডেকে নিবো। হয়ে গেলো ( ফাজলামো করে )

আনিকা : কিইইইই বললা তুমি ? ( রেগে )

রাহুল : ওই যে,,,কিছু না।

আনিকা : কথা বলবা না,,,আমার সাথে তুমি। থাকো ঐ মেয়েদের নিয়ে।

বলেই আনিকা রেগে…..চলে যেতে নিলেই…..রাহুল টেনে আনিকা কে….পিছন থেকে জরিয়ে ধরে….আনিকার ঘাড়ে মাথা রাখলো……আনিকা তো রেগে বম হয়ে আছে….

রাহুল : আহ্,,,এমন রেগে বম হয়ে আছো,,,যে তোমার ঘাড়েও মাথা রাখা যাচ্ছে না। আগুন জ্বলছে ঘাড়ে মনে হচ্ছে ( ফাজলামো করে )

আনিকা : ছাড়ো বললাম। ( রেগে )

রাহুল : যদি না ছাড়ি ?

আনিকা : চিল্লাবো আমি ( রেগে )

রাহুল : তো চিল্লাও।

আনিকা এবার রেগে….সামনে রাহুলের দিকে মুখ করে ঘুড়ে দাড়ালো…..রাহুল একটা টেডি ইসমাইল দিলো…..আনিকার সব রাগ উধাউ হয়ে গেলো….রাহুলের হাসি দেখে……………….

আনিকা : শুনো,,,( নরম সুরে )

রাহুল : হুমম বলো,,,( আনিকার একদম কাছে এসে )

আনিকা : আমি তোমাকে,,,

রাহুল : তুমি আমাকে কী ?

আনিকা : ভালোবাসি না।

রাহুল : সত্যি ?

আনিকা : উমমম,,,হু।

রাহুল : তাহলে আর কি করার ?

আনিকা : মানে কি ?

রাহুল : মানে আমি চলে যাই ?

আনিকা : না না,,,ভালোবাসি তো অনেক ( বাচ্চাদের মত করে )

রাহুল : আমিও ভালোবাসি আমার পাগলি কে।

আনিকা রাহুলকে শক্ত করে জরিয়ে ধরলো…..রাহুলও আনিকাকে শক্ত করে জরিয়ে ধরলো……….
________________________________________
আজকে নিলয় ২ দিন‌ ধরে…..নদীর সাথে কথা বলে না……আজও নদীর ফোন ধরেনি নিলয়…..শেষে নদী নিলয়কে মেসেজ করলো ফোনে…..নিলয় যেনো আজ তাকে বাসা থেকে নিয়ে যায় কলেজে…..নিলয় নদীর মেসেজ পেয়ে…..নদীর বাসার সামনে গেলো গাড়ি নিয়ে…..গিয়ে গাড়ির হণ বাজাতে লাগলো…..নদী বুঝতে পেরে….বেরিয়ে এসে গাড়িতে বসলো….নিলয় ভার্সিটির সামনে এসে…..গাড়ি রেখে চলে গেলো ভেতরে…..নদী নিলয়ের পিছে পিছে গেলো……..

নদী : নিলয় দাড়াও না। নিলয় প্লিজ শুনো না।

নিলয় শুনলো না….নিজের মত চলে যাচ্ছে….নদী নিলয়ের হাত ধরে…..আটকে দিলো……নিলয় নদীর দিকে রাগি ভাবে তাকালো…………….

নিলয় : কি সমস্যা তোমার ? ( রেগে )

নদী : তুমি আমার সমস্যা। ( হেসে )

নিলয় : নদী হাত ছাড়ো ( রেগে )

নদী : নিলয় প্লিজ বলো না,,,কি হয়েছে তোমার ? সেদিন মানিকদের বাসা থেকে আসার পর এখনো আমার সাথে কথা বলছো না তুমি। ফেসবুকে মেসেজ দিলে,,,সিন করে রিপ্লে দাও না। ফোন দিলে ধরো না।

নিলয় : কিছু না। ছাড়ো আমাকে। আমার কিন্তু এগুলো ভালোলাগে না। ( রেগে + চিল্লিয়ে )

নদী : আচ্ছা যদি রিলেশন রাখতে না চাও,,,সেটাও তো বলো নাকি ? ( স্বাভাবিক ভাবে )

নিলয় : হুয়াট ? কি বললে তুমি ??

