প্রেম_পাগলামি #পর্ব:৭ #নিহীন_রুবাইয়াত

0
533

#প্রেম_পাগলামি
#পর্ব:৭
#নিহীন_রুবাইয়াত

–সবার সামনে উনি আমাকে অপমান করলেন,আমার মতো মানুষের সামনে নাকি উনি গান গাইবেন না।বলি আমার সামনে গান গাইলে কি মান খোয়া যেত?ফালতু লোক,সবসময় আমার মন খারাপ করে দেয়।

–এই নিহীন একা একা কি বিড়বিড় করছো এখানে বসে??

(শাওনের কথাই খেয়াল করলাম,আমি পুকুর পাড় থেকে ওনার কথা ভাবতে ভাবতে মাঠের মাঝখানে এসে গেছি।)

–নিহীইইইইন…কই হারায় গেলে??
–না না কই আর হারাবো?(হাসার চেষ্টা করে)
–এখানে দাড়িয়ে কি করছো?ক্লাসে যাওনি কেন?
–ইশ!ক্লাস আছে তো…চলো চলো
–আরে দাড়াও দাড়াও।ক্লাস অলরেডি শুরু হয়ে গেছে এখন যেয়ে লাভ নেই পরের ক্লাসে যেও।এবার বলোতো কি বিড়বিড় করছিলে?
–কিছু না।
–আমি তো তোমার বন্ধু আমাকেও বলবেও না।

(আমি না এই শাওনকে বুঝি না।যখন সামনে থেকে নরমাল ফ্রেন্ডদের মতো বিহেভ করে কিন্তু ম্যাসেজিং বা চ্যাটে কথা বলার সময় কেমন ফ্লার্টিং আর রোমান্টিক।)
–ওই..
–হুম
–কি বলছিলে।
–জানো আজ ওনার সাথে দেখা হলো কিন্তু উনি আমার সাথে আজকেও খারাপ ব্যবহার করলেন।
–উনি টা আবার কে?
–ওই সৌভ..না না কেউ না।
–আচ্ছা,ফার্স্ট ক্লাস প্রায় শেষের দিকে।
–হ্যা তাই তো চল ক্লাসে যায়।
–তুমি যাও আমি আসছি।
–ওকে…

শাওনকে বিদায় দিয়ে আমি চলে আসি আর শাওন ওর ফোন বের করে কাউকে কল দেই,,
–তোর প্রব্লেম টা কি বলবি?সবসময় রুড বিহেভ না করলে হয় না?(অনেক্টা রেগে কথাটা বলে সে)
–…………………..
–মেয়েটা অনেক ভালো আর কষ্ট দিস না।এভাবে আর কতদিন চলবি?
–……………………
–ঠিক আছে এটাই লাস্ট টাইম।এরপর আমি কিন্তু আর চুপ থাকবো না,সত্যিটা বলে দেবো।এখন ক্লাসে যাচ্ছি।বাসায় যেয়ে কথা হবে।
–…………………..
–ওকে বাই।

ক্লাস শেষ করে নিহীন আর মীরা হাটছে।মীরা বার বার নিষেধ করছে সৌভিকের কথাই যেন মন খারাপ না করে কিন্তু নিহীন তাও মুখটা গোমড়া করে আছে।মীরা কতো জোক বলে তার মুড অন করার ট্রাই করলো।তাতেও কাজ হলো না।
–নিহু আইসক্রিম খাবি?
–না।
–তোর ফেভারিট কুলফি মালাই ফ্লেভার।আমি খাওয়াচ্ছি।
–খাবো না
–না খেতে হবে।আমার খুব ইচ্ছা করছে তাই তোর ও খেতে হবে।
(মীরার কুলফি মালাই একদম পছন্দ না তাও সে আমার জন্য এটা খেতে চাচ্ছে বুঝলাম।বেশ ভালো লাগলো।আমার বেষ্টু সত্যিই আমাকে অনেক ভালোবাসে)
–ঠিক আছে।খাবো।
–ওকে তুই দাড়া আমি এক্ষনি নিয়ে আসছি।

