#শুভ্র_নীলের_প্রেমপ্রহর
লেখক- এ রহমান
পর্ব ১৮
হঠাৎ ঘটে যাওয়া কিছু কিছু ঘটনা জীবনে স্মরণীয় হয়ে থাকে। কিছু কিছু মুহূর্ত বিশেষ হয়ে জীবনের ডাইরিতে লিপিবদ্ধ হয়ে যায়। সেসব ঘটনা এক সময় হয়ে যায় সুখময় স্মৃতি। দুইদিন যাবত ভ্যাপসা গরমে জন জীবন বিপর্যস্ত। গ্রামের ভাষায় যাকে বলে তাল পাকা গরম। দিন ছোট হওয়ায় খুব তাড়াতাড়ি সন্ধ্যা নেমে আসে। সেই বিশ্রী গরমে একদল তরুন তরুণী সন্ধ্যে বেলায় ছাদে বসে আড্ডা দিচ্ছে। নিজেদের মতো ব্যস্ত সময় কাটছে তাদের। কাজিনদের আড্ডার মাঝেই হঠাৎ করেই আকাশে বিজলির ঝলকানি চোখে পড়ল। গরম কেটে গিয়ে শরীর ঠাণ্ডা করা হিম বাতাস বইতে লাগলো। উপরের দিকে তাকিয়ে ইফতি বলল
–বৃষ্টি হবে মনে হয়।
ইলু আর ইরিনা এক সাথে বলে উঠলো
–বৃষ্টি হলে ভিজব। কতদিন বৃষ্টিতে ভিজিনা।
সবাই সম্মতি দিলো। এমন কি ছোট্ট ইরা ইভানের কোলে বসে ছিল। গলা জড়িয়ে বলল
–ইভান ভাইয়া আমিও ভিজব।
ইভান গাল টেনে বলল
–ঠিক আছে। বৃষ্টি আসুক তখন ভিজব আমরা।
খানিকবাদেই অনেক জোরে মেঘ ডেকে উঠলো। ঈশান ঈশাকে বলল
–তুই এক পাশে গিয়ে দাড়া ঈশা। তোর মাথায় বৃষ্টির পানি পড়লে অসুবিধা হবে।
ঈশা নরম কণ্ঠে বলল
–বৃষ্টি আসুক আমি নিচে চলে যাব।
ইভান ঈশার দিকে তাকাল। নিচের দিকে তাকিয়ে আছে সে। কোন কথা বলল না। কিছুক্ষন পরেই আকাশ ভেঙ্গে বৃষ্টি শুরু হল। সবাই খুশি হল। ঈশা নিচে যাওয়ার জন্য পা বাড়াতেই হাতে টান পড়ল। পিছনে ঘুরে তাকাল। ইভান তার হাত ধরে আছে। সবাই অবাক চোখে তাকিয়ে আছে ইভানের দিকে। ঈশা ততক্ষনে কাক ভেজা হয়ে গেছে। ইভান ঈশার দিকে তাকিয়ে বলল
–একটু ভিজলে তেমন কিছু হয়না।
হাত ছেড়ে দিয়ে সবার দিকে তাকাল। সবাই ইভানের দিকে হা করে তাকিয়ে আছে। কারন ঈশার বৃষ্টিতে ভেজা নিয়ে ইভানের সব থেকে আগে আপত্তি করা উচিৎ ছিল। কিন্তু সেই ভিজতে বলছে। ইভান ভ্রু কুচকে বলল
–মাঝে মাঝে বৃষ্টিতে ভিজলে মন শরীর দুইটাই ভালো থাকে। তাছাড়াও সায়েন্টিফিক্যালি প্রুভড যে বৃষ্টির পানি ডিপ্রেশন কমাতে সাহায্য করে। কিন্তু বেশী সময় নিয়ে ভিজলে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ঈশার দিকে তাকিয়ে বলল
–জাস্ট ১০ মিনিট কিন্তু!