নদীর কথা শুনে নিলয়ের রাগ উঠে গেলো…..নিলয় নদীর দিকে আগাতে থাকলো…..আর নদী পিছাতে থাকলো….পিছাতে পিছাতে নদী দেয়ালে আটকে গেলো…..নিলয় দেয়ালের দু পাশে হাত রেখে বললো…………

নিলয় : কি বললে তুমি নদী ?

নদী : না মানে,,, ( মাথা নিচু করে )

নিলয় : আমি না থাকলে তোমার কি আসে যায় ? তোমার রাতুল আছে না ?? ( রেগে )

নদী : ওটা মিথ্যে বলেছিলাম আমি। রাতুল নামে কেউ নেই।

নিলয় : আমাকে কষ্ট দিতে খুব ভালোলাগে ?

নদী : তুমি এমনিও আমাকে এখন আগের মত ভালোবাসো না। সব সময় এড়িয়ে চলো ( অভিমান করে )

নিলয় : কিহ্ ??? ওহ্ দু’দিন পুরো কথা বলিনি বলে খুব কষ্ট হচ্ছে ?? আর তাহলে রাতুলের কথা শুনে আমার কেমন লেগেছিলো ?

নদী : সরি,,, ( মাথা নিচু করে )

নিলয় : আই লাভ ইউ ( নদীর কানের কাছে গিয়ে )

নদী : হুমমম,,,

নিলয় : এখন আমার উপর রাগ দেখানো হচ্ছে ?

নদী : নাহ্,,,

নিলয় : তো আমার উওর দাও।

নদী : আই লাভ ইউ টু।

নিলয় নদীর দিকে আগাতে লাগলো…..নদী বুঝতে পেরে….দৌড়ে চলে গেলো…..নিলয় বেচারার আর কি করার…..সেও নদীর পিছে পিছে গেলো………………
________________________________________
লিসা আজ রেগে বম হয়ে আছে…..আবির গতকাল খুব ঝগড়া করেছে…..লিসা তো ভেবে নিয়েছে আর কথাই বলবে না আবিরের সাথে…..লিসা ক্লাসে বসে আছে…..হঠাৎ লিসার মনে হলো…..লিসার চুলে কেউ ফুঁ দিচ্ছে…..লিসা পিছে ফিরতেই দেখলো আবির……আবির এবার আরো জোরে জোরে লিসার মুখে ফুঁ দিতে লাগলো….আর লিসা রেগে বম……………

আবির : ঠান্ডা হও জানু,,,

লিসা : সর তুই,,, ( চিল্লিয়ে )

আবির : জানু,,,বাবু রাগ করে না। কুল ডাউন বেবি।

লিসা : তুই সরবি ?

আবির : এখন কিন্তু আমার আবার রাগ হচ্ছে। ( রেগে )

লিসা : যা ইচ্ছে করো তুমি।

বলেই লিসা উঠে চলে যাবে…..আবির লিসাকে দেয়ালে চেপে ধরলো…..

আবির : এই শুনো ভুল তোমারও ছিলো।

লিসা : ধরবো‌ না তোমার ফোন। সরো বললাম।

আবির : আচ্ছা আমি নিশিতার সাথে কথা বলবো।

লিসা : তো বলো না,,,তোমার বউ লাগে না নিশিতা।

আবির : ওহ্,,,নিশিতা আমার বউ। তো তুমি কি ?

লিসা : কিছু লাগি না তোমার।

আবির : সরি জানু।

লিসা : লাগবে না তোমার সরি। ( অন্যপাশে ফিরে )

আবির : ভালোবাসি,,,

লিসা : আমি ভালোবাসি না।

আবির : আচ্ছা।

বলেই আবির চলে যেতে নেয়…..লিসা আবিরের কলার টেনে….আবির কে জরিয়ে ধরে…..আবিরও লিসাকে জরিয়ে ধরলো…

