প্রেম_পাগলামি #নিহীন_রুবাইয়াত #পর্ব:১৬

0
417

#প্রেম_পাগলামি
#নিহীন_রুবাইয়াত
#পর্ব:১৬

শিবলি ভাইয়ার সাথে খারাপ ব্যবহার করে বেশ খারাপ লাগছে।ধুর!কেন করলাম এমন??ভাইয়াকে সরি বলা দরকার,ওনাকে খোজার জন্য যেই উল্টা ঘুরে হাটতে গিছি,মনে হলো কোন এক দেয়ালের সাথে ধাক্কা খেলাম।পড়ে যেতে যাচ্ছিলাম কিন্তু কেউ আমায় ধরে ফেলে।নাহ,এইবারো এটা কোন দেয়াল না,সৌভিক ভাই আর উনিই আমাকে ধরেছে।আমি যখনি পড়তে যায় এই লোকটা কোথা থেকে যে টপকে পড়ে বুঝি না অবশ্য আমি পড়তেও যায় ওনার জন্যই।উনি আমার হাত ছেড়ে দিলেন।
–তোমাকে কখন বলা হয়েছে ক্যান্টিনে আসার কথা,আসোনি কেন?
–আসলে আমি
–এখন ওতো আসলে নকলে করার সময় নেই।চলো

উনি আমার হাত ধরে গটগট করে হাটছেন।আমি তো পুরো অবাক ওনার এ কান্ডে।আশেপাশে চোখ পড়তেই দেখলাম মেয়েরা সব তাকিয়ে আছে,চোখে হিংসা।কেউ কেউ তো এমনভাবে তাকাচ্ছে যে আমাকে খেয়ে ফেলবে।সবার ক্রাশ নাকি আমার হাত ধরে হাটছে,সবাই তো একটু তাকাবেই।এসব ভাবনার মাঝে খেয়ালি হলো না উনি কেন আমার হাত ধরে এভাবে হাটছে।হটাত খেয়াল হলো,ও এম জি।উনি এভাবে আমার হাত ধরে হাটায় সবাই তাকায় আছে আর কি না কি ভাবছে আল্লাহই জানে।এটা দেখতেও তো বাজে দেখাচ্ছে।
–কি করছেন আপনি?আমার হাত ছাড়ুন প্লিজ,সবাই তাকিয়ে আছে তো।খারাপ দেখা যাচ্ছে তো।
কে শোনে কার কার কথা।তার কানে কি কোন কথা যায়।গাড়ির কাছে এসে হাত ছেড়ে দিলো।আমি যেন হাফ ছেড়ে বাঁচলাম,বুকে হাত দিয়ে কয়েকবারা লম্বা নিশ্বাস নিলাম।

–গাড়িতে ওঠো
–……..
–কি হলো গাড়িতে উঠতে বললাম তো।
–হুম?কিছু বললেন?

উনি ভ্রু কুচকে তাকালেন,মুখ চোয়াল শক্ত করে বললেন,,
–তুমি কি বয়রা?
–কি?বয়রা হবো কেন?
–তাহলে গাড়িতে উঠতে বললাম তা কথা কানে গেল না?
–গাড়িতে কেন উঠবো?
–আমি বলছি তাই।
–কিন্তু..

উনি আর আমার কোন কথা শুনলেন না,হাত ধরে গাড়ির ভিতরে জোর করে বসিয়ে দিলেন।ওনার এমন ব্যবহারে আমার কলিজা শুকিয়ে যাচ্ছে।ওনার মুখ দেখে তো খুব রাগী লাগছে,কিন্তু আমি যে এবার কোন ভুল করেছি বলে মনে হলো না।উনি ড্রাইভিং সিটে বসলেন।
–সিট বেল্ট লাগাও।

