আমার পুতুল বর লেখিকা: আরশি জান্নাত (ছদ্মনাম) পর্ব : ৩৯

আমার পুতুল বর
লেখিকা: আরশি জান্নাত (ছদ্মনাম)
পর্ব : ৩৯

আরো কিছুক্ষন হাঁটার পর জঙ্গলের মতো রাস্তায় এসে থামলো ওরা। এর পরের রাস্তা সরু এবং একদম নিচের দিকে নেমে গেছে। এইদিক দিয়েই ঝর্ণায় যেতে হবে। সবাই খুব সাবধানে নামছে। সুজানার এতক্ষন হাঁটার পরে অনেক কষ্ট হচ্ছে। এতোটা আগে কখনো হাটে নি ও। হঠাৎ করে সুজানা আহহ বলে মৃদু চিৎকার করে পায়ে হাত দিয়ে বসে পড়লো। সবাই অস্থির হয়ে গেলো। মাহির বিচলিত হয়ে ওর পায়ের কাছে বসে প্রশ্ন করলো,

~ কি হয়েছে সুজি? পায়ে ব্যাথা পেয়েছিস? কেটে গেছে? দেখি পা দেখি।
মাহির সুজানার পায়ে হাত দিয়ে দেখলো বাম পা লাল হয়ে ফুলে গেছে।
~এটা কি করে হলো!
~ আপুর তো এতোটা হাঁটার অভ্যাস নেই। তার উপর এই পায়ে অপারেশন হয়ে ছিলো। বোধয় এ কারনেই ব্যাথা করছে পা।

মাহির চিন্তিত হয়ে সুজানার দিকে তাকালো। সুজানা দাতে দাত চেপে রেখেছে ব্যাথার জন্য।
~ তোর কি বেশি ব্যাথা করছে? তাহলে আর সামনে আগাবোনা।
~ কি বলছিস! আমি এতোটা দূর কষ্ট করে এলাম গন্তব্যে না পৌঁছেই ফিরে যাবো?
~ আর কি করার আছে। এখনো অনেকটা পথ বাকি।
~ আমার ও মনে হচ্ছে এটাই ঠিক হবে।
~ না প্লিজ না। তোরা এমন করছিস কেনো? আমি ঠিক পারবো দেখিস। আর আমার জন্য বাকিদের ঘুরাটা কেনো খারাপ হবে?
~ তা ঠিক। এক কাজ করা যায়, সূর্য! তুমি ওদেরকে ঘুরিয়ে আনো।গাইড তো থাকছেই সাথে সো তোমরা ঘুরে এসো।
~ না না ভাইয়া তা কি করে হয় জাদু আপ্পি যেতে পারবে না আর আমরা যাবো? এটা হতে পারে না। চলুন আমরা সবাই ব্যাক করি।
~ আরশি রানি তোরা যা। আমরা ফিরে যাচ্ছি। আমার জন্য প্লিজ তোরা তোদের আনন্দ টাকে মাটি করিস না।
~ কিন্তু আপু তোমার ওতো যাওয়ার অনেক ইচ্ছা ছিলো..
~ হ্যাঁ মিহি আমার ও যাওয়ার ইচ্ছা ছিলো, কিন্তু কি আর করবো, আমার কপাল টাই খারাপ। ( মন খারাপ করে )
~ সুজি তুই এভাবে বলছিস কেনো? এটা যদি সমান রাস্তা হতো তাহলে তোকে কোলে করে নিয়ে যাওয়া যেতো। কিন্তু এখানে তো আর পসিবল না। প্লিজ মন খারাপ করিস না। আমরা সবাই পরে আবার এখানে ঘুরতে আসবো, ঠিক আছে?
~ হু…
~ সূর্য তোমরা সামনে এগিয়ে যাও। দেরি করো না।