মীরা রাস্তা পার হয়ে দোকানে গেলো।আমি দাড়িয়ে আছি।ভাবছি ওনার কথা,উনি তো ওমন না করলেও পারে।মীরা ডাক দিলো।

–নিহীইইইইইইন
–কি হয়েএএএএএএছেএএএএএ??
–একটু এদিইইকেএএ আই নাআআ।কুলফি নেই এখানেএএএ,অন্য কিছু নিতেএএএ হবেএএএএ।

ধুর আবার ওদিকে যাওয়া লাগবে।কিন্তু আমি তো রাস্তা পার হতে পারিনা।কি করবো এখন।না গেলেও মীরার খারাপ লাগবে।
আল্লাহ আল্লাহ করতে করতে হাটা শুরু করলাম।আল্লাহ রক্ষা করো।আল্লাহর নাম নিয়ে রাস্তার মাঝ পর্যন্ত চলে গেলাম কিন্তু কি মনে করে ডান সাইডে তাকিয়েই ভয় পেলাম।একটা ট্রাক এদিকেই আসছে।আমাকে এখনি মেরে দেবে এই ভয় পেয়ে আমার পা থেমে গেলো,আমি এক পাও এগোতে পারলাম না।চোখমুখ খিচে কানে হাত দিয়ে চেপে ধরে দাড়িয়ে পড়লাম।শেষ মুহুর্তে আম্মু আর বাবার মুখটা মনে পড়লো কিন্তু আরো একটা চেহেরা ভেসে উঠলো।এক বছর আগে যেদিন প্রথম দেখছিলাম গাড়ির পাশে দাড়িয়ে ছিলেন উনি সেইদিনের ফেসটা।খুব জোরে ধাক্কা খেলাম মনে হলো।আমি এখনো চোখ বন্ধ করেই আছি।তবে কেন জানি না মনে হচ্ছে কেউ আমাকে খুব শক্ত করে ধরে আছে।আমি বেচে আছি কি মরে গেছি বুঝতে পারলাম না।

আমার মুখ ধরে কেউ ঝাকাচ্ছে,,
–নিহীন,নিহীন।তুমি ঠিক আছো??নিহীন,চোখ খোলো প্লিজ।

(আমি আস্তে আস্তে চোখ খুললাম।আশেপাশে তাকিয়ে দেখলাম প্রথমে তারপর সামনে তাকাতেই দেখি সৌভিক ভাইয়া।ওনার মুখ দেখে মনে হচ্ছে উনি খুব ভয় পেয়ে আছে।শীতকাল তাও ওনার কপাল,নাক ঘেমে গেছে।আমি বুঝতে পারছি না মৃত্যুর পরও ওনাকে আমার সামনে দেখতে পাচ্ছি।আচ্ছা আমি তো আর বেচে নেই তাহলে আম্মু বা বাবা কেন সামনে এলো না উনি কেন??)

–নিহীন কথা বলো..
–যখন বেচে ছিলাম তখন তো খালি অপমান করতেন এখন মারা যাওয়ার পর আইছেন কেন?(অভিমানী সূরে)
–বেচে ছিলে মানে?(উনি বেশ অবাক হলো)
–বেচে ছিলাম মানে আমি তো এখন মারা গেছি।ওই ট্রাকটা তো আমাকে মেরে দিয়ে গেলো।

(আমার এমন একটা কথা শুনে উনি হয়তো বুঝতে পারছেন না কিভবে রিয়াক্ট করবে।)

–আম্মু তোমার ছোট্ট মেয়েটা মরেই গেলো।তুমি ভালো থেকো।বাবা তুমিও…(আমি প্রায় কান্না করে দিয়েছি)

উনি এবার হেসেই দিলো।আমি ওনার দিকে রাগী একটা ফেস নিয়ে তাকালাম।উনি হাসি থামিয়ে দিলেন।

–আমি মারা গিয়েছি আর আপনি এতো খুশি হচ্ছেন?