ওনার কথাটা আমার কানেই গেলো না যেন।উনি নিজেই আমার সিট বেল্ট বেধে দিলো।সিট বেল্ট বাধার সময় উনি আমার অনেক ক্লোজ হয়ে গেছিলেন,ওনার গরম নিশ্বাস আমার মুখে এসে পড়ছিলো আর কেন জানি না আমার হার্টবিট খুব জোরে জোরে ওঠানামা করছিল।উনি আমার সিট বেল্ট বাধা শেষে গাড়ি চালান শুরু করলেন।আমি জানালার বাইরে তাকিয়ে কয়েকবার ঘন ঘন নিশ্বাস নিয়ে ওনার দিকে তাকালাম।উনি এক ধ্যানে ড্রাইভ করছে।মুখে কোন হাসি নেই,চোখ মুখ লাল হয়ে আছে। আমার হাত পা কাপছে ভয়ে।মনে মনে কিছুক্ষন ভাবলাম আমি কোন ভুল করেছি কিনা,না তেমন কিছু তো করিনি শুধু মাত্র শিবলি ভাইয়ার সাথে তখন কিন্তু এটা তো ওনার জানার কথা না।উনি তো তারপর পরি এলেন,এইটুকু সময়ের মধ্যে তো শিবলি ভাইয়ার সাথে ওনার কথা হওয়ার কথা না।ধুর তাহলে উনি এভাবে রেগে আছেন বা কেন আর আমাকেই বা কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন??ওনার কাছেই শুনতে হবে।বুকে সাহস নিয়ে জিজ্ঞেস করলাম,

–আপনি কি কোন কারনে আমার ওপর রেগে আছেন?আমি কি কোন ভুল করেছি?
–…………………………
–দেখুন আমি সত্যিই যদি কোন ভুল করে থাকি তাহলে ইচ্ছা করে করিনি,সত্যি বলছি।
–……….
–আমি সত্যিই,
–আমি কি তোমাকে বলেছি তুমি কোন ভুল করেছো?এতো বেশি বোঝ কেন তুমি?(একবার আড়চোখে তাকিয়ে কথাটা বলে আবার গাড়ি চালানোই মন দেন)

মনে মনে একটু হাফ ছেড়ে বাঁচলাম,যাক আমি কোন ভুল করিনি।কিন্তু উনি তাহলে এভাবে বসে আছেন কেন?এই মানুষটাকে আমি একদমি বুঝি না।উনি যে আমার ওপর রেগে নেই এই ব্যাপারটা ভেবে তো একটু শান্তি পেলাম কিন্তু আমাকে নিয়ে উনি যাচ্ছেন কোথায়?শুনবো কি একবার?না না থাক না শুনাই ভালো,দেখা গেলো কোথায় যাচ্ছি এটা শুনে আবার রেগে যাচ্ছে।অসভ্যটার তো আবার রাগের টাইম টেবিল নাই,যখন তখন রেগে যায়।আচ্ছা আমি শুনবো নাই বা কেন?আর ওনাকে এতো ভয় পাওয়ারি বা কি আছে?উনি কি বাঘ না ভাল্লুক যে ভয় পেতে হবে?আর তাছাড়া এভাবে একটা মেয়েকে বলা নেই কওয়া নেই উনি কোথাও নিয়ে যেতে পারেন না।বলা তো যায় না আমাকে যদি কিডন্যাপ করে ফেলে বা কোথাও যেয়ে যদি কিছু করে ফেলে বা মেরে ফেলে।কথাটা ভাবতেই বুকের মধ্যে কেপে উঠলো,বুকে হাত দিয়ে আতকে উঠেছি।ওনার দিকে একবার তাকালাম উনি সামনের দিকে তাকিয়ে এখনো চোখমুখ শক্ত করে গাড়ি চালাচ্ছেন।আমার ভয় আরো বেড়ে গেলো,মনে মনে আল্লাহর নাম নিচ্ছি।মনের মধ্যে শুধু মনে হচ্ছে আজকেই আমার শেষ দিন,আমি আর বাড়ি ফিরতে পারবো না,মা-বাবা,দাদির মুখ দেখতেতে পারবো না।সামনে নিলু আপার বিয়ে,যদিও ওর সাথে আমার ভালো বনে না কিন্তু ওর বিয়ে নিয়ে আমার অনেক প্লান ছিলো।কিছুই আর হবে না,খুব কান্না পাচ্ছে।কিন্তু উনি তো এতোটাও খারাপ না তাহলে উনি কেন করবেন আমার ক্ষতি??মনে মনে এসবি ভাবছি।