ওরা আর কি করবে সুজানা আর মাহির কে ছাড়াই এগিয়ে যেতে লাগলো। সুজানা আর মাহির ফিরে যাচ্ছে। ওরা যেই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে তার দু দিকে প্রচুর গাছ-গাছালি আর লতাপাতা। মাঝখানে রাস্তাটা সরু হওয়ায় পাশাপাশি হাটা সম্ভব না। তাই ওরা একে অন্যের আগে-পিছে হাঁটছে। আরো অনেকটা পথ হাঁটার পরে ওরা সমতল রাস্তায় এসে পৌছালো। মিহি ক্লান্ত হয়ে নিচে ধপ করে বসে পরলো। সবাই দাড়িয়ে পড়লো।
~ কি হয়েছে মিহি, এভাবে বসে পড়লে কেনো? ( রিক )
~ আমার তেষ্টা পেয়েছে। নিধি আপু আমাকে একটু পানি দাও।
নিধি পানির বোতল এগিয়ে দিলে মিহি পানি খেয়ে নিলো। সাথে বাকিরাও একটু একটু খেয়ে নিলো।
এবার নিধি ও মিহির পাশে বসে পড়লো।
~ আমার না পা দুটো ব্যাথা হয়ে গেছে। কখন পৌঁছাবো?
~ আমার ও পা ব্যাথা করছে। ( মিহি )
নাহিদ দুষ্টু হেসে রিকের কাধে ভর দিয়ে বললো,,,
~ আচ্ছা হাঁটতে কষ্ট হচ্ছে!! কোন ব্যাপার না আমরা তো এখন সমতল রাস্তায় আছি। তো তোমরা চাইলেই আমি এই শাকচুন্নি টাকে কোলে নিয়ে হাঁটতে পারি আর রিক বরং মিহি কে কোলে নেবে। কি বলো রিক?
রিক প্রথমে অবাক হলেও নাহিদের দুষ্টু চাহনি দেখে বুঝতে পারেন যে ও মজা করছে। তাই ও নাহিদের কথায় সায় দেয়।
~ একদম! আমার কোনো আপত্তি নেই।
নিধি আর মিহি হা করে ওদের দুজনের দিকে তাকিয়ে আছে। ওদের এভাবে হা হয়ে তাকিয়ে থাকতে দেখে নাহিদ আর রিক আরও জ্বালানোর জন্য ওদের কাছে এগিয়ে গিয়ে কোলে নেওয়ার ভান করতেই ওরা দুজনে এক প্রকার লাফ দিয়ে দাড়িয়ে গেলো। নাহিদ আর রিক হো হো করে হেসে দিলো। বাকিরা ও মৃদু হাসলো। এক মাত্র রেহান আর অভ্র ওদের দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে। নিধি আর মিহি যখন বুঝতে পারলো যে ওদের জ্বালানোর জন্য এরা দুজন এমনটা করেছে তখন রেগে গিয়ে মারতে শুরু করলো। নাহিদ আর রিক আরো জোরে জোরে হাসছে। সূর্য ওদের থামিয়ে বললো,,,
~ অনেক হয়েছে। এবার চল!
নিধি আর মিহি , নাহিদ আর রিককে ভেংচি কেটে আগে বাড়তে লাগলো। রিক আর নাহিদ হেসে ওদের পিছু পিছু যেতে লাগলো।
~ এই লাল মরিচ টাকে দেখ! আমার সাথে আজ পর্যন্ত কোনদিন হেসে কথা তো দূরে থাক ঠিক করে হাই পর্যন্ত বলে নি। অথচ রিকের সাথে কি সুন্দর হেসে হেসে কথা বলছে, দুষ্টুমি করছে …. ভাবখানা এমন যেনো বহু পুরনো ফ্রেন্ডের সাথে হাসি মজা করছে।
~ তোর বোন কে দেখেছিস? আচ্ছা আমিও তো তোর ফ্রেণ্ড তাই না। কই আমার সাথে তো এতো ফ্রিলি কখনো কথা বলে নাই কিন্তু নাহিদের সাথে দেখ কতো নরমালি কথা বলছে, মারামারি করছে।
~ মিহি তো একটু আগে রিকের হাত ধরে ও হাঁটছিলো। কেনো ওর হাত কেনো ধরতে হবে? কে হয় রিক ওর?
~ নিধি ও নাহিদের হাত ধরে রেখেছিলো। এখানে ওর নিজের ভাই রয়েছে তাও কেনো ভাই এর ফ্রেন্ডের হাত ধরে ওকে হাঁটতে হবে?
~ হাত তো ধরেছেই আবার রিকের স্টুপিড জোকস শুনে হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়ছিলো ওর গায়ে! এতো ঢং দেখে আমার জাস্ট গা টা জ্বলে যাচ্ছে।
~ আমার ও। মনে চাচ্ছিলো এক ধাক্কায় ওই নাহিদ কে সরিয়ে দেই।
~ তোর এটা ইচ্ছে করছিলো? আমার তো ওই রিক কে ঝর্নার নিচে একঘন্টা যাবৎ চুবাতে ইচ্ছে করছিলো।
~ না আমার মনে হয় এমনিতে ও ঝর্নার পানিতে ভিজবে তাই চুবিয়ে লাভ নেই।
~ হ্যাঁ তাইতো। তাহলে কি করবো ? রেহান অভ্রর দিকে তাকালো।
অভ্র ও রেহানের দিকে তাকালো। হঠাৎ ওদের খেয়াল হলো এতক্ষন যাবৎ ওরা কি বলছিলো। ওরা দ্রুত দুপাশে ফিরে গেলো।
~ আমি এসব কি বলছিলাম এতক্ষন ধরে ? যদিও আমি যা যা বলেছি সব সত্যি বলেছি কিন্তু অভ্রকে এভাবে বলায় ও কিছু মনে করলো না তো?উল্টাপাল্টা কিছু ভেবে নেয় নি তো আবার ?
~ ও গড! আমি রেহানের সামনে এসব কেনো বললাম? তাও নিধিকে নিয়ে!! কিন্তু আমিতো সত্যিই বলেছি। আমার নিধি আর নাহিদকে এতো ক্লোজ দেখে রাগ হচ্ছিলো। তাই নিজেকে কন্ট্রোল করতে না পেরে ওর সামনে এভাবে বলে দিয়েছি। ও যদি রাগ করে!!
~ দোস্ত এমন কিছুই না বিশ্বাস কর!
~ দোস্ত এমন কিছুই না বিশ্বাস কর!
দুজনে চমকে একে অপরের দিকে তাকালো।
~ তুই আগে বল!
~ তুই আগে বল!
এবার ও একসাথে বলায় ওরা নিশ্চুপ হয়ে গেলো। অভ্র গলা ঝেড়ে বললো,,,
~ তুই আগে বল…
~আমি কেনো তুই আগে বল..
~ না তুই বলবি..
এভাবে তর্ক করতে করতে এক সময় হতাশ হয়ে রেহান বললো,,
~ আমিই বলছি। আসলে তখন রিক আর মিহি কে নিয়ে যেটা বলেছিলাম সেটা জাস্ট নরমালি বলেছিলাম। অন্য কোনো কারণে নয়। আমি একদমই জেলাস নই।
~ আব আমিও নরমালি বলেছি। আমিও জেলাস নই।
দুজনে আড়চোখে একে অপরের দিকে তাকালো। চোখে চোখ পড়ায় থতমত খেয়ে চোখ সরিয়ে নিলো।