লিসা : আ’ম সরি।

আবির : আমার‌ উওর টা লাগবে। নয়তো নিশিতার কাছে গেলাম আমি।

লিসা : আমিও ভালোবাসি। আবার নিশিতা।

লিসা সমানে আবির কে মারতে লাগলো……আবির বেচারা মার খেতে লাগলো……………..
________________________________________
সাগর‌ আর নাদিয়া হেটে যাচ্ছে…….সাগর নাদিয়ার একটু কাছে যেতেই….নাদিয়া সাগরের গলা জরিয়ে ধরলো………………

সাগর : এতদিন পর,,,আমরা এক হবো।

নাদিয়া : কত দিনের অপেক্ষা শেষ হচ্ছে আমাদের ( হালকা হেসে )

সাগর : একবার শুধু আমার বাসায় বউ হয়ে পা রাখো। তারপর দেখবো এত রাগ কোথায় রাখো তুমি।

নাদিয়া : নিজে মনে হয় খুব ভালো ? এতগুলা করে প্রতিদিন বকা দেয় কে আমাকে ( অভিমান করে )

সাগর : আচ্ছা বিয়ের পর সব ঠিক করে দিবো,,,আদর দিয়ে ( নাদিয়ার কানের কাছে গিয়ে )

নাদিয়া : ছিঃইইইই সাগর।

সাগর : এখন তো চাইলেও সরাতে পারবা না। সামনের সপ্তাহে দেখতে যাবে সবাই তোমাকে।

নাদিয়া : আমি ভুত সেজে থাকবো। সবাই দেখেই দৌড়ে পালাবে।

সাগর : আমি ভুত কেই বিয়ে করবো।

নাদিয়া সাগরের বুকে মুখ লুকালো….লজ্জায়….সাগর হেসে দিলো……….
________________________________________
নীল : নীলা কি হচ্ছে এটা।

নীলা : আমি যাবো না তোমার সাথে কলেজে।

নীল : আচ্ছা সরি তো।

নীলা : যাও তোমার জন্য কত মেয়ে আছে না। কি যেনো,,,ওহ্ তোমার জন্য লাইন দিয়ে দাড়িয়ে আছে।

নীল : হাজার মেয়ে থাকলেও কি ? আমি তো অন্যকারো আমানত তাই না।

নীল নীলার কাছে এসে……বাঁকা হাসি দিয়ে কথাটা বললো…..নীলার রাগ এবার চলে গেলো….নীলার মাঝে মাঝে অবাক লাগে….নীল ওকে ( নীলাকে ) এত কেনো ভালোবাসে…….

নীল : কি ভাবছো তুমি ?

নীলা : নীল তুমি আমাকে এত কেনো ভালোবাসো। ( আগ্রহ নিয়ে )

নীল : কারন তোমার মধ্যেই,,,আমি আমার ভালোবাসা, আমার অস্তিত্ব খুজে পাই। তাই আমার ঝগরুটে বউকে আমি এত ভালোবাসি।

নীলা : কিইইইই,,,নীল আবার আমাকে তুমি ঝগরুটে বললে। ( রেগে )

নীল : না না। আমার বউ তো অনেক লক্ষী। ( ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে )

নীলা : গুড,,,চলো দেরি হচ্ছে।

নীল : চলো।

নীল_নীলা ভার্সিটির দিকে গেলো………………
________________________________________
গতকাল সারাদিন মেঘ মিহুকে একটুও সময় দেয়নি একটা কথাও বলেনি মিহুর সাথে……মিহু রেগে ফুলে আছে……মেঘ অবস্য ইচ্ছে করেই করেছে……মিহুকে রাগানোর জন্য…..মিহু রেগে একদম ফুলে আছে….মনে হচ্ছে এখনি ফেটে যাবে………ভার্সিটি আসার পর মিহুও কথা বলেনি……মিহু একাই যাচ্ছিলো হলরুমের দিকে……মেঘ মিহুকে টেনে একটা ক্লাসের ভেতরে ঢুকালো….মিহু দেখলো মেঘ…………

মিহু : কি হচ্ছে এটা ? ( রেগে )

মেঘ : তোমার কি হলো,,,সকাল থেকে আমাকে দেখেও দেখছো না ? ( শয়তানি হাসি দিয়ে )

এবার মিহু মেঘকে ধাক্কাতে ধাক্কাতে পিছে ঠেলতে লাগলো….আর মেঘ পিছাতে লাগলো…..মিহুও আগিয়ে মারতে লাগলো..