উনি কিছুক্ষন নীরব হয়ে তাকিয়ে থাকলো তারপর আমাকে ছেড়ে দিয়ে হোহহোহো করে হেসে দিলো।যে সে হাসি না পেট ধরে হাসছে।হাসতে হাসতে ফুটপাতে বসে পড়েছে।আমি ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছি।

–হাসছেন কেন?
–তোমার কথা শুনে।
–কি এমন বললাম আমি?
–ওই যে তুমি,,হাহাহাহহাহায়া তুমি হাহাহাহহাহহায়া
–না হেসে বলবেন?(আমি রাগ করে উঠলাম)
–বলছি বলছি।আগে আমাকে উঠাও।

উনি হাসিটা কোন রকমে থামালেন।আমি হাত বাড়িয়ে ওনাকে উঠতে সাহায্য করলাম।

–এবার বলেন।
–আচ্ছা তুমি এতো বোকা কেন?
–আমি বোকা হবো কেন?আপনি বোকা আপনার বৌ বোকা।
–হ্যা তা ঠিক আমার বৌ বোকা(উনি আবার হাসতে লাগলেন।চোখ ঢেকে ওনার হাসি দেখে আমি ক্রাশ খেলাম আবার।কিন্তু মনে মনে ওনেক কষ্ট পেলাম।আমি তো আর বেচে নেই।ক্রাশ খেয়েও লাভ কি?)
–হুম বোকা।আপনি তো অসভ্য একটা।বেচে থাক্তে তো ভালো করে কথাও বলেননি আর এখন এতো কথা।ঢং…
–আরে কি বেচে থাক্তে বেচে থাক্তে করছো?তোমার কিছু হয়নি।তুমি মরো নাই এখোনো।
–কিহ আমি ররিনি?
–না রে ভাই…
–সত্যি?
–হুম সত্যি?
–একটা চিমটি কাটেন তো?
–চিমটি কেন??
–আরে কাটেন তো আগে।
–ওকে।

উনি আমার হাতে খুব জোরে চিমটি কাটলেন।আমি ব্যাথায় আহ করে উঠলাম।কিন্তু একটু পরি খেয়াল হল আমার ব্যথা লেগেছে তার মানে এটা সত্যি।আমি মরিনি।

–আল্লাহ!আমি মরিনি এখনো।ইয়েএএএএ।।(আমি নাচতে শুরু করলাম)

উনি আমার দিক্র তাকিয়ে নীরবে হাসলেন,,আমি নাচতে নাচতে খেয়াল করলাম উনি তাকিয়ে আছেন।

–ওভাবে তাকিয়ে আছেন কেন?(উনি যেন লজ্জা পেয়ে গেলো,অন্যদিকে চোখ সরিয়ে নিল কিন্তু সাথে সাথে নিজেকে সামিলে নিলেন)
–কই তাকিয়ে আছি?আমি তো তাকিয়ে নেই।
–ছিলেন আমি দেখেছি।
–ভুল দেখেছো।এসব বাদ দাও রাস্তার মাঝখানে ওভাবে দাড়িয়ে ছিলে কেন আর একটু হলেই তো সত্যিই মরে যেতে।আমি না আসলে কি হতো?
–কি আর হতো মরে যেতাম।

ঠাসসসসসসসস…!!!!উনি আমাকে থাপ্পড় দিলেন আবার।কিন্তু আমি বুঝালাম না আমার দোষটা কি।ওনার চোখ গুলো লাল বর্ণ ধারন করেছে এক মুহুর্তেই।দাতে দাত চেপে উনি বললেন,
–মরে যাওয়া কি এতোই সহজ?

