#পাগল_প্রেমিকা
#sharmin_akter_borsha
#পর্ব_০৪
_______
অভ্র গান শেষ হওয়ার পরপরই বর্ষাকে ওর ঘাড়ের চুল সরিয়ে দিয়ে ঘাড়ে চুমু দিলো। বর্ষা ঘাড়ে কারো ঠোঁটের স্পর্শ পেয়ে বর্ষা পেছনে তাকিয়ে অভ্র কে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয় আর বলে আপনি সুযোগের adventure নিচ্ছেন। আপনি এইটা করার সাহস পেলেন কোথায়? এদিকে অভ্র ভুল বসত নিজেকে সামলাতে না পেরে কিস করে ফেলছে নিজেও বুঝতে পারেনি কি করছিল অভ্র বর্ষাকে কিছু বলবে তার আগেই বর্ষা অভ্রকে আরও কিছু কথা শুনিয়ে স্টেজে তনিমার পাশে গিয়ে মুখ ফুলিয়ে দাড়িয়ে পরল সেম কাজ অভ্র ও করল গিয়ে রিমনের সাইডে দাড়িয়ে পরল। সাইড থেকে দু’জনকেই খোঁচাচ্ছে নাচ শেষে কি হয়েছে এত রাগ করে চলে আসলি কেনো আর ওকে জিজ্ঞেস করছে তুই নিশ্চয়ই কিছু করেছিস তাই রাগ করছে কি করছিস। এখন অভ্র কিছু কিভাবে বলবে? অভ্র কোনো কথা বলছে না বর্ষাও বলছে না। এদিকে নিলয় তনিমাকে উদ্দেশ্য করে তনিমার দিকে তাকিয়ে ওর দিকে একটা প্রশ্ন ছুঁড়ে মারে।
Babs, বিয়ে বাড়িতে সবাই কাউকে না কাউকে পেলো অনন্ত ক্রাশ ও খেলো আর আমি বেচারা কাউকে পছন্দসই হচ্ছে না।আমার জন্য কি কেউ নেই এই বিয়েতে আল্লাহ কাউকে পাঠিয়ে দিন প্লিজ!
নিলয়ের কথা শুনে সবাই শব্দ করে হেসে দিছে। এমনিতে সবাই এসে একটু একটু করে হলুদ ছুঁইয়ে চলে যাচ্ছে ক্যামেরা ম্যান ভিডিও করছে। নিলয়ের কথা শুনে খানিকটা রাগ উঠে বর্ষার তাই স্টেজ থেকে নেমে চলে আসে নিচে ওর বন্ধুদের কাছে। নিরব, মাহিম, মুন্নী, মিম, আনিকা ওদের সাথে দাঁড়িয়ে আছে জুম্মা এখনো আসেনি কিন্তু কিছু ক্ষণের মধ্যে চলে আসবে।
বর্ষা স্টেজ থেকে যাওয়ার সময় অভ্র ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে ছিল অভ্রর ইচ্ছে করছিল হাত ধরে টেনে বুকের সাথে মিশিয়ে নেই কিন্তু যা মানুষ পরে ঝাড়ুর বারি খেতে হবে আর বিয়েও ভাঙবে ভেবে বিরক্তি নিয়ে আড়চোখে বর্ষা কে দেখছে।
তনিমা হাসি বন্ধ করে নিলয়কে বলে।
তোমার নিলয় আমাদের একজনকেই ভালো লাগবে। আর লাগবে কি তুমি তার প্রেমেই পরে যাবা প্রথম দর্শনে কিন্তু তোমার কপাল খারাপ সে আসেনি!
সামিয়া, কার কথা বলছো তুমি?
অভ্র, কে সে যাকে দেখলে আমাদের হিরো প্রেমে পড়ে যাবে?
নিলয়, কে সে আর আসেনি কেনো?
রিমা ভ্রু নাচিয়ে জিজ্ঞেস করল,,, কার কথা বলছো তুমি তাপ্পি?
তনিমা, সে কে আরে সে তো আমাদের পাগল প্রেমিকা! (হাসতে হাসতে)
নিলয়, পাগল প্রেমিকা মানে কি পাগল নাকি?
অভ্র, ও মানে এখন বুঝলাম সে এখন পাবনা আছে।
সামিয়া, তিয়া, পাগল প্রেমিকা কেনো বললা তুমি তনি ওর কি নাম কি আর পাগল প্রেমিকার পেছনে রহস্য কি?তনি হাসি থামিয়ে বলল রহস্য নেই কোনো শুধু ভালোবাসা আছে।
নিলয়, মানে এত পেহেলিয়া কেনো বুঝাচ্ছো সোজাসাপ্টা বলো।
তনি, আচ্ছা বাবা বলছি আমাদের পাগল প্রেমিকা একটা ছেলেকে ভালোবাসতো সে বাসতো না ছেড়ে চলে যায় আর তার চলে যাওয়ার পর আমাদের পাগল প্রেমিকা অনেক পাগলামো করে তাই ওকে আমরা পাগল প্রেমিকাই বলি।
অভ্র, এই পাগল প্রমিকার আধও কোনো নাম আছে নাকি নেই?