–আমি বাঘ ভাল্লুক না যে আমাকে ভয় পাওয়া লাগবে আর আমি ওতোটাও খারাপ না যে একা একটা মেয়েকে কোথাও নিয়ে যেয়ে ক্ষতি করে দেবো।

ওনার মুখে কথাটা শুনে আমি সাথে সাথে তাকালাম।উনি মুচকি হেসে বললেন,,
–আমি তোমাকে কিডন্যাপ করছি না অন্য কোন ক্ষতিও করব না।তাই বি কুল।

উনি আবার মুচকি একটা হাসি দিলেন।আমি তো ভাবছি উনি কিভাবে জানলেন আমি এসব ভাবছি?উনি কি তাহলে মনের কথা বুঝতে পারেন নাকি?আর সত্যিই তো উনি তো ওমন ছেলে না।আমিই বেশি বেশি ভেবে ফেলেছি,যদি সত্যিই উনি বুঝতে পারেন তাহলে আমার এই বোকামিটা কি না কি ভাববেন,ছি লজ্জার ব্যাপার।নিজের এসব উল্টা পাল্টা ভাবনার জন্য মাথায় নিজেই একটা চাটি মারলাম।উনি খেয়াল করে একটু মুচকি হাসলেন আমি লজ্জায় পড়ে গেলাম।আমি জানালার দিকে তাকিয়ে রইলাম,ওনার দিকে তাকানোর মতো সাহস পেলাম না।কিন্তু মনের মধ্যে একটা কথায় ভাসছে আমরা যাচ্ছি কোথায়?ভার্সিটি থেকে বেশ দূরে চলে এসেছি।ওনার কাছে দুয়েকবার জিজ্ঞেস করতে যেয়েও করলাম না।উনি হটাত করেই ব্রেক কসলেন,আমি সামনের দিকে হুমড়ি খেয়ে পড়তাম ভাগ্যিস সিট বেল্ট বাধা ছিলো।উনি ওনার ফোন নিয়ে কিছু একটা করলেন,তারপর ফোন রেখে আমার দিকে তাকিয়ে,
–তোমার ফোন বের করো।
–কেন?
–যা বলছি তাই করো।

আমি ওনার কথা মতো ফোন বের করলাম।
–লক খোলো
–……….(আমি ওনার দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকালাম)
–লক খুলতে বলেছি লক খোলো(উনি একটু চিল্লিয়ে ওঠেন)

আমি লাফ দিয়ে উঠে তাড়াতাড়ি লক খুলে দিই।লক খুলার সাথে সাথে উনি আমার হাত থেকে ফোনটা নিয়ে নেন।
–আমার ফোন..
–খেয়ে ফেলবান না তোমার ফোন,দিয়ে দিচ্ছি ওয়েট।

এই লোকটার কিছু কিছু ব্যবহারে মনে হয় দিই নাকে এক ঘুষি।ভালো করে কথা বলতে ককি খুব কষ্ট হয় ওনার??ফালতু লোক একটা।উনি আমার ফোন নিয়ে কিছু একটা করলেন,আমি আড়চোখে দেখার চেষ্টা করলাম কিন্তু কোন লাভ হলো না।মিনিট পাঁচেক পর উনি আমার ফোন দিয়ে দেন।

–কি করছিলেন আমার ফোনে??
–………..
–আজব তো কথা বলেন না কেন?বলবেন তো কি করছিলেন?
–চেক করছিলাম বি এফ এর সাথে কেমন চ্যাটিং করো।
–কি?আমার কোন বি এফ নেই।আপনি কি বলছেন এসব?আমি পিউর সিংগেল,জীবনে কোনদিন এসব প্রেম-ট্রেম করিনি।ওসব করে সময় নষ্ট করার কোন মানেই হয় না।
–উফফ!!থামবে তুমি??(উনি গাড়ির সামনে এক ঘুষি দেন।আমি লাফ মেরে উঠি)
–এরকম করার কি আছে আমি তো জাস্ট,,
–চুপ।আর একটা কথা যদি বলো তো খবর আছে।

আমার খুব রাগ হয়ে গেলো।আসভ্য লোক কোথাকার।নিজেই আমার ফোন নিয়ে ঘুটুমুটু করছিলো আবার আমি কি করছে জানতে চাইলেই রাগ দেখাচ্ছে।অসভ্য,শয়তান,বদমাস লোক।এসব ভাবতে ভাবতেই গাড়ির জানালাই একটা ছেলে নক দিলো।উনি জানালা খুলে দিলেন
–ভাই আপনার প্যাকেটটা।
–দে।(উনি ছেলেটার কাছ থেকে প্যাকেট নিলেন একটা আর ওনার ওয়ালেট থেকে পাঁচশ টাকার একটা নোট বের করে ছেলেটাকে দিলেন।ছেলেটা মুচকি হেসে টাকাটা নেই)
–ভাই তাহলে আসি।
–আচ্ছা।

ছেলেটা চলে গেলো।উনি প্যাকেট খুলে একটা খাবারের বক্স বের করেন।কোন একটা রেস্টুরেন্ট এর নাম লেখা আছে।খাবার দেখেই আমার খুদা পেয়ে গেলো।এমনিতেই সকালে খাইনি।উনি বক্সটা খুলতেই দেখি একটা বার্গার আর একটা পেস্ট্রি।
উনি বলে উঠলেন,
–কাল রাত থেকে কিছু খাইনি।খুব খুদা পেয়েছে,খেয়ে নিই আগে।ওকে?

বার্গার দেখে আমার পেটের ভিতরের ইঁদুরটা আরো বেশি বেশি দৌড়াচ্ছে যেন।উনি বার্গারটা হাতে নিয়ে এক কামড় দিতে গেলেন।আমি বার্গারটার দিকে তাকিয়ে আছি।ওনার হা করার আগেই আমি বার্গার দেখে হা করেছিলাম।এমনিতেই খুদা আছে পেটে আরো সামনে আমার ফেভারিট বার্গার,লোভ সামলানো মুশকিল।আমার হা দেখে উনি বললেন।
–খাবে তুমি?
–হুম?
–বলছি খাবে?

আমি বাচ্চাদের মতো মুখ করে মাথা নাড়ালাম যে খাবো না।উনি আবার বার্গার নিয়ে মুখে দিতে যাচ্ছিলেন তার আগে জিজ্ঞেস করলেন,
–তুমি সকালে কি খেয়েছো?
আমি মুখ শুকনো করে বললাম,
–খাইনি কিছু।
–কি খাওনি মানে?খাওনি কেন তুমি?(উনি উত্তেজিত হয়ে পড়েন)
–সকালে টাইম পাইনি,ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে গেছিলো তাই আর খাওয়া হয়নি।
–টাইম পাওনি মানে কি?ঘুম থেকে তাড়াতাড়ি ওঠা যায় না?আর বাসায় খাইতে পারোনি ঠিক আছে,গাড়িতে বসে তো খেয়ে নিতে পারতে।আগে বলোনি কেন তুমি যে সকাল থেকে এখনো না খেয়ে আছো?তোমাকে নিয়ে আর পারা যায় না।

উনি আমাকে একটু বকা দিলেন আমি বাচ্চাদের মতো চুপ করে বসে রইলাম।উনি এবার হাতের বার্গারটা বক্সে রেখে আমার দিকে বক্সটা এগিয়ে দিলেন।
–এই নাও খাও।