আমি এখনো গালে হাত দিয়েই আছি।কিন্তু ওনার চিল্লানিতে ভয় পেয়ে গেলাম।এতোক্ষন আমাদের এই ঘটনা লোকজন খেয়াল করিনি কিন্তু ওনার ষাড়ের মতো চিল্লিয়ে ওঠাই আশেপাশে মানুষ এসে ভিড় করল।

–কি হলো চুপ করে আছো কেন?বলো মরে যাওয়া কি এতোই সহজ।আন্সার মি ড্যামেট।অবশ্য তোমার মতো কেয়ারলেস মেয়ের কাছে মরে যাওয়াটা পানি পানি মনে হওয়ারই কথা।আমারি ভুল তোমাকে বাচানো টা।মরে যেতে ভালো হতো।

(উনি কথাটা রাগ করে বললেও এখন কেম জানি না কেমন শান্ত মনে হচ্ছে।ওনার গলা ভেঙে যাচ্ছে।চোখের কোনে পানি এসেও যেন আটকে গেছে।উনি আমার দিকে ঘুরে আমার বাহু খুব শক্ত করে চেপে ধরলেন।খুব ব্যাথা লাগলো আমার।আমি ব্যাথায় কুকিয়ে উঠলাম উনি আরো জোরে চেপে ধরলেন।ওনার চোখে পানি টলমল করছে কিন্তু কেন সেটা আমার অজানা)

–আর কোনদিন যদি মরে যাওয়ার কথা শুনেছি তাহলে আমি নিজে তোমাকে জানে শেষ করে দেবো।

উনি খুবি শান্ত গলায় কথাটা বললেন।সাউডে মুখ ঘুরিয়েই উনি আমাকে ছেড়ে দিলেন।আশেপাশের লোকজন কেমনভাবে তাকিয়ে আছে অনেকে ফিসফিস করে একে ওপরের সাথে কথা বলছে।আমি এতোক্ষন খেয়াল করিনি।লোকগুলোর মুখ দেখে আমার একটু অস্বস্থি হলো।উনি আর কিছু বললেন না রাস্তা পার হয়ে চলে গেলেন।ভিড়ের মধ্যে এতোক্ষন মীরাও ছিলো ওনার জন্য আসতে পারিনি।উনি চলে যাওয়ার সাথে সাথে তাই ছুটে এলো।ধীরেধীরে ভিড় কমে গেলো।

–দোস্ত তুই ঠিক আছিস?
–হুম…
–উনি এমন কেন করছিলো তোর সাথে?

আমি কিছুক্ষন চুপ থেকে সবটা বললাম।পুরো ব্যাপারটা শুনে ও আমাকে সরি বললো।ওর কথার জন্যই আমাকে একা একা রাস্তা পার হতে হচ্ছিলো।আমি ওরে বললাম সরি না বলতে।আমি তো ওনার কথা ভাবছি।ওনাকে আজ এতো অন্যরকম লাগল কেন?ওনার চোখের কোনে পানি আসল কেন?আর উনি আমাকে মারলেন তাও আমার রাগ হলো না কেন?কিছুই বুঝতিছি না।আমি বাসায় চলে আসলাম।রাতে সুয়ে আছি মীরা কল দিলো,,

–দোস্ত কি করিস?
–সুয়ে আছি।তুই?
–আমিও।দোস্ত একটা কথা ভাবলাম সৌভিক ভাই আজ তোকে বাঁচালো।তোর উচিত ওনাকে একটা থ্যাঙ্কস দেয়া।
–উহ,,আমাকে তো পরে মারলোও তাহলে থ্যাঙ্কস কেন বলব?
–মেরেছে তো তোর দোষে ওমন আজাইরা কথা বললে মারবে ছাড়া কি করবে উনি তো একটা মেরেছে আমি হলে আরো দুটো মারতাম।
–কি??কুত্তি…
–কুত্তি কস আর যাই কস।তোর উচিত ওনাকে থ্যাঙ্কস বলা আর তাছাড়া আজ ওনাকে খুব অন্যরকম লাগছিল।কেন জানি না মনে হচ্ছিলো তোর মরার কথা শুনে উনি খুব কষ্ট পেয়েছেন।
–হুম আমারো।
–কি?বুঝতে পারলাম না আবার বল।
–কি কি কিছু না।ঘুম পাচ্ছে বাই।