ঈশা মাথা নাড়ল। ঠোটের কোনে চাপা হাসি। সবাই নিরবতা ভেঙ্গে ছোটাছুটি করতে ব্যস্ত হয়ে গেলো। ইরা ইভানের কোল থেকে নেমে গেলো। ইভান রেলিঙ্গে বসে ইরাকে বলল
–টুনটুনি জোরে দৌড়াস না। পড়ে যাবি।
ঈশা ইভানের পাশে গিয়ে বসলো। ইভান হাত দিয়ে ভেজা চুলগুলো ঠিক করছে। ঈশা ইভানের দিকে একবার তাকাল। তারপর তার ঘাড়ে মাথা রাখল। ইভান ঈশার দিকে ঘাড় ফিরিয়ে তাকাল। মাথাটা ঈশার অনেকটা কাছে নিয়ে গেলো। ইভানের চুল বেয়ে ঈশার মুখে টিপটিপ করে পানি পড়ছে। বেশ কিছুটা সময় ওভাবেই দুজনের নিরব অনুভুতির আদান প্রদান হল। কিছু সময় পরে ইভান মুখ ফিরিয়ে সামনে তাকিয়ে আদুরে গলায় বলল
–আর ভিজতে হবে না। নিচে গিয়ে কাপড় চেঞ্জ করে নে। ঠাণ্ডা লাগবে পাখি।
ঈশা কোন কথা বলল না। উঠে ইভানের দিকে একবার তাকিয়ে নিচে চলে গেলো। বাসায় ঢুকতেই ঈশার মা তাকে এভাবে ভিজতে দেখে চেচামেচি শুরু করে দিলো। কিন্তু সেসব কথা ঈশার কানেই গেলনা। তার কানে শুধু ইভানের কথাই বাজছে। সেই সময় ইভান ছাদ নেমে এলো ইরাকে নিয়ে। এভাবে সবাইকে অসময়ে ভিজতে দেখে ঈশার মা আরও রেগে গেলো। ইভান বিচক্ষণতার সাথে পুরো বিষয়টা সামলে নিলো। ঈশার মা আর কিছু বলল না। ইরাকে নিয়ে গেলো ভিতরে। ঈশা দরজার দিকে ঘুরতেই ইভান মৃদু সরে ডাকল।
–ঈশা।
ঈশা ঘুরে তাকাল। ইভান কাছে এসে দাঁড়ালো। আলতো করে কপালে লেপটে থাকা ভেজা চুলগুলো এক আঙ্গুলে সরিয়ে দিয়ে কপালে একটা চুমু দিয়ে বলল
–এত সুন্দর একটা উপহারের জন্য ধন্যবাদ।
কথা শেষ করে ছেড়ে দিয়ে দূরে গেলো। ঈশা দাড়িয়ে থাকল। ইভান সিঁড়ি বেয়ে নেমে গেলো। কিছুদুর গিয়ে নামতে নামতেই বলল
–আমাকে দেখা হয়ে গেলে দয়া করে চেঞ্জ করে নেন ম্যাডাম।
ঈশা হেসে ভিতরে চলে গেলো। এটা সত্যিই জীবনের সুখময় স্মৃতিগুলোর মধ্যে অন্যতম। জীবনের ডাইরিতে লিপিবদ্ধ করে রাখার মতো কিছু ভালবাসার মুহূর্ত।
————
বারান্দার গ্রিলের ফাক দিয়ে মাথা বের করে দেয়া হলুদ অল্কানন্দা ফুলটার গায়ে বিন্দু বিন্দু পানি লেপটে আছে। কি সতেজ লাগছে। ঈশা চুল গুলো মুছতে মুছতে সেদিকেই তাকিয়ে আছে। বৃষ্টির তেজটা কমে এসেছে। মেঘ জমে থাকলেও আগের মতো আর তেমন অন্ধকার নেই। তবে এখন ঝিরিঝিরি বৃষ্টি দেখে মনে হচ্ছে এই বৃষ্টি থাম বার নয়। একটু এগিয়ে নিচের দিকে তাকাতেই দেখল ইভান কার সাথে যেন হেসে হেসে গল্প করছে। এখনও ভেজা কাপড়েই আছে। অনেকটা সময় পার হয়ে গেছে। ঈশা সেই কখন চেঞ্জ করে বেরিয়েছে। এর মাঝে এক কাপ চাও খেয়েছে। চুলের পানি পড়ছিল তাই শুকনো তোয়ালে দিয়ে চুল মুছতে মুছতে বারান্দায় এসে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু ইভান এখনও এখানে দাড়িয়ে কি করছে? আর কার সাথেই বা কথা বলছে? এতক্ষন ভেজা কাপড়ে থাকলে ঠাণ্ডা লাগবে জেনেও সে এখানে দাড়িয়ে গল্প করছে। ঈশা দাড়িয়েই দেখছে। জোরে কথা বলতেও পারবে না। নিষেধ আছে। তাই চুপচাপ দেখছে শুধু। বেশ কিছুক্ষন পর ইভান কথা শেষ করে বাসার ভেতরে চলে গেলো। ঈশা বারান্দায় দাড়িয়েই অপেক্ষা করছে। দৃষ্টি ইভানের বারান্দায় স্থির। ইভান তোয়ালে মেলে দিতে বারান্দায় আসল। ঈশার বারান্দার দিকে খেয়াল করেনি। ঈশা এগিয়ে গিয়ে ক্ষুব্ধ সরে বলল
–কার সাথে এতো গল্প করছিলে?
ইভান ঈশার দিকে তাকাল। বিস্ময় নিয়ে কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে স্বাভাবিক ভাবে বলল
–বন্ধুর সাথে কথা বলছিলাম। কেন?
ঈশা ঝাঝাল গলায় বলল
–এতক্ষন ধরে কি কথা বলছিলে?
ইভান বিস্ময়কর চোখে তাকাল। ঈশার এভাবে কথা বলার কারণটা বুঝতে পারলো না। নরম কণ্ঠে বলল
–এভাবে রিয়াক্ট করার কিছু নাই। ছেলে বন্ধু ছিল মেয়ে নয়। নাকি ছেলে বন্ধুর সাথেও কথা বলা যাবে না?
ইভানের কথা শুনে ঈশা প্রচণ্ড রেগে গেলো। সরু চোখে তাকিয়ে বলল
–ছেলে ছিল না মেয়ে সেটা কি আমি জানতে চেয়েছি? আমার চোখ নাই? আমি দেখিনি?
ইভান ভ্রু কুচকে বলল
–তাহলে? সমস্যাটা কোথায়?
ঈশা ঝাঝাল গলায় একটু জোরেই বলল
–ভেজা কাপড়ে এতক্ষন বৃষ্টির মধ্যে দাড়িয়ে গল্প করার কি দরকার ছিল? বন্ধু কি হারিয়ে যাচ্ছিলো। পরে কথা বলা জেতনা? বন্ধুকে বাসায় নিয়ে আসতে। চেঞ্জ করে তারপর কথা বলতে।
ইভান কোন কথা বলল না। নিরব দৃষ্টিতে ঈশাকে পা থেকে মাথা পর্যন্ত কয়েকবার ভালো করে দেখে নিয়ে বলল
–এরকম ভেজা খোলা চুলে আবেদনময়ী রুপ নিয়ে বারান্দায় আসার কি দরকার ছিল? এরকম হুটহাট বারান্দায় আসা যাওয়া চলতে থাকলে কিন্তু একদিন বারান্দায় আসা বন্ধ করে দেবো। মাথায় থাকে যেন।
ইভানের এরকম ত্যাড়া কথায় চরম রাগ নিয়ে তাকাল ঈশা। সে যা বলতে চেয়েছিল সেটা তো শুনলই না উলটা তাকেই জব্দ করার চেষ্টা করছে। কারন ইভান ভালো করেই বুঝতে পেরেছে ঈশা এখন অযথাই বিষয়টাকে অন্যদিকে নিয়ে যাবে আর ঝগড়া করবে। কিন্তু ইভানের এখন কোনভাবেই ঝগড়া করতে ইচ্ছা করছে না। তাই যাতে আর কথা না বাড়ায় সেই জন্যই তাকে একটু রাগিয়ে দিলো। রাগে ফুসতে ফুসতে উলটা দিকে ঘুরে বলল
–অসহ্য একটা!