মিহু : তোমার কি হয়েছিলো গতকাল। আমাকে এড়িয়ে যাচ্ছিলে যে ? নিজের বেলায় ১৬ আনা,,,আমার বেলায় কিচ্ছু না ? আমিও এড়িয়ে চলতে পারি। ( ভাব দেখিয়ে )

মেঘ : দেখবো বিয়ের পর এত ভাব কোথায় রাখো ? ( ভেংচি দিয়ে )

মিহু : কেনো তোমার মাথা আছে না ? তোমার মাথায় রাখবো আমার সব ভাব ( চোখ টিপ দিয়ে )

মেঘ মিহুকে টেনে নিজের কাছে আনলো…..মিহু মেঘের চুল ধরে টানতে লাগলো……………..

মিহু : হ্যালো স্যার,,,এটা তোমার বাসা না।

মেঘ : তো ?

মিহু : ছাড়ো আমি অনুদের সাথে দেখা করতে যাবো।

মেঘ : আজকে বাসায় যাই। তারপর দেখাবো মজা তোমাকে।

মিহু মেঘকে জোরে পেটে একটা মোচড় দিয়ে চিমটি দিলো……মেঘ চেচিয়ে উঠে মিহুকে ছেড়ে দিলো…..মিহু দৌড়ে কিছু দুর যেয়ে বললো….

মেঘ : আহ্হ্হ্হ্,,,মিহু ।

মিহু : তোমার আগে,,,আমি তোমাকে মজা দেখালাম বেবি। টাটা জানেমন হুহ থুহ্।

মিহু চলে গেলো……মেঘ বেচারা পেটে হাত দিয়েই….মিহুর পিছে পিছে গেলো…..মেঘ ব্যাথায় মরে যাচ্ছে….মিহু এত জোরে মোচড় দিয়েছে……………..
________________________________________
মানিক হলরুমে বসে গিটার বাজাচ্ছে…..আর একটু পর পর অনুর দিকে তাকাচ্ছে……অনু কিছু বলছে না…..শুধু গিটার বাজানো শুনছে…….মানিক উঠে অনুর কাছে গিয়ে…..হাটু গেরে অনুর সামনেই বসলো……………..

অনু : কি হলো,,,

মানিক : আ’ম সরি ( বাচ্চাদের মত করে বললো )

অনু : কিসের সরি ?

মানিক : এতগুলো দিন তোমাকে কষ্ট দেওয়ার জন্য।

অনু : আমি জানি মানিক,,,তুমি নিজেও এতগুলো দিন ভালো ছিলে না।

মানিক এবার উঠে গিয়ে…..পিছন দিকে করে দাড়ালো……মানিক কি করে ক্ষমা চাইবে অনুর কাছে সেটাই বুঝতে পারছে না……অনু গিয়ে পিছন থেকে মানিক কে জরিয়ে ধরলো…..মানিক সামনে ঘুরে অনুর কোমড় জরিয়ে নিজের একদম কাছে…..অনুকে নিজের সাথে মিশিয়ে নিলো…..অনু শুধু মানিকের বুকের দু পাশে হাত রাখলো…………

মানিক : আচ্ছা কি করলে,,,আমি ক্ষমা পাবো।

অনু : কিছু করতে হবে না। বি’কজ আই হেইট ইউ ( ফিক করে হেসে দিয়ে )

মানিক : হুয়াট ??? ( রেগে গিয়ে )

অনু : কিতা ??

মানিক : আমাকে হেইট করো রাইট ? ওকে আমি অন্য মেয়েদের কাছে যাচ্ছি। অনেক মেয়ে আছে তো। পুরো ভার্সিটির মেয়ে আমার জন্য অপেক্ষা করছে।

বলেই মানিক যেতে নেয়….আর অনু রেগে মানিকের কলার ধরে টেনে নিজের কাছে নিয়ে আসে……………….

অনু : ওহ্ মিস্টার হাসবেন্ড। আমাকে ছেড়ে অন্য কোনো মেয়ের দিকে তাকালে,,,তোমার চোখগুলো কাঁটা চামুট দিয়ে তুলে,,,আমি লুডু খেলবো বলে দিলাম।

মানিক : ওহ্,,,এখন হাসবেন্ড ( অনুর একদম কাছে গিয়ে )

অনু : তা ন…নয়..নয়তো কি ?