সূর্য আরশির কানে ফিসফিসিয়ে বললো,,,
~ তোমার যদি হাঁটতে কষ্ট হয় তাহলে আমি তোমাকে কোলে নিতে পারি।
আরশি আড়চোখে তাকিয়ে বললো,,,,
~ কোনো দরকার নেই। আমার একদম ই কোনো কষ্ট হচ্ছে না।
~ ভেবে বলো! এমন চান্স মিস করাটা কিন্তু ঠিক হবে না।
সূর্য বাকা হাসছে। আরশি মাথা নামিয়ে হেসে ফেললো। ওরা দুজনেই কারো আকস্মিক চিৎকারে চমকে উঠলো!!! চিৎকারটা মিহি দিয়েছে।
~ কি হলো মিহি চেচালি কেনো?
~ আমাকে কি জিজ্ঞেস করছিস সামনে তাকা!!

সবাই সামনে তাকিয়ে দেখলো ওরা ঝর্ণার কাছে পৌঁছে গেছে। পাহাড়ের উপর থেকে পানি পড়ার দৃশ্যটা এতোটাই সুন্দর ছিলো যে এখানে পৌঁছাতে ওদেরকে কষ্ট টা হয়েছে সেটা ওরা এক মুহূর্তে ভুলে গেলো। ঝমঝম শব্দ করে পানিগুলো পাহাড় থেকে নিচে পড়ছিলো যার মাধ্যমে এক স্নিগ্ধময় পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
রোজ আর ন্যান্সি ও ভীষণ এক্সসাইটেড হয়ে গেলো।
~ আমার তো এখানে ভিজতে ইচ্ছে করছে।
~ আমার ও। চল ভিজি।
~ ভিজবে কি করে? কোনো এক্সট্রা ড্রেস তো আনা হয় নি।
মিহির কথা শুনে বাকিদের হাসি মুখ মলিন হয়ে গেলো। আসলেই তো ওরা তো কোনো ড্রেস আনে নি। ভিজলে পরে চেঞ্জ করবে কি করে? সব মেয়েরা চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে। ছেলেরা একে অপরের মুখ চাওয়াচাওয়ি করলো। তারপর এক সঙ্গে হেসে দিলো। মেয়েরা সবাই ওদের দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকালো। এদিকে ওরা ভিজতে পারবে না বলে মন খারাপ করে দাঁড়িয়ে আছে আর এরা কিনা হাহা করে হাসছে?
মিহি রেগে বললো,,,
~ হাসছো কেনো তোমরা? আমরা কি জোকস্ বলেছি কোনো? দেখতে পারছো আমাদের মন খারাপ কোথায় আমাদের সান্তনা দেবে তা না! উল্টো দৈত্যের মতো হাহা করে হাসছো সবকটা।
রেহান হাসতে হাসতে বললো,,,,
~ তোমাদের দৌড় কতটুকু তা আমাদের খুব ভালো করে জানা আছে। তোমরা যে এখানে এসে ভিজতে চাইবে আর সেই সঙ্গে ড্রেস না আনার কারনে এমন পেঁচার মতো মুখ করে দাঁড়িয়ে থাকবে তা আমরা আগেই জানতাম। এর জন্য সকালেই আমরা সুজানা আপুকে বলে তোমাদের জন্য এক্সট্রা ড্রেস প্যাক করে রেখেছিলাম।। রিকের কাঁধে যে ব্যাগ দেখতে পাচ্ছো ওখানে তোমাদের মূল্যবান ড্রেসগুলো রয়েছে।।। সুজানা আপুর টাও আছে কিন্তু আপু তো আসতে পারলো না।
মেয়েরা ফ্যালফ্যাল করে ছেলেদের দিকে তাকিয়ে আছে। তারপর খুশি হয়ে ওদেরকে ফেলে রেখেই ভিজতে নেমে গেলো। এবার অবাক হওয়ার পালা ছেলেদের। রেহান নাক ফুলিয়ে বললো,,,
~ দেখি একেকটা কেমন অকৃতজ্ঞ! আমরা এতো কিছু করলাম ওদের জন্য অথচ আমাদেরকে ফেলেই ভিজতে চলে গেলো! একটা থ্যাঙ্কস পর্যন্ত বলল না..
নাহিদ শ্বাস ফেলে বললো,, “মেয়ে মানুষ এমনই বোমা মারলেও এদের মুখ থেকে সরি আর থ্যাংকস বের করা যায় না। ”