কথাটা স্পষ্ট রুপে ইভানের কান পর্যন্ত পৌছালো। মুচকি হেসে গলা তুলে বলল
–আমি অসহ্য হই বা অসভ্য! সবটা কিন্তু একজনের জন্যই। আর এই সব কিছু সহ্য করতে সে বাধ্য।
ঈশা থেমে ঘাড় ঘুরিয়ে কঠিন দৃষ্টিতে তাকাল। ইভানের ঠোটে সেই জ্বালাময়ী হাসি। রাগটা কমার বদলে বেড়ে আরো দিগুন হয়ে গেলো। দ্রুত পায়ে হেটে ঘরে গিয়ে প্রচণ্ড শব্দে দরজা বন্ধ করে দিলো। রাগ কমানর জন্য যা যা করার দরকার সব করলো ঈশা। কিন্তু খুব একটা লাভ হল না। এক সময় ক্লান্ত হয়ে বিছানায় বসে পড়ল। কোন এক গল্পের বইয়ে পড়েছিল যে রাগ হলে নাকি রবিন্দ্র সঙ্গীত শুনতে হয়। তাহলে রাগটা কমে যায়। তাই ফোনে রবিন্দ্র সঙ্গীত ছেড়ে দিলো। বসে বসে মনোযোগ দিয়ে গান শোনার চেষ্টা করছে। রাগটা কতটুকু কমলো সেটা বোঝার আগেই রাজ্যের ঘুম এসে ভর করলো চোখে। এতোটুকু ভালো করে বুঝতে পারলো গান শুনলে রাগ না কমলেও ঘুমটা বেশ হয়। উপায় না দেখে বালিশটা মাথায় দিয়ে শুয়ে পড়ল। ঘুমিয়ে পড়েছিল ঈশা। কতক্ষন ঘুমিয়েছে সেটা বুঝতে পারলো না। কানের কাছে চাপা আওয়াজ শুনে চোখ খুলে ফেলল। ইলু ইরিনা আর ইফতিকে দেখে হুরমুরিয়ে উঠে বসলো। অবাক হল না মোটেই। কারন এরা কখন আসে আর কখন যায় সেটার কোন ঠিক নেই। ক্লান্ত সরে বলল
–তোমরা কখন এলে?
ইলু বলল
–অনেকক্ষণ এসেছি। তুই ঘুমাচ্ছিস তাই ডাকি নি।
ঈশা উঠে ওয়াশ রুমে গেলো। মুখে চোখে পানির ঝাপটা দিয়ে বের হয়ে এলো। বিছানায় বসে বলল
–কয়টা বাজে?
ইফতি ঘড়ি দেখে নিয়ে বলল
–৮.৩০ বাজে।
ঈশা চমকে উঠলো। সেই সন্ধ্যা বেলা ঘুমিয়েছে। এখন অব্দি ঘুমাচ্ছিল? আজ নির্ঘাত সারা রাত জেগে থাকতে হবে। একটা শ্বাস ছেড়ে বলল
–চা খাবে তো? বানাবো?
ইরিনা বলল
–চা পরে খাবো। আগে ফুচকা, চটপটি এসব খাই।
ঈশা অবাক হয়ে বলল
–এসব কই পেলে?
এর মাঝেই ইলু সব কিছু প্লেটে সাজিয়ে নিয়ে এলো। ঈশা খুব খুশি হল এসব দেখে। সবার সাথে মেঝেতে বসে পড়ল। নিজেদের মধ্যে গল্প করছে আর খাচ্ছে। খাওয়ার এক পর্যায়ে ঈশা বলল
–কে এনেছে এগুলা?