মানিক : আচ্ছা তো হাসবেন্ড আর ওয়াইফ এর মধ্যে কি কি হয় জানো তো ?

অনুর কোমড় টেনে নিজের সাথে মিশিয়ে…..অনু লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেললো…………….

অনু : ছিঃইইই মানিক ছাড়ো আমাকে।

মানিক : এখন তো হাসবেন্ড ওয়াইফ এর মধ্যে যা যা হয়। সেটাই হবে। আর সেটা হলে তো,,,সেদিন রাতের মিহুর কথাটাও‌ সত্যি হবে। মানে আমাদের একটা ছোট্ট বাবু হয়ে যাবে।

অনু : ছিঃইইইই মানিক তোমার একটুও লজ্জা করে না এগুলো বলতে।

বলেই অনু মানিক কে……ইচ্ছে মত মারতে লাগলো….ইচ্ছে মত মানিক কে কিল ঘুশি দিতে লাগলো অনু……আর মানিক মুচকি হেসে অনুকে জরিয়ে ধরলো………………………………………….
________________________________________

অনু…..মিহু আর নীলাকে দেখে ডাকলো……মিহু আর নীলা আসলো…….

নীলা : কিরে কিছু হয়েছে ?

অনু : নাহ্ তো।

মিহু : তো এভাবে আলাদা করে ডাকলি যে ?

অনু : একটা কথা বলার ছিলো তোদের।

নীলা : বল,,,

অনু : তোরা আমাকে‌ ভুল বুঝবি না বল ?

মিহু : তোকে কোনোদিন ভুল বুঝেছি যে,,,আজকে ভুল বুঝবো ?

অনু : মানিক আমাকে ?

নীলা : আল্লাহ্ অনু তুই কি করেছিস মানিকের সাথে ( ফাজলামো করে )

অনু : তোরা আগেই ফাজলামো করিস না। কথাটা মটেই ফাজলামো করার না।

মিহু : আচ্ছা বল কি হয়েছে।

অনু : গতকাল এর আগের দিন রাতে মানিকের সাথে আমার প্রচন্ড ঝগড়া হয়। আর মানিক আমার বাসায় গিয়ে মামি কে বলে,,,আমাকে নিয়ে আসে‌।

নীলা : কোথায় নিয়ে আসে ?

অনু : মানিক আমাকে জোর করে কাজী অফিসে নিয়ে যায়।

এই কথা শুনে নীলা আর মিহুর মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পরে………….

মিহু : তারপর ?

অনু : কাজী অফিসে গিয়েও,,,মানিক আমার সাথে অনেক খারাপ ব্যবহার করে রাগের মাথায়। আমিও রেগে মানিকের সাথে ঝগড়া করি। মানিক বলে রেজিস্ট্রি কাগজে সাইন করতে। কিন্তু আমি রাজি হইনা।

নীলা : তারপর ?

অনু : তারপর কথায় কথায়,,,আমি মানিককে কি একটা কথা বলি,,,মানিক রেগে আমাকে একটা চড় দেয়। আমিও রেগে রেজিস্ট্রি কাগজে সাইন করে চলে আসি।

মিহু : বিয়ে হয়ে গেলো।

অনু : হুমমম। কেউ জানেনা এটা। শুধু তোরা ছাড়া।

মিহু আর‌ নীলা দু’পাশ থেকে অনুকে জরিয়ে ধরলো…..হেসে…..অনু কিছুটা অবাক হলো…..কারন মিহু আর নীলা রাগ করার কথা ছিলো। সেখানে মিহু নীলা এতো খুশি।

নীলা : উয়াউ অনু,,,আমি খুব খুশি।

মিহু : কাউকে কিছু জানাতে হবে না। যখন ফ্যামিলির মাধ্যমে সবার সম্মতি তে বিয়েটা হয়ে যাবে। তখন সব ঠিক হয়ে যাবে।

মানিক রুমের বাহির থেকে সব শুনেছে…. মানিক এসে বললো……………..

মানিক : নীলা ২ মাস পর ই বিয়েটা হবে ইনশাল্লাহ্।

মিহু : বাহ্ বিয়ে করলি আমাদের না জানিয়ে ?