~ কি আর করবো ভাইয়া চলেন আমরা ও যাই গোসল করতে।
অভ্র, রেহান, নাহিদ চলে গেলো। রিক যেতে নিয়েও পিছনে ফিরে সূর্যের দিকে তাকালো। সূর্য আরশির দিকে তাকিয়ে আছে। আর আরশি বাকিদের ঝর্নার নিচে দাড়িয়ে দুষ্টুমি করতে দেখছে। রিক সূর্যের দিকে এগিয়ে গেলো।
~ তোরা ভিজবি না ?
রিকের কথায় আরশি ওর দিকে তাকালো। রিক সূর্যের দিকে তাকিয়ে আছে। আরশি সূর্যের দিকে তাকিয়ে দেখলো সূর্য ওকে দেখছে। রিকের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে না। আরশি মাথা নিচু করে ফেললো।
রিক জবাব না পাওয়ায় নাক ফুলিয়ে সূর্যকে ঠেলা দিলো। সূর্য বিরক্ত হয়ে রিকের দিকে তাকালো।
~ ঠেলিস কেনো কি হয়েছে?
~ বলছিলাম আপনার যদি আরশি ম্যাডামকে দেখা হয়ে গিয়ে থাকে তো কৃপেয়া আমাদের সাথে ভিজতে চলুন।
~ না হয় নি দেখা। আরো দেখবো! তুই যা।
আরশি চোখ বড় বড় করে সূর্যের দিকে তাকালো।
রিক হেসে বললো,,,
~ তাহলে তুই দেখতে থাক আমি গেলাম।
শিস বাজাতে বাজাতে ঝর্ণার কাছে চলে গেলো।
আরশি কোমরে হাত রেখে বললো,,,
~ আপনি এতো নির্লজ্জ কেনো? রিক ভাইয়ার সামনে আমাকে এভাবে অপদস্ত না করলে কি আপনার হচ্ছিলো না?
সূর্য আরশির কোমর জড়িয়ে ধরে ওকে নিজের কাছে টেনে নিয়ে আসলো।
~ আমিতো সত্যি কথা বললাম সুইটহার্ট। আমার আসলেই তোমাকে এখনো দেখা বাকি আছে। সো দেখতে দাও।
~ ধুর ছাড়েন তো। আমিও ভিজবো ওদের সাথে।( নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করে )
~ আচ্ছা ভিজবে?
~ হ্যাঁ।
~ ওকে। (আচমকা আরশি কে পাঁজাকোলে তুলে নিলো )
আরশি টাল সামলানোর জন্য দু হাতে সূর্যের গলা জড়িয়ে ধরে হতভম্ব হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে আছে।
~ এ ক..কি কোলে নিলেন কেনো? নামান বলছি।
~ ভিজবে বলেছিলে না চলো এভাবেই ভিজবো আমরা।।।
~ আপনার কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে! ওখানে সবাই আছে! এভাবে ভিজার কোনো দরকার নেই নামান আমাকে।
~ একদম না। আমিতো এভাবেই ভিজবো। ( ঝর্ণার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে)
~ না না প্লিজ দেখুন ওখানে সবাই আছে। কি ভাববে বলুনতো। প্লিজ আমাকে নামিয়ে দিন। আমি ভিজবো না। আপনি গিয়ে ভি…..
আচমকা সূর্য আরশির ঠোটে চুমু দিলো। যার ফলে আরশির কথা মাঝপথেই আটকে গেলো। ও ড্যাব ড্যাব করে সূর্যের দিকে তাকিয়ে আছে।
সূর্য বাকা হেসে বললো,,,,
~ আশা করি তোমার আর কিছু বলার নেই। যদি বলার থাকে তো বলতে পারো কারণ এখন তো শুধু ট্রেলার দেখালাম তখন না হয় পুরো মুভিটাই দেখিয়ে দেবো।। আর কিছু বলবে??
আরশি দ্রুত না বোধক মাথা নাড়লো। এটা দেখে সূর্য ঠোঁট কামড়ে হাসলো।