ইলু একটা ফুচকা মুখে পুরে অস্পষ্ট সরে বলল
–ইফতি এনেছে।
ঈশা ইফতিকে উদ্দেশ্য করে বলল
–অনেক ধন্যবাদ ভাই। খুব মিস করছিলাম। কতদিন খাইনা এসব।
ইফতি মুখের ফুচকাটা শেষ করে বলল
–আমি আনিনি তো। ইভান ভাইয়া এনেছে। আমাকে দিয়ে বলল এখানে নিয়ে আসতে। আর সাথে ইলু আপু আর ইরিনা আপুকেও ডাকতে। তাই আমি সবাইকে ডেকে নিয়ে আসলাম।
ঈশা ফুচকা টা মুখে ঢুকাতে গিয়েও থেমে গেলো। একটু সময় ভাবল। তার মানে তখনের রাগ ভাঙ্গানোর জন্য এই ব্যবস্থা। একটু হেসে বলল
–তোর ভাইয়া কোথায়?
ইফতি খেতে খেতে বলল
–জানিনা তো। আমাকে দিয়েই চলে গেলো।
ঈশা খাবারটা মুখে পুরে দিলো। ফোনটা হাতে নিয়ে ইভানকে একটা এস এম এস পাঠিয়ে দিলো।
“প্রিয় জিনিস গুলোর জন্য পছন্দের মানুষটাকে অনেক ধন্যবাদ। যদি এসব রাগ ভাঙ্গানোর জন্য হয়ে থাকে তাহলে ‘আই এম ইম্প্রেসড’ ! এখন আর রাগ নেই।”
মেসেজটা ডেলিভারড হতেই একটু হেসে আবার নিজের খাবারে মনোযোগ দিলো। খানিকবাদেই আবার ফোন বেজে উঠলো। ইভানের মেসেজ দেখেই মনটা খুশি হয়ে গেলো। ওপেন করে দেখল
“এতো প্রিয় জিনিস গুলোর জন্য শুধু শুকনো মুখে ধন্যবাদ? পছন্দের মানুষ আমাকে কোন উপহার দিলে আমি ধন্যবাদের সাথে যে আরও বিশেষ কিছু দেই। সেই বিশেষ কিছুর অপেক্ষায় থাকলাম। আর হ্যা কেউ দিতে না চাইলেও কোন সমস্যা নেই। আমার যা দরকার সেটা আমি সময় মতো নিজে থেকে নিয়ে নেই। সো! গেট রেডি টু গিভ সাম্থিং স্পেশাল।”
মেসেজটা পড়ে ঈশার গলায় খাবার আটকে গেলো। সবাই তার দিকে তাকাল। ইফতি পানি এগিয়ে দিলো। পানি খেয়ে ঈশা বোতলটা চেপে ধরে ভাবতে লাগলো। ইভান ঠিক কি বোঝাতে চাইল?
চলবে…………।
(ইভান ঈশার সব গল্পের বিশেষত্ব হল সাধারণত এই দুইটা চরিত্রের উপরে ফোকাস করা হয়। এদের কথোপকথন আর কাজকর্মের বিভিন্ন কাহিনি নিয়েই থিম সাজান হয়ে থাকে। অন্যান্য চরিত্র গুলো তেমন গুরুত্ব পায়না। অন্যান্য চরিত্রের ক্ষেত্রে এদের ঘটনার সাথে সঙ্গতি মেলাতে জতটুকু ফুটে না তুললেই নয় ঠিক তুটুকুই প্রাধান্য পায়। এই গল্পের থিমও এমন ভাবেই সাজানো। এখানে তেমন কোন সাসপেন্স রাখা হয়নি। খুব সহজ স্বাভাবিক একটা গল্প। থিম অনুযায়ী এখন পর্যন্ত তাদের এডুকেশন ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়ে কিছুই ক্লিয়ার করা হয়নি। কারন থিমটা এমন ভাবে সাজান যে এই বিষয়টাতে তেমন গুরুত্ব দেয়া হয়নি। আর থিম সাজাতে গিয়ে সামনে হয়তো এসব তথ্যের প্রয়োজন হবে। তখন সব জানতে পারবেন। আর হ্যা বোনাস পর্বের জন্য সবাই বলছেন। ভাবছি আজকে একটা বোনাস পর্ব দেবো।ধন্যবাদ সবাইকে। )