নীলা : তোকে তো পিটানো উচিত মানিক।

মিহু : সবার বিয়ে হচ্ছে। প্রথমে নীলার বিয়ে,,,তারপর অনুর। আমার বিয়ে টা কবে হবে।

মেঘ আর নীল,সাগর_নাদিয়া রুমে ঢুকলো……………..

নীল : মিহু তোর বিয়ের এত সখ জানতাম না।

মেঘ : গাইজ,,,আম্মু_আব্বু মিহুকে খুব পছন্দ করেছে। বললো মিহুদের বাসায় কথা বলতে যাবে।

নীলা : এই তুই‌তো বললি না এই কথা।

অনু : আবার বলো আমার বিয়ে কবে হবে।

সাগর : সামনের সপ্তাহে বাবা-মা দেখতে যাবে নাদিয়া কে।

নীলা : কিরে নাদিয়া ?

নাদিয়া : আরে গতকাল রাতে সব ঠিক হলো। তোদের আজই বলতাম।

সাগর : মানিক তুই তো আমাদের হাত থেকে বাঁচতে পারবি না।

________________________________________
মানিক,মেঘ,সাগর,নাদিয়া,নীলা…..ফেব ফাইভ গোল হয়ে…..গ্রুপ হাগ করলো……
।
।
।
অনু,নীল আর মিহু…..এন এইছ থ্রি ও….গ্রুপ হাগ করলো আলাদা……………..
।
।
।
এভাবেই বেঁচে থাকুক…..ফেভ ফাইভ ও এন এইছ থ্রি…..এদের বন্ধুত্ব…….‌…………
।
।
।
________________________________________

সবাই মজা করতে লাগলো….তারপর সবাই হলরুমে এলো………..

আবির : কোথায় ছিলি তোরা ?

মানিক : কলেজেই তো ছিলাম।

লিসা : কোথাও দেখলাম না।

নীল : চোখ আছে তোর ? যে দেখবি ??

নদী : থামবি শুরু হয়ে গেলো ঝগড়া তোদের।

মেঘ : তুই কি কম ঝগড়া করিস।

নিলয় : গাইজ আজ কতদিন পর সবাই এতটা হাসি খুশি।

অনু : সব আবার আগের মত।

নীলা : এখন আর কোনো সমস্যা হবে না।

মিহু : গাইজ আবিরকে পিটাইতে ইচ্ছা করতেছে।

আনিকা : আমিও আছি আজকে।

রাহুল : এই লেডি গুন্ডি গুলা থামো।

সবাই মিলে এমন মজা করতে লাগলো……এভাবে মজার মধ্যেই টিকে থাকুক তাদের সকলের বন্ধুত্ব আর ভালোবাসা…….মানিক_অনু,,,নীল_নীলা,,,মেঘ_মিহু,,,সাগর_নাদিয়া,,,আবির_লিসা,,,নিলয়_নদী,,,রাহুল_আনিকা……সবাই মিলে একটা বড় গ্রুপ হাগ করলো…….আর এভাবে ঝগড়া মারামারি চলতে থাকলো তাদের মধ্যে……………….

________________________________________
।
।
।
চলতে থাকুক…মানিক_অনু…..তাদের ভালোবাসার মাঝে খুনশুটি ঝগড়া……তারা যেনো সুখী থাকে সেই দোয়া করবেন।
।
।
।
নীল_নীলা…..তাদের ছোট্ট ভালোবাসার মধ্যে চলতে থাকুক বড় বড় ব্রেকআপ ঝগড়া……নীল_নীলা জেনো এভাবেই ভালো থাকে সারা জীবন….দোয়া করবেন তাদের জন্য।
।
।
।
মেঘের মিহুর প্রতি রোমেন্টিক অত্যাচার চলতে থাকুক…..আর মিহু মেঘকে মেরে আলুর তরকারি বানিয়ে দিক…..মেঘ_মিহুর এই সুন্দর ভালোবাসা যেনো সারা জীবন থাকে…..সবাই তাদের জন্য দোয়া করবেন।
।
।
।
সাগর আর নাদিয়ার বন্ধুত্ব আর ভালোবাসা দুটোই যেনো সারাজীবন অটুট থাকে…..সবাই দোয়া করবেন তাদের জন্য…..
।
।
।
রাহুল আর আনিকার খুনশুটি প্রেম আর ঝগড়া জেনো এভাবেই চলতে থাকে সবসময়…..তাদের জন্য সবাই দোয়া করবেন।
।
।
।
আবির লিসার বন্ধুত্ব আর ভালোবাসা এভাবেই চলতে থাকুক সারা জীবন…….নিলয় নদীর রোমেন্টিক ভালোবাসা এভাবেই চলতে থাকুক….সবাই দোয়া করবেন তাদের জন্য।
।
।
।
________________________________________