আমি ফোন কেটে দিলাম।মীরাও তাহলে ব্যাপারটা লক্ষ্য করেছে।আচ্ছা উনি আজ এরকম কেন করলো?ধুর কিচ্ছু বুঝতেছি না।যাই হোক মীরা কথাটা ঠিক বলেছে।ওনাকে একটা থ্যাঙ্কস জানানো উচিত আমার।

পরের দিন ভার্সিটিতেতে যেয়ে ওনাকে খুজতে লাগলাম।কোথাও পেলাম না।মন খারাপ করে ক্যন্টিনের দিকে যাচ্ছি দেখি শিবলি ভাইয়া।ওনাকে দেখে খুব ব্যস্ত মনে হচ্ছে তাও ডাক দিলাম।

–শিবলি ভাইয়া দাড়ান..

আমার কথাই উনি পিছু ঘুরে তাকালেন।আমি দৌড়ে ওনার কাছে গেলাম।
–আরে ফুলকলি কিছু বলবে?
–না আসলে একটা কথা জানার ছিল।
–কি কথা বলো।
–না মানে আসলে….
–আমার একটু তাড়া আছে বোনটি।যা বলার তাড়াতাড়ি বলো।
–আপনার ওই অসভ্য বন্ধুটা কই?(চোখ বন্ধ করে বলেই দিলাম)

উনি প্রথমে বুঝতে পারেননি।আমার দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলেন।

–না মানে…
–থাক ফুলকলি।অসভ্যটা পুকুর পাড়ে আছে।

উনি হাসতে হাসতে চলে গেলেন।ইশ!ওনার ফ্রেন্ডকে ওনার সামনে অসভ্য বলে ফেললাম কি ভাবলেন আল্লাই জানে!লজ্জা লাগল কিন্তু আমি কি বোকা সব জায়গা খুজেছি কিন্তু পুকুরপাড় টাই খোজা হয়নি।আমি আর দেরী না করে ছুটে পুকুর পাড়ে গেলাম।দৌড়ে গেছি বলে হাপাতে লাগলাম।উনি ভ্রু কুচকে তাকালেন…

–হাপাচ্ছো কেন?
–…………………….
–তুমি কি হাপানির রুগী?
–এই না না……ওয়েট..(ব্যাগ থেকে পানির বোতল বের করে পানি খেয়ে নিলাম)
–এবার বলো কি বলবে?
–সরি
–সরিইইইই??ফর হুয়াট?আর তুমি কি সরি বলার জন্যই এসেছো?
–এই না না সরি বলতে আসিনি।আমি তো কথা না বলে হাপাচ্ছিলাম বলে সরি বললাম।আমি তো এসেছি থ্যাঙ্কস জানাতে।
–থ্যাঙ্কস এটা কেন?
–ওই যে কাল বাঁচালেন আমায় তাই।
–ওহ,ওই জন্য..থাক থ্যাঙ্কস ট্যাঙ্কস লাগবে না।আমি সবাইরেই হেল্প করি ওমন।
–ওহ ওকে।
–হুম তুমি এখন যাও।
–এখনি?
–তো?আমার সাথে গল্প করার ইচ্ছা আছে নাকি?
–এই না না
–তাহলে দাড়িয়ে আছো কেন?যাও….
–ওকে।

আমি উল্টা ঘুরে কয়েক পা হাটলাম,

–নিহীন শোন…..
আমি ওনার দিকে তাকালাম…………

চলবে……….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here