নিলয়, কাহিনি টা বেশ interesting লাগছে পাগল প্রেমিকার গল্প টা কি অন্তত আমি শুনতে চাই।
আমিও শুনতে চাই, আমিও শুনতে চাই, আমিও শুনতে চাই, আমিও শুনতে চাই, আমিও শুনতে চাই,
বাহ সবাই শুনতে চায় মনে হচ্ছে এখানে চকোলেট বিক্রি হচ্ছে সবাই বলছে আমাকেও একটা দাও হুহ। মনে মনে কথাগুলো বলেই মুখের একটা ভেংচি কাটে রিমা। পাগল প্রেমিকার গল্প সম্পূর্ণ জানে রিমা আর বর্ষা তাই ওদেরকেই বলো শোনাবে কি না।
এই খানে চুপচাপ দাঁড়িয়ে বসে থেকে বোরিং হওয়ার চেয়ে গল্পটা শোনা ভালো প্লিজ Babs বর্ষাকে একটু রিকুয়েষ্ট কর প্লিজ…..
তনিমা তার দেওর দের অনুরোধ ফেরাতে পারেনি বর্ষাকে ডাকে বর্ষা ওর তাপ্পির ডাক শুনে আবারও স্টেজে আসে আর জিজ্ঞেস করে কোনো কিছু লাগবে কি না বা কেনো ডাকছো? তনিমা প্রতিউত্তরে রিকুয়েষ্ট করে বলে পাগল প্রেমিকার গল্পটা ওদের শোনাতে বর্ষা শুরুতে রাজি হয়না পরে সবার এত বার বলায় রাজি হয়ে যায়।
বর্ষাকে একটা চেয়ার এনে দেওয়া হয় আর চেয়ারে বসে রিলাক্স হচ্ছে কোথা থেকে শুরু করবে কিভাবে করবে। বর্ষা কিছু বলতে যাবে তার আগে নিলয় বলল..
পাগল প্রেমিকার নামই যদি না জানি তাহলে গল্পটা শুনে মজা পাবো না।
গল্পের শুরুতে নাম বললে এমনি তেও মজা পাবেন না গল্পের মধ্যে আমি বলে দিবো।
অভ্র, গল্পের মধ্যে তুমি থাকবে তো তাহলে গল্পটা শুনতে ভালো লাগবে।
আজব! (বর্ষা চোখ বড়বড় করে তাকালো)
এভাবে তাকিও না তোমার চোখের সাগরে ডুব দিতে ইচ্ছে করবে আবার আমার আর তোমার এই টুকু চোখে আমি ডুব দিতে পারবো না। (অভ্র)
আল্লাহ গো কেমন মার্কা পোলা ফাজিল! (মনে মনে)
(গল্পের মূল কাহিনিতে যাওয়ার আগে বলবো এখান থেকে গল্পের ঘটনা সত্য তাই মন দিয়ে পড়বেন)
আমরা তিন বোন ছোটো থেকেই কেউ কাউকে ছাড়া থাকতে পারি না। নিজেদের রুমেও রাতে একা থাকতাম না তিন জনে এক সাথে থাকতাম সারাদিন রাত শুধু দুষ্টামি করতাম। প্রচুর দুষ্ট ও ফাজিল ছিলাম সারাদিন দুষ্টামি ফাজলামি করেই পার করতাম। আমাদের তিনজনের উপর বিরক্ত হতো আর আমাদের জ্বালানোর একটা সুযোগ ও হাত ছাড়া করতো না কাব্য নাহিদ আর অপূর্ব আর ওদের তিনজনকে শিক্ষা দিতো আমাদের পাগল প্রেমিকা বৃষ্টি….
বর্ষার মুখে বৃষ্টি নাম শুনে সবাই অবাক হয়ে গেলো চোখ ছোটো করে ফেলে আর একে অপরের মুখের দিকে তাকাচ্ছে কারণ আমিও জানি না চলুন গল্পে..
ওইদিন ছিলো সপ্তাহের শুক্রবার বাড়ির সবার ছুটির দিন আর আমরাও মাসে একদিন আমাদের বাগান বাড়িতে গিয়ে সবাই আনন্দ করে কাটাই সেদিন ও আমরা সবাই। পৌঁছাতে পৌঁছাতে সন্ধ্যা হয়ে যায় কারণ বাড়ির কেউ যেতে চাচ্ছিল না বলে অন্য দিন যাবে কিন্তু আমরা জানতাম ওইদিন না গেলে আর যাওয়াই হবেনা।তাই তিনজনে জোর করেই সবাইকে রাজি করাই যাওয়ার জন্য পৌঁছে সন্ধ্যা হয়ে গেছে তাই আর বাহিরে ঘুরতে যেতে পারিনি। বাড়িতে থাকি রাতে খেয়ে তিনজন এক সাথেই রুমে ঢুকি তারপর.।
#চলবে?