ভালোবাসা জিনিস টা বড়ই অদ্ভুত……কখন কিভাবে কাকে মানুষ….নিজের মন দিয়ে ফেলে….সে নিজেই বুঝতে পারে না…..

মানিক আর অনু কোথায় ছিলো….আর এখন তারা দুজন দুজনকে ছাড়া থাকতেই পারে না……..
।
নীল নীলা কখনো ভাবেনি তারা কখনো এক হতে পারবে,,,তাদের ভালোবাসা টা সত্যি হবে……কিন্তু আজ নীল নীলাও এক হয়ে গেলো…..
।
মেঘ মিহুকে দেখতেই পারতো না,,,মিহুও দেখতে পারতো না মেঘকে….আর আজ তারা একে অপরকে দেখা ছাড়া থাকতে পারে না…….
।
সাগর নাদিয়া কখনও ভাবেনি তাদের বন্ধুত্ব টা ভালোবাসায় পরিণত হবে…..তারা একে অপরকে এতটা ভালোবাসবে…..কিন্তু আজ তাদের ভালোবাসার অভাব নেই…..
।
আনিকা কখনও ভাবেনি তার ভালোবাসার মানুষ রাহুকে পাবে,,,রাহুলও কখনও ভাবেনি আনিকা কে ভালোবেসে ফেলবে…..আজ তারা একে অপরকে পাগলের মত ভালোবাসে……
।
লিসা কখনও আবিরের ভালোবাসা পাবে,,,এটা ভাবতেই পারেনি…..কিন্তু আজ সেই আবির তাকে নিজের চেও বেশি ভালোবাসে……
।
নদী কখনও ভাবেনি নিলয় তাকে এতটা ভালোবাসবে…..আজ নিলয় তাকে এতটা ভালোবাসে যে হারানোর ভয় ও করে………….
।

এভাবেই বেঁচে থাকুক তাদের সকলের….খুনশুটি ভালোবাসা,ঝগড়া,অভিমান……তাদের ভালোবাসা সারা জীবন এভাবেই থাকুক………………

( ❤Love story❤ )

( 😍Happy Ending😍 )

……………..🌸🌸🌸সমাপ্ত🌸🌸🌸……………..

বি.দ্র : বেশি কিছু বলবো না😊 ( গল্পটা #Love_Story ছিলো,,,তাই Love story তেই শেষ করে দিলাম )এটা আমার লেখা সবচেয়ে #ভালোবাসার একটা গল্প ছিলো❤আমার এই গল্পটা যে কতটা আপন আমি নিজেও জানিনা😊আজ আমার ভালোবাসার গল্পটা শেষ করে দিলাম😊আমি যথেষ্ট চেষ্টা করেছি,,,গল্পটা সকলের মনের মত করে তোলার জন্য😊আমি জানিনা কতটুকু পারলাম আপনাদের মনের মত করে তুলতে😊আদও আমি গল্পটা সাজিয়ে লিখতে পেরেছি কিনা জানিনা😊তাও আমি আমার সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করেছি যেনো গল্পটা সাজিয়ে গুছিয়ে লিখতে পারি❤ যদি গল্পাটা ভালো না লেগে থাকে,,,আমাকে ক্ষমা করে দিবেন😊গল্পে কোনো ভুল হলেও ক্ষমার চোখে দেখবেন😊আশা করি সকলে আমার মনের অবস্তা বুঝবেন😊গল্পটার প্রথম থেকে আমার পাশে থাকার জন্য,,, আমাকে উৎসহ্ দেওয়ার জন্য🌸সকলকে ধন্যবাদ,,,আসসালামু- আলাইকুম❤