আমি ওনার দিকে বোকার মতো তাকিয়ে থাকলাম
–কি হলো ধরো এটা।
আমি এখনো তাকিয়েই আছি।
–নিহীইইইন
–জ্বি(আমি লাফ দিয়ে উঠলাম)
–কি দেখছ ওভাবে ধরো এটা আর খাও।
–কিন্তু ওটা তো আপনার ছিলো।আমি কিভাবে খাবো?
–তোমার ওতো ভাবা লাগবে না।তুমি খাও
–আমি না হয় সকাল থেকে খাইনি কিন্তু আপনি তো কাল রাত থেকে খাননি,আপনার তো আরো…
–তোমার এতো বোঝা লাগবে না,খেতে বলেছি খাবে।

আমি আর বেশি কিছু বললাম না।কারন বার্গার দেখে আমার পেটে যে ইঁদুর দৌড়াচ্ছে এখন যদি আমি এটা না খায় সারাদিন আমার মন খারাপ থাকবে।আমি এক কামড় নিলাম,ওনার দিকে তাকাতেই দেখি উনিও খাবারের দিকে তাকিয়ে আছে।আমার তাকানো দেখে বেচারা চোখ সরিয়ে নিলো।আমার বেশ খারাপ লাগল।আমার জন্য ওনার খাওয়াটা হলো না,ওনারো তো অনেক খুদা পেয়েছে।পেস্ট্রিটার দিকে চোখ যেতেই আমার একটু ভালো লাগল আমি ওনার দিকে তাকিয়ে বললাম,
–আপনি পেস্ট্রটা খান।
–কিন্তু তোমার তো….
–প্রব্লেম নাই।আমার একটা বার্গারেই হবে।আপনি এটা খান।

উনি আর একটা কথাও বললেন না।পেস্ট্রিটা হাতে নিয়েই খাওয়া শুরু করে দিলেন।এমনভাবে খাচ্ছেন যেন কত বছর খাবার খাননি।ওনার হয়ত অনেক বেশিই খুদা পেয়েছিলো।উনি পেস্ট্রিটা শেষ করেই পানির বোতল থেকে ঢকঢক করে পানি খেয়ে নিলেন।তারপর পেটে হাত দিয়ে স্বস্তির নিশ্বাস ফেললেন।আমি এতোক্ষন ওনার কান্ড দেখছি,উনি হটাত আমার দিকে তাকালেন,
–বসে আছো কেন তুমি?খাও..(আমি নিজের চোখ সরিয়ে নিলাম)
–হুম খাচ্ছি।

আমি খাওয়ায় মন দিলাম।খাওয়া শেষ করে পানি খেয়ে নিলাম।উনি আবার গাড়ি স্টার্ট দিলেন।পেটে খাবার পড়াই বেশ শান্তি লাগছে।উনি মিউজিক অন করলেন,

~~ভালোবেসে সখী নৃিভিতে যতনে আমার নামটি লিখ তোমার মনেরো মন্দিরে।

গানটা আমার বেশ ভালোই লাগে।আমি চোখ বন্ধ করলাম।আমার এখন আর কেমন কেমন লাগছে না।আমি ওনার সাথে কোথায় যাচ্ছি কেন যাচ্ছি এসব কিছুই আর আমার মাথায় আসলো না।গানটা শুনছি মন দিয়ে।গান শুনতেতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়লাম।

ঘুমের মাঝেই মনে হলো কেউ আমার মাথায় হাত বুলাচ্ছে খুব যত্নে।আমার খুব চোখ খুলতে ইচ্ছা করছে,কে এতো যত্নে আমার মাথায় হাত বুলাচ্ছে জানতে ইচ্ছা করছে কিন্তু আমি তাকালাম না।আমার বেশ ভালো লাগছে,হাতের স্পর্শটা খুব চেনা লাগছে আমার,যেন এই স্পর্শ আমি আগেও পেয়েছি।

চলবে…………….
(কোন ভুলত্রুটি হলে ক্ষমা করবেন।আর নেক্সট নেক্সট না করে গল্পটা কেমন লাগছে সেটা জানালে বেশি খুশি হবো।ধন্যবাদ)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here