ওরা বাকিদের কাছে পৌঁছাতেই সবাই এই দৃশ্য দেখে অবাক হয়ে গেলো। রিক নাহিদের কাধে হাত রেখে বললো,,,
~ ওওওও!! দোস্ত এর জন্যেই তাহলে আমাকে ওখান থেকে ভাগিয়ে দিয়েছিলি?? নট ব্যাড!
~ ইয়ার সূর্য তুই তো একেবারে ছক্কা মেরে দিলি।
~ তোর যে এমন রুপ ও দেখতে পাবো আমি তো কখনো ভাবতেই পারি নি !!
~ হিরো-হিরোইনের এন্ট্রি তো জবরদস্ত ছিলো ।।।
আরশি লজ্জায় সূর্যের বুকের সাথে মিশে গেলো। এমনিতেই লজ্জা লাগছিলো তারউপর এদের কথাগুলো যেনো ওর লজ্জা কে আরো তিনগুণ বাড়িয়ে দিচ্ছে। আরশি কে লজ্জা পেতে দেখে রিক রোজ,ন্যান্সি, নাহিদ আর মিহি হো হো করে হেসে দিলো। সূর্য আরশির দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলো। নিধি আর রেহান অভ্রর দিকে তাকালো । ও বেশ স্বাভাবিক ভঙ্গিতে সূর্য আর আরশির দিকে তাকিয়ে আছে। ওর চেহারায় কোনো কষ্ট বা মন খারাপের চিহ্ন নেই। রেহান আর নিধি অবাক হয়ে একে অপরের দিকে তাকালো। ওরা দুজনেই ভাবছে অভ্রর মনে ঠিক কি চলছে!!!